আস সালামু আলাইকুম।
★★★তিতুমীর মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।★★★
কিছুদিন আগে গাড়িতে **** থেকে **** যাচ্ছিলাম। বাংলাদেশে একটা খেলা চলছিলো তখন। কি খেলা ঠিক জানা নাই। আমার পিছনের সিটে কলেজ পড়ুয়া দু'ই ছাত্র খেলার খবর জানার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করছিলো। কিন্ত তাদের কাছে খেলার খবর শোনার জন্য কোনো ফোন ছিলো না। তাদের একজন ছিলো দাড়িওয়া। আমার পাশের সিটে একজন ভদ্র লোক হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনছিলো।
পিছন থেকে দাড়ি ওয়ালা লোকটি আমার পাশের সিটের লোককে দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো "ভাই রান কতো? রান কতো?"
আমার পাশের সিটের লোক বললো "ভাই আমি খেলার খবর শুনতেছি না।" এ কথা বলে সে কান থেকে হেডফোন খুলে রেখে দিলো।
আমার খুব কষ্ট লাগলো যে আজকে কাশ্মীরে মাসের পর মাস নিরীহ নির্যাতিত মুসলিমদেরকে ইন্ডিয়ান মালাউনরা হত্যা করছে। অথচ আমরা মুসলিমগণ আজ খেলার খবর নিয়ে ব্যাস্ত।
আজ অক্টোবর ৭ ইং, সন্ধ্যার পরে **** বাসায় ফিরছিলাম টেম্পুতে করে। আমার সামনেই বাস দু'জন লোক এন্ড্রয়েড ফোনে লাইভ খেলা দেখতেছিলো এবং তাদের মুখে খুব হাসি। তারা খুব আনন্দে ব্যস্ত। পাশে আরো দু'ই তিনজন বার বার তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেছে ভাই কত রান হলো? আউট কে হলো? তখন তারা বার বার উত্তর দিচ্ছিলো। অমুক আউট হয়েছে। আজকে খেলায় জিতা খুব জরুরী।
আমি সামনের সিটে বসে বসেই তাদের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম। ভাই খেলা কি বিপিএল খেলা হচ্ছে? তখন তারা আমার মুখের দিকে এমনভাবে তাকালো মনেহয় যেনো তারা আকাশ থেকে পড়লো। তখন একজন আমাকে বললো, "ভাই আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন?" তখন আমি উত্তর দিলাম, "হ্যা আমি বাংলাদেশেই থাকি"। আমার পাশেই একজন মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্র ছিলো, সে বললো, "সবার কি খেলার খবর রাখার দরকার আছে কোনো?
তখন আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসা করলাম, "ভাই আপনাদের নিকট কি কাশ্মীরের খবর আছে?" তখন একজন বলে উঠল, "ভাই আমি তো কাশ্মীরে থাকি না।"
তখন আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললাম, "আফসোস, আজ ৯১/৯১ দিন ধরে কাশ্মীরে অবরোধের কারণে কোনো খাবার যাচ্ছে না তাদের কাছে। জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এখবর আমাদের কারো কাছেই নাই। আমরা ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। আজেক আলেপ্পোতে গনহত্যা চলছে, প্রতিদিন বিমান থেকে বোমা ফেলে মুসলিমদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ এই খবর আমাদের কাছে নেই। এরাও তো আমাদের মুসলিম ভাই-বোন।"
তখন কেউ কেউ আমার কথার সাথে কিছু সুর মেলানো চেষ্টা করলো। কিন্ত তারা কিছুই জানে না। তাই তারা কিছু ঠিক মতো বলতেও পারছিলো না।
একজন বললো, আলেপ্পোতো ইন্ডার মধ্যে, নাকি?
তখন আমি বললাম, "না ভাই, সিরিয়ার আলেপ্পো"
★এই ঘটনা গুলি বর্ণনা করার কারণ★
এই মূহুর্তে দরকার, শায়খ তামিম আল আদনানীর কন্ঠে, সুন্দর একটি ভিডিও যা মুসলিমদের তরুনদের অন্তরের অন্তস্থলে স্পর্শ করবে। যা হবে মুসলিম যুবকদের আনন্দ বেদনার বিষয় বস্ত কি হওয়া উচিত ছিলো আর কি হয়েছে বর্তমানে। কোন বিষয়ে তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত ছিলো। আর কোন বিষয়ে তাদের দু:খ ভারাক্রান্ত হওয়া উচিত ছিলো। এটাই মুসলিম যুবকদের সামনে আরো একবার তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।
★মিডিয়ার সকল ভাই ও ফোরামের সকল সদস্য ভাইদের উদ্দেশ্য আমার কিছু কথা★
ভাইয়েরা আমার! আমরা তো আল্লাহর জন্যই কাজ করছি। আমরা তো এই আম জনতাকে জাগানোর জন্যই কাজ করছি। তাই আমাদের অগ্রীম কাজ করা দরকার।
যেমন যখন খেলা শুরু হবে, খেলা শুরু হওয়ার আগেই কি ধরণের অডিও, ভিডিও, ইত্যাদি জনগনের সামনে তুলে ধরা দরকার এগুলো আগেই তৈরী করা।
কয়েকদিন আগে সিলেটের ছাত্রী খাদিজা আওয়ামিলীগদের ক্যডারদের সাথে নৃশংস ভাবে জখম হয়েছে, যে এখন আইসিউওতে ভর্তি, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আমাদের উচিত ছিলো যেদিন এই ঘটনা ঘটে ঐ দিন অথবা তার পরের দিন আবেগময় কিছু নৃশংস ঘটনা একত্রিত করে সুন্দর একটি ভিডিও তৈরী করা প্রয়োজন ছিলো। কিন্ত এতোদিন হয়ে গেলো এখনো পর্যন্ত মিডিয়ায় এরকম ধরনের কোনো ভিডিও চোখে পড়েনি।
★তাই সকল মিডিয়ার ভাইদেরেকে আমার আহবান: ★
ভাইয়ের যখন যে ঘটনা ঘটে তখন ঐ সকল বিষয়ে আলোচনা অডিও ভিডিও, ইত্যাদি যদি দ্রুত প্রকাশ করা হয় তবে এটা জনগনের মাঝে খুব বড় প্রভাব ফেলবে ইনশা-আল্লাহ। যেখান থেকে এই তাগুতগোষ্ঠীকে অনেকেই ঘৃণা করা শুরু করবে, আর মুসলিম মুজাহিদদেরকে ভালোবাসতে শুরু করবে ইনশা-আল্লাহ।
ভাই কথাগুলো গুছিয়ে বলতে পারি নি। হয়তো আমার কথায় ভুল ও থাকতে পারে। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
★★★তিতুমীর মিডিয়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।★★★
কিছুদিন আগে গাড়িতে **** থেকে **** যাচ্ছিলাম। বাংলাদেশে একটা খেলা চলছিলো তখন। কি খেলা ঠিক জানা নাই। আমার পিছনের সিটে কলেজ পড়ুয়া দু'ই ছাত্র খেলার খবর জানার জন্য খুব তাড়াহুড়ো করছিলো। কিন্ত তাদের কাছে খেলার খবর শোনার জন্য কোনো ফোন ছিলো না। তাদের একজন ছিলো দাড়িওয়া। আমার পাশের সিটে একজন ভদ্র লোক হেডফোন কানে লাগিয়ে গান শুনছিলো।
পিছন থেকে দাড়ি ওয়ালা লোকটি আমার পাশের সিটের লোককে দাড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো "ভাই রান কতো? রান কতো?"
আমার পাশের সিটের লোক বললো "ভাই আমি খেলার খবর শুনতেছি না।" এ কথা বলে সে কান থেকে হেডফোন খুলে রেখে দিলো।
আমার খুব কষ্ট লাগলো যে আজকে কাশ্মীরে মাসের পর মাস নিরীহ নির্যাতিত মুসলিমদেরকে ইন্ডিয়ান মালাউনরা হত্যা করছে। অথচ আমরা মুসলিমগণ আজ খেলার খবর নিয়ে ব্যাস্ত।
আজ অক্টোবর ৭ ইং, সন্ধ্যার পরে **** বাসায় ফিরছিলাম টেম্পুতে করে। আমার সামনেই বাস দু'জন লোক এন্ড্রয়েড ফোনে লাইভ খেলা দেখতেছিলো এবং তাদের মুখে খুব হাসি। তারা খুব আনন্দে ব্যস্ত। পাশে আরো দু'ই তিনজন বার বার তাদেরকে জিজ্ঞাসা করতেছে ভাই কত রান হলো? আউট কে হলো? তখন তারা বার বার উত্তর দিচ্ছিলো। অমুক আউট হয়েছে। আজকে খেলায় জিতা খুব জরুরী।
আমি সামনের সিটে বসে বসেই তাদের দিকে তাকাচ্ছিলাম। আমি একজনকে জিজ্ঞাসা করলাম। ভাই খেলা কি বিপিএল খেলা হচ্ছে? তখন তারা আমার মুখের দিকে এমনভাবে তাকালো মনেহয় যেনো তারা আকাশ থেকে পড়লো। তখন একজন আমাকে বললো, "ভাই আপনি কি বাংলাদেশে থাকেন?" তখন আমি উত্তর দিলাম, "হ্যা আমি বাংলাদেশেই থাকি"। আমার পাশেই একজন মাদরাসায় পড়ুয়া ছাত্র ছিলো, সে বললো, "সবার কি খেলার খবর রাখার দরকার আছে কোনো?
তখন আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে জিজ্ঞাসা করলাম, "ভাই আপনাদের নিকট কি কাশ্মীরের খবর আছে?" তখন একজন বলে উঠল, "ভাই আমি তো কাশ্মীরে থাকি না।"
তখন আমি তাদেরকে উদ্দেশ্য করে বললাম, "আফসোস, আজ ৯১/৯১ দিন ধরে কাশ্মীরে অবরোধের কারণে কোনো খাবার যাচ্ছে না তাদের কাছে। জিনিস পত্রের দাম হু হু করে বেড়ে যাচ্ছে। অথচ এখবর আমাদের কারো কাছেই নাই। আমরা ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যস্ত। আজেক আলেপ্পোতে গনহত্যা চলছে, প্রতিদিন বিমান থেকে বোমা ফেলে মুসলিমদের ঘর-বাড়ি ধ্বংস করে দিচ্ছে। অথচ এই খবর আমাদের কাছে নেই। এরাও তো আমাদের মুসলিম ভাই-বোন।"
তখন কেউ কেউ আমার কথার সাথে কিছু সুর মেলানো চেষ্টা করলো। কিন্ত তারা কিছুই জানে না। তাই তারা কিছু ঠিক মতো বলতেও পারছিলো না।
একজন বললো, আলেপ্পোতো ইন্ডার মধ্যে, নাকি?
তখন আমি বললাম, "না ভাই, সিরিয়ার আলেপ্পো"
★এই ঘটনা গুলি বর্ণনা করার কারণ★
এই মূহুর্তে দরকার, শায়খ তামিম আল আদনানীর কন্ঠে, সুন্দর একটি ভিডিও যা মুসলিমদের তরুনদের অন্তরের অন্তস্থলে স্পর্শ করবে। যা হবে মুসলিম যুবকদের আনন্দ বেদনার বিষয় বস্ত কি হওয়া উচিত ছিলো আর কি হয়েছে বর্তমানে। কোন বিষয়ে তাদের আনন্দিত হওয়া উচিত ছিলো। আর কোন বিষয়ে তাদের দু:খ ভারাক্রান্ত হওয়া উচিত ছিলো। এটাই মুসলিম যুবকদের সামনে আরো একবার তুলে ধরার আহবান জানাচ্ছি।
★মিডিয়ার সকল ভাই ও ফোরামের সকল সদস্য ভাইদের উদ্দেশ্য আমার কিছু কথা★
ভাইয়েরা আমার! আমরা তো আল্লাহর জন্যই কাজ করছি। আমরা তো এই আম জনতাকে জাগানোর জন্যই কাজ করছি। তাই আমাদের অগ্রীম কাজ করা দরকার।
যেমন যখন খেলা শুরু হবে, খেলা শুরু হওয়ার আগেই কি ধরণের অডিও, ভিডিও, ইত্যাদি জনগনের সামনে তুলে ধরা দরকার এগুলো আগেই তৈরী করা।
কয়েকদিন আগে সিলেটের ছাত্রী খাদিজা আওয়ামিলীগদের ক্যডারদের সাথে নৃশংস ভাবে জখম হয়েছে, যে এখন আইসিউওতে ভর্তি, মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে।
আমাদের উচিত ছিলো যেদিন এই ঘটনা ঘটে ঐ দিন অথবা তার পরের দিন আবেগময় কিছু নৃশংস ঘটনা একত্রিত করে সুন্দর একটি ভিডিও তৈরী করা প্রয়োজন ছিলো। কিন্ত এতোদিন হয়ে গেলো এখনো পর্যন্ত মিডিয়ায় এরকম ধরনের কোনো ভিডিও চোখে পড়েনি।
★তাই সকল মিডিয়ার ভাইদেরেকে আমার আহবান: ★
ভাইয়ের যখন যে ঘটনা ঘটে তখন ঐ সকল বিষয়ে আলোচনা অডিও ভিডিও, ইত্যাদি যদি দ্রুত প্রকাশ করা হয় তবে এটা জনগনের মাঝে খুব বড় প্রভাব ফেলবে ইনশা-আল্লাহ। যেখান থেকে এই তাগুতগোষ্ঠীকে অনেকেই ঘৃণা করা শুরু করবে, আর মুসলিম মুজাহিদদেরকে ভালোবাসতে শুরু করবে ইনশা-আল্লাহ।
ভাই কথাগুলো গুছিয়ে বলতে পারি নি। হয়তো আমার কথায় ভুল ও থাকতে পারে। ভুলগুলো ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন।
Comment