Tweet
জুলুম,ফিতনা দূরের জন্য জিহাদ
- আমীর শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদক: মুহাম্মাদ আজলান
আমরা জুলুম, ফিতনা এবং ফাসাদ দূর করতে চাই। আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। এবং আল্লাহ ﷻ, আমাদের রবকে সন্তুষ্ট করতে বেরিয়েছি। আল্লাহর সন্তুষ্টি মুসলিমদের সাথে সৎ উদ্দেশ্যের সাথে শর্তযুক্ত। তাই বলা যায়, আমাদের উদ্দেশ্য হলো মুসলিম জনগণের হেদায়েত, তাদের সুরক্ষা এবং তাদের প্রতি সৎ উদ্দেশ্য পোষণ করা।- আমীর শাইখ উসামা মাহমুদ হাফিজাহুল্লাহ
অনুবাদক: মুহাম্মাদ আজলান
বাস্তবতা হলো, আজ এই পৃথিবীতে জুলুম, ফিতনা এবং ফাসাদ যে আস্তানা গেড়েছে, তার সমাপ্তি আল্লাহﷻ জিহাদের মাধ্যমে রেখেছেন। জিহাদ হলে তা নিয়ন্ত্রণে আসবে, নির্মূল হবে। আর যদি জিহাদ না হয়, তাহলে তা ক্রমশ বৃদ্ধি পাবে এবং ধ্বংস ও বিনাশ ঘটবে।
আল্লাহ রব্বুল আলামিনের নির্দেশ হলো— বাদ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম— যদি আল্লাহ কিছু মানুষকে অন্যদের দ্বারা প্রতিরোধ না করতেন, তাহলে পৃথিবীতে ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ত। ইমাম ইবনে আবি হাতিম রহিমাহুল্লাহ বলেন, যদি ক্বিতাল এবং জিহাদ না হতো, তাহলে পৃথিবীতে ফাসাদ ছড়িয়ে পড়ত। এই ফিতনা ও ফাসাদের প্রতিকার, জুলুম ও অত্যাচারের এই অন্ধকারের চিকিৎসা আল্লাহ জিহাদ এবং ক্বিতালের মাধ্যমে রেখেছেন, যা শরিয়তের বিধান অনুযায়ী হতে হবে।
মুসলিমদের প্রতি সৎ উদ্দেশ্য এবং তাদের হেদায়েত কামনার দাবি সত্য হতে পারে না যতক্ষণ না তলোয়ার হাতে নিয়ে জালিমদের মুখোমুখি হওয়া যায়, তাদের শক্তি ভাঙা না হয়, যারা আল্লাহর দ্বীন ও তাঁর বান্দাদের মাঝে বাধা সৃষ্টি করে, আল্লাহর সৃষ্টিকে তাদের দাস বানিয়েছে, এবং আল্লাহর বিরুদ্ধে বিদ্রোহী। আজ এই জালিমদের কারণে মানবতা পথভ্রষ্ট হচ্ছে, ধ্বংস ও বিনাশের কিনারায় পৌঁছেছে।
তাই আল্লাহ এমন অহংকারী জালিমদের মোকাবেলায় শুধু দাওয়াত বা অনুনয়-বিনয়ের পথ বলেননি, আল্লাহ কিতাবের সাথে তলোয়ারও পাঠিয়েছেন। দাওয়াতের সাথে ক্বিতালকেও ফরয করেছেন। আল্লাহর নির্দেশ— বাদ আউজুবিল্লাহি মিনাশ শায়তানির রাজিম— “ফাকাতিল ফি সাবিলিল্লাহ”— আল্লাহর পথে লড়াই করুন। “লা তুকাল্লাফু ইল্লা নাফসাক”— যদি অন্য কেউ লড়ে বা না লড়ে, আপনি নিজের জন্য দায়ী। “ওয়া হাররিদিল মু’মিনিন”— মুমিনদের এই যুদ্ধের জন্য উৎসাহিত করুন, তাদের এই জিহাদের দিকে দাওয়াত দিন। আল্লাহ তা’আলা কুফরের শক্তি ভেঙে দেবেন।
এই জুলুম, অত্যাচার এবং কুফরের ব্যবস্থার শক্তি, প্রভাব, রাজত্ব ও শৌর্য আল্লাহ তা’আলা ভেঙে দেবেন। আল্লাহ তা’আলা কঠোর শক্তিশালী, কঠোর প্রতিশোধ গ্রহণকারী।
তাই আমরা জুলুম, ফিতনা এবং ফাসাদ দূর করতে চাই। আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠিত করতে চাই। মুসলিম জনগণের হেদায়েত, সুরক্ষা এবং সৎ উদ্দেশ্য চাই। এই উদ্দেশ্য অর্জনের শরিয়তের পথ, যা আল্লাহ রব্বুল আলামিন নির্ধারণ করেছেন, তা হলো দাওয়াত এবং জিহাদ, অথবা দাওয়াত এবং যুদ্ধ। এই দুটি একে অপরের জন্য অপরিহার্য। এটাই আমাদের পন্থা। এই পন্থায় আমরা আমাদের উম্মাহকে ডাকি। এর মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ মজলুমদের সাহায্য হবে, বঞ্চিতদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া হবে।
এর মাধ্যমে নিপীড়িত, পীড়িত ও মজলুম জনগণের জন্য দুনিয়া ও আখিরাতের সাফল্যের পথ আল্লাহ রব্বুল আলামিন ইনশাআল্লাহ খুলে দেবেন। এই দাওয়াত ও যুদ্ধের পথই উপমহাদেশের জুলুম, ফিতনা এবং ফাসাদের অন্ধকার রাতকে ন্যায়, শান্তি এবং বরকতময় একটি মঙ্গলময় সকালে পরিবর্তনের কারণ হবে ইনশাআল্লাহ।
ভিডিও লিঙ্ক:
