Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভিডিও - English || ব্ল্যাক হক ডাউন - সোমালিয়ায় আমেরিকার পরাজয়ের ৩০ বছর পর || আল কায়েদা সোমালিয়া || হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন || আল কাতাইব মিডিয়া

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভিডিও - English || ব্ল্যাক হক ডাউন - সোমালিয়ায় আমেরিকার পরাজয়ের ৩০ বছর পর || আল কায়েদা সোমালিয়া || হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন || আল কাতাইব মিডিয়া


    আল কায়েদা সোমালিয়া

    হারাকাতুশ শাবাব আল-মুজাহিদীন

    আল কাতাইব মিডিয়া



    ১৯৯৩ সালে সোমালিয়ার মাটিতে তৎকালীন সুপার পাওয়ার আমেরিকান ক্রুসেডারদের বিরুদ্ধে আল কায়েদা এবং সোমালিয়ার মুজাহিদদের আলোড়ন সৃষ্টিকারী বিজয়ের স্বচিত্র প্রামাণ্য ডকুমেন্টারি। কথিত উন্নত সভ্য আমেরিকার চোখে, যাদের নিকট সভ্যতার আলো পৌঁছায়নি এমন জংলি জানোয়ারের দেশ বলে সোমালিয়ায় আগ্রাসন চালানোর পর ফলাফল কি হল?

    ভাষা - ইংরেজি



    শিরোনামঃ

    لَمْ يَنَالُوا خَيْرًا ﴿
    ﴾They Attained No Good﴿
    তারা কোন সুফল অর্জন করতে পারল না﴿


    Black Hawk Down - 30 Years After the American Defeat in Somalia
    ব্ল্যাক হক ডাউন - সোমালিয়ায় আমেরিকার পরাজয়ের ৩০ বছর পর








    অনলাইনে দেখুন এবং ডাউনলোড করুন
    ১ ঘণ্টা ৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ড




    1080P, 808.9MB
    - https://islamichistory.tv/watch/5SSVXWZORyQf8oS​
    - https://archive.gnews.to/index.php/s/eY5z2wcPmzy7rxL
    - https://mega.nz/file/bFdk0CJK#g7wA9Wx9CWOxvT9iKiEzwEDxdDNwfwJgdM3OPSKFM R0




    720P, 396.0MB
    - https://archive.gnews.to/index.php/s/KgbfJt77QtL8yRp
    - https://files.fm/f/6cr9uckbsw
    - https://mega.nz/file/OQ9nkBiB#8d9pOLwMN0b_dU2bO6YRp0yISjfLSOrjBhgv3X_S7 do




    360P, 125.4MB
    - https://archive.gnews.to/index.php/s/oCdgJ7KmMkXAwnG
    - https://files.fm/f/9m7yyhkmv9
    - https://mega.nz/file/iV1A2SKB#DOBUasnHAsCQ75VG6mvGywMZPrHKvhx1M1LMxCr9z JI





    প্রকাশকালঃ
    শনিবার, ১৩ রবিউস সানি, ১৪৪৫ হিজরি
    ২৮ অক্টোবর, ২০২৪ ইংরেজি
    Last edited by Rakibul Hassan; 15 hours ago.

  • #2
    আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ
    বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

    Comment


    • #3
      আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ভাইয়েরা, আল শাবাব মুজাহিদ ভাইদের সচল অন নাইল বিভিন্ন সাইটের লিংকগুলো দিলে ভালো হয়। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।

      Comment


      • #4
        আলহামদুলিল্লাহ,, আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের শক্তিশালী করুন আমিন।

        Comment


        • #5
          এটার বাংলা ডাব ও সাব হলে আমরা যারা ইংরেজি পারিনা তাদের জন্য সুবিধা হতো। ইংশাআল্লহ
          হয় শাহাদাহ নাহয় বিজয়।

          Comment


          • #6
            সোমালিয়া হল সেই ভূমি, যেখানে আমরিকাকে মুজাহিদদের তরফ থেকে প্রথম মাইর দেয়া শুরু হইসে।
            বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

            Comment


            • #7
              Assalamu Alikum প্রিয় ভাই!! এই ভিডিওটার ইংরেজি সাবটাইটেল এর ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন?? তাহলে আমি এর বাংলা সাবটাইটেল করার চেষ্টা করতাম!!.! জাযাকাল্লাহ!!!

