ভারতের সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে আল-কায়েদা প্রধান শায়েখ আইমানের উদ্বেগ : “ইসলামী শরিয়াহ্’ই মুক্তির পথ”
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় মিডিয়া শাখা আস-সাহাব সম্প্রতি প্রায় ৯ মিনিটের নতুন একটি ভিডিও রিলিজ করেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনীটির প্রধান শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে (হাফিজাহুল্লাহ্) ভারতে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা ও সেখানকার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করতে দেখা যায়। এসময় তিনি উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আশায় না থেকে নিজস্ব প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করে নিজেদের রক্ষা করার পরামর্শ দেন।
ভিডিওটিতে শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ভারত জুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সর্বশেষ ঘটনাগুলির মূল্যায়ন করেছেন। বিশেষ নতুন এই ভিডিওটির শুরুতেই গুরুত্ব পেয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হেডস্কার্ফ পরার কারণে মুসলিম ছাত্রদের স্কুলে যেতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি। সেই সাথে দেশটির হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট কর্তৃক হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞাকে বহাল রাখার বিষয়টিও বক্তব্য উঠে এসেছে।
ভিডিওটিতে মুসলিম স্কুলছাত্রী মুসকান খানকে “আল্লাহু আকবর” বলে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু গ্যাংদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দৃশ্যটি দেখানো হয়েছে। যেখানে একপর্যায়ে মুসকান খান ‘মুজাহিদিনদের আমাদের ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এবিষয়ে শাইখ আয়মান আজ-জাওয়াহিরি বলেছেন যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে মুসকানের এই সাহসী পদক্ষেপটি উপমহাদেশের মুসলমানদের দ্বীনি চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট।
এরপর শায়েখ বলেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলি ভারতের তথাকথিত গণতন্ত্র এবং পশ্চিমের ভণ্ডামিকে প্রকাশ করে দিয়েছে। এসময় শাইখ সেই সমস্ত মিডিয়া সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, যারা ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দু মিলিশিয়াদের কর্তৃক পরিচালিত ঘটনাগুলি প্রচার ও প্রকাশ করেছেন৷
ভিডিওটির এক পর্যায়ে ভারতীয় মুসলমানদের আহ্বান জানিয়ে শায়েখ আইমান জাওয়াহিরি বলেছেন, “আমাদেরকে চারপাশের ফরাগত বিভ্রান্তিগুলোকে অবশ্যই ছুঁড়ে ফেলতে হবে। ভারতের পৌত্তলিক গণতন্ত্রের মরীচিকার দ্বারা প্রতারিত হওয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেননা এটি মুসলমানদের নিপীড়নের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়।”
তিনি বলেন “এটি এমন একটি প্রতারণা, যা পশ্চিমারা আমাদের বিরুদ্ধে কল্পিত করেছে। এই প্রতারণার প্রকৃতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। যারা জনসমক্ষে নগ্নতার অনুমতি দেওয়ার সময় মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করেছে।”
শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি আরও বলেছেন যে, সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলামের শত্রুরা এধরণের কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধকে টার্গেট করছে।
এরপর ভারতীয় মুসলমানদের সম্বোধন করে শায়েখ জাওয়াহিরি আরও বলেছেন যে, “এসব কিছু থেকে আপনাদের মুক্তি ও পরিত্রাণ একমাত্র ইসলামী শরিয়ার উপর নির্ভর করে। তাই ইসলামি বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া উচিত।”
“এক্ষেত্রে, আমাদেকের অবশ্যই সত্যবাদী ও অনুগত আলেমদের চারপাশে একত্রিত হতে হবে। আমাদেরকে ধর্ম, চিন্তাধার, মিডিয়া এবং অস্ত্রের মাধ্যমে এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে এই যুদ্ধে লড়তে হবে। আমাদের এই যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ হল সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জনগণের কাছ সত্যকে প্রকাশ করা।”
শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্) উপমহাদেশের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও যুক্ত করেন যে, “আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সরকারগুলি, বিশেষ করে বাংলাদেশ বা পাকিস্তান আমাদেরকে রক্ষা করবে না। তাই উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।”
অনুবাদক ও সংকলক : ত্বহা আলী আদনান
বৈশ্বিক ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কায়েদার কেন্দ্রীয় মিডিয়া শাখা আস-সাহাব সম্প্রতি প্রায় ৯ মিনিটের নতুন একটি ভিডিও রিলিজ করেছে। যেখানে প্রতিরোধ বাহিনীটির প্রধান শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরিকে (হাফিজাহুল্লাহ্) ভারতে হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞা ও সেখানকার সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর মূল্যায়ন করতে দেখা যায়। এসময় তিনি উপমহাদেশের মুসলিমদেরকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের আশায় না থেকে নিজস্ব প্রতিরোধ বাহিনী গঠন করে নিজেদের রক্ষা করার পরামর্শ দেন।
ভিডিওটিতে শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্) চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি ও মার্চ মাসে ভারত জুড়ে মুসলমানদের বিরুদ্ধে ঘটে যাওয়া সর্বশেষ ঘটনাগুলির মূল্যায়ন করেছেন। বিশেষ নতুন এই ভিডিওটির শুরুতেই গুরুত্ব পেয়েছে ভারতের কর্ণাটক রাজ্যে হেডস্কার্ফ পরার কারণে মুসলিম ছাত্রদের স্কুলে যেতে বাধা দেওয়ার বিষয়টি। সেই সাথে দেশটির হিন্দুত্ববাদী হাইকোর্ট কর্তৃক হিজাবের উপর নিষেধাজ্ঞাকে বহাল রাখার বিষয়টিও বক্তব্য উঠে এসেছে।
ভিডিওটিতে মুসলিম স্কুলছাত্রী মুসকান খানকে “আল্লাহু আকবর” বলে ভারতের ইসলাম বিদ্বেষী হিন্দু গ্যাংদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর দৃশ্যটি দেখানো হয়েছে। যেখানে একপর্যায়ে মুসকান খান ‘মুজাহিদিনদের আমাদের ভাই’ বলে সম্বোধন করেছিলেন। এবিষয়ে শাইখ আয়মান আজ-জাওয়াহিরি বলেছেন যে, উগ্র হিন্দুত্ববাদীদের বিরুদ্ধে মুসকানের এই সাহসী পদক্ষেপটি উপমহাদেশের মুসলমানদের দ্বীনি চেতনাকে জাগিয়ে তুলতে যথেষ্ট।
এরপর শায়েখ বলেন, সাম্প্রতিক এই ঘটনাগুলি ভারতের তথাকথিত গণতন্ত্র এবং পশ্চিমের ভণ্ডামিকে প্রকাশ করে দিয়েছে। এসময় শাইখ সেই সমস্ত মিডিয়া সংস্থাগুলিকে অভিনন্দন জানিয়েছেন, যারা ভারতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে উগ্র হিন্দু মিলিশিয়াদের কর্তৃক পরিচালিত ঘটনাগুলি প্রচার ও প্রকাশ করেছেন৷
ভিডিওটির এক পর্যায়ে ভারতীয় মুসলমানদের আহ্বান জানিয়ে শায়েখ আইমান জাওয়াহিরি বলেছেন, “আমাদেরকে চারপাশের ফরাগত বিভ্রান্তিগুলোকে অবশ্যই ছুঁড়ে ফেলতে হবে। ভারতের পৌত্তলিক গণতন্ত্রের মরীচিকার দ্বারা প্রতারিত হওয়া থেকে বের হয়ে আসতে হবে। কেননা এটি মুসলমানদের নিপীড়নের হাতিয়ার ছাড়া আর কিছুই নয়।”
তিনি বলেন “এটি এমন একটি প্রতারণা, যা পশ্চিমারা আমাদের বিরুদ্ধে কল্পিত করেছে। এই প্রতারণার প্রকৃতি প্রকাশ করেছে ফ্রান্স, নেদারল্যান্ড এবং সুইজারল্যান্ড। যারা জনসমক্ষে নগ্নতার অনুমতি দেওয়ার সময় মাথার স্কার্ফ নিষিদ্ধ করেছে।”
শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি আরও বলেছেন যে, সারা বিশ্ব জুড়ে ইসলামের শত্রুরা এধরণের কার্যকলাপের মাধ্যমে ইসলামী মূল্যবোধকে টার্গেট করছে।
এরপর ভারতীয় মুসলমানদের সম্বোধন করে শায়েখ জাওয়াহিরি আরও বলেছেন যে, “এসব কিছু থেকে আপনাদের মুক্তি ও পরিত্রাণ একমাত্র ইসলামী শরিয়ার উপর নির্ভর করে। তাই ইসলামি বিশ্বকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এই লড়াইয়ে অবতীর্ণ হওয়া উচিত।”
“এক্ষেত্রে, আমাদেকের অবশ্যই সত্যবাদী ও অনুগত আলেমদের চারপাশে একত্রিত হতে হবে। আমাদেরকে ধর্ম, চিন্তাধার, মিডিয়া এবং অস্ত্রের মাধ্যমে এই যুদ্ধে অবতীর্ণ হতে হবে, ইসলামের শত্রুদের বিরুদ্ধে আমাদেরকে এই যুদ্ধে লড়তে হবে। আমাদের এই যুদ্ধের প্রথম পদক্ষেপ হল সচেতনতা বৃদ্ধি করা এবং জনগণের কাছ সত্যকে প্রকাশ করা।”
শায়েখ আইমান আজ-জাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ্) উপমহাদেশের মুসলমানদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আরও যুক্ত করেন যে, “আমাদের উপর চাপিয়ে দেওয়া সরকারগুলি, বিশেষ করে বাংলাদেশ বা পাকিস্তান আমাদেরকে রক্ষা করবে না। তাই উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে তাদের নিজস্ব বাহিনী দিয়ে নিজেদের রক্ষা করতে হবে।”
অনুবাদক ও সংকলক : ত্বহা আলী আদনান
Comment