Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভিডিও || জায়োনিস্ট বাহিনীর ভীত কাঁপিয়ে দেওয়া আল-কাসসাম ব্রিগেডের দুর্দান্ত অ্যাম্বুশ

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভিডিও || জায়োনিস্ট বাহিনীর ভীত কাঁপিয়ে দেওয়া আল-কাসসাম ব্রিগেডের দুর্দান্ত অ্যাম্বুশ

    ভিডিও || জায়োনিস্ট বাহিনীর ভীত কাঁপিয়ে দেওয়া আল-কাসসাম ব্রিগেডের দুর্দান্ত অ্যাম্বুশ




    ফিলিস্তিন ভিত্তিক সশস্ত্র ইসলামি প্রতিরোধ বাহিনী আল-কাসসাম ব্রিগেড সম্প্রতি প্রায় ৫ মিনিটের একটি ভিডিও প্রকাশ করেছে। এতে গত ৭ জুলাই (সোমবার) তারিখে উত্তর গাজার বেইত হানুনের কৃষি এলাকায় জায়োনিস্ট সৈন্যদের লক্ষ্য করে চালানো মুজাহিদদের দুর্দান্ত অ্যামবুশের দৃশ্যগুলো দেখানো হয়। জায়োনিস্ট বাহিনী তখন এই অভিযানে তাদের ৫ সৈন্য নিহত এবং ২০ সৈন্য আহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছিল।

    ভিডিওটিতে মূল অ্যাম্বুশের দৃশ্য দেখানোর আগে, ঐদিন গাজার বেইত হানুন এলাকায় জায়োনিস্ট বাহিনীর “সাহ ইয়েহুদা” ব্যাটালিয়নকে লক্ষ্য করে মুজাহিদদের পরিচালিত অন্য কয়েকটি সাহসী অ্যাম্বুশ, স্নাইপার অপারেশন ও শত্রু বাহিনীকে লক্ষ্য করে মুজাহিদদের নিক্ষিপ্ত শেলগুলোর সংক্ষিপ্ত একটি লাইভ ফুটেজের জলক উপস্থাপন করা হয়।

    এসময় একজন উপস্থাপকের দৃঢ় আর সাহসী কন্ঠে কাব্যিক ভাষায় উচ্চারিত হয়, “হে আকাশ! বর্ষণ কর, হে সমুদ্র! সমারোহে উত্থিত হও, হে পর্বতমালা! দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়ে থাকো, হে পৃথিবী! নিজেকে প্রসারিত করো আর হে যুগের বীর মুজাহিদিনরা… আপনারা তো তাঁরা, যারা দখলদার সৈন্যদের মুখে আঘাত করার দৃঢ় সংকল্প করেছেন। আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ”

    এই বক্তব্য আর দৃশগুলো দেখানোর পর ভিডিওটির ৪৫ সেকেন্ড থেকে অ্যামবুশের অবস্থান চিহ্নিত করে দেখানো হয়। এতে ইরেজ ক্রসিংয়ের কাছে বেইত হানুনের উত্তরে কৃষি এলাকাকে চিহ্নিত করা হয়, যখন মুজাহিদিনরা উক্ত এলাকায় অ্যাম্বুশের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তখন সময় ছিলো গত ৬ জুলাই (সোমবার) তারিখ, রাত ৯:৩০ মিনিট। অর্থাৎ মুজাহিদিনরা শত্রু বাহিনীর উপর অ্যাম্বুশ করার ১২ ঘন্টা আগেই আক্রমণের জন্য এলাকাটি প্রস্তুত করেছিলেন। মুজাহিদদের এই অ্যামবুশের লক্ষ্যবস্তু ছিলো জায়োনিস্ট বাহিনীর কেফির ব্রিগেডের অন্তর্গত “সাহ ইয়েহুদা” ব্যাটালিয়ন। এই আক্রমণের ফলে (শত্রুদের স্বীকারোক্তি অনুসারে) ৫ সৈন্য নিহত এবং ২০ সৈন্য বিভিন্ন আঘাতের শিকার হয়।

    আক্রমণের জন্য এলাকা প্রস্তুতের পর, গত ৭ জুলাই (সোমবার) তারিখ সকালে,‌ মুজাহিদদের নজরদারি ক্যামেরায় ধরে পড়ে জায়োনিস্ট বাহিনীর একটি দল। এই দলটি ধীরে ধীরে মুজাহিদদের প্রস্তুত করা ফাঁদের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। জায়োনিস্ট বাহিনীর প্রথম দলটি লক্ষ্যবস্তু স্থানে পৌঁছার পর ভারী বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে, বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই জটিল ছিলো যে, আক্রমণের স্থান থেকে কিছুটা দূরে থাকা মুজাহিদদের গোপন নজরদারি ক্যামেরাটিও ধ্বংস হয়ে যায়। ফলশ্রুতিতে বহু সংখ্যক জায়োনিস্ট সৈন্য হতাহত হয়।

    এরপর মুজাহিদিনরা শত্রুর ক্যামেরা থেকে এই বিস্ফোরণের পরবর্তী কিছু দৃশ্য হস্তগত করতে সক্ষম হন। আটককৃত এসব দৃশ্যে দেখা যায়, বিস্ফোরণের পর শত্রু সৈন্যরা চিৎকার করছে, কোনো কোনো সৈন্য পরে হতাহত সৈন্যদের নিকটে আসতে ভয় পাচ্ছে। এর কিছু সময় পর মুজাহিদদের হামলার লক্ষ্যবস্তু জায়োনিস্ট বাহিনীকে উদ্ধার করতে ঘটনাস্থলের দিকে উদ্ধারকারী একটি বাহিনী সামনে অগ্রসর হতে শুরু করে, তাদের পিছু পিছু অন্য জায়োনিস্ট সৈন্যরাও ঘটনাস্থলে জড়ো হয়।

    জায়োনিস্ট বাহিনীর এই দলটি ঘটনাস্থলে জড়ো হওয়ার পর, মুজাহিদদের স্থাপন করা দ্বিতীয় শক্তিশালী বিস্ফোরক ডিভাইসটি বিস্ফোরিত হয়। এবার শত্রু বাহিনীতে আরও বেশি আতংক ছড়িয়ে পড়ে এবং হতাহত সৈন্যদের চিৎকারের শব্দ শোনা যেতে থাকে। শত্রু বাহিনীর ক্যামেরা থেকে জব্দকৃত দৃশ্যগুলো থেকে দেখা যায় বিস্ফোরণের ফলে নিহত ও আহত সৈন্যদের সরিয়ে নেওয়ার মুহূর্ত।

    এই দৃশ্যগুলো প্রকাশ করার পর, গত ২৮ আগস্ট একটি ফটো কার্ডে আল-কাসসাম ব্রিগেড উল্লেখ করে যে, “গাজা এবং এর জনগণ, আর তাদের বীর মুজাহিদিনরা হচ্ছেন মানবতার শেষ দুর্গ। তারা হলেন প্রতিরক্ষামূলক প্রাচীর, যা ইহুদিবাদী সন্ত্রাসী গণহত্যাকারী সত্তাকে ফিলিস্তিন এবং পশ্চিম এশিয়ার বাইরে তার হুমকি সম্প্রসারণ করে সমগ্র বিশ্বকে বিপন্ন করতে বাধা দিয়ে যাচ্ছে।

    ভিডিও দেখুন…

    - https://x.com/AJArabic/status/1960360357576184178
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ কুফরি নিপাত যাক ইনশাআল্লাহ

    Comment

    Working...
    X