Announcement

Collapse
No announcement yet.

জিহাদ সিরিজ – অষ্টম পর্ব|| শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা||উস্তাদ হাম্মাদ সুলাইমান হাফিজাহুল

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জিহাদ সিরিজ – অষ্টম পর্ব|| শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা||উস্তাদ হাম্মাদ সুলাইমান হাফিজাহুল

    জিহাদ সিরিজ – অষ্টম পর্ব
    শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা
    উস্তাদ হাম্মাদ সুলাইমান হাফিজাহুল্লাহ



    ভিডিও ডাউনলোড করুন
    ১০৮০ রেজুলেশন [৯৬ মেগাবাইট]







    ৭২০ রেজুলেশন [২৬ মেগাবাইট]






    ৪৮০ রেজুলেশন [১৮ মেগাবাইট]







    অডিও ডাউনলোড করুন [১০ মেগাবাইট]






    *************

    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    জিহাদ সিরিজ – অষ্টম পর্ব -শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা -উস্তাদ হাম্মাদ সুলাইমান হাফিজাহুল্লাহ।

    জিহাদ সিরিজ – অষ্টম পর্ব

    শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা

    উস্তাদ হাম্মাদ সুলাইমান হাফিজাহুল্লাহ



    ইন্নাল হামদা লিল্লাহি, নাহমাদুহু ওয়া নুসল্লী আলা রাসূলিহিল কারীম।
    আম্মা-বা'দ

    প্রিয় উপস্থিতি!
    শাহাদাত আল্লাহ তায়ালার কাছে খুবই মর্যাদাকর ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কোরআন সুন্নাহর বিভিন্ন স্থানে এর আলোচনা রয়েছে। শাহাদাতের ফজিলত ও মর্যাদা এত অধিক যে, স্বয়ং রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শাহাদাত লাভে আগ্রহী ছিলেন। শাহাদাত লাভের জন্য সাহাবায়ে কেরাম রদিয়াল্লহু আ'নহুম সদা প্রস্তুত থাকতেন। এমনকি অপ্রাপ্ত বয়স্ক সাহাবারা পর্যন্তও শাহাদাত লাভে অধৈর্য হয়ে উঠতেন। শাহাদাতের লোভ তারা সামলাতে পারতেননা।

    প্রিয় ভাইয়েরা!
    মুমিনদের জীবনে শাহাদাত খুবই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। শাহাদাতের তামান্না ছাড়া কেহ মু'মিন হতে পারেনা। শাহাদাতের চেতনা বিহীন কেউ প্রকৃত মু'মিনের পরিচয় দিতে পারেনা। শাহাদাতের প্রেরণা ছাড়া জীবনের প্রকৃত স্বাদ আস্বাদন করা যায় না। শাহাদাতের তামান্না আমাদের সাহস জোগায়, মনোবল বাড়ায়, আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে উদ্বুদ্ধ করে। শাহাদাত হলো আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালার রাহে আত্মবিসর্জন, আল্লাহ তায়ালার পথে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়া। প্রকৃত শাহাদাত হলো নিজের জীবন ও সম্পদ রক্ষায় ও *আল্লাহর দ্বীন কায়েমের লক্ষ্যে নিজের জীবন বিলিয়ে দেওয়া। নিজের জীবনকে আল্লাহ তায়ালার কাছে বিক্রয় করে দেওয়া।
    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَمِنَ النَّاسِ مَنۡ یَّشۡرِیۡ نَفۡسَهُ ابۡتِغَآءَ مَرۡضَاتِ اللّٰه
    কিছু মানুষ এমন আছে যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির আশায় নিজের জীবন বিক্রি করে দেয়। [আল-বাকারাহ ২:২০৭]

