চরমোনাইর পীর কর্তৃক এ যুগে জিহাদকে অসম্ভব বলা, গণতান্ত্রিক ভোট-নির্বাচনের কাজকে জিহাদ বলা,এসব কাজে অংশগ্রহণকারীকে মুজাহিদ আখ্যা দেয়া এবং শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি কর্তৃক শাতিমদের হত্যাকারী মুজাহিদদের পাকড়াও করার দাবি জানানোর প্রামাণ্য দলীল। (এটি একটি মেগাপোস্ট,তাই ধৈর্যের সাথে পড়ার অনুরোধ রইলো।)
চরমোনাইর পীর ফয়জুল করীম সাহেব তার একটি বয়ানে দ্ব্যার্থহীনভাবে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকে জিহাদ বলেছেন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণকারীদেরকে মুজাহিদ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে ৪:২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বেশকিছুদিন পূর্বে আমার হস্তগত হয়।
ভিডিওটির বক্তব্য ফয়জুল করীম সাহেবের তা নিশ্চিত হওয়ার পর সেটি গত ২১ তারিখে অনলাইনে পোস্ট দেই। পোস্ট দেয়ার পরদিন ভোরে পুরো ভিডিওটির লিংক পাই।
অতঃপর চরমোনাইয়ের সমর্থক কেউ কেউ ভিডিওটিকে কাটাছিড়া বলে মিথ্যারোপ করে !! অথচ ৪:২৩ মিনিটের ভিডিওটির মাঝখান থেকে ১ সেকেন্ড বাদও যায়নি এবং অন্য কোনোখান থেকে ১ সেকেন্ড এর মধ্যে ঢুকানোও হয়নি। তারা চরমোনাইর পীরের স্পষ্ট জিহাদ বিকৃতি দেখেও তা মেনে না নিয়ে উল্টো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় পুরো ভিডিওর বক্তব্যের আলোকে অকাট্য প্রমাণসহ তাদের জিহাদ বিকৃতিকে তুলে ধরা জরুরি মনে করছি।
**** ভিডিওটির শুরু থেকে ২৬ মিনিট পর্যন্ত আলিম,ফকীহদের আনুগত্যের প্রয়োজনীয়তা, শাইখ/পীরকে উলুল আমর হিসেবে অনুসরণের বিষয়, পীর-মুরিদীর বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান, চরমোনাইর পীরের তরীকার বিবরণ, চরমোনাইর মুরীদদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য, পীরের অনুসরণের সীমা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
২৬ মিনিট থেকে প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত জিহাদের সংজ্ঞা, জিহাদের প্রকার,জিহাদের স্বরুপ, জিহাদের প্রয়োজনীয়তা, বাংলাদেশের কুফুরী সংবিধানকে বাতিল করে ইসলামী হকুমত কায়েমের প্রয়োজনীয়তা এবং সকলকে চরমোনাই কর্তৃক পরিচালিত ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা তথা জিহাদে অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে।
শুরু থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য নিয়েও অনেক কথা আছে। পোস্টটি অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে বিধায় সেসব বিষয় বাদ দিচ্ছি।
৪০ মিনিটের দিক থেকে প্রায় ৪৯ মিনিট পর্যন্ত সশস্ত্র জিহাদ বর্তমানে অসম্ভব হওয়া,নির্বাচনকে কেনো জিহাদ মনে করে তার বর্ণনা এবং এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিবরণ।
৪৯ মিনিটের পর থেকে চরমোনাইর এই তরীকা ও কাজের উদ্দেশ্য এবং কিছু নাসীহাহ ইত্যাদি আলোচনা করলেন।
খেয়াল করবেন বিবর্তনটা কীভাবে হলো !!!! জিহাদের সংজ্ঞা দিলেন কুফফারদের সাথে লড়াইয়ের। অথচ আহবান জানালেন চরমোনাই কর্তৃক পরিচালিত আন্দোলন তথা ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য !!!!
কুফফারদের সাথে জিহাদ কোথায় গেলো ??????
১ ঘন্টা ১ মিনিটের পুরো ভিডিওর লিংক....... https://www.youtube.com/watch?v=Kh9jWIeQMkw
এবার মূল আলোচনায় আসি..........
*** চরমোনাইর মুরীদের সংজ্ঞাঃ
চরমোনাইর পীর বলেন,
//কিন্তু আমি যখনই বলি হ্যাঁ,ব্যাক্তি চরমোনাইর মুরীদ। যখনই আমরা বলবো চরমোনাইর মুরীদ, তখনই আমরা বুঝতে পারবো, শরীয়তের যতগুলি দিক আছে,সমস্ত দিক এই ব্যক্তি পালন করে বিধায়ই এই ব্যক্তিকে চরমোনাইর মুরীদ বলা হইছে।// (১৭:৩৫ মিনিট)
//ঠিক সেই ব্যক্তিকে বলা হবে যে চরমোনাইর তরীকায় আছে,মনে করতে হবে সে দাওয়াত নিয়া ব্যস্ত, তালীম নিয়া ব্যস্ত,তাযকিয়াহ নিয়া ব্যস্ত,জিহাদ নিয়া ব্যস্ত অবস্থায় আছে। বুঝতে হবে ! এক কথায় বুঝা যায় !// (১৮:৩২ মিনিট)
উপরে চরমোনাইর পীরের মুরীদদের পরিচয়/সংজ্ঞা শুনে তারা কোথায় জিহাদ করছে এই প্রশ্নটি আশা স্বাভাবিক ! তাদের জিহাদ জানতে পড়তে থাকুন..........
