মনে করো যদি খলীফা উমর ধরায় আসে ফিরে
আধুনা কোনো মুসলিম দেশে হাজার লোকের ভিড়ে
ভেবো না যেনো গাড়ি বাড়ি আর বাহারী জিনিস দেখে
চক্ষু তাহার কপালে উঠিবে অন্তর যাবে বেকে।
অর্ধ ধরার বাদশা তিনি দুনিয়াতে নেই টান।
খুঁজিবেন শুধু শক্ত ঈমান পক্ত মুসলমান।
দেখিবেন যবে চারিদিকে সবে উলঙ্গপনা ঘোরে
মুসলিম দেশে কাফিরের বেশে নর-নারী চলে ফেরে।
হত্যার ভয়, মিথ্যার জয়, দূর্নীতি সব খানে।
চোর ডাকাতে দিনের আলোতে চলিতেছে সম্মানে।
মুসলিম হয়ে কাফিরের পায়ে লুটিতেছে উম্মত
অভিসপ্ত কাফিররা আজ পেয়েছে কি হিম্মত!
আল্লাহর তরে মোনাজাত করে ব্যাথিত হৃদয় নিয়ে
নামিয়েছো কেনো জংলী জাতি অসভ্যদের গাঁয়ে
আমি তো এসেছি আপন জাতি মুসলমানের খোঁজে।
কোথায় তারা নিয়ে চলো মোরে দেখিতে চায় নিজে।
রাস্তার পাশে মৌলোবী বেশে বুযর্গ এক জনা
ধমকিয়ে কহে, কে তুমি ওহে? কিছুই জানো না।
এই যে দেখো লম্বা দাড়ি, মোর লম্বা জোব্বা খানা।
এটা মুসলিম দেশ মুমিনের বেশ তাও কি বোঝো না।
জংলী বলো না, কপাল পোড়া ভীষণ পাপী হবে।
চারিদিকে দেখছো যাদের, মুসলিম তারা সবে।
খলীফা উমর রাগের চাপে ভীষণ ক্ষেপে বলে,
মুসলিম যদি তোমরা সবে এসব কিভাবে চলে।
উলঙ্গ নারী মনোহরী বেশে রাস্তা ঘাটে হাটে
ফেরাও তাকে এখনই যদি ঈমান থাকে ঘটে
রাস্তার পাশে মুক্ত আকাশে মদ হয় বেঁচা কেনা
সেখানে যত মাতাল লোকের রোজ হয় আনা গনা।
ধরে নিয়ে এসো একটা করে বেত নিয়ে এসো সাথে।
পৃষ্ঠ ওদের দগ্ধ করো শক্ত বেত্রাঘাতে।
ব্যাভিচারী নারী ঘুরাফিরা করে নাকের ডগা দিয়ে
ধরিয়া তাহাকে সাক্ষি সমেত রজম করো গিয়ে।
দুর্ণীতি যারা করে এদেশে চোর বা ডাকাত
ধরিয়া তাদের ওহে মোল্লা কাটিয়া দাও হাত।
এসব করে জগত জুড়ে শান্তি আনো ডেকে
চুরি ডাকাতি, দূর্নীতি আর থাকবে নাকো মোটে।
মোল্লা তখন ভুতের মতোন গোল্লা করে চোখ
অন্তরে তার ভীষণ ভয় বিদ্ধ করিছে নোখ।
কি বলো পথিক? কথা তো সঠিক, কিন্তু জানো কি ভাই?