    শাহাদাতের মাধ্যমে আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের সম্মান ও মর্যাদা বাড়িয়ে দেন। আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের জন্য শাহাদাতের পরীক্ষাগারের ব্যবস্থা করেছেন তা হলো জিহাদের ময়দান। এর উদ্দেশ্য হলো তিনি যেন মু'মিনদের মধ্য হতে শহিদদের বাছাই করতে পারেন। আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَلِیَعۡلَمَ اللّٰهُ الَّذِیۡنَ اٰمَنُوۡا وَیَتَّخِذَ مِنۡكُمۡ شُهَدَآءَ
    যাতে আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের জেনে নিতে পারেন, এবং তোমাদের মধ্য থেকে কতককে শহিদ রুপে গ্রহণ করতে পারেন। [আলি ‘ইমরান ৩:১৪০]
    উহুদ যুদ্ধের বিপর্যয়ে সাহাবায়ে কেরাম যখন দিশেহারা, রসূলুল্লাহ'র প্রান যখন হুমকির মুখে, একে একে সত্তর জন শহীদ যুদ্ধার লাশ যখন চোখের সামনে, এমনই আবেগঘন মূহুর্তে আল্লাহ তায়ালা শান্তনা স্বরূপ এই আয়াতটি অবতীর্ণ করেন। আল্লামা সা'দী রহিমাহুল্লাহ এর ব্যাখ্যায় বলেনঃ উহুদ যুদ্ধে বিপর্যয়ের একটি হিকমত হচ্ছে আল্লাহ তায়ালার নিকট শাহাদাত একটি অত্যন্ত মর্যাদাসম্পন্ন বিষয়। অতএব তার পথ ও উপায় মওজুদ থাকলেই তা অর্জন সম্ভব।

    শহিদদের ফজিলত ও মর্যাদা অনেকঃ যার আলোচনা আমাদের কে শাহাদাতের প্রতি মুখিয়ে তুলে। অনেক ফজিলত ও মর্যাদার মধ্য থেকে আমরা সংক্ষেপে কিছু ফজিলত নিয়ে আলোচনা করব ইনশাআল্লাহ।
    আল্লাহ তায়ালা বলেনঃ
    وَلَا تَحۡسَبَنَّ الَّذِیۡنَ قُتِلُوۡا فِیۡ سَبِیۡلِ اللّٰهِ اَمۡوَاتًا ؕ بَلۡ اَحۡیَآءٌ عِنۡدَ رَبِّهِمۡ یُرۡزَقُوۡنَ ۙ
    فَرِحِیۡنَ بِمَاۤ اٰتٰهُمُ اللّٰهُ مِنۡ فَضۡلِهٖ ۙ وَیَسۡتَبۡشِرُوۡنَ بِالَّذِیۡنَ لَمۡ یَلۡحَقُوۡا بِهِمۡ مِّنۡ خَلۡفِهِمۡ ۙ اَلَّا خَوۡفٌ عَلَیۡهِمۡ وَلَا هُمۡ یَحۡزَنُوۡنَ ۘ
    یَسۡتَبۡشِرُوۡنَ بِنِعۡمَةٍ مِّنَ اللّٰهِ وَفَضۡلٍ ۙ وَّاَنَّ اللّٰهَ لَا یُضِیۡعُ اَجۡرَ الۡمُؤۡمِنِیۡنَ ۚ٪ۛ
    যারা আল্লাহর পথে জিহাদরত অবস্থায় শহিদ হয় তাদের আপনি কখনো মৃত ভাববেননা বরং তারা তাদের পালনকর্তার কাছে জীবিত ও জীবিকা প্রাপ্ত। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদের যা দান করেছেন তা পেয়ে তারা আনন্দিত। আর যারা পিছনে রয়ে গেছে এখনো তাদের সাথে মিলিত হয়নি তারা তাদের জন্য আনন্দ প্রকাশ করে। কেননা তাদের কোন ভয় নেই, এবং কোন দুশ্চিন্তাও নেই। তারা আল্লাহর নিয়ামত এবং অনুগ্রহের কারণে আনন্দিত হয়। আর *আল্লাহ তায়ালা মু'মিনদের প্রতিদান বিনষ্ট করেন না।
    আলি ‘ইমরান ৩:১৬৯-১৭০-১৭১