*** চরমোনাইর পীর কর্তৃক সশস্ত্র বিপ্লব (জিহাদ)কে এযুগে অসম্ভব বলা এবং তার কারণ বর্ণনাঃ
চরমোনাইর পীর বলেন....... (৪০ মিনিট ২৮ সেকেন্ড থেকে)
//“বর্তমান জমানায় যেহেতু তলোয়ারের যুদ্ধ,মুখামুখি যুদ্ধ এইটা এখন অনেকটা অসম্ভব হইয়া পড়ছে। সশস্ত্র বিপ্লব অসম্ভব হইয়া পড়ছে। যেহেতু ১৪শ বছর আগের অবস্থা, ৫শ বছর আগের অবস্থা,১শ বছর আগের অবস্থা এক না। বরং বর্তমান যমানায় আমি এইখানে কী বয়ান করতেছি, এমরিকা শুনতে আছে। আমি কী বয়ান করতেছি,যাইয়া দেখেন সিআইডি’রা ঢাকায় বইস্যা সমস্ত রেকর্ডটা শুনতে আছে,আমি কী বয়ান করতেছি। কী কথা ঠিক না ! এইখানে কত মানুষ আছে। তাদের কাছে সব কিছু মেমোরি আছে।
এই মুহূর্তে এই যমানায় কেই যদি মনে করেন আমরা সশস্ত্র বিপ্লব করবো,আমি বলবো,তুমি সশস্ত্র বিপ্লব করতে পারবানা তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো। তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো এইজন্য দেখেন নাই,যারাই সশস্ত্র বিপ্লব করতে চাইছে, একজনও বাঁচে নাই, বরং আমাদের দেশটাকে সন্ত্রাসীকে সৃষ্টি করে,তারা একজন জেলখানায় ভোগে,আর ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হইছে,দুর্নামগ্রস্ত হইছে।//
*** চরমোনাইর পীরের জিহাদ তাহলে কী ?
দেখুন..... (ভিডিওর ৪১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড থেকে)
//আমরা আগেই বলছি,আমরা দাওয়ায়ত নিয়া যাই মানুষের কাছে । আর মানুষ যদি ইসলাম নাই বুঝে,তাইলে ইসলামটা কায়েম করবো কী ! ইসলাম কায়েম করবো কী ! কী কথা ঠিক না ! এরজন্য আমরা চাই, আব্বাজান রহ. বলছেন, আমি নির্বাচন করি না,আমি জিহাদ করি (জনগণ-জি.....) ! আমি কী করি ?(জনগণ- জিহাদ....) আল্লাহর শোকর ! এর বাস্তব নমুনাও আছে। //
*** নির্বাচনকে জিহাদ বানানোর জন্য কী সেই বাস্তব নমুনা ???
নির্বাচনই যে তাদের জিহাদ তা প্রমাণের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা ও বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ মারা যাওয়া চরমোনাই পীরের মুরীদ জনাব তোফাজ্জল সাহেবের মৃত্যুর কয়েক মাস পর তার অক্ষত লাশ পাওয়ার ঘটনা বলেন(ঘটনার সত্য-মিথ্যা আল্লাহ ভালো জানেন) ।
চরমোনাইর আগের পীর সাহেব কর্তৃক মুরীদ জনাব তোফাজ্জল সাহেবের প্রতি নির্দেশ।
// যান মিয়া জেহাদের নিয়তে দাড়ায়া যান। // (৪১:৫২ মিঃ)
নির্বাচনী প্রচারণার সময় তোফাজ্জল হোসেন সাহেবের বক্তব্য............
//আমি নির্বাচন করতে আসি নাই। হুজুর বলছে,ইসলামের বাক্স নিয়া জিহাদের শরীক হইয়া যাও ! আমি জিহাদ করার জন্য আসছি।// (৪২:৪৮ মিঃ)
এবার বলুনতো তারা কাকে জিহাদ বলছে ??? কোথায় কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন তিনি ???
*** নির্বাচন নয় এটা হচ্ছে তাদের জিহাদ আর অংশগ্রহণকারীরা মুজাহিদ ?????
আওয়ামীলীগ-বিএনপির কুফুরী আহবানের সাথে তুলনা দিতে গিয়ে পীর সাহেব বলেন, (৪৩:৩৬ থেকে ৪৪:৪২ মিনিট )
// আমরা নির্বাচন করি না,আমরা জিহাদ করি। আমরা কী করি ? (জিহাদ....) এইটা নির্বাচন না,এইটা আমাদের জিহাদ। এই জিহাদে যারা অংশগ্রহণ করবে তারাই হলো মুজাহিদ। (ঠিক.........) এতে যারা খরচ করবেন,সময় দিবেন,সবকিছু করবেন, তাদের প্রত্যেকটা সময়,প্রত্যেকটা সেকেন্ড আল্লাহর দরবারে নেকের মধ্যে লেখা হইতে থাকবে ! মাছালুল মুজাহিদী ফী সাবীলিল্লাহ,কামাছালিছ ছয়িমিল ক্বায়িমিল ক্বনিত, লা-ইয়াফতুরু বি ছিয়ামাইহি ওয়ালা ছলাতিহী হাত্তা ইয়ারজি’আল মুজাহিদু ফী সাবীলিল্লাহ। মুজাহিদ যতক্ষণ আল্লাহর রাস্তায় থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সাওয়াব লেখা হইতে থাকবে।
এই মুজাহিদ কোন মুজাহিদ ? যারা আল্লাহর যমীনে আল্লাহর হুকুমত কায়েমের জন্য সাধনা করবে,তারাই হলো এই মুজাহিদের মধ্যে পড়বে। যারা অন্যকোনো কাজ করার জন্য নামবে তারা এই হাদীসের মেসদাকের মধ্যে পড়তে পারে না। এতো সহজ মনে করিয়েন না। কী কথা ঠিক না ?//
অর্থাৎ আওয়ামীলীগ-বিএনপি কাজ জিহাদ হবে না কারণ তারা কুফুরীর দিকে ডাকছে। কিন্তু চরমোনাইর কাজ হচ্ছে জিহাদ। কারণ তারা ইসলাম কায়েমের কথা বলছে !!!!!