              Comment


              • #8
                মুহতারাম ভাই! যদি নাওয়ে গযওয়াতুল হিন্দ এর লিংক টা দিতেন ভালো হতো।

                Comment


                • #9
                  আজকের দিন (৪ অক্টোবর) দুনিয়ার Special Operations এর ইতিহাসের পাতায় Day of The Rangers হিসাবে পরিচিত হয়ে আছে। '৯৩ সালের আজকের দিনে মোগাদিশুর বিমান বন্দরে ঘাঁটি গেড়ে বসা Joint Special Operations Command (JSOC) এর Task Force Ranger এর রেডিও কমিউনিকেশনে ধ্বনিত হতে শুরু করে একটিমাত্র শব্দ।

                  "Irene! Irene!"

                  লঞ্চ হয় মোগাদিশুর মাটিতে Operation Gothic Serpent এর সর্বশেষ অভিযান।

                  Task Force Ranger ছিল মূলত C Squadron, 1st Special Forces Operational Detachment - Delta, Bravo Company, 3rd Ranger Battalion, 75th Ranger Regiment , 24th Special Tactics Squadron, Naval Special Warfare Development Group ও আরো কয়েকটি মার্কিন সামরিক ফর্মেশনের সমন্বয়ে গড়ে ওঠা একটি বিশেষায়িত বাহিনী। যাদের দায়িত্ব ছিল United Nations এর তৎপরতায় সহযোগিতার লক্ষ্য নিয়ে মোগাদিশু শহরে অভিযান চালিয়ে জেনারেল মুহাম্মাদ ফারাহ হাসান আঈদিদ ও তার সঙ্গীদের বন্দি করা।

                  সুতরাং, অপারেশনের দিন স্ট্যাণ্ডবাই অবস্থায় থাকা Task Force Ranger এর Intelligence Officer ও বিশ্লেষকরা জেনারেল ফারাহ আঈদিদের Foreign Minister ওমার সালাদ ঈলমির অবস্থান শণাক্ত করে। সাথে সাথে বেতার মারফত উপরোক্ত সংকেত ছড়িয়ে দেওয়া হলে 160th Special Operations Aviation Regiment (Airborne) এর ১৬টি হেলিকপ্টারের ঝাঁক মার্কিন কমাণ্ডোদের নিয়ে ভেসে ওঠে সোমালিয়ার আকাশে।

                  কিন্তু, আকাশে ভাসমান মার্কিন কমাণ্ডোদের তখন ধারণা ছিল না যে, তাদের মোগাদিশুর মাটিতে আগমনের সাথে সাথে একদল অনাকাঙ্খিত অতিথি নিজেরাও বিস্তীর্ণ আরব সাগর পেরিয়ে মোগাদিশুর রণাঙ্গনে অবস্থান নিয়েছে। সুদূর আফগানিস্তান হতে রওয়ানা করে আসা যেসব অতিথিদের মাঝে রয়েছে সোভিয়েত সামরিক বাহিনীর সাথে মুখোমুখি যুদ্ধের দূর্লভ অভিজ্ঞতা। আজ সেসমস্ত অতিথি তাদের জন্য মোগাদিশুর শহরজুড়ে বিস্তীর্ণ ফাঁদ বিছিয়ে দিয়েছে। এখন তারা বসে রয়েছে স্রেফ মার্কিনীদের আগমনের অপেক্ষায়!