    এ আয়াতে শহিদদের কয়েকটি বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা বর্ণিত হয়েছেঃ
    ১) তাঁদের অনন্ত জীবন লাভঃ
    আল্লাহ তায়ালা বলছেনঃ "যারা আল্লাহর পথে শহিদ হয়েছে তাদের আপনি মৃত মনে করবেন না, বরং তারা জীবিত।" এখানে জীবিত বলতে মৃত্যু পরবর্তী জীবিত হওয়া উদ্দেশ্য নয়। অন্যথায় শহীদ ও অন্যদের মধ্যে কোন পার্থক্য থাকেনা। কেননা মৃত্যু পরবর্তী সবাই জীবিত হবে। বরং উদ্দেশ্য হলো তারা চিরজীবিত তবে আমরা তা অনুভব করতে সক্ষম নই!
    ২) তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিজিক প্রাপ্ত।
    ৩) তারা সদা-সর্বদা আনন্দমুখর থাকবে।
    ৪) নিজেদের যেসব উত্তরসূরিকে তারা পৃথিবীতে রেখে এসেছেন তাদের ব্যাপারে তাদের এ আনন্দ অনুভুত হয় যে, তারাও পৃথিবীতে থেকে জিহাদে নিয়োজিত রয়েছেন। ফলে তারাও এখানে এসে এমন সব নিয়ামত ও মর্যাদা লাভ করবেন। সুবহানাল্লহ! এর চেয়ে বড় সুসংবাদ আর কী হতে পারে (?)

    অন্য হাদীসে শহিদদের ৬টি বিশেষ মর্যাদার কথা এসেছেঃ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
    "‏لِلشَّهِيدِ عِنْدَ اللَّهِ سِتُّ خِصَالٍ
    1) يُغْفَرُ لَهُ فِي أَوَّلِ دَفْعَ
    2) وَيَرَى مَقْعَدَهُ مِنَ الْجَنَّةِ
    3) وَيُجَارُ مِنْ عَذَابِ الْقَبْرِ
    4) وَيَأْمَنُ مِنَ الْفَزَعِ الأَكْبَرِ
    5) وَيُوضَعُ عَلَى رَأْسِهِ تَاجُ الْوَقَارِ الْيَاقُوتَةُ مِنْهَا خَيْرٌ مِنَ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا وَيُزَوَّجُ اثْنَتَيْنِ وَسَبْعِينَ زَوْجَةً مِنَ الْحُورِ الْعِينِ
    6) وَيُشَفَّعُ فِي سَبْعِينَ مِنْ أَقَارِبِهِ"‏ ‏
    রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ আল্লাহর নিকট শহিদদের ৬টি মর্যাদা রয়েছেঃ
    ১) তার রক্তের প্রথম ফোঁটা মাটিতে পড়ার আগেই তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
    ২) জান্নাতে তার বাসস্থান দেখিয়ে দেওয়া হয়।
    ৩) কবরের শাস্তি থেকে নিরাপদে রাখা হয়।
    ৪) মহা দুর্দিনের আশংকা থেকে নিরাপদে রাখা হয়।
    ৫) তাকে সম্মানের এমন মুকুট পরানো হবে যার একটি ইয়াকুত পাথর পুরো দুনিয়ার চেয়েও অধিক মূল্যবান। বাহাত্তরজন ডাগর ডাগর চোখ বিশিষ্ট হুরদেরে সাথে বিয়ে পড়িয়ে দেওয়া হবে।
    ৬) এবং তার নিকটাত্মীয়দের মধ্য থেকে সত্তর জনের ব্যাপারে তার সুপারিশ গ্রহণ করা হবে।
    জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৬৬৩
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস

    সুবহানাল্লহ আজকে আমরা কত আমলের ফজিলত নিয়ে আলোচনা করি কিন্তু শাহাদাতের এ ফজিলতগুলো আলোচিত হয়না। আমরা অন্তরে শাহাদাতের আকাঙ্ক্ষা লালন করিনা। শহিদদের আরো একটি বিশেষ মর্যাদা হলো তারা শহীদ হওয়ার পর আল্লাহ তায়ালা তাদের রুহ গুলোকে সবুজ বর্ণের পাখির বক্ষে স্থাপন করে দিবেনঃ রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেনঃ
    "‏
    لَمَّا أُصِيبَ إِخْوَانُكُمْ بِأُحُدٍ جَعَلَ اللَّهُ أَرْوَاحَهُمْ فِي جَوْفِ طَيْرٍ خُضْرٍ تَرِدُ أَنْهَارَ الْجَنَّةِ، تَأْكُلُ مِنْ ثِمَارِهَا، وَتَأْوِي إِلَى قَنَادِيلَ مِنْ ذَهَبٍ مُعَلَّقَةٍ فِي ظِلِّ الْعَرْشِ، فَلَمَّا وَجَدُوا طِيبَ مَأْكَلِهِمْ وَمَشْرَبِهِمْ وَمَقِيلِهِمْ قَالُوا ‏:‏ مَنْ يُبَلِّغُ إِخْوَانَنَا عَنَّا أَنَّا أَحْيَاءٌ فِي الْجَنَّةِ نُرْزَقُ لِئَلاَّ يَزْهَدُوا فِي الْجِهَادِ وَلاَ يَنْكُلُوا عِنْدَ الْحَرْبِ فَقَالَ اللَّهُ سُبْحَانَهُ ‏:‏ أَنَا أُبَلِّغُهُمْ عَنْكُمْ ‏.‏ قَالَ ‏:‏ فَأَنْزَلَ اللَّهُ ‏{‏ وَلاَ تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ‏}‏ ‏"‏ ‏.‏ إِلَى آخِرِ الآيَةِ ‏.

    উহুদ যুদ্ধে তোমাদের ভাইয়েরা যখন শহীদ হন তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের রুহগুলোকে সবুজ পাখির অন্তরে স্থাপন করেন তারা সবুজ পাখি হয়ে জান্নাতের নদীর উপর উড়ে বেড়ায়, সেখানকার ফল খায়, আল্লাহর আরশের ছায়ায় রাখা সোনার প্রদিপে যেয়ে তারা আশ্রয় নেয়, তারা জান্নাতের সুস্বাদু খাবার শান্তিময় আবাস ও সুমিষ্ট পানি উপভোগ করে বলে এমন কে আছে? যে আমাদের ভাইদেরকে আমাদের সম্পর্কে সংবাদ দিবে যে আমরা জান্নাতে জীবিত এবং রিজিক প্রাপ্ত, তারা যেন জিহাদ বিমুখ না হয় এবং যুদ্ধ থেকে পালিয়ে না যায় তখন আল্লাহ তায়ালা তাদের জবাবে বলেনঃ তাদের নিকট আমিই তোমাদের সম্পর্কে সংবাদ পৌঁছিয়ে দেব। এরপর আল্লাহ তায়ালা সুরা আলে 'ইমরানের এ আয়াতটি অবতীর্ণ করেন "আর যারা আল্লাহর পথে নিহত হয়েছে তাদের আপনি মৃত মনে করবেননা, বরং তারা আপন রবের কাছে জীবিত ও রিযিকপ্রাপ্ত। [সুরা আলে 'ইমরান ৩:১৬৯]
    সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং ২৫২০
    হাদিসের মান: হাসান হাদিস।

