Announcement
Collapse
No announcement yet.
Audio || অাল্লাহর ইবাদাতে শিরক হয় যেভাবে || শাইখ সাইদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
Collapse
X
-
Audio || অাল্লাহর ইবাদাতে শিরক হয় যেভাবে || শাইখ সাইদুর রহমান হাফিজাহুল্লাহ
Last edited by Taalibul ilm; 06-10-2017, 11:16 PM.الَّذِينَ يَسْتَمِعُونَ الْقَوْلَ فَيَتَّبِعُونَ أَحْسَنَهُ أُولَئِكَ الَّذِينَ هَدَاهُمُ اللَّهُ وَأُولَئِكَ هُمْ أُولُو الْأَلْبَابِ
“যারা মনোযোগ সহকারে কথা শুনে এবং উত্তম কথাসমূহের অনুসরণ করে; এরাই হচ্ছে সেসব লোক যাদের আল্লাহ তা’আলা সৎপথে পরিচালিত করেন, আর এরাই হচ্ছে বোধশক্তিসম্পন্ন মানুষ।” (সূরা আয যুমার ৩৯: ১৮)Tags: None
-
বুঝমান আলেম ভাইরা বয়ানটা একটু মনযোগ দিয়ে শুনার আবেদন রইলো।
আমার কাছে কিছু স্থান কেমন যেন মনে হচ্ছে,
তবে জামাতুল মুজাহিদীনের ভাইদের বলবো, আপনারা কোন বিতর্কিত বিষয় যেমন মাযহাব সে বিষয়ে আলোচনা না করলেই ভালো হয়,
এই বয়ানের আলোচনার মধ্যে যা একটু খটকা মনে হয়েছে, তার ব্যপারে একটু টাচ দিচ্ছি,
১. এখানে মাযহাব ওয়ালাদেরকে এক ধরণের মুশরিক আক্ষ্যা দেওয়া হয়েছে,
২. মাযহাব ওয়ালাদেকে ইহুদি এবং খৃস্টবাদের প্রতি মিল বলা হয়েছে,
৩. মাযহাব ওয়ালাদেরকে মুর্তি পুজকদের সাথে তুলনা করা হয়েছে,
৪. মাযহাব ওয়ালারা সাহাবাদের মতকে আকিদাকে যথেস্ট মনে করেন না,
আরো কিছু বিষয় আছে এমন,
আমি মনে করি এই ধরণের আলোচনার দ্বারা কঠিন ফিতনা ছড়িয়ে পড়বে, এবং আমাদের লক্ষে পোছার ক্ষেত্রে বেঘাত ঘটতে পারে, তবে আমার দৃস্টিতে পড়লো তাই আমি বললাম, দায়ীত্বশীল ভাইদের হাতে বিষয়টি ছেড়ে দিলাম, এখানে যদি আমার বুঝার ভুল হয়ে থাকে তাহলে একটু বুঝিয়ে দিবেন দলিল প্রমাণসহ সঠিক দ্বীন মানার ব্যাপারে আমাকে অনুগত পাবেন ইনশা..Last edited by আবুল ফিদা; 06-10-2017, 10:43 AM.দ্বীনকে আপন করে ভালোবেসেছে যারা,
জীবনের বিনিময়ে জান্নাত কিনেছে তারা।
Comment
-
বক্তব্যটির শুরুর অংশের আলোচনা বেশ সুন্দর। তবে পরবর্তী অংশে বেশ কয়েকটি বিষয় বিভ্রান্তিপূর্ণ। যেমন-
এক. ২২ মিনিটের মাথায় শরীয়তের দলীল চারটি হওয়ার উপর আপত্তি করা হয়েছে। কুরআন-হাদীস ও ইজমা (তবে শুধু ইজমায়ে সাহাব রাদি.)কে দলীল হিসেবে মানলেও কিয়াসের উপর আপত্তি করা হয়েছে। কিয়াসকে শরীয়তের দলীল হিসেবে মানাকে তিনি সঠিক মনে করেন না। এ হিসেবে শরীয়তের দলীল চারটি তথা কুরআন-হাদীস-ইজমা-কিয়াস কথাটা উনার নিকট সঠিক নয়।