এসব কাজ করিবার তরে সামর্থ তো নাই।
যা কিছু বলো সবই হলো রাষ্ট্রপতির কাজ
ঐ ব্যাটা তো ইসলামী নীতি মানিতে নারাজ।
হুকুমত গেছে তাগুতের হাতে খেলাফত গেছে ছুটে
আজ ইসলামী নীতি মানতে গেলে কপালে বিপদ ঘটে।
কি আর করা তাই মোরা অপেক্ষায় থাকি
কবে রাষ্ট্রপতি ইসলাম মানে সেটাই শুধু দেখি।
ওমর বলেন একি ক্ষতি, কিসের রাষ্ট্রপতি
লড়াই করে নামাও তারে জ্বালাও দ্বীনের বাতি।
মোল্লা তখন চিল্লায় জোরে ভীষণ ভয়ের চটে
চোখের সামনে স্ত্রী-পুত্র বাড়ি ঘর ভেসে ওঠে।
যুদ্ধের নামে অন্তর তার কম্পিত হয় জোরে
থাকতে চায় পরিবার মাঝে আমোদ প্রমোদ করে।
সত্য কথাটা স্বীকার করলে পাছে মোল্লাগীরী ছোটে
তাই তো বেচারা ফতোয়া বানায় কুরআন-কিতাব ঘেটে।
রসুল বলেন, রাস্ট্রপতি মুসলিম যদি হয়
তাহার সাথে যুদ্ধ করা বৈধ কভু নয়।
তা না হলে আমি কি আর থাকি ঘরে বসে
বীরপুরুষ সৈনিক আমি মরতে পারি হেসে।
কে না চাহে আল্লাহর রাহে শহীদী মৃত্যু পেতে
জিহাদ করা বৈধ হলে আমাকে পেতে সাথে।
ওমর ফারুক ভাবুক নেতা লড়াকু সৈনিক
ফাকিবাজ মোল্লার চাল ধরিতে পারেন ঠিক।
এগিয়ে এসে মুচকি হেসে বলেন, মোল্লা শোনো
এ জগতে কাফির রাষ্ট্র নেই কি কোথাও কোনো?
শহীদী মৃত্যু সত্যিই যদি চাও তুমি নির্ঘাত
সঙ্গী নিয়ে সেখানে গিয়ে বাধাও সংঘাত।
তাতে হিজরত হবে জিহাদ হবে উভয় পুরষ্কার
শহীদ হওয়ার এই পন্থাটা কেমন চমৎকার!
মোল্লাহ যায় ফেসে, বলে কষ্ট করে হেসে
কি কথা বলো তুমি? এতো ভীষণ সর্বনেশে
অন্যের দেশে হামলা করা ভীষণ অন্যায়
যামানার মোল্লারা আজ এই কথাই কয়।
উমর আসে তেড়ে, হংকার ছেড়ে বলে,
এ যামানার মোল্লারা সব গেছে রসাতলে।
কে বলেছে অন্যের দেশ? পৃথিবী আল্লাহর।
সবার দেশে মুসলমানের বৈধ অধিকার।
সৃষ্টি যার আইন তার সুস্পষ্ট নীতি
আল্লাহর আইন মানে না যে নয় সে রাষ্ট্রপতি।
হোক না মুসলমান, তার নেই কোনো সম্মান।
লড়াই করে নামাও তাকে সকল মুসলমান।
উমর ফারুকের এসব কথা চারিদিকে গেলো রটে
শুনে মোল্লারা গেলো চটে বুঝি মোল্লাগিরী ছোটে
এ যাবত কালে কখনও যারা আসেনি কো এক দলে
নানা মতে ভাগ হয়ে ছিল ব্যবসা করার তালে।
ব্যবসা ঠেকাতে এক জোট হয়ে ফতোয়া দিলো কষে
জঙ্গী আর সন্ত্রাসী বলে গালি দিল অবশেষে।
কেউ কেউ বলে কাফিরের চর খারেজী মতের লোক।
কাজ-কর্ম পাগলামী আর কথাগুলো অমুলোক।
এমনই হয়েছে যামানার হাল আজকাল সবখানে
দ্বীনের জন্য লড়াই করতে কেউ নাহি চায় মনে।
এ জামানায় অল্প কিছু মুজাহিদ যারা আছে
মোল্লারা সব একজোট হয়ে লেগেছে তাদের পিছে।
কাফিরের সাথে জোট বেধে তারা কাফিরের কথা মতো।
মুজাহিদদের দোষ বের করে শত শত অগনিত।
গোলাম তারা ইসলাম ছেড়ে তাগুতের দলে ভিড়ে।
তাগুতের পদ নিরাপদ রেখে দুনিয়া কামায় করে।
তারাই আবার বড়াই করে বড় গলায় বলে,
তাগুতের সাথে লড়াই করে যে সেই তাগুতের দলে।
দুনিয়া জোড়া মুসলিম যারা গাধার মত বোকা।
ভারাটে মোল্লার ফতোয়া শুনে খেয়ে যায় সব ধোকা।
এক চোখা সব মোল্লার সাথে এক মত হয়ে তারা
জিহাদ ছেড়ে ঘরে বসে থেকে ঈমান করে সারা।
শুধু একদল বীর মুজাহিদ সত্যে অটল থেকে
শত্রুর সাথে জিহাদ করে দ্বীনে অবিচল থাকে।
রসুলের বানী নিশ্চিত জানি সত্য হয় সদা।
জিহাদ চলবে কিয়ামত অবধি মানবে না কোনো বাধা।
!!
!!
শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
আধুনা কোনো মুসলিম দেশে হাজার লোকের ভিড়ে
ভেবো না যেনো গাড়ি বাড়ি আর বাহারী জিনিস দেখে
চক্ষু তাহার কপালে উঠিবে অন্তর যাবে বেকে।
অর্ধ ধরার বাদশা তিনি দুনিয়াতে নেই টান।
খুঁজিবেন শুধু শক্ত ঈমান পক্ত মুসলমান।
দেখিবেন যবে চারিদিকে সবে উলঙ্গপনা ঘোরে
মুসলিম দেশে কাফিরের বেশে নর-নারী চলে ফেরে।
হত্যার ভয়, মিথ্যার জয়, দূর্নীতি সব খানে।
চোর ডাকাতে দিনের আলোতে চলিতেছে সম্মানে।
মুসলিম হয়ে কাফিরের পায়ে লুটিতেছে উম্মত
অভিসপ্ত কাফিররা আজ পেয়েছে কি হিম্মত!
আল্লাহর তরে মোনাজাত করে ব্যাথিত হৃদয় নিয়ে
নামিয়েছো কেনো জংলী জাতি অসভ্যদের গাঁয়ে
আমি তো এসেছি আপন জাতি মুসলমানের খোঁজে।
কোথায় তারা নিয়ে চলো মোরে দেখিতে চায় নিজে।
রাস্তার পাশে মৌলোবী বেশে বুযর্গ এক জনা
ধমকিয়ে কহে, কে তুমি ওহে? কিছুই জানো না।
এই যে দেখো লম্বা দাড়ি, মোর লম্বা জোব্বা খানা।
এটা মুসলিম দেশ মুমিনের বেশ তাও কি বোঝো না।
জংলী বলো না, কপাল পোড়া ভীষণ পাপী হবে।
চারিদিকে দেখছো যাদের, মুসলিম তারা সবে।
খলীফা উমর রাগের চাপে ভীষণ ক্ষেপে বলে,
মুসলিম যদি তোমরা সবে এসব কিভাবে চলে।
উলঙ্গ নারী মনোহরী বেশে রাস্তা ঘাটে হাটে
ফেরাও তাকে এখনই যদি ঈমান থাকে ঘটে
রাস্তার পাশে মুক্ত আকাশে মদ হয় বেঁচা কেনা
সেখানে যত মাতাল লোকের রোজ হয় আনা গনা।
ধরে নিয়ে এসো একটা করে বেত নিয়ে এসো সাথে।
পৃষ্ঠ ওদের দগ্ধ করো শক্ত বেত্রাঘাতে।
ব্যাভিচারী নারী ঘুরাফিরা করে নাকের ডগা দিয়ে
ধরিয়া তাহাকে সাক্ষি সমেত রজম করো গিয়ে।
দুর্ণীতি যারা করে এদেশে চোর বা ডাকাত
ধরিয়া তাদের ওহে মোল্লা কাটিয়া দাও হাত।
এসব করে জগত জুড়ে শান্তি আনো ডেকে
চুরি ডাকাতি, দূর্নীতি আর থাকবে নাকো মোটে।
মোল্লা তখন ভুতের মতোন গোল্লা করে চোখ
অন্তরে তার ভীষণ ভয় বিদ্ধ করিছে নোখ।
কি বলো পথিক? কথা তো সঠিক, কিন্তু জানো কি ভাই?
এসব কাজ করিবার তরে সামর্থ তো নাই।
যা কিছু বলো সবই হলো রাষ্ট্রপতির কাজ
ঐ ব্যাটা তো ইসলামী নীতি মানিতে নারাজ।
হুকুমত গেছে তাগুতের হাতে খেলাফত গেছে ছুটে
আজ ইসলামী নীতি মানতে গেলে কপালে বিপদ ঘটে।
কি আর করা তাই মোরা অপেক্ষায় থাকি
কবে রাষ্ট্রপতি ইসলাম মানে সেটাই শুধু দেখি।
ওমর বলেন একি ক্ষতি, কিসের রাষ্ট্রপতি
লড়াই করে নামাও তারে জ্বালাও দ্বীনের বাতি।
মোল্লা তখন চিল্লায় জোরে ভীষণ ভয়ের চটে
চোখের সামনে স্ত্রী-পুত্র বাড়ি ঘর ভেসে ওঠে।
যুদ্ধের নামে অন্তর তার কম্পিত হয় জোরে
থাকতে চায় পরিবার মাঝে আমোদ প্রমোদ করে।
সত্য কথাটা স্বীকার করলে পাছে মোল্লাগীরী ছোটে
তাই তো বেচারা ফতোয়া বানায় কুরআন-কিতাব ঘেটে।
রসুল বলেন, রাস্ট্রপতি মুসলিম যদি হয়
তাহার সাথে যুদ্ধ করা বৈধ কভু নয়।
তা না হলে আমি কি আর থাকি ঘরে বসে
বীরপুরুষ সৈনিক আমি মরতে পারি হেসে।
কে না চাহে আল্লাহর রাহে শহীদী মৃত্যু পেতে
জিহাদ করা বৈধ হলে আমাকে পেতে সাথে।
ওমর ফারুক ভাবুক নেতা লড়াকু সৈনিক
ফাকিবাজ মোল্লার চাল ধরিতে পারেন ঠিক।
এগিয়ে এসে মুচকি হেসে বলেন, মোল্লা শোনো
এ জগতে কাফির রাষ্ট্র নেই কি কোথাও কোনো?
শহীদী মৃত্যু সত্যিই যদি চাও তুমি নির্ঘাত
সঙ্গী নিয়ে সেখানে গিয়ে বাধাও সংঘাত।
তাতে হিজরত হবে জিহাদ হবে উভয় পুরষ্কার
শহীদ হওয়ার এই পন্থাটা কেমন চমৎকার!
মোল্লাহ যায় ফেসে, বলে কষ্ট করে হেসে
কি কথা বলো তুমি? এতো ভীষণ সর্বনেশে
অন্যের দেশে হামলা করা ভীষণ অন্যায়
যামানার মোল্লারা আজ এই কথাই কয়।
উমর আসে তেড়ে, হংকার ছেড়ে বলে,
এ যামানার মোল্লারা সব গেছে রসাতলে।
কে বলেছে অন্যের দেশ? পৃথিবী আল্লাহর।
সবার দেশে মুসলমানের বৈধ অধিকার।
সৃষ্টি যার আইন তার সুস্পষ্ট নীতি
আল্লাহর আইন মানে না যে নয় সে রাষ্ট্রপতি।
হোক না মুসলমান, তার নেই কোনো সম্মান।
লড়াই করে নামাও তাকে সকল মুসলমান।
উমর ফারুকের এসব কথা চারিদিকে গেলো রটে
শুনে মোল্লারা গেলো চটে বুঝি মোল্লাগিরী ছোটে
এ যাবত কালে কখনও যারা আসেনি কো এক দলে
নানা মতে ভাগ হয়ে ছিল ব্যবসা করার তালে।
ব্যবসা ঠেকাতে এক জোট হয়ে ফতোয়া দিলো কষে
জঙ্গী আর সন্ত্রাসী বলে গালি দিল অবশেষে।
কেউ কেউ বলে কাফিরের চর খারেজী মতের লোক।
কাজ-কর্ম পাগলামী আর কথাগুলো অমুলোক।
এমনই হয়েছে যামানার হাল আজকাল সবখানে
দ্বীনের জন্য লড়াই করতে কেউ নাহি চায় মনে।
এ জামানায় অল্প কিছু মুজাহিদ যারা আছে
মোল্লারা সব একজোট হয়ে লেগেছে তাদের পিছে।
কাফিরের সাথে জোট বেধে তারা কাফিরের কথা মতো।
মুজাহিদদের দোষ বের করে শত শত অগনিত।
গোলাম তারা ইসলাম ছেড়ে তাগুতের দলে ভিড়ে।
তাগুতের পদ নিরাপদ রেখে দুনিয়া কামায় করে।
তারাই আবার বড়াই করে বড় গলায় বলে,
তাগুতের সাথে লড়াই করে যে সেই তাগুতের দলে।
দুনিয়া জোড়া মুসলিম যারা গাধার মত বোকা।
ভারাটে মোল্লার ফতোয়া শুনে খেয়ে যায় সব ধোকা।
এক চোখা সব মোল্লার সাথে এক মত হয়ে তারা
জিহাদ ছেড়ে ঘরে বসে থেকে ঈমান করে সারা।
শুধু একদল বীর মুজাহিদ সত্যে অটল থেকে
শত্রুর সাথে জিহাদ করে দ্বীনে অবিচল থাকে।
রসুলের বানী নিশ্চিত জানি সত্য হয় সদা।
জিহাদ চলবে কিয়ামত অবধি মানবে না কোনো বাধা।
!!
!!
শায়েখ আব্দুল্লাহ আল মুনীর
Comment