ইনসাফ মিডিয়া শীঘ্রই আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছে আল হুর মিডিয়া পরিবেশিত কাশ্মীরি জিহাদি ময়দানের মুহাজির মুজাহিদ আবু হামাস কুটলি (রাহিমুল্লাহ) এর ইমান জাগানিয়া আত্মশুদ্ধিমূলক বয়ান-
“আমার জিহাদি সফরঃ তাগুতের অধীনে জিহাদ থেকে আল্লাহর অধীনে জিহাদ।”
ভিডিওর বর্ণনাঃ
আপনি কি কখনো আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত ৭ লাখ সৈন্যের এক বিশাল বাহিনীর সংগে মাত্র ২০/২৫ জনের একটি দল নিয়ে লড়াই করার সাহস করতে পারবেন। জানি এটা ৯৯.৯৯% কাছেই বোকামি মনে হবে। লড়াই করা তো দূরের কথা, লড়াই করার চিন্তা পর্যন্ত অধিকাংশ মানুষ করতে পারবে না। কিন্তু এই দুঃসাহসিক কাজটিই করে দেখাচ্ছেন কাশ্মীরে আল-কায়েদার শাখা "আনসার গাযওয়াতুল হিন্দ" এর প্রিয় ভাইয়েরা। মাত্র ২০/২৫ জন সাথি ও অপর্যাপ্ত অস্ত্র-রসদ নিয়ে তারা ভারতীয় দখলদার কাফেরদের সংগে লড়ছেন। আল্লাহ তাদের উত্তম প্রতিদান দান করুন।
প্রশ্ন আসতে পারে- কাশ্মীরে এত তরুন স্বাধীনতার জন্য উন্মুখ, তবে ২০/২৫ জন কেন আর এত অপর্যাপ্ত রসদই বা কেন? তিক্ত হলেও সত্য যে কাশ্মীরের অধিকাংশ মানুষ শরীয়াহ/ইসলামিক আইন প্রতিষ্ঠার জন্য লড়ছে না, বরং লড়াই করছে নিজেদের একটি স্বাধীন জাতিয়তাবাদি ভূমির জন্য। আর কাশ্মিরে কাজ করা অধিকাংশ জিহাদি গ্রুপই পাকিস্তানি তাগুতি গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ন্ত্রিত। আর জানা কথা যে পাকিস্তানি তাগুতি গোয়েন্দা সংস্থা কখনোই চায়না যে কাশ্মীরে শরীয়া প্রতিষ্ঠা হোক। পাকিস্তান মূলত নিজেদের জাতীয়তাবাদি ভূরাজনৈতিক স্বার্থের জন্যই কাশ্মীর ইস্যুকে সমর্থন করে। শরীয়া প্রতিষ্ঠা যদি আপনার উদ্দেশ্য হয়, তবে আপনাকে পাকিস্তান সহায়তা তো করবেই না বরং আপনাকে দমন করার চেষ্টা করবে।
কিন্তু কোন রাষ্ট্রীয় শক্তির সমর্থন ও সহায়তা ছাড়া কি কাশ্মীর জিহাদে সফল হওয়া সম্ভব, তাও আবার ২০/২৫ জনের গ্রুপ নিয়ে। এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তর শুধু কাশ্মীর নয়, জিহাদের সব ময়দানের জন্যই প্রাসংগিক। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে শামে এই প্রশ্নের উত্তরের ভিত্তিতেই নুসরা ফ্রন্ট থেকে আলাদা হয়ে হুররাস আদ দ্বীন সংগঠনের উত্থান।
এই মৌলিক প্রশ্নের উত্তরই দিয়েছেন কাশ্মীরে "শরীয়াত অথবা শাহদাত" এই শ্লোগান দেয়াদের মধ্যে প্রথম সারিদের অন্তর্ভূক্ত মুহাজির মুজাহিদ আবু হামাস কুটলি (রাহিমুল্লাহ) যা এই ভিডিওর মূল আলোচ্য বিষয়। এছাড়াও তিনি কাশ্মীরের জিহাদে পাকিস্তানের নোংরা রাজনীতি সম্পর্কেও সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন।
এককথায় মুজাহিদদের মন থেকে আসবাবের প্রভাব দূর করে পুরোপুরি আল্লাহর উপর ভরসা করার এক দারুন সবক রয়েছে এই ভিডিওটিতে যা প্রত্যেক হবু ও বর্তমান মুজাহিদের আত্মিক পরিশুদ্ধির জন্য এক দারুন টনিক। এই মুবারক ভিডিওটি দয়া করে কেউ মিস করবেন না যদিও এতে মারদাংগা কোন একশন নেই। কারণ, মুহাজির ভাইটির হৃদয় নিংড়ানো প্রতিটি শব্দই আমার আপনার আত্মার জরুরি ঔষধ।
বিশেষ আকর্ষণঃ এই ভিডিওটি যদিও সরাসরি মারকায আদ দাওয়াহকে উদ্দেশ্য করে বানানো হয়নি, তবুও মারকাযের সাম্প্রতিক পর্চায়- “বিশাল শক্তি-সামর্থ্য অর্জন ছাড়া জিহাদ সহীহ নয় মর্মে যে বিভ্রান্তি ছড়ানো হয়েছে,” সেই বিভ্রান্তির মুখে এক নীরব চপোটাঘাত, বিইযনিল্লাহ।
Comment