আমি যুদ্ধ নয়, শান্তি চাই
যুদ্ধে হয় জীবন ক্ষয়
লোকালয় সব ধ্বংস হয়
তাই যুদ্ধে আমার ভীষণ ভয়।
আমি নিরীহ অতি কলহে ভীতী
ঝঞ্ঝাটে মোর নেইকো প্রীতী।
আমি মুক্তমনা আধুনা যুগে
পাপাচার দেখে ফুসিনা রাগে।
তবু নাস্তিক নই ধার্মিক রই
শিখাই পড়াই ধর্মের বই।
সকাল-সাঝে নামাজে থাকি
দাড়িটা আমার বাড়িয়ে রাখি।
জোব্বা পরি মাথায় টুপি
হাতের মাঝে তসবী টিপি।
আমি যুগের তালে অগ্রগামী
তাই ধর্ম মেনেও শান্তিকামী।
আমি নব্য যুগের আধুনা মোল্লা
বুকে দুনিয়া, মুখে আল্লাহ, আল্লাহ।
দুনিয়ার মাঝে শান্তির খোঁজে
ভিড়তে পারি যে কোনো কাজে
কখনও ওয়াজ কখনও তোয়াজ
কখনও করি হারাম কাজ।
মাদরাসা আর মসজিদ গড়ি
ধর্মের নামে ব্যাবসা করি।
জালিমের কামে দিই সাদুবাদ
তাগুতের নামে পড়াই মিলাদ।
ইমাম হয়ে আল্লাহর ঘরে
সুনাম করি জালিমের তরে।
মৌলোভী হয়ে দুনিয়ার লোভে
ব্যস্ত থাকি দুনিয়াবী লাভে।
ফাকিবাজী আর ফন্দি ফিকির
সদাই করি এসব যিকির।
এতীমের নামে জমিয়ে টাকা
হাতিয়ে হুজুর করেন ফাঁকা।
গরীবের তরে সাদকা এলে
হুজুররা খায় হেলার চালে।
চাকরীর দায়ে একুশের দিন
পুষ্পে মিনার করেন রঙিন।
আমি হাদিস মানি সহীহ দেখে
অর্থটাকে একটু বেকে।
ফরজ বিধান বিফল করে
গরজ দেখায় নফল পড়ে।
হাত তোলা আর আমীন বলা
পায়ের সাথে পা মেলা।
দু-মিনিট আগে হবে ইফতার
মোনাজাত নেই নামাজের পর
এটাই মোদের দ্বিনের দাওয়াত
নিরীহ লোকের দূরহ আঘাত
তবে শাসকগণের শোষন দেখে
বলি না কিছু কখনও মুখে।
করিনাকো তার কোনো প্রতিবাদ
ধরি না অস্ত্র করি না জিহাদ।
মোরা জিহাদ করি কলম দিয়ে
জালিম নেতার পক্ষ নিয়ে।
বুকের মাঝে রেখেছি লিখে
ফিকহী আইন দেবোই রুখে
তবে বৃটিশ আইন চলুক দেশে
চলবো মেনে প্রজার বেশে।
আধুনা যুগের নতুন মত
হাদীসের নামে ভ্রান্ত পথ।
আমি বুলেট ছেড়ে ব্যালট মেরে
আনবো কুরআন বিশ্ব জুড়ে।
এই দাবীতে মন গলিয়ে
দলে ভেড়াই লোক ভুলিয়ে।
দ্বীন কায়েমের ছিল লাগিয়ে
সব মানুষের মন যুগিয়ে।
ভোটের আশায় হুজুররা যায়
মুচি মেথর সবার বাসায়।
কত রকম ফন্দিরে ভাই
বড় হুজুর মন্দিরে যায়।
কথার ছলে তাদের বলে,
ধর্ম ভুলে থাকবো মিলে।
তোদের পূজা মোদের রোজা।
একসাথে সব করবো মজা।
তবু কি ভাই কাফির লোকে
বিনা বাধায় ছাড়বে তাকে?
মূর্তি ভাঙে কে বা কারা।
অবুঝ হুজুর পড়েন ধরা।
হুজুররা তাই কি আর করা
মন্দিরে দেয় রাত পহারা।
ভ্রান্ত পথে পা মাড়িয়ে
ঈমনটা তার যায় হারিয়ে।
আমি ওয়াজ করি খোলা মাঠে
জাল হাদিসের গোলা ছোটে।
ব্যাবসা আমার ভাল হলে
ছ’মাস ধরে লাইন চলে।
দামটা তখন দিই বাড়িয়ে
লক্ষ-কোটি নিই কামিয়ে।
ব্যাবসায় আমি খুবই পাকা
তাই নিয়ে নিই আগাম টাকা।
যা খেতে চায় মনের মাঝে
আনতে বলি তাদের খুঁজে।
বক্তা নামের ফকীর সবাই
টাকা, খাবার সব চেয়ে নেই।
যামানার সব ভন্ড হুজুর
ইসলাম থেকে রয় বহুদূর।
লোভে বশে যেভাবে পারে
দ্বীনটা বেঁচে দুনিয়া গড়ে।
তাদের কথায় করলে আমল
দ্বীন-দুনিয়ে হবে বিফল।
!
লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল মুনীর।
যুদ্ধে হয় জীবন ক্ষয়
লোকালয় সব ধ্বংস হয়
তাই যুদ্ধে আমার ভীষণ ভয়।
আমি নিরীহ অতি কলহে ভীতী
ঝঞ্ঝাটে মোর নেইকো প্রীতী।
আমি মুক্তমনা আধুনা যুগে
পাপাচার দেখে ফুসিনা রাগে।
তবু নাস্তিক নই ধার্মিক রই
শিখাই পড়াই ধর্মের বই।
সকাল-সাঝে নামাজে থাকি
দাড়িটা আমার বাড়িয়ে রাখি।
জোব্বা পরি মাথায় টুপি
হাতের মাঝে তসবী টিপি।
আমি যুগের তালে অগ্রগামী
তাই ধর্ম মেনেও শান্তিকামী।
আমি নব্য যুগের আধুনা মোল্লা
বুকে দুনিয়া, মুখে আল্লাহ, আল্লাহ।
দুনিয়ার মাঝে শান্তির খোঁজে
ভিড়তে পারি যে কোনো কাজে
কখনও ওয়াজ কখনও তোয়াজ
কখনও করি হারাম কাজ।
মাদরাসা আর মসজিদ গড়ি
ধর্মের নামে ব্যাবসা করি।
জালিমের কামে দিই সাদুবাদ
তাগুতের নামে পড়াই মিলাদ।
ইমাম হয়ে আল্লাহর ঘরে
সুনাম করি জালিমের তরে।
মৌলোভী হয়ে দুনিয়ার লোভে
ব্যস্ত থাকি দুনিয়াবী লাভে।
ফাকিবাজী আর ফন্দি ফিকির
সদাই করি এসব যিকির।
এতীমের নামে জমিয়ে টাকা
হাতিয়ে হুজুর করেন ফাঁকা।
গরীবের তরে সাদকা এলে
হুজুররা খায় হেলার চালে।
চাকরীর দায়ে একুশের দিন
পুষ্পে মিনার করেন রঙিন।
আমি হাদিস মানি সহীহ দেখে
অর্থটাকে একটু বেকে।
ফরজ বিধান বিফল করে
গরজ দেখায় নফল পড়ে।
হাত তোলা আর আমীন বলা
পায়ের সাথে পা মেলা।
দু-মিনিট আগে হবে ইফতার
মোনাজাত নেই নামাজের পর
এটাই মোদের দ্বিনের দাওয়াত
নিরীহ লোকের দূরহ আঘাত
তবে শাসকগণের শোষন দেখে
বলি না কিছু কখনও মুখে।
করিনাকো তার কোনো প্রতিবাদ
ধরি না অস্ত্র করি না জিহাদ।
মোরা জিহাদ করি কলম দিয়ে
জালিম নেতার পক্ষ নিয়ে।
বুকের মাঝে রেখেছি লিখে
ফিকহী আইন দেবোই রুখে
তবে বৃটিশ আইন চলুক দেশে
চলবো মেনে প্রজার বেশে।
আধুনা যুগের নতুন মত
হাদীসের নামে ভ্রান্ত পথ।
আমি বুলেট ছেড়ে ব্যালট মেরে
আনবো কুরআন বিশ্ব জুড়ে।
এই দাবীতে মন গলিয়ে
দলে ভেড়াই লোক ভুলিয়ে।
দ্বীন কায়েমের ছিল লাগিয়ে
সব মানুষের মন যুগিয়ে।
ভোটের আশায় হুজুররা যায়
মুচি মেথর সবার বাসায়।
কত রকম ফন্দিরে ভাই
বড় হুজুর মন্দিরে যায়।
কথার ছলে তাদের বলে,
ধর্ম ভুলে থাকবো মিলে।
তোদের পূজা মোদের রোজা।
একসাথে সব করবো মজা।
তবু কি ভাই কাফির লোকে
বিনা বাধায় ছাড়বে তাকে?
মূর্তি ভাঙে কে বা কারা।
অবুঝ হুজুর পড়েন ধরা।
হুজুররা তাই কি আর করা
মন্দিরে দেয় রাত পহারা।
ভ্রান্ত পথে পা মাড়িয়ে
ঈমনটা তার যায় হারিয়ে।
আমি ওয়াজ করি খোলা মাঠে
জাল হাদিসের গোলা ছোটে।
ব্যাবসা আমার ভাল হলে
ছ’মাস ধরে লাইন চলে।
দামটা তখন দিই বাড়িয়ে
লক্ষ-কোটি নিই কামিয়ে।
ব্যাবসায় আমি খুবই পাকা
তাই নিয়ে নিই আগাম টাকা।
যা খেতে চায় মনের মাঝে
আনতে বলি তাদের খুঁজে।
বক্তা নামের ফকীর সবাই
টাকা, খাবার সব চেয়ে নেই।
যামানার সব ভন্ড হুজুর
ইসলাম থেকে রয় বহুদূর।
লোভে বশে যেভাবে পারে
দ্বীনটা বেঁচে দুনিয়া গড়ে।
তাদের কথায় করলে আমল
দ্বীন-দুনিয়ে হবে বিফল।
!
লিখেছেন: আব্দুল্লাহ আল মুনীর।
Comment