                  160th এর হেলিকপ্টার পাইলটরা যখন মোগাদিশু সিটির মূল আকাশসীমার দিগন্তে উপস্থিত হয়, তখন তাদের নজরে ভেসে উঠলো শহরের স্থানে স্থানে কালো ধোঁয়ার অগণিত স্তম্ভ। ওদিকে মোগাদিশুর বিমান বন্দরে থাকা তাদের ঘাঁটি হতে টার্গেট লোকেশনের দূরত্ব ছিল মাত্র ০৪ মিনিট। ফলে ধোঁয়ার কুণ্ডলির অর্থ হলো, মোগাদিশু শহর তাদের আগমনের অপেক্ষায় অনেক আগে থেকে অপেক্ষমান হয়ে বসে ছিল।

                  Task Force Ranger এর অপারেশন পরিকল্পনা ছিল Delta Force পরিচালিত আর দশটি সাধারণ অপারেশনের অনুরূপ। যেখানে রেঞ্জার রেজিমেন্ট হতে আগত কমাণ্ডো ফর্মেশন টার্গেটের চতুর্দিকে ব্লকিং ফোর্স হিসাবে অবস্থান নিবে। আর Delta Force এর অ্যাসল্ট টিম মূল লক্ষ্যবস্তুর ওপরে অবতরণ করে হানা পরিচালনা করবে। সুতরাং, পরিকল্পনা মতে অপারেশন আরম্ভ হয়ে গেলো। ডেল্টার অ্যাসল্ট টিম নিয়ে সবার আগে অবজেক্টিভের ওপরে উপস্থিত হলো MH-6 Little Bird এর একটি ছোট্ট ঝাঁক। যাদের পিছু নিয়ে কিছুক্ষণের মাঝে ঝড়ের গতিতে অবজেক্টিভে নামতে শুরু করলো Delta Force এর দ্বিতীয় আভিযানিক দল। যে দলটির কমাণ্ডে ছিলেন তৎকালীন ডেল্টা ক্যাপ্টেন অস্টিন স্কট মিলার। তিনি পরবর্তী সময়ে কর্নেল পদবিতে Delta Force ও তারপর চার তারকা জেনারেল হিসাবে Joint Special Operations Command (JSOC) এর কমাণ্ডার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তবে সেটি ভিন্ন প্রসঙ্গ। সেদিন মোগাদিশুর অবজেক্টিভে তার টিম দু'টি UH-60 Black Hawk হেলিকপ্টারে করে টার্গেটের মাঝে অবতরণ করে।

                  অতঃপর খুব সামান্য সময়ের মাঝে Delta Force এর অ্যাসল্ট টিম অবজেক্টিভ হতে জেনারেল ফারাহ হাসান আঈদিদের দু'জন 2nd in Command (2iC) ও আরো ২২ জন ভিন্ন ভিন্ন পদবির কর্মকর্তাকে বন্দি করতে সমর্থ হয়। কিন্তু, সেদিনকার অপারেশনটির মূল টার্গেট, জেনারেল আঈদিদ তাদের ধরা-ছোঁয়ার বাহিরে রয়ে যান। ওদিকে অপারেশনের পরিকল্পনা অনুসারে Delta Force ও Ranger Regiment অবজেক্টিভে অবতরণের কয়েক মিনিটের মাঝে একটি Quick Reaction Force (QRF) এর কনভয় ঘাঁটি হতে শহরের মাঝ দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছে যাওয়ার কথা ছিল। যাদের প্ল্যানিংয়ের সময়ে ওখানে পৌঁছে বন্দি ও অ্যাসল্ট টিমকে তুলে নিয়ে সফল Extraction পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। কিন্তু, ততক্ষণে সর্বনাশ হয়েছে! সোমালি সশস্ত্র বাহিনীর ব্যাটলস্পেস কমাণ্ডার, কর্নেল শরিফ হাসান জামালি ওদিকে ইতিমধ্যে রেডিও মারফত মোগাদিশুর ১৮টি সেক্টরে ঘাঁটি গেড়ে বসা তাঁর অফিসারদের মরণপণ হামলার জন্য জড়ো হওয়ার নির্দেশ জারি করেছেন। পাশাপাশি United Nations Operation in Somalia (UNOSOM) এর ঘাঁটি থেকে মার্কিন সেনাদের পক্ষে কোনো সহায়তা যেন না আসতে পারে, তা নিশ্চিত করার জন্য ওসব ঘাঁটির পথে অ্যাম্বুশ স্থাপন করে রাখার নির্দেশনাও জারি করেছেন তিনি। জ্যান্ত হয়ে উঠছে সমগ্র মোগাদিশু!

