(চিন্তাধারা - ৩)
শায়খ আবু সুফিয়ান আল-আযদির রাহিমাহুল্লাহ বক্তব্য
কখন আমরা শরীয়াহ দিয়ে শাসন করবো?
ধরুন আপনি একটি জাহাজে আছেন। জাহাজ আটলান্টিক মহাসাগর পাড়ি দিচ্ছে। বিশাল জাহাজ। হঠাৎ বিশাল জাহাজ বিশাল হিমশৈলের সাথে ধাক্কা খেল।
.
জাহজের একদিক ফুটো হয়ে গেল। হুড়হুড় করে পানি ঢুকছে। জাহাজ প্রতি মূহুর্তে পানিতে একটু একটু করে তলিয়ে যাচ্ছে। জাহাজের গায়ে ফাটল আস্তে আস্তে বড় হচ্ছে। ফাটল বন্ধ না করা হলে জাহাজের সলিল সমাধি অবধারিত। প্রথম ধাক্কায় মনে হল জাজাহের সব যাত্রী পাগল হয়ে গেছে। সবাই চিতকার-চেচামেচি করছে, কান্না করছে, কেউ স্তব্ধ হয়ে আছে।
.
একসময় দেখা গেল পানির সাথে সাথে বেশ কিছু পিরানহা মাছও ডুবন্ত জাহাজের ভেতর ঢুকে পড়েছে। আর আহত, মানুষের মাংস জীবন্ত ছিড়ে খাচ্ছে। এবার যাত্রীরা সম্বিৎ ফিরে পেল। কিভাবে এই অবস্থা থেকে বাঁচা যায় সবাই চিন্তা করতে শুরু করলো। কিছু একটা করতে হবে, নিজেদের বাঁচাতে হবে - এই ব্যাপারে সবাই একমত। কিন্তু কাজটা কোন পদ্ধতিতে করা হবে, সেটা নিয়ে মতপার্থক্য। দেখা গেল বেশ কয়েকটা দল তৈরি হয়ে গেছে। সম্ভাব্য সমাধানের ব্যাপারে একেক দল একেক কথা বলছে।
.
একদল বললো আমাদের এখন মূল কাজ হল নিরাপত্তা বজায় রাখার যে নিয়ম সেগুলো মেনে চলা। কারন সেগুলো মেনে চলা হলে এমন বিপদ হতো না।
.
আরেক দল বললো আমাদের এখন কাজ হল নিজেদের সৎ, নৈতিক, ভাল মানুষ হিশেবে গড়ে তোলার চেস্টা করা। কারন ভালো মানুষের সাথে কখনো খারাপ হয় না।
.
আরেক দল বললো – এই অদ্ভুত পাগলামি বাদ দাও, আমরা এখন মরতে বসেছি! আমাদের কাজ হল এই যে পিরানহা মাছ ঢুকে পড়েছে, এগুলোকে বের করা। নইলে আমরা সবাই মারা পড়বো।
.
আরেক দল বললো – তোমাদের সবার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। আমরা তো পানিতে ডুবেও মারা যেতে বসেছি। আমাদের জন্য আবশ্যক প্রথম কাজ হল, সবাই মিলে পানি সেঁচা।
.
শেষ দল বললো – ভাইয়েরা এই প্রতিটি কাজই কোন না কোন সময়ে করা দরকার, কিন্তু এই মূহুর্তে আমরা যদি জাহাজের ফাটল বন্ধ না করি তাহলে কোন ভাবেই এই বিপদ থেকে উত্তরণের কোন সুযোগ আমাদের নেই।
.
.
আপনি কোন দলের সাথে যোগ দিতেন?
.
.
বি’ইযনিল্লাহ চিন্তাশীলরা এতে চিন্তার খোরাক পাবেন।
.
ইউটিউবে দেখুন:
আর্কাইভ ডাউনলোড লিঙ্ক:
https://archive.org/download/WhenWeW...eByShariah/mp4
https://justpaste.it/AlHikmah
Comment