কুরআন হাদীসের আলোকে কিয়াস শরীয়তের দলীল হয় কিভাবে সে বিষয়ে আলোচনায় যাচ্ছি না। তবে এতটুকু তো স্পষ্ট যে, উম্মাহর মুজতাহিদীনে কেরামে (যাদের মাঝে চার মাজহাবের ইমাম ও তাদের অনুসারীগণও আছেন) কিয়াসকে দলীল হিসেবে মানেন। তবে কিয়াসকে তারা কখনোই কুরআন হাদীসের সমমান দেননি। বরং কিয়াসের অনুমতি তখনই দিয়েছেন যখন কুরআন হাদীসে স্পষ্ট সমাধান না পাওয়া যায়। কুরআন হাদীসে যখন স্পষ্ট সমাধান না পাওয়া যায় তখন শরীয়তের অন্যান্য বিধানের দিকে তাকিয়ে বিবাদমান বিষয়ে কি সমাধান হতে পারে তা বের করার নামই কিয়াস। একে অন্য অর্থে ইজতিহাদও বলা হয়। কুরআনে কারীমে ইজতিহাদের উপর গুরুত্বারুপ করা হয়েছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজে ইজতিহাদ করেছেন। সাহাবায়ে কেরাম রাদি. রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর জীবদ্দশায় ইজতিহাদ করেছেন এবং তিনি তার সমর্থনও করেছেন। হাদীসে এ ব্যাপারে অনেক বিবরণ এসেছে। এতদসত্ত্বে কিয়াসকে প্রত্যাখ্যান করার কোন যৌক্তিকতা দেখছি না। যদি একান্ত কারো এ ব্যাপারে আপত্তি থাকে তাহলে সে ব্যাপারে ইলমী আলোচনা হতে পারে। কিন্তু সর্বস্বীকৃত এমন একটি বিষয়ে মতভেদ করে সে আলোচনা একটা জিহাদী মিডিয়ায় প্রকাশ করার কি অর্থ বুঝে আসছে না।
আরো আশ্চর্য্যের বিষয় বক্তা নিজেই গজওয়ায়ে যাতুস সালাসিলে হযরত আমর ইবনুল আস রাদি. এর ইজতিহাদের কথা বর্ণনা করেছেন এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যে তাকে সমর্থন দিয়েছেন তাও উল্লেখ করেছেন। এরপর তিনি নিজেই আইম্মায়ে কেরামের ইজতিহাদ ও কিয়াসকে কিভাবে প্রত্যাখ্যান করছেন এবং সেটাকে শিরিকের অসীলা বলে ব্যক্ত করছেন তা বুঝে আসছে না। তবে হ্যাঁ, কারো কোন কিয়াস যদি সুস্পষ্ট কুরআন হাদীসের বিপরীত হয় তাহলে সেটা প্রত্যাখ্যান করে কুরআন হাদীস মতে আমল করা হবে। কিন্তু কিয়াস ও ইজতিহাদকে একেবারেই প্রত্যাখ্যান করা এবং সেটাকে শিরিকের অসীলা সাব্যস্ত করার কোন যৌক্তিকতা দেখছি না। সাথে সাথে এই আলোচনা জিহাদী মিডিয়ার পক্ষ থেকে প্রচার করার মাঝে জিহাদের কোন উপকারীতাও দেখছি না। বরং এর দ্বারা বিভ্রান্তি ছড়ানো এবং মতভেদ বৃদ্ধি পাওয়ার যথেষ্ট সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই. ৪২ মিনিটের মাথায় মাজহাব (যেমন হানাফী, শাফেয়ী, হাম্বলী…) সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে চরম বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। বিভিন্ন মাজহাব সৃষ্টির প্রেক্ষাপটে বলা হয়েছে, কুরআন হাদীস ছেড়ে ইমামগণ বিবাদমান বিষয়ে নিজেরাই মত দিয়েছেন। একেক জনের মত একেক রকম হয়েছে। এভাবেই বিভিন্ন মাজহাব সৃষ্টি হয়েছে। লা হাওলা ওয়ালা কুউয়াতা ইল্লা বিল্লাহ্। এটা যে কত বড় মিথ্যাচার আর উম্মতে মুসলিমার উপর কত বড় অপবাদ তার আলোচনা নিষ্প্রয়োজন।