কেউ যদি অন্ধ ও বধির না হয়,তাহলে সে যেনো উপরের অংশটুকু ভালোভাবে শোনে এবং পড়ে। এরপরেও যদি কেউ বলে চরমোনাইর পীর নির্বাচনকে জিহাদ বলেননি !! আশা কিয়ামতের দিন তার চোখ এবং কান এর সাক্ষী দিবে ইনশাআল্লাহ্* ।
*** কেনো চরমোনাই নির্বাচনকে জিহাদ বলে তার আরেকটি যুক্তি !!!
(৪৪:৪০ মিনিটে) ..........উজিরপুরে একজন হিন্দু চরমোনাইর মার্কা হাতপাখায় ভোট দেয় এবং সারাজীবন দিবে বলে ওয়াদা করেছে,এই ঘটনা বর্ণনা করার পর ফয়জুল করীম সাহেব বলেন...........
// এজন্য এটা আমরা জিহাদ মনে করি । কী কথা ঠিক না ? এই জিহাদে অংশগ্রহণ করায় সবাই রাজী আছেনতো ইনশাআল্লাহ্* ??? (জনগণ হাত তুলে দেখালো) আল্লায় কবুল করুন।// (৪৮:৪০ মিঃ)
চরমোনাইর পীরের নিজের মুখ থেকে এতোবার শোনার পর তারা নির্বাচন এবং এর সাথে যুক্ত কাজকে জিহাদ বলে আখ্যা দিয়েছে,এটার পক্ষে আর কিছু বলার প্রয়োজনবোধ করছি না।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়.............................................. ..................................
*** রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী শাতিমদেরকে হত্যার ব্যাপারে শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী(হুবহু এই বক্তব্যটি তাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও দেয়া হয়েছিলো)ঃ
চরমোনাইর ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি #শেখ_ফজলুল_করীম_মারুফ রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী শাতিম কুলাঙ্গার অনন্ত বিজয় দাসকে আল-কায়েদার মুজাহিদরা হত্যার পর ফেইসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো...............
//কলমের জবাব কলমে দেয়া উচিৎ“
এই চিরন্তন কথাটা সর্বত্রই উপেক্ষিত।
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি লেখা লিখি করতেন। তার লেখায় ধর্মের বিরুদ্ধে কথা ছিলো। সেই সাথে সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি লিখতেন। তার সর্বশেষ লেখাটিও সরকারের একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
যার বিরুদ্ধেই তিনি লিখুক তার জবাব হত্যা হতে পারেনা।
আমরা এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই।
সেই সাথে সরকারের কাছে আমরা দাবী জানাই,
দয়া করে এই হত্যাকান্ডের বিচার করুন। হত্যাকারী যেই হোক তাদের পাকড়াও করুন। কোন হত্যাকারী সরকারের চেয়েও শক্তিশালী এমনটা যেন না হয়।
দয়া করে দোষারোপের রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসুন।//
তার সেই পোস্টের লিংক..... https://www.facebook.com/fazlulkarim...73543166052780
তার মানে তারা..................
১। রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী নাস্তিক যারা হত্যারযোগ্য তাদেরকে হত্যার নিন্দা জানালেন।
২। আল-কায়েদার মুজাহিদদের পাকড়াও করার আবেদন জানালেন সরকারের কাছে।
৩। আল-কায়েদার মুজাহিদদের বিচার দাবী করলেন ত্বগুত সরকারের কাছে।
সুতরাং তাদের জিহাদ(!) আমরা আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পারলাম !!!!!!
আগেই বলেছি হুবহু এই বক্তব্যটি সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও দেয়া হয়েছিলো। আমার কাছে সেটির লিংকও ছিলো। বর্তমানে তাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ সম্ভবত বন্ধ আছে। সুতরাং এটি কোনোভাবেই ব্যক্তির কোনো মত নয়। তাছাড়া একটী দলের ২য় সর্বোচ্চ ব্যক্তির বক্তব্যকে কোনোভাবেই ব্যক্তিগত মত বলে চালানোর কোনো সুযোগ নেই।
এই কুলাঙ্গার শাতিম অনন্ত বিজয়কে হত্যার ব্যাপারে আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের অফিসিয়াল বার্তা(অফিসিয়াল টুইটার থেকে)..............
তার অপরাধের বিবরণ এবং আনসার আল-ইসলামের কৃতিত্ব স্বীকার..... https://justpaste.it/AnantaBijoy
**** রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী কুলাঙ্গার শাতিম ফয়সাল আরেফীন দীপনকে হত্যার পর শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর বক্তব্যঃ
কুলাঙ্গার প্রকাশক দীপন হত্যা এবং টুটুল ও অন্যান্যদেরকে হামলার পর সাথে সাথেই আল-কায়েদার পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি ঘোষণা দেয়া হয়,যা মিডিয়া সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে।
অতঃপর ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি #শেখ_ফজলুল_করীম_মারুফ এ ব্যাপারে লিখেন.................