    সুবহানাল্লহ আমাদের শহিদ ভাইয়েরা চাচ্ছেন আমাদেরকে জিহাদের প্রতি উদ্বুদ্ধ করতে, আমরা যেন জিহাদ থেকে পিছু না হটি, আল্লাহ তায়ালা আয়াত নাজিল করে তাদের সে ইচ্ছা পূরণ করেছেন।

    এ হাদিস থেকে দুটো বিষয় জানা যায়।
    ১) শহিদগণ জীবিত ও জীবিকা প্রাপ্ত।
    ২) তারা চায় আমরা যেন আমাদের জিহাদকে অব্যাহত রাখি।
    ভ্রাতৃত্বের এ বন্ধন আমাদের মাঝে এতই মজবুত যে, মৃত্যুর পরেও তারা আমাদের অবিচলতা ও তার বদলে সুসংবাদ পাঠাতে চান।

    কোন জান্নাতিই মৃত্যুর পর পূনরায় দুনিয়াতে আর ফিরে আসতে চাইবেনা কিন্তু শহিদ জান্নাতে তার মর্যাদা ও সম্মান দেখে মৃত্যুর পর আবারো দুনিয়াতে ফিরে আসতে চাইবে। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেনঃ
    "‏
    مَا مِنْ عَبْدٍ يَمُوتُ لَهُ عِنْدَ اللَّهِ خَيْرٌ يُحِبُّ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا وَأَنَّ لَهُ الدُّنْيَا وَمَا فِيهَا إِلاَّ الشَّهِيدُ لِمَا يَرَى مِنْ فَضْلِ الشَّهَادَةِ فَإِنَّهُ يُحِبُّ أَنْ يَرْجِعَ إِلَى الدُّنْيَا فَيُقْتَلَ مَرَّةً أُخْرَى ‏"

    মৃত্যুর পর কোন জান্নাতিই আর পৃথিবীতে ফিরে আসতে চাইবেনা যদিও তাকে এর বদলে পুরো দুনিয়ার ধনভান্ডার ও সম্পদরাজি দেওয়া হয়, তবে শহিদ, কারণ সে শাহাদাতের মর্যাদা প্রত্যক্ষ করেছে তাই সে একান্ত কামনা করবে যে, সে দুনিয়াতে ফিরে যাবে এবং দ্বিতীয়বার শাহাদাতের স্বাদ আস্বাদন করবে।
    জামে' আত-তিরমিজি, হাদিস নং ১৬৪৩
    হাদিসের মান: সহিহ হাদিস।

    এই হাদিস থেকে বুঝা গেল একবার জিহাদের ময়দানে শাহাদাত লাভের মর্যাদা পুরো দুনিয়ার চেয়েও বেশি। আমরা সামান্য ধন সম্পদ ও পদমর্যাদা লাভের নেশায় কত কষ্ট শিকার করি, কত শ্রম ব্যয় করি। অথচ মাত্র একবার শাহাদাত বরণের ফজিলত ও মর্যাদা এর চেয়ে কুটি গুন বেশী।

    আজকে আমরা দুনিয়াতে কী খুঁজি? কিসের নেশায় আমরা জিহাদ ও শাহাদাত থেকে বিমুখ হয়ে আছি? জীবনের এ উপকরণতো খেল তামাশা বৈ আর কিছুই নয়। দুনিয়ার এ জীবন তো ধোঁকায় ভরপুর। এ ধোঁকায় আমরা বারবার পতিত হই। এখানেই শান্তি খুঁজি অথচ আল্লাহ তায়ালা এখানে কোনও শান্তিই রাখেননি বরং মু'মিনদের জন্য এটি কারাগারতুল্য।

    শাহাদাতের এসব ফজিলত ও মর্যাদার প্রতি লক্ষ্য করলে আমাদের হৃদয় এর প্রতি ব্যাকুল হয়ে পড়ার কথা। শাহাদাতের নেশায় গোটা দুনিয়ায় ছোটে বেড়ানোর কথা। কিন্তু আমরা তুচ্ছ দুনিয়ার মোহেই আকণ্ঠ নিমজ্জিত। শহিদদের এ কাফেলায় আমাদের বহু আসলাফ নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন। আমাদের কত শাইখ এ পথে নিজেদের জীবন পরিচালনা করে গেছেন। আল্লাহ তাদের প্রতি রহম করুন!

    সুতরাং প্রিয় ভাইয়েরা!
    আমাদেরকেও এ পথে হাঁটতে হবে শাহাদাতের আশায় নিজেদের ভূমিতে জিহাদ প্রতিষ্ঠা করতে হবে। বৈশ্বিক জিহাদের বাজারগুলোতে নিজেদের জানমাল বিক্রির নেশায় ছোটে বেড়াতে হবে।

    প্রিয় উপস্থিতি!
    আসুন! আমরা আল্লাহ তায়ালার কাছে নিষ্ঠাপূর্ণ অন্তরে জিহাদ ও শাহাদাত লাভের দেয়া করি। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন আমাদেরকে জিহাদের ময়দানে শরীক হয়ে শাহাদাতের গৌরব অর্জনের তাওফীক দান করেন। এবং আমাদের কে শহিদদের সাথে মিলিত করেন! আমিন ইয়া রাব্বাল আলামিন!
    হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

    Comment


    • #3
      খুবই গুরুত্ব পূর্ণ ইমান জাগানিয়া বয়ান সকল ভাইকে নিজে শোনার ও ছড়িয়ে দেওয়ার বিশেষ অনুরোধ করা গেল!
      হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ্ গুরুত্বপুর্ণ বয়ান আল্লাহ্ শায়েখকে হেফাযত করুন,,আমাদের সকলকে শাহাদার মৃত্যু দান করুন,
        মিডিয়ার সকল ভাইকে নিরাপদ রাখুন আমিন।

        Comment


        • #5
          মাশাআল্লাহ।
          অনেক উপকারি বয়ান।
          আল্লাহ আপনাদের মেহনতকে কবুল করুন,আমিন।
          ’’হয়তো শরিয়াহ, নয়তো শাহাদাহ,,

          Comment


          • #6
            শাইখের দরসগুলো অনেক ভালো লাগে ৷
            গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

            Comment


            • #7
              Originally posted by sufeian77
              প্রিয় শাইখ, আমি একটা জিনিস নিয়ে খুবই দিধাদ্বন্ধে ভুগতেছি, আর তা শুধু মাত্র আমার একার না বরং অধিকাংশ যুবকের, অনেক অবুঝ ভাই facebook, বা বিভিন্ন সামাজিক মাধ্যেমে কোন বিষয়ে ভালো একটি মেসেজ দিয়ে বলে যে, যদি তুমি এই মেসেস টি ২০ জনকে ফরওয়ার্ড করো তবে ৩ দিনের মধ্যে খুশির সংবাদ পাবে আর না দিলে ৭ দিনের মধ্যে তোমার মা মারা যাবে বা ২০ বছরেও তোমার উন্নতি হবেনা ইত্যাদি। এটা বিশ্বাস করা ঈমানের জন্য ক্ষতিকারক কিনা? আপনার স্পষ্ট বক্তব্য আশা করছি।
              [B]অবশ্যই এটা ইমানের জন্য ক্ষতিকর, যেখানে আল্লাহ ছাড়া অন্য কেহ ভবিষ্যতের কোন খবর জানেনা তখন এরা এসব কী বলছে?! কার, কখন, কী ভালো আর কী মন্দ হবে তা একমাত্র আল্লাহ তায়ালাই জানেন! তাহলে সে কীভাবে বলে দিচ্ছে, নাউজুবিল্লাহ.. এরকম পোষ্ট শেয়ার করা থেকে দূরে থাকুন! ইমানকে মজবুত রাখুন!
              হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

              Comment

              Working...
              X