মাজহাবের বিষয়ে তিনি বেশ অনেকক্ষণ আলোচনা করেছেন। কুরআন হাদীস বাদ দেয়ার কারণে যে সেগুলো কিভাবে সৃষ্টি হলো, কিভাবে তা শিরিকের অসীলা হয়েছে-হচ্ছে-এবং হবে তিনি তা অত্যন্ত স্পষ্ট এবং জোরালোভাবে ব্যক্ত করেছেন। বিভিন্নভাবে বিষয়টাকে পরিষ্কার করার চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন,
- কুরআন হাদীস ছেড়ে ইমামগণ নিজেরা মত দিয়েছেন বলেই মতভেদ হয়েছে এবং বিভিন্ন মাজহাব সৃষ্টি হয়েছে। কুরআন হাদীস মানলে এমনটা হত না।
- ইমামদের অনুসারী মুজতাহিদ ও জনসাধারণ কুরআন হাদীস বাদ দিয়ে নিজেদের ইমামদের ইজতিহাদের অনুসরণ করে যাচ্ছে। এভাবে ব্যক্তি পূজা হচ্ছে। যেমন, ইয়াহুদী ও খ্রিস্টানরা আল্লাহ তাআলার শরীয়ত ছেড়ে ব্যক্তি পূজা করত এবং যেমন নূহ আলাইহিস সালামের উম্মত আল্লাহর শরীয়ত বাদ দিয়ে তাদের ভাল লোকদের মূর্তি বানিয়ে সেগুলোর পূজা করত।
- তিনি আশঙ্খা করছেন অচিরেই হয়তো ইমামদের অনুসারীরা তাদের ইমামদের মূর্তি বানাবে এবং সেগুলোর পূজা করবে। মসজিদেও হয়তো সেসব মূর্তি স্থাপন করা হবে। মসজিদে সেসব মূর্তি অচিরেই হয়তো দেখা যাবে।
তিন. ৩৫ মিনিটের মাথায় বলেছেন, আবু হানীফা রহ. [উল্লেখ্য যে, (রহ.) আমি নিজে থেকে লাগিয়েছি। তিনি (রহ.) বলেননি।] এর সাথে তার যোগ্য দুই শাগরেদ তথা আবু ইউসুফ রহ. এবং মুহাম্মাদ রহ. (যাদেরকে সাহেবাইন বলা হয়) ইখতিলাফ-মতভেদ করেছেন। তিনি মনে করেন, প্রায় দশ আনা মাসআলার মধ্যে তারা তার সাথে মতভেদ করেছেন। তিনি বলেন, মতভেদের কারণ হচ্ছে, আবু হানীফার যুগে হাদীস ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকার কারণে তার কাছে অনেক হাদীস পৌঁছেনি। ফলে তিনি নিজে থেকে ইজতিহাদ করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। পরে তার শাগরেদদের নিকট যখন হাদীস পৌঁছে গেল। তখন তারা আবু হানীফার মত ছেড়ে দিয়ে কুরআন সুন্নাহ অনুযায়ী সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। এভাবেই মতভেদটা হয়েছে।
তিনি বলেন, কিন্তু দু:জনক হল, আবু হানিফার অনুসারিরা তাদের ইমামের ভক্তির কারণে তার ভুল মাসআলাগুলো ছাড়তে রাজি হয়নি। তারা এখনোও সেগুলোর অনুযায়ী ফতোয়া দেয়। সেগুলো অনুযায়ীই আমল করেন। তিনি বলেন, তবে যেখানে তারা সুবিধা পায় সেখানে আবু হানিফার মত পরিত্যাগ করে। সেখানে তারা সাহেবাইনের মতানুযায়ী ফতোয়া দেয়। তিনি বলেন, এজন্য আপনারা দেখবেন অনেক জায়গায় লেখা আছে- এ মাসআলায় সাহেবাইনের মতের উপর ফতোয়া দেয়া গেল।