// ইসলামের জন্যে ক্ষতিকর এমন লোকদের তালিকা করলে একদলকে পাওয়া যাবে যারা ইসলামের সাথে শত্রুতা করে ইসলামের সর্বনাশ করেছে। আরেকদল লোক পাওয়া যাবে যারা ইসলামকে ভালোবেসে ইসলামের সর্বনাশ করেছে।
ইহুদী-খ্রিষ্টান শক্তি প্রথম দলভুক্ত। আর বেদয়াতী ও জিহাদের নামে উগ্রতাবাদীরা ২য় দলভুক্ত।
এই ২য় দলের কারনে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরা ইসলামের কল্যানকামীতা, ইসলামের সার্বজনীনতা, ইসলামের প্রেম-ভালোবাসা, ইসলামের মর্মকথা, দর্শন...... যেসবের মাধ্যমে মুলত ইসলাম বিজয়ী হয়েছিলো সেসব কিছুকে আড়াল করে এমন একটা বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে, এমন একটা বিষয় দ্বারা ইসলামের পরিচয় করে যা মুলত ইসলামে অনুমোদিত হয়েছে বিশেষ কারনে বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে।
ইসলামে জিহাদ ছিলো, আছে, থাকবেও ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ইসলাম জিহাদ কেন্দ্রীক, জিহাদ ভিত্তিক কোন ধর্ম না।
হ্যাঁ, একথাও সত্য যে বর্তমানে যেভাবে ইসলামের ওপরে আঘাত করা হচ্ছে তা ক্রোধ জাগানোর জন্যে যথেষ্ঠ। কিন্তু এই সব আচরন মুল সমস্যা না। মুল সমস্যা হলো হলো, আমাদের গোটা রাষ্ট্র কাঠামো। শরীরে ক্যান্সার হলে শরীরের নানা উপসর্গ দেখা দেয়। মুল ক্যান্সারের চিকিৎসা না করে সেই সব উপসর্গের চিকিৎকা করার নামে যত্র-তত্র অস্ত্রপচার করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ না।
বুদ্ধিমানের কাজ হলো মুল ক্যান্সারকে দুর করা।
আমরা যারা সেই মুল ক্যান্সারকে দুর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তারা এই হাতুড়ে চিকিৎসকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
এরা এক-দুইজন লোককে হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চায়!! মাথা কি পরিমানে খারাপ হলে এই রকম উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসে!!
ইসলাম আজকের বাংলাদেশে পরাজিত। আর পরাজিত ইসলামকে বিজয়ী করার জন্যে অস্ত্র না বরং দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক ধরাবাহিক আন্দোলন। আসুন, সেই কাজে আত্মনিয়োগ করি। দয়া করে ইসলামকে ভয়ানক ভাবে উপস্থাপন করবেন না।//
তার সেই পোস্টের লিংক.................... (০২ নভেম্বর) https://www.facebook.com/fazlulkarim...62618250478604
তার বক্তব্য থেকে হুবহু তুলে ধরলাম ! তাদের মতে...............
১। আল-কায়েদার মুজাহিদরা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর।
২। তাদের কারণে ইসলামী আন্দোলনের ক্ষতি হয়েছে।
৩। চরমোনাই মূল ক্যান্সারের চিকিৎসা করছে আর আল-কায়েদার মুজাহিদরা উপসর্গের পিছনে লেগে আছে !
৪। আল-কায়েদার মুজাহিদরা হাতুড়ে চিকিৎসক !
৫। আল-কায়েদার মুজাহিদরা এক-দুইজন লোককে হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চায়!! তাই মুজাহিদরা উদ্ভট চিন্তার অধিকারী এবং তাদের মাথা খারাপ !
৬। পরাজিত ইসলামকে বিজয়ী করার জন্যে অস্ত্র না বরং দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক ধরাবাহিক আন্দোলন !
কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছে যদি মনে হয়, সে এই কথাগুলো আল-কায়েদার মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে বলেনি,তাহলে তার জন্য প্রমাণ দিয়ে রাখলাম,হামলার পরপরই আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের বিষয়টি।
এবার প্রকাশককে গলা কেটে হত্যা (০১ নভেম্বর)
দিনদুপুরে অফিসে ঢুকে একই কায়দায় দুটি হামলা আহত আরও ৩, দায় স্বীকার আনসার-আল-ইসলামের
আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের অফিসিয়াল বার্তা(অফিসিয়াল টুইটার থেকে).............. ৩১ অক্টোবর।
সুতরাং আশা করি প্রত্যেক সুস্থ্য মুসলিমের কাছে এটি স্পষ্ট হবে যে, তারা কাকে জিহাদ বলছে এবং গ্লোবাল জিহাদ পরিচালনাকারী আল-কায়েদার ব্যাপারে তাদের কী বক্তব্য। আর জেনে রাখা দরকার আল-কায়েদা তালিবান মুজাহিদদেরকে বাই'আত প্রদান করা একটি দল।
আশা করি, যারা জিহাদকে ভালোবাসেন এবং ইসলামের বিজয়ের একমাত্র মাধ্যম জিহাদের সাথে যুক্ত হতে চান,তারা সব ধরণের আসাবিয়্যাত বা দলান্ধতা পরিত্যাগ করে আল-কায়েদা ও তালিবান মুজাহিদদের হক্ব জামা’আতের সাথে সম্ভব সকল উপায়ে যুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ্*।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলামের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত জিহাদকে বিকৃতকারী সকল দল ও মত থেকে হিফাযত করুন।
বিঃদ্রঃ চরমোনাইর পীরকে নিয়ে আমার পূর্বের পোস্ট দেওয়ার পর আমাকে মেনশন করে চরমোনাইর এক সমর্থকের লেখা পোস্টের জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ্*। ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করুন।
https://www.facebook.com/permalink.p...00011204868334
চরমোনাইর পীর ফয়জুল করীম সাহেব তার একটি বয়ানে দ্ব্যার্থহীনভাবে গণতান্ত্রিক নির্বাচনে অংশগ্রহণকে জিহাদ বলেছেন এবং গণতান্ত্রিক নির্বাচন ও সংশ্লিষ্ট কাজে অংশগ্রহণকারীদেরকে মুজাহিদ বলে আখ্যা দিয়েছেন। এ নিয়ে ৪:২৩ সেকেন্ডের একটি ভিডিও বেশকিছুদিন পূর্বে আমার হস্তগত হয়।
ভিডিওটির বক্তব্য ফয়জুল করীম সাহেবের তা নিশ্চিত হওয়ার পর সেটি গত ২১ তারিখে অনলাইনে পোস্ট দেই। পোস্ট দেয়ার পরদিন ভোরে পুরো ভিডিওটির লিংক পাই।
অতঃপর চরমোনাইয়ের সমর্থক কেউ কেউ ভিডিওটিকে কাটাছিড়া বলে মিথ্যারোপ করে !! অথচ ৪:২৩ মিনিটের ভিডিওটির মাঝখান থেকে ১ সেকেন্ড বাদও যায়নি এবং অন্য কোনোখান থেকে ১ সেকেন্ড এর মধ্যে ঢুকানোও হয়নি। তারা চরমোনাইর পীরের স্পষ্ট জিহাদ বিকৃতি দেখেও তা মেনে না নিয়ে উল্টো প্রোপাগান্ডা চালাচ্ছে। এমতাবস্থায় পুরো ভিডিওর বক্তব্যের আলোকে অকাট্য প্রমাণসহ তাদের জিহাদ বিকৃতিকে তুলে ধরা জরুরি মনে করছি।
**** ভিডিওটির শুরু থেকে ২৬ মিনিট পর্যন্ত আলিম,ফকীহদের আনুগত্যের প্রয়োজনীয়তা, শাইখ/পীরকে উলুল আমর হিসেবে অনুসরণের বিষয়, পীর-মুরিদীর বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য প্রদান, চরমোনাইর পীরের তরীকার বিবরণ, চরমোনাইর মুরীদদের পরিচয় ও বৈশিষ্ট্য, পীরের অনুসরণের সীমা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেন।
২৬ মিনিট থেকে প্রায় ৪০ মিনিট পর্যন্ত জিহাদের সংজ্ঞা, জিহাদের প্রকার,জিহাদের স্বরুপ, জিহাদের প্রয়োজনীয়তা, বাংলাদেশের কুফুরী সংবিধানকে বাতিল করে ইসলামী হকুমত কায়েমের প্রয়োজনীয়তা এবং সকলকে চরমোনাই কর্তৃক পরিচালিত ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠা তথা জিহাদে অংশগ্রহণের আহবান জানানো হয়েছে।
শুরু থেকে ৪০ মিনিট পর্যন্ত বক্তব্য নিয়েও অনেক কথা আছে। পোস্টটি অতি দীর্ঘ হয়ে যাবে বিধায় সেসব বিষয় বাদ দিচ্ছি।
৪০ মিনিটের দিক থেকে প্রায় ৪৯ মিনিট পর্যন্ত সশস্ত্র জিহাদ বর্তমানে অসম্ভব হওয়া,নির্বাচনকে কেনো জিহাদ মনে করে তার বর্ণনা এবং এ প্রসঙ্গে বিভিন্ন ঘটনাবলীর বিবরণ।
৪৯ মিনিটের পর থেকে চরমোনাইর এই তরীকা ও কাজের উদ্দেশ্য এবং কিছু নাসীহাহ ইত্যাদি আলোচনা করলেন।
খেয়াল করবেন বিবর্তনটা কীভাবে হলো !!!! জিহাদের সংজ্ঞা দিলেন কুফফারদের সাথে লড়াইয়ের। অথচ আহবান জানালেন চরমোনাই কর্তৃক পরিচালিত আন্দোলন তথা ভোট যুদ্ধে অংশগ্রহণের জন্য !!!!
কুফফারদের সাথে জিহাদ কোথায় গেলো ??????
১ ঘন্টা ১ মিনিটের পুরো ভিডিওর লিংক....... https://www.youtube.com/watch?v=Kh9jWIeQMkw
এবার মূল আলোচনায় আসি..........
*** চরমোনাইর মুরীদের সংজ্ঞাঃ
চরমোনাইর পীর বলেন,
//কিন্তু আমি যখনই বলি হ্যাঁ,ব্যাক্তি চরমোনাইর মুরীদ। যখনই আমরা বলবো চরমোনাইর মুরীদ, তখনই আমরা বুঝতে পারবো, শরীয়তের যতগুলি দিক আছে,সমস্ত দিক এই ব্যক্তি পালন করে বিধায়ই এই ব্যক্তিকে চরমোনাইর মুরীদ বলা হইছে।// (১৭:৩৫ মিনিট)
//ঠিক সেই ব্যক্তিকে বলা হবে যে চরমোনাইর তরীকায় আছে,মনে করতে হবে সে দাওয়াত নিয়া ব্যস্ত, তালীম নিয়া ব্যস্ত,তাযকিয়াহ নিয়া ব্যস্ত,জিহাদ নিয়া ব্যস্ত অবস্থায় আছে। বুঝতে হবে ! এক কথায় বুঝা যায় !// (১৮:৩২ মিনিট)
উপরে চরমোনাইর পীরের মুরীদদের পরিচয়/সংজ্ঞা শুনে তারা কোথায় জিহাদ করছে এই প্রশ্নটি আশা স্বাভাবিক ! তাদের জিহাদ জানতে পড়তে থাকুন..........
*** চরমোনাইর পীর কর্তৃক সশস্ত্র বিপ্লব (জিহাদ)কে এযুগে অসম্ভব বলা এবং তার কারণ বর্ণনাঃ
চরমোনাইর পীর বলেন....... (৪০ মিনিট ২৮ সেকেন্ড থেকে)
//“বর্তমান জমানায় যেহেতু তলোয়ারের যুদ্ধ,মুখামুখি যুদ্ধ এইটা এখন অনেকটা অসম্ভব হইয়া পড়ছে। সশস্ত্র বিপ্লব অসম্ভব হইয়া পড়ছে। যেহেতু ১৪শ বছর আগের অবস্থা, ৫শ বছর আগের অবস্থা,১শ বছর আগের অবস্থা এক না। বরং বর্তমান যমানায় আমি এইখানে কী বয়ান করতেছি, এমরিকা শুনতে আছে। আমি কী বয়ান করতেছি,যাইয়া দেখেন সিআইডি’রা ঢাকায় বইস্যা সমস্ত রেকর্ডটা শুনতে আছে,আমি কী বয়ান করতেছি। কী কথা ঠিক না ! এইখানে কত মানুষ আছে। তাদের কাছে সব কিছু মেমোরি আছে।
এই মুহূর্তে এই যমানায় কেই যদি মনে করেন আমরা সশস্ত্র বিপ্লব করবো,আমি বলবো,তুমি সশস্ত্র বিপ্লব করতে পারবানা তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো। তুমি আত্মঘাতী বিপ্লব করতে পারো এইজন্য দেখেন নাই,যারাই সশস্ত্র বিপ্লব করতে চাইছে, একজনও বাঁচে নাই, বরং আমাদের দেশটাকে সন্ত্রাসীকে সৃষ্টি করে,তারা একজন জেলখানায় ভোগে,আর ইসলাম ক্ষতিগ্রস্ত হইছে,দুর্নামগ্রস্ত হইছে।//
*** চরমোনাইর পীরের জিহাদ তাহলে কী ?
দেখুন..... (ভিডিওর ৪১ মিনিট ২৯ সেকেন্ড থেকে)
//আমরা আগেই বলছি,আমরা দাওয়ায়ত নিয়া যাই মানুষের কাছে । আর মানুষ যদি ইসলাম নাই বুঝে,তাইলে ইসলামটা কায়েম করবো কী ! ইসলাম কায়েম করবো কী ! কী কথা ঠিক না ! এরজন্য আমরা চাই, আব্বাজান রহ. বলছেন, আমি নির্বাচন করি না,আমি জিহাদ করি (জনগণ-জি.....) ! আমি কী করি ?(জনগণ- জিহাদ....) আল্লাহর শোকর ! এর বাস্তব নমুনাও আছে। //
*** নির্বাচনকে জিহাদ বানানোর জন্য কী সেই বাস্তব নমুনা ???
নির্বাচনই যে তাদের জিহাদ তা প্রমাণের জন্য নির্বাচনী প্রচারণা ও বক্তব্য দিতে গিয়ে হঠাৎ মারা যাওয়া চরমোনাই পীরের মুরীদ জনাব তোফাজ্জল সাহেবের মৃত্যুর কয়েক মাস পর তার অক্ষত লাশ পাওয়ার ঘটনা বলেন(ঘটনার সত্য-মিথ্যা আল্লাহ ভালো জানেন) ।
চরমোনাইর আগের পীর সাহেব কর্তৃক মুরীদ জনাব তোফাজ্জল সাহেবের প্রতি নির্দেশ।
// যান মিয়া জেহাদের নিয়তে দাড়ায়া যান। // (৪১:৫২ মিঃ)
নির্বাচনী প্রচারণার সময় তোফাজ্জল হোসেন সাহেবের বক্তব্য............
//আমি নির্বাচন করতে আসি নাই। হুজুর বলছে,ইসলামের বাক্স নিয়া জিহাদের শরীক হইয়া যাও ! আমি জিহাদ করার জন্য আসছি।// (৪২:৪৮ মিঃ)
এবার বলুনতো তারা কাকে জিহাদ বলছে ??? কোথায় কাফিরদের বিরুদ্ধে জিহাদ করেছেন তিনি ???
*** নির্বাচন নয় এটা হচ্ছে তাদের জিহাদ আর অংশগ্রহণকারীরা মুজাহিদ ?????
আওয়ামীলীগ-বিএনপির কুফুরী আহবানের সাথে তুলনা দিতে গিয়ে পীর সাহেব বলেন, (৪৩:৩৬ থেকে ৪৪:৪২ মিনিট )
// আমরা নির্বাচন করি না,আমরা জিহাদ করি। আমরা কী করি ? (জিহাদ....) এইটা নির্বাচন না,এইটা আমাদের জিহাদ। এই জিহাদে যারা অংশগ্রহণ করবে তারাই হলো মুজাহিদ। (ঠিক.........) এতে যারা খরচ করবেন,সময় দিবেন,সবকিছু করবেন, তাদের প্রত্যেকটা সময়,প্রত্যেকটা সেকেন্ড আল্লাহর দরবারে নেকের মধ্যে লেখা হইতে থাকবে ! মাছালুল মুজাহিদী ফী সাবীলিল্লাহ,কামাছালিছ ছয়িমিল ক্বায়িমিল ক্বনিত, লা-ইয়াফতুরু বি ছিয়ামাইহি ওয়ালা ছলাতিহী হাত্তা ইয়ারজি’আল মুজাহিদু ফী সাবীলিল্লাহ। মুজাহিদ যতক্ষণ আল্লাহর রাস্তায় থাকবে ততক্ষণ তাদের আমলনামায় সাওয়াব লেখা হইতে থাকবে।
এই মুজাহিদ কোন মুজাহিদ ? যারা আল্লাহর যমীনে আল্লাহর হুকুমত কায়েমের জন্য সাধনা করবে,তারাই হলো এই মুজাহিদের মধ্যে পড়বে। যারা অন্যকোনো কাজ করার জন্য নামবে তারা এই হাদীসের মেসদাকের মধ্যে পড়তে পারে না। এতো সহজ মনে করিয়েন না। কী কথা ঠিক না ?//
অর্থাৎ আওয়ামীলীগ-বিএনপি কাজ জিহাদ হবে না কারণ তারা কুফুরীর দিকে ডাকছে। কিন্তু চরমোনাইর কাজ হচ্ছে জিহাদ। কারণ তারা ইসলাম কায়েমের কথা বলছে !!!!!
কেউ যদি অন্ধ ও বধির না হয়,তাহলে সে যেনো উপরের অংশটুকু ভালোভাবে শোনে এবং পড়ে। এরপরেও যদি কেউ বলে চরমোনাইর পীর নির্বাচনকে জিহাদ বলেননি !! আশা কিয়ামতের দিন তার চোখ এবং কান এর সাক্ষী দিবে ইনশাআল্লাহ্* ।
*** কেনো চরমোনাই নির্বাচনকে জিহাদ বলে তার আরেকটি যুক্তি !!!
(৪৪:৪০ মিনিটে) ..........উজিরপুরে একজন হিন্দু চরমোনাইর মার্কা হাতপাখায় ভোট দেয় এবং সারাজীবন দিবে বলে ওয়াদা করেছে,এই ঘটনা বর্ণনা করার পর ফয়জুল করীম সাহেব বলেন...........
// এজন্য এটা আমরা জিহাদ মনে করি । কী কথা ঠিক না ? এই জিহাদে অংশগ্রহণ করায় সবাই রাজী আছেনতো ইনশাআল্লাহ্* ??? (জনগণ হাত তুলে দেখালো) আল্লায় কবুল করুন।// (৪৮:৪০ মিঃ)
চরমোনাইর পীরের নিজের মুখ থেকে এতোবার শোনার পর তারা নির্বাচন এবং এর সাথে যুক্ত কাজকে জিহাদ বলে আখ্যা দিয়েছে,এটার পক্ষে আর কিছু বলার প্রয়োজনবোধ করছি না।
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়.............................................. ..................................
*** রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী শাতিমদেরকে হত্যার ব্যাপারে শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারী(হুবহু এই বক্তব্যটি তাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও দেয়া হয়েছিলো)ঃ
চরমোনাইর ছাত্র সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি #শেখ_ফজলুল_করীম_মারুফ রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী শাতিম কুলাঙ্গার অনন্ত বিজয় দাসকে আল-কায়েদার মুজাহিদরা হত্যার পর ফেইসবুকে যে স্ট্যাটাস দিয়েছিলো...............
//কলমের জবাব কলমে দেয়া উচিৎ“
এই চিরন্তন কথাটা সর্বত্রই উপেক্ষিত।
ব্লগার অনন্ত বিজয় দাসকে হত্যা করা হয়েছে। তিনি লেখা লিখি করতেন। তার লেখায় ধর্মের বিরুদ্ধে কথা ছিলো। সেই সাথে সরকারের বিরুদ্ধেও তিনি লিখতেন। তার সর্বশেষ লেখাটিও সরকারের একজন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে।
যার বিরুদ্ধেই তিনি লিখুক তার জবাব হত্যা হতে পারেনা।
আমরা এই হত্যাকান্ডের নিন্দা জানাই।
সেই সাথে সরকারের কাছে আমরা দাবী জানাই,
দয়া করে এই হত্যাকান্ডের বিচার করুন। হত্যাকারী যেই হোক তাদের পাকড়াও করুন। কোন হত্যাকারী সরকারের চেয়েও শক্তিশালী এমনটা যেন না হয়।
দয়া করে দোষারোপের রাজনীতি থেকে বেড়িয়ে আসুন।//
তার সেই পোস্টের লিংক..... https://www.facebook.com/fazlulkarim...73543166052780
তার মানে তারা..................
১। রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী নাস্তিক যারা হত্যারযোগ্য তাদেরকে হত্যার নিন্দা জানালেন।
২। আল-কায়েদার মুজাহিদদের পাকড়াও করার আবেদন জানালেন সরকারের কাছে।
৩। আল-কায়েদার মুজাহিদদের বিচার দাবী করলেন ত্বগুত সরকারের কাছে।
সুতরাং তাদের জিহাদ(!) আমরা আশা করি ভালোভাবে বুঝতে পারলাম !!!!!!
আগেই বলেছি হুবহু এই বক্তব্যটি সংগঠন ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজেও দেয়া হয়েছিলো। আমার কাছে সেটির লিংকও ছিলো। বর্তমানে তাদের অফিসিয়াল ফেইসবুক পেইজ সম্ভবত বন্ধ আছে। সুতরাং এটি কোনোভাবেই ব্যক্তির কোনো মত নয়। তাছাড়া একটী দলের ২য় সর্বোচ্চ ব্যক্তির বক্তব্যকে কোনোভাবেই ব্যক্তিগত মত বলে চালানোর কোনো সুযোগ নেই।
এই কুলাঙ্গার শাতিম অনন্ত বিজয়কে হত্যার ব্যাপারে আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের অফিসিয়াল বার্তা(অফিসিয়াল টুইটার থেকে)..............
তার অপরাধের বিবরণ এবং আনসার আল-ইসলামের কৃতিত্ব স্বীকার..... https://justpaste.it/AnantaBijoy
**** রাসূল সাঃ কে গালিগালাজকারী কুলাঙ্গার শাতিম ফয়সাল আরেফীন দীপনকে হত্যার পর শাসনতন্ত্রের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারীর বক্তব্যঃ
কুলাঙ্গার প্রকাশক দীপন হত্যা এবং টুটুল ও অন্যান্যদেরকে হামলার পর সাথে সাথেই আল-কায়েদার পক্ষ থেকে অফিসিয়ালি ঘোষণা দেয়া হয়,যা মিডিয়া সঙ্গে সঙ্গে চলে আসে।
অতঃপর ইসলামী শাসনতন্ত্র ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি #শেখ_ফজলুল_করীম_মারুফ এ ব্যাপারে লিখেন.................
// ইসলামের জন্যে ক্ষতিকর এমন লোকদের তালিকা করলে একদলকে পাওয়া যাবে যারা ইসলামের সাথে শত্রুতা করে ইসলামের সর্বনাশ করেছে। আরেকদল লোক পাওয়া যাবে যারা ইসলামকে ভালোবেসে ইসলামের সর্বনাশ করেছে।
ইহুদী-খ্রিষ্টান শক্তি প্রথম দলভুক্ত। আর বেদয়াতী ও জিহাদের নামে উগ্রতাবাদীরা ২য় দলভুক্ত।
এই ২য় দলের কারনে বিভিন্ন সময়ে ইসলামী আন্দোলন ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এরা ইসলামের কল্যানকামীতা, ইসলামের সার্বজনীনতা, ইসলামের প্রেম-ভালোবাসা, ইসলামের মর্মকথা, দর্শন...... যেসবের মাধ্যমে মুলত ইসলাম বিজয়ী হয়েছিলো সেসব কিছুকে আড়াল করে এমন একটা বিষয়কে সামনে নিয়ে আসে, এমন একটা বিষয় দ্বারা ইসলামের পরিচয় করে যা মুলত ইসলামে অনুমোদিত হয়েছে বিশেষ কারনে বিশেষ অবস্থার প্রেক্ষিতে।
ইসলামে জিহাদ ছিলো, আছে, থাকবেও ইনশাআল্লাহ। কিন্তু ইসলাম জিহাদ কেন্দ্রীক, জিহাদ ভিত্তিক কোন ধর্ম না।
হ্যাঁ, একথাও সত্য যে বর্তমানে যেভাবে ইসলামের ওপরে আঘাত করা হচ্ছে তা ক্রোধ জাগানোর জন্যে যথেষ্ঠ। কিন্তু এই সব আচরন মুল সমস্যা না। মুল সমস্যা হলো হলো, আমাদের গোটা রাষ্ট্র কাঠামো। শরীরে ক্যান্সার হলে শরীরের নানা উপসর্গ দেখা দেয়। মুল ক্যান্সারের চিকিৎসা না করে সেই সব উপসর্গের চিকিৎকা করার নামে যত্র-তত্র অস্ত্রপচার করা কোন বুদ্ধিমানের কাজ না।
বুদ্ধিমানের কাজ হলো মুল ক্যান্সারকে দুর করা।
আমরা যারা সেই মুল ক্যান্সারকে দুর করার জন্য কাজ করে যাচ্ছি তারা এই হাতুড়ে চিকিৎসকদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ।
এরা এক-দুইজন লোককে হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চায়!! মাথা কি পরিমানে খারাপ হলে এই রকম উদ্ভট চিন্তা মাথায় আসে!!
ইসলাম আজকের বাংলাদেশে পরাজিত। আর পরাজিত ইসলামকে বিজয়ী করার জন্যে অস্ত্র না বরং দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক ধরাবাহিক আন্দোলন। আসুন, সেই কাজে আত্মনিয়োগ করি। দয়া করে ইসলামকে ভয়ানক ভাবে উপস্থাপন করবেন না।//
তার সেই পোস্টের লিংক.................... (০২ নভেম্বর) https://www.facebook.com/fazlulkarim...62618250478604
তার বক্তব্য থেকে হুবহু তুলে ধরলাম ! তাদের মতে...............
১। আল-কায়েদার মুজাহিদরা ইসলামের জন্য ক্ষতিকর।
২। তাদের কারণে ইসলামী আন্দোলনের ক্ষতি হয়েছে।
৩। চরমোনাই মূল ক্যান্সারের চিকিৎসা করছে আর আল-কায়েদার মুজাহিদরা উপসর্গের পিছনে লেগে আছে !
৪। আল-কায়েদার মুজাহিদরা হাতুড়ে চিকিৎসক !
৫। আল-কায়েদার মুজাহিদরা এক-দুইজন লোককে হত্যা করে ইসলাম কায়েম করতে চায়!! তাই মুজাহিদরা উদ্ভট চিন্তার অধিকারী এবং তাদের মাথা খারাপ !
৬। পরাজিত ইসলামকে বিজয়ী করার জন্যে অস্ত্র না বরং দরকার বুদ্ধিবৃত্তিক ধরাবাহিক আন্দোলন !
কোনো বুদ্ধিজীবীর কাছে যদি মনে হয়, সে এই কথাগুলো আল-কায়েদার মুজাহিদদের উদ্দেশ্য করে বলেনি,তাহলে তার জন্য প্রমাণ দিয়ে রাখলাম,হামলার পরপরই আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের বিষয়টি।
এবার প্রকাশককে গলা কেটে হত্যা (০১ নভেম্বর)
দিনদুপুরে অফিসে ঢুকে একই কায়দায় দুটি হামলা আহত আরও ৩, দায় স্বীকার আনসার-আল-ইসলামের
আল-কায়েদার এদেশীয় শাখা আনসার আল-ইসলামের দায়িত্ব স্বীকারের অফিসিয়াল বার্তা(অফিসিয়াল টুইটার থেকে).............. ৩১ অক্টোবর।
সুতরাং আশা করি প্রত্যেক সুস্থ্য মুসলিমের কাছে এটি স্পষ্ট হবে যে, তারা কাকে জিহাদ বলছে এবং গ্লোবাল জিহাদ পরিচালনাকারী আল-কায়েদার ব্যাপারে তাদের কী বক্তব্য। আর জেনে রাখা দরকার আল-কায়েদা তালিবান মুজাহিদদেরকে বাই'আত প্রদান করা একটি দল।
আশা করি, যারা জিহাদকে ভালোবাসেন এবং ইসলামের বিজয়ের একমাত্র মাধ্যম জিহাদের সাথে যুক্ত হতে চান,তারা সব ধরণের আসাবিয়্যাত বা দলান্ধতা পরিত্যাগ করে আল-কায়েদা ও তালিবান মুজাহিদদের হক্ব জামা’আতের সাথে সম্ভব সকল উপায়ে যুক্ত হবেন ইনশাআল্লাহ্*।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে ইসলামের অতীব গুরুত্বপূর্ণ ফরয ইবাদত জিহাদকে বিকৃতকারী সকল দল ও মত থেকে হিফাযত করুন।
বিঃদ্রঃ চরমোনাইর পীরকে নিয়ে আমার পূর্বের পোস্ট দেওয়ার পর আমাকে মেনশন করে চরমোনাইর এক সমর্থকের লেখা পোস্টের জবাব দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ্*। ধৈর্যের সাথে অপেক্ষা করুন।
https://www.facebook.com/permalink.p...00011204868334
Comment