                  কর্নেল শরিফ হাসান জামালির নির্দেশ পাওয়ামাত্র সোমালি সেনারা তা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে কাজে নেমে পড়ে। সোমালি বাহিনীর অফিসাররা যুদ্ধের ময়দানে সমবেত হওয়ার আদেশটির পর তাদের সকল রেডিও কমিউনিকেশন বন্ধ করে দেয়। কারণ, তাঁদের জানা ছিল যে, মার্কিনীরা Signals Intelligence (SIGINT) এর ফিল্ডে অতুলনীয় সক্ষমতা রাখে। ফলে সোমালিরা রেডিও বন্ধ করে হাতে লেখা বার্তা ও বার্তাবাহকদের সহায়তায় রণাঙ্গনের মাঝে কো-অর্ডিনেশন শুরু করে। যেন মার্কিনীরা তাদের কমিউনিকেশনে আঁড়ি পাততে সক্ষম না হয়।

                  ফিরে আসছি Extraction এর দায়িত্বশীলদের কাছে। কর্নেল জামালির নির্দেশের আগে থেকে মার্কিনীদের অপেক্ষায় থাকা সোমালি সাধারণ মানুষ ও গেরিলাদের দল রাস্তায় রাস্তায় ব্লকেড দিয়ে রেখেছিল। পাথর, জ্বলন্ত টায়ার, ময়লার স্তুপ, ধ্বংসস্তুপের খণ্ড দিয়ে তৈরি ওসব বাঁধা সরিয়ে কনভয়টি তাদের মূল সময়সীমার অনেকক্ষণ পর অবজেক্টিভের কাছে উপনীত হতে সমর্থ হয়। ততক্ষণে সেখানে অ্যাসল্ট শুরু হয়ে গিয়েছে। ফলে, তারা অপারেশন সমাপ্তির অপেক্ষায় সেখানে কনভয় নিয়ে দণ্ডায়মান থাকে। ওদিকে অপারেশনের শুরুতে UH-60 হতে ফাস্ট রোপিংয়ের সময়ে রেঞ্জার রেজিমেন্টের Todd Blackburn দড়ি ছেড়ে দেওয়ার কারণে ৭০ ফিট নিচে আছড়ে পড়েছিল। কনভয় থেকে ০৩টি গাড়িকে তখন তাকে সেখান হতে বের করে নিয়ে Casualty Evacuation (CASEVAC) পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়। আর তারা মিশনের দায়িত্ব পালন করতে ঘাঁটিতে ফিরে যাওয়ার পথেই কর্নেল জামালির সেনারা তাদের প্রথম আঘাত হানেন। চতুর্দিকের ভবনে অবস্থান নিয়ে থাকা তাঁর গেরিলারা তখন ০৩টি গাড়ির ওপর বৃষ্টির মতো গুলিবর্ষণ শুরু করে। সার্জেন্ট ডমিনিক পিলার মাথায় একটি গুলি আঘাত করলে তিনি সাথে সাথে মৃত্যুবরণ করেন। তার কনভয়ের দায়িত্বে থাকা সার্জেন্ট জেফ স্ট্রাকারের ভাষায়, রেডিওতে যখন ডমিনিক পিলার মৃত্যুর সংবাদ সম্প্রচার করা হলো, তখন Task Force Ranger এর সমগ্র কমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক পিনপতন নীরবতায় ছেয়ে যায়। তখন গোটা অপারেশনের মাঝে প্রথমবারের মতো সকলে অনুভব করছিল যে, মৃত্যু তাদের চোখে সরাসরি তার শীতল চাহনি ফেলে দণ্ডায়মান হয়েছে! আজ যে চাহনির শীতলতা হতে কারো রেহাই নাও মিলতে পারে! ব্লাকবার্ন ও ডমিনিককে নিয়ে কনভয়ের ছোট্ট অংশটি যখন অবশেষে ঘাঁটিতে ফিরে আসে, তখন ০৩টি গাড়ির সবগুলো হতে ধোঁয়া বের হতে শুরু করেছিল। আর গুলির আঘাতে ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে সেগুলোর অবস্থা ছিল দেখার মতো। কিন্তু, ভয়াবহতা তো তখন কেবল শুরু হয়েছে!

                  "We Got a Black Hawk Down!"

                  অপারেশন আরম্ভ হওয়ার পর ৪০ মিনিট অতিক্রান্ত হয়েছে তখন। আচমকা মোগাদিশুর আকাশে সেসময় নিশ্চিন্তে ভাসমান একটি মার্কিন UH-60 Black Hawk কে নিশানা করে ভূমিতে অবস্থান নেওয়া সোমালি গেরিলারা RPG-7 লঞ্চ করতে শুরু করেন। তার মাঝে একটি রকেট সরাসরি ভাসমান হেলিকপ্টারে আঘাত করে বসলে সাথে সাথে হেলিকপ্টারটি প্রচণ্ড গতিতে ঘুরপাক খেতে খেতে সরাসরি নিচের বাড়ি-ঘরের ওপরে আছড়ে পড়ে।হেলিকপ্টারটি তখন দু'জন স্নাইপারকে বহন করছিল। চপার ভূপাতিত হওয়ার সাথে সাথে সোমালি বাহিনীর সেনারা মেগাফোন হাতে জনসাধারণকে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ার আহ্বান শুরু করেন। মোগাদিশুর রাস্তায় নামতে শুরু করে তুমুল জনস্রোতের ঢল!

                  Task Force Ranger এর কমাণ্ড সেন্টারে থাকা কমাণ্ডারদের মেরুদণ্ডে তখন শীতল স্রোত বইতে শুরু করেছে। তাদের বুঝে আসছে না যে, ছন্নছাড়া, গরিব সোমালিরা কিভাবে অমন নিখুঁত আঘাত করে Black Hawk ফেলে দিতে পারে! ওদিকে ততক্ষণে ঘাঁটি থেকে আরেকটি Black Hawk রওয়ানা হয়ে গিয়েছে। তারা বহন করছে Delta Force এর একটি Combat Search And Rescue (CSAR) টিম। টিমটি ক্র্যাশ সাইটের ওপরের আকাশে উপস্থিত হওয়ার পর ফাস্ট রোপিং শুরু করে। পুরো টিমের প্রায় সকলে নেমে গিয়েছে, এমন সময়ে ভোজবাজির মতো আরেকটি RPG-7 কোথা হতে প্রচণ্ড গতিতে সোজা হেলিকপ্টারের রোটরে আঘাত করে! বিকট বিস্ফোরণ রোটর ব্লেড পুরোপুরি ছিন্ন করে ফেলার পরিস্থিতি করে দেয়। কিন্তু, হেলিকপ্টারটি কোনোরকমে ঘাঁটিতে ফিরে আসতে সমর্থ হয়।

                  তার মাত্র ২০ মিনিটের মাঝে ভূপাতিত হয়ে পড়ে থাকা হেলিকপ্টারটির ওপরের আকাশে তৃতীয় আরেকটি UH-60 Black Hawk প্রচণ্ড গর্জন তুলে উপস্থিত হয়। সোমালি বাহিনীর কমাণ্ডার ইঊসুফ যাহির মু'আল্লিম ও তাঁর টিম বিষয়টি গভীর মনোযোগ দিয়ে লক্ষ্য করছিলেন। তবে, তাঁদের অবস্থা পাল্টে যেতে সময় দরকার হলো না। অল্প সময়ের মাঝে কমাণ্ডার ইঊসুফের দলের গেরিলাদের মাঝ থেকে একজন মাটিতে হাঁটু গেড়ে বসে তাঁর RPG-7 হেলিকপ্টারটির Tail Rotor এর দিকে ফায়ার করে বসলেন৷ কিন্তু, তাঁদের বিস্মিত করে দিয়ে বিস্ফোরণের পরও হেলিকপ্টারটি স্বাভাবিক অবস্থায় ভাসমান রইলো। কিন্তু, বিপদের শুরু হলো আচমকা, কয়েক সেকেণ্ড পরেই!

                  হেলিকপ্টারটির Rotor Assembly কিছুক্ষণ অতিবাহিত হওয়ার পর আচমকা বিস্ফোরণের চাপে ভেঙে পড়তে শুরু করে। কোনো সংকেত না দিয়ে তখন হেলিকপ্টার ভয়ঙ্করভাবে আকাশে ঘুরতে ঘুরতে ১০০ ফিট নিচের টিনের বাড়িতে সোজা অবস্থায় গেঁথে যায়! চতুর্দিকের সাধারণ মানুষ দৃশ্যটি দেখে উল্লাস করতে শুরু করেন। সাথে সাথে সমগ্র Task Force Ranger এর ওপরে নরক ভেঙে পড়তে শুরু করে!

                  মার্কিন কমাণ্ডো ও QRF কনভয় তখন চতুর্দিকে অ্যাম্বুশে পড়তে শুরু করে। 10th Mountain Division এর একটি কোম্পানি অবরূদ্ধ অবস্থায় পড়ে অবরোধ ভাঙার চেষ্টায় ৩০ মিনিটে ৬০,০০০ রাউণ্ড বুলেট ও অগণিত গ্রেনেড ফায়ার করে! Delta Force এর দু'জন মাস্টার সার্জেন্ট দ্বিতীয় হেলিকপ্টারের ক্র্যাশ সাইটে পাইলটদের সাহায্যের জন্য নামতে চেয়ে ০৩ বার অনুরোধের পর অবতরণ করার অনুমোদন পান। আরেকটি Black Hawk তাদের সেখানে নামিয়ে দিয়ে ফায়ার সাপোর্ট দিতে শুরু করে। আচমকা ভুতুড়ে একটি RPG-7 তার ইঞ্জিন ছিড়ে সোজা ককপিটের মাঝে ঢুকে গেলে রকেটের আঘাতের শিকার হয়ে কপ্টারের কো-পাইলট সাথে সাথে অজ্ঞান হয়ে যান। পাইলট তখন তড়িঘড়ি করে সেখান হতে সরে যাওয়ার পর মোগাদিশুর বাহিরে সফল ক্র্যাশ ল্যাণ্ডিং সম্পন্ন করতে সমর্থ হন।

                  সেদিন সারারাত মোগাদিশু শহরে ভয়াবহ রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ চলতে থাকে। মার্কিন সামরিক বাহিনীর কোনো কনভয় শহরে তাদের অবরূদ্ধ সেনাদের বের করতে যেতে সমর্থ হচ্ছিল না। ওদিকে পিপাসায় কাতর সেনাদের অবস্থা মূহুর্তের সাথে সাথে খারাপ হচ্ছিল। অবশেষে নিরূপায় হয়ে Task Force Ranger সাহায্যের জন্য সোমালিয়ার মাটিতে মোতায়েন United Nations এর শান্তিরক্ষীদের দ্বারস্থ হয়। Angkatan Tentera Malaysia তথা মালয়েশিয়ার সেনাবাহিনী তখন তাদের Mechanized Infantry ফর্মেশন মোতায়েন করতে শুরু করে। Pakistan Army থেকে আগমন করে একটি ট্যাংক প্লাটুন।

                  পাকিস্তান আর্মির ০৪টি M48 Tank কনভয়ের সামনে অবস্থান নেয়। তাদের পেছনে অনুসরণ করে ওদের M113 ও মালয়েশিয়ান আর্মির Condor আর্মার্ড পার্সোনেল ক্যারিয়ারের বহর। তার পেছনে মার্কিন পদাতিক সেনারা তাদের নিজস্ব হালকা যানে শহরের দিকে রওয়ানা হয়। সাড়ে ০৩ কিলোমিটার দীর্ঘ কনভয়টিকে U.S. Army এর হেলিকপ্টারের বহর আকাশ থেকে সাপোর্ট দিতে থাকে। তবে, কনভয়টি শহরের মাঝে ঢোকার পর মার্কিন সেনাদের বহন করতে থাকা দু'টি মালয়েশিয়ান সাঁজোয়া যান ভুল পথে চলে গেলে তারা সোমালি গেরিলাদের পক্ষ হতে বৃষ্টির মতো গুলি ও রকেট ফায়ারিংয়ের শিকার হয়। ফলাফল হিসাবে ওগুলো ধ্বংস হয়ে যাওয়ার সাথে সাথে সোমালিদের চোখ পড়ে মূল কনভয়ের সামনে থাকা ০৪টি পাকিস্তানি ট্যাংকের ওপর! তুমুল RPG-7 ও স্মল আর্মসের গুলির শিকার হয়ে পাকিস্তানি সেনারা তখন ট্যাংকের ১০৫ মিলিমিটার গান ফায়ার করতে শুরু করে। কিন্তু, তুমুল গুলিবর্ষণ বন্ধ হওয়ার কোনো লক্ষণ দেখা যাচ্ছিল না। মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা Lieutenant Colonel Bill David এর আদেশে তারা তবুও সামনে এগিয়ে চলছিল। কিন্তু, মূল সংঘর্ষের স্থান, মোগাদিশুর অলিম্পিক হোটেলের ওখানে পৌঁছে কনভয় পুনরায় ভয়াবহ ফায়ারিংয়ের মুখে পড়লে জাতিসংঘের সেনারা হতাহতের শিকার হতে শুরু করে। মালয়েশিয়ান আর্মি তখন মার্কিনীদের জানায় যে, তারা আর সামনে অগ্রসর হতে সক্ষম না। মার্কিন পদাতিক সেনাদের দল তখন কনভয় ছেড়ে দেয় সোমালি গেরিলাদের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে অবতীর্ণ হয়।

                  জেনারেল মুহাম্মাদ ফারাহ হাসান আঈদিদ তার ব্যাটলস্পেস কমাণ্ডার, কর্নেল শরিফ হাসান জামালিকে আদেশ করেছিলেন যে - "একটি মার্কিন সেনাও যেন শহর ছেড়ে জীবিত বেরিয়ে যেতে না পারে!"

                  কিন্তু, পাকিস্তানি ও মালয়েশিয়ান সেনাদের সহায়তা নিয়ে নতুনভাবে ফিরে আসা আমেরিকানদের Air Support ও সাঁজোয়া বহরের তাণ্ডবে সোমালিদের মৃত্যু প্রতিমূহুর্তে বাড়তে শুরু করলে তিনি মার্কিনীদের বেরিয়ে যাওয়ার পথ করে দেওয়ার জন্য তার অফিসারদের কাছে নতুন নির্দেশনা পাঠান। সুতরাং, সমস্ত মার্কিনীদের উদ্ধার করে জাতিসংঘের সেনারা ক্র্যাশ সাইট হতে বেরিয়ে আসতে লাগলে আচমকা দেখা যায় যে, বেশ কিছু রেঞ্জার ও Delta Force অপারেটরদের জন্য সেখানে কোনো জায়গা বাকি নাই। তখন হত-বিহ্বল মার্কিন কমাণ্ডোরা মোগাদিশুর পথ দিয়ে দৌড়াতে আরম্ভ করলে সোমালি গেরিলারা তাদের দেখামাত্র RPG-7 ও স্মল আর্মস নিয়ে ধাওয়া করতে শুরু করে। তখন কনভয়ের কয়েকটি যান পুনরায় হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে পালিয়ে মোগাদিশু স্টেডিয়ামে ঢুকে যায়। পেছনে তখন বিচ্ছিন্ন অবস্থায় একলা দৌড়ে আসতে বাধ্য হয় মার্কিন কমাণ্ডোদের আলোচ্য ফর্মেশনটি। শহর হতে বেরিয়ে আসার সময়ে পাকিস্তান আর্মির ট্যাংক ও মার্কিন হেলিকপ্টার তখন নির্বিচার ফায়ারিং করতে থাকে। পাকিস্তানি সেনারা সেখানে শহরের বিভিন্ন ভবন হতে গুলির শিকার হওয়ামাত্র ওদের ১০৫ মিলিমিটার গান সেদিকে নিশানা করে ফায়ার করে যাচ্ছিল। ১০ মিনিট ওভাবে চলার পর কনভয় পাকিস্তান আর্মির ঘাঁটিতে পৌঁছাতে সমর্থ হয়। যেখানে তাঁদের বিশ্রাম ও চিকিৎসার বন্দোবস্ত করে পাকিস্তান আর্মি।

                  পরবর্তীতে Central Intelligence Agency (CIA) এর কিছু রিপোর্ট হতে আমরা জানতে পারি যে, মোগাদিশু শহরে সেদিন সোমালি গেরিলাদের মাঝে Military Adviser হিসাবে United Nations Designated Terrorist Organization Al Qaeda এর সিনিয়র অপারেটিভদের দল উপস্থিত ছিল। যাদের মাঝে আবু মুহাম্মাদ আল-মাসরি, আব্দুল আজিজ আল মুক্বরিন, আবুল হাসান আস-সাঈদি, ইঊসুফ আল আয়ারি, আবু তালহা আস-সুদানি, ফজল আব্দুল্লাহ মুহাম্মাদ, আবু যিয়াদ আল-ইরাক্বি, জাকারিয়া আত-তিঊনিসি ও সাঈফ আল আ'দলের নাম মুজাহিদদের এবং Intelligence Organization গুলোর নিজস্ব রিপোর্ট হতে পাওয়া যায়। এটি ছিল মার্কিন সামরিক বাহিনী ও ওদের স্বার্থের সাথে আলোচ্য সংগঠনটির সর্বপ্রথম বড় আকারের মুখোমুখি সংঘাত। যা পরবর্তীতে আরো বিস্তীর্ণ ও ভয়ানক আকার নিতে শুরু করে। উপরোক্ত অপারেটিভরা সকলে পরবর্তী সময়ে সংগঠনটির সর্বোচ্চ পর্যায়ে তৎপরতা পরিচালনা করেছে। সোমালিয়াতে তারা যে বাহিনীর ভিত্তি গড়ে দিয়ে যায়, সেটিও বর্তমানে সেখানে অত্যন্ত শক্তিধর ও প্রভাবশালী হিসাবে পরিণত হয়েছে।

                  ফলে, Day of The Rangers আমাদের পৃথিবীর ইতিহাসে একটি নীরব কিন্তু অতীব গুরুত্বের অধিকারী দিবস হিসাবে চিহ্নিত হয়ে থাকছে। যেদিন একবিংশ শতাব্দীর গতিপথ গড়ে দিতে অবদান রাখা দু'টি শক্তি প্রথমবারের মতো তাদের পরস্পর মুখোমুখি অবস্থান নিয়েছিল।​

                  সোশাল মিডিয়া থেকে সংগৃহীত
                  বছর ফুরিয়ে যাবে এতো রিসোর্স আছে https://gazwah.net সাইটে

                  Comment

                  Working...
                  X