আবু হানীফা, সাহেবাইন, হানাফী মাজহাব এবং এর অনুসারিদের ব্যাপারে এই হলো উনার বক্তব্য।
এ সব বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে সময় নষ্ট করতে চাই না। উম্মাহর এখন এ সব বিষয়ে আলোচনা পর্যালোচনার দরকার অনেকই কম। আগে আল্লাহ তাআলার শরীয়ত কায়েম হোক, তারপর দেখা যাবে কোনো মাজহাব থাকবে না’কি মাজহাব ছাড়াই আমল করা হবে; না’কি সব মাজহাবের সমন্ময় ঘটানো হবে, না’কি অন্য কিছু করা হবে। আগে উম্মাহ মুক্ত হোক তারপর এসব দেখা যাবে। কিন্তু বক্তা যে অবিচার আর জুলুমটা করেছেন তাতে দু’চারটা কথা না বলে পারছি না। তাই বলি,
- মাজহাব সৃষ্টি হয়েছে কুরআন হাদীস ছাড়ার কারণে নয় বরং কুরআন হাদীস মানার কারণে। কুরআন হাদীসেরই আলোকে মতভেদ হয়েছে এবং একেকটা মাজহাব হয়েছে। প্রত্যেক মাজহাবেরই তাদের নিজেদের মাসআলার পক্ষে দলীল আছে। তবে কারো দলীল দুর্বল হতে পারে। দলীলের আলোকে যদি কোনো মাজহাবের মাসআলা দুর্বল প্রমাণিত হয় তাহলে সেটা মানবো না। কিন্তু আপনি মাজহাব সৃষ্টির যে প্রেক্ষাপট উল্লেখ করেছেন তা এক মহা মিথ্যা এবং অপবাদ। শত-হাজারো মুজতাহিদ এবং কোটি কোটি মুসলিম জনসাধারণের উপর আপনি অপবাদ আরোপ করেছেন। শরীয়তের আলোকে আপনাকে তা’জির করা তথা যথোপোযুক্ত শাস্তি প্রদান করা আবশ্যক।
- মুসলিম উম্মাহর আইম্মা ও মুজতাহিদগণকে পূর্ব যামানার মুশরিক, নূহ আলাইহিস সালামের মুশরিক উম্মত এবং ইয়াহুদ নাসারার সাথে তুলনা করেছেন। আপনার মত ব্যক্তির এ ধরণের জঘন্য বক্তব্য কোন জিহাদী মিডিয়া থেকে প্রকাশ করা যে কিভাবে সম্ভব হল আমি বুঝতে পারছি না।
- মতভেদ শুধু আবু হানীফা রহ. এবং তার শাগরেদদের মাঝেই হয়নি, দুনিয়ার সকল ইমামের সাথেই অন্যান্য ইমামগণের এবং ইমামগণের নিজেদের শাগরেদ ও অনুসারিদের মতভেদ হয়েছে। যদি এটা দোষ হয় তাহলে শুধু আবু হানিফা রহ. কেন সকলেই সমান দোষে দোষী। অবশ্য আপনার আলোচনা থেকে বুঝে আসছে আপনি চারো মাজহাবের ইমামগণ এবং তাদের অনুসারিদের উপরই অপবাদ আরোপ করছেন। তবে আবু হানিফা রহ. কে একটু বিশেষ নজরে দেখেছেন। কাজেই এ ব্যাপারে আপনাকে পক্ষপাতদুষ্ট বলা যায় না।
- মতভেদের কারণ শুধু একটাই উল্লেখ করেছেন যে, কারো কাছে হাদীস পৌঁছেছে আর কারো কাছে পৌঁছেনি। এজন্যই মতভেদ হয়েছে। এই ধরণের বক্তব্য আপনার মূর্খতার বড় দলীল। মতভেদের কারণ শুধু একটা নয়, অনেক কারণ আছে। হাদীস না পৌঁছাই শুধু মতভেদের কারণ নয়। কুরআন ও সকল হাদীস সামনে থাকার পরও মতভেদ হতে পারে এবং হয়েছেও। তবে আপনার হয়তো সেসব বিষয়ের খবর নেয়ার সুযোগ হয়নি। কষ্ট করে একটু যদি আপনি শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ. এর (রফউল মালাম আনিল আইম্মাতিল আ’লাম) পুস্তিকাটা পড়ে দেখতেন তাহলে আপনার মোটামুটি একটা ধারণা হয়ে যেত যে, মতভেদের কি কি যুক্তিসঙ্গত কারণ থাকতে পারে।
- আপনি হানাফী আইম্মা, মুজতাহিদ এবং সাধারণ অনুসারিদেরকে অপবাদ দিয়েছেন যে, তারা ব্যক্তিপূজারী। অবশ্য এ অপবাদ শুধু হানাফীদেরকে দিয়েছেন তা না, আপনার কাছে তো সব মাজহাব এক রকমই। তবে হানাফীদেরকে বিশেষ করে যে অপবাদটা দিয়েছেন সেটা হচ্ছে, সাহেবাইনের মত কুরআন হাদীস অনুযায়ী হওয়া সত্ত্বেও তারা আবু হানিফার ভুল মতের উপর ফতোয়া দেয়। তবে যেখানে সুবিধা মনে হয় সেখানে আবু হানিফারটা ছেড়ে সাহেবাইনেরটার উপর ফতোয়া দেয়। অর্থাৎ হানাফীরা পাকাপোক্তা ব্যক্তিপূজারীও নয়। বরং তারা ‘সুবিধাবাদ জিন্দাবাদ’ মতাদর্শী।
তো আমি বলি, ইমামের মত ছেড়ে শাগরেদের মতের উপর ফতোয়া তো সব মাজহাবেই দেয়া হয়। এটা দোষ হলে শুধু হানাফিদের কেন সকলেরই দোষ হবে। অবশ্য আপনার নিকট তো সব মাজহাবই ব্যক্তিপূজারী। হানাফিদের সমাজে বসবাস করেন বলে হয়তো হানাফিদের কথা বিশেষভাবে উল্লেখ করেছেন। এদেশে হানাফিদেরকে বড় ফেতনাবাজ মনে হয়েছে হয়তো তাই…।
যাইহোক, প্রকৃত বিষয়টা হয়তো আপনার খেয়ালে আসেনি যে, আসলে কোন মাসআলায় আবু হানিফার মতের উপর ফতোয়া দেয়া আর কোন মাসআলায় সাহেবাইনের মতের উপর ফতোয়া দেয়া সুবিধাবাদের কারণে নয়, বরং কুরআন হাদীসের আলোকে সঠিক সমাধান তালাশের উদ্দেশ্যে। কারণ, আমাদের আইম্মায়ে কেরাম না আবু হানিফাকে মা’ছুম মনে করেন, না সাহেবাইনকে। সকলেরই ভুল হতে পারে। যে মাসআলায় আবু হানিফার দলীল শক্তিশালী মনে হয়েছে সেখানে আবু হানিফার মত অনুযায়ী আর যে মাসআলাতে সাহেবাইনের দলীল শক্তিশালী মনে হয়েছে সে মাআলাতে সাহেবাইনের মতানুযায়ী ফতোয়া দেয়া হয়েছে। আপনি যে সব মাসআলায় সাহেবাইনের মতানুযায়ী ফতোয়া দেয়া হয়েছে লেখা দেখেছেন সেগুলোর আগে পড়ে এ সত্য কথাটাও লেখা আছে। সব স্থানে না থাকলেও অনেক জায়গাতেই আছে। আপনার হয়তো সেটা নজরে পড়েনি । কিংবা আপনি যে সব জায়গা দেখেছেন সেগুলোতে হয়তো লেখা ছিল না। এরপর আপনি এর সঠিক কারণ অনুসন্ধান করার পরিবর্তে হানাফীদের প্রতি বিদ্বেষবশত হয়তো মনের ক্ষোভটা তাদের উপর ঢেলেছেন। তাদেরকে সুবিধাবাদি সাব্যস্ত করেছেন। বদধারণা যে হারাম সেটা হয়তো আপনার স্বরণ ছিল না।
- আপনার আশঙ্খা হচ্ছে অচিরেই হয়তো মাজহাবের ইমামদের পূজা হবে। তাদের মূর্তি বানানো হবে। সেