“জিহাদ করবেন? উম্মতের আক্বিদা বিশুদ্ধ আছে? ঈমান ঠিক আছে? পুরো উম্মাহ তো শিরক-বিদাতে ডুবে আছে। আক্বিদাই তো সহিহ নাই, জিহাদ আবার কিভাবে? জিহাদের অংশ নেয়ার পূর্বে তারবিয়া-তাশফিয়া জরুরী।“
কথাগুলো কি পরিচিত মনে হয়? আচ্ছা নিচের কথাগুলো দেখুন তো -
“জিহাদ করবেন? উম্মতের তো ইমান-আমলই ঠিক নেই। উম্মাহ ডুবে আছে কতো রকম ফিতনাতে। যখন ফযরের নামাযে জুম্মার নামাযের সমান লোক হবে, তখন না হয় জিহাদের কথা বলবেন। বদর-উহুদের দিকে তাকিয়ে লাভ নেই, এখন শিক্ষা নিতে হবে বনী ইস্রাইলের দৃষ্টান্ত থেকে। জিহাদের আগে ঈমান মজবুতের মেহনত জরুরী।"
প্রথম বক্তব্যটি আনুগত্যপন্থী সরকারি-সালাফিদের, আর দ্বিতীয় বক্তব্যটা তাবলীগ জামাতের। নানা বিষয়ে এ দুই ঘরানার অসংখ্য মতবিরোধ থাকলেও এই একটা জায়গাতে তাদের বক্তব্য একই রকম। আর প্রথম প্রথম শুনতে বেশ যৌক্তিক মনে হয়।
কিন্তু দ্বীন ইসলামের সৌন্দর্য হল এই দ্বীন আক্বওয়াল কিংবা আক্বল নির্ভর না। এই দ্বীন কুর’আন ও সুন্নাহ নির্ভর। এই দ্বীন প্রত্যেক ব্যাখ্যাকারীর ব্যাখ্যাসাপেক্ষে পরিবর্তনের দ্বীন না, এ দ্বীন হল ওয়াহীর মাধ্যমে নাযিলকৃত সুনির্দিষ্ট, সুসংজ্ঞায়িত ও অপরিবর্তনীয় দ্বীন।
আর তাই যখনই কেউ দ্বীনের কোন বিষয়ে কোন বক্তব্য উপস্থাপন করে – আমরা তাদের বক্তব্যকে ক্বুর’আন ও সুন্নাহর মাপকাঠিতে পরিমাপ করে দেখি। বিশেষ করে যখন ফরয ইবাদতের ব্যাপারে কেউ কোন বক্তব্য উপস্থাপন করে তখন এ বক্তব্যকে গ্রহন করার আগে ক্বুর’আন ও সুন্নাহর আলোকে, সালাফ আস সালেহিনের অবস্থানের আলোকে এ বক্তব্যকে যাচাই করা আমাদের জন্য আবশ্যক।
আসুন ইমামুল মুওয়াহিদিন রাহমাতুললিল আলামিন নবীউর মারহামা নবীউল মালহামা মুহাম্মাদ বিন আবদুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সুন্নাহর আলোকে দেখি উপরোক্ত দুই গ্রুপের এই দৃষ্টিভঙ্গি কি সুন্নতের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ নাকি সম্পূর্ণ বিপরীত…
আলোচনা করছেন এমন একজন ব্যক্তি যিনি তত্ত্বকথায় বিশ্বাস করতেন না। যিনি দুনিয়া পাবার পর আখিরাতের জন্য দুনিয়াকে তালাক দিয়েছিলেন। যিনি যমীনের অধিবাসীদের মাঝে প্রশংসিত হবার বদলে আসমানের অধিবাসীদের কাছে প্রশংসিত হবার চেষ্টা করেছিলেন। যিনি সৃষ্টিকে সন্তুষ্ট করে সাফল্য ও খ্যাতি পাবার বদলে স্রষ্টাকে সন্তুষ্ট করে জান্নাত কামানোর স্বপ্নে বিভোর ছিলেন।
আলোচনা করছেন এমন একজন যিনি যা বলতেন তা আল্লাহর ইচ্ছায় করে দেখাতেন, যিনি আল্লাহর ইচ্ছায় অ্যামেরিকাকে প্রকম্পিত করেছিলেন, কাফির-মুশরিকদের অন্তরে ত্রাসের সৃষ্টি করেছিলেন - আলোচনা করছেন ইমাল ওয়াল মুজাদ্দিদ শায়খ উসামা ইবন মুহাম্মাদ ইবন আওয়াদ ইবন লাদিন রাহিমাহুল্লাহ!
Comment