আল্লাহ ‘আযযা ওয়া জাল বলেন -
'নিশ্চয়ই আমি আমার রাসূলদেরকে সুস্পষ্ট প্রমাণসহ প্রেরণ করেছি এবং তাদের সাথে অবতীর্ণ করেছি কিতাব ও তুলাদন্ড, যাতে মানুষ সুবিচার প্রতিষ্ঠা করে। আর আমি নাযিল করেছি লৌহ, যাতে রছে প্রচন্ড রণশক্তি এবং মানুষের জন্য বহুবিধ কল্যাণ। এটা এই জন্যে যে, আল্লাহ প্রকাশ করে দিবেন কে না দেখে তাঁকে ও তাঁর রাসূলগণকে সাহায্য করে। আল্লাহ মহাশক্তিময়, মহাপরাক্রমশালী।( সূরা হাদীদ, আয়াত: ২৫)
.
জাবির বিন আব্দুল্লাহ (রাদিয়াল্লাহু আনহু) এক হাতে একটি তরবারি ও অপর হাতে একটি কোরআন নিয়ে বলেছিলেন -
“রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে আদেশ করেছেন এটা দিয়ে আঘাত করতে (তিনি তাঁর হাতের তরবারির দিকে নির্দেশ করলেন), যে কেউই এটার থেকে বিচ্যুত হয়ে যায় (তিনি তাঁর হাতের কোরআনের দিকে নির্দেশ করলেন)।” মুসনাদে আহমদ
.
এই দ্বীনের মূল ভিত্তি হচ্ছে একটি পথপ্রদর্শনকারী কিতাবও তার পক্ষাবলম্বনকারী একটি তরবারি। আর তাই যখনই উম্মাহ এদুটি থেকে একটিকে ত্যাগ করা হয় তখনই উম্মাহ সিরাতুল মুস্তাক্বীম থেকে বিচ্যুত হয়ে পড়ে।
যখন তরবারিকে ছেড়ে দেওয়া হয় তখন তা উম্মাহর জন্য নিয়ে আসে লাঞ্ছনা ও অপমান। যা আজ আমরা দেখছি। অন্যদিকে কিতাবুল্লাহ ও ‘ইলমকে ছেড়ে খেয়লাখুশির অনুসরণ মানুষকে নিয়ে যায় ইরজা (শীতিলতা)কিংবা গুলুহ (চরমপন্থার) যা উদাহরনও আজ বিদ্যমান।
.
আজকে আমরা দেখি জিহাদবিমুখ ও জিহাদবিরোধী ব্যক্তিরা, যারা মুজাহিদিনকে উগ্র, খারিজি কিংবা অর্বাচীন সাব্যস্ত করে চায়, তারা বলে যারা ময়দানে অবস্থান করে তাদের মাঝে আলিম নেই। এ জিহাদ আলিম শূন্য।
একথা সত্য উম্মাহর সর্বাধিক প্রয়োজনের সময় খুব অল্প সংখ্যক আলিমই দুর্গম, বন্ধুর পথ পাড়ি দেবার সিদ্ধান্ত নিয়ে উম্মাহকে সঠিক পথের নির্দেশন দিতে এগিয়ে আসেন। একথা সত্য ছিল সালাউদ্দীনের সময়, এবং সত্য আমাদের এ সময়েও। কিন্তু তার অর্থ এই না মুসলিম নারীদের গর্ভ আহমাদ বিন হানবাল, আবু হানিফা, ইবন তাইয়মিয়্যাহর উত্তরসুরীদের জন্ম দিতে সম্পূর্ণ ভাবে ভুলে গেছে।
.
ইসলামের ইতিহাস রচিত হয়েছে দুটি রঙ দ্বারা। শহীদের লাল রক্ত আর আলিমের কালিতে। কিন্তু আধুনিক সময়ের এ জিহাদে অংশগ্রহন করেছেন যেসব আলিমগণ তারা শুধু তাদের কলমের কালির মাধ্যমে না বরং তাদের শরীরের রক্ত দিয়েও এ জিহাদ সঠিক পথের নির্দেশনা দিয়েছেন।
তারা বসে থাকাদের সাথে বসে না থেকে, দুনিয়া, দুনিয়ার খ্যাতি, সম্মান আর আরামের জীবন বেছে না নিয়ে বেছে নিয়েছেন জিহাদের ময়দান। শাহাদাতের অন্বেষণে, রাব্বুলালামিনের সন্তুষ্টির খোজে।
.
বছরের পর বছর তারা ছুটে বেড়িয়েছেন জিহাদের বিভিন্ন ময়দানে। মুজাহিদিনের মাঝে ‘ইলম শিক্ষা দিয়েহেন এবং যুদ্ধ করেছেন সামনের সারিতে। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী জিহাদ আন্দোলনের যে সম্প্রসারন আমরা দেখতে পাচ্ছি, উম্মাহর যুবকদের মধ্যে যে জাগরন আমরা দেখতে পাচ্ছি তারা পেছনে অবদান আছে এই আলিমদের কালির এবং রক্তের। আল্লাহ তার এই বান্দাদের কবুল করুন, নিশ্চয় সাফল্য শুধুমাত্র আল্লাহর পক্ষ থেকেই।
.
আসুন পরিচয় করিয়ে দেই এসব মহীরুহদের সাথে। পরিচয় করিয়ে দেই তাদের সাথে যারা পথপ্রদর্শনকারী কিতাবও তার পক্ষাবলম্বনকারী তরবারির কোনটিকেই ত্যাগ করেন নি, এবং যারা উম্মাহকে দেখিয়েছেন সম্মান, মর্যাদা ও জিহাদের পথ।
আসুন আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেই শারিয়াহ’র প্রহরীদের সাথে।
ডাউনলোড করুন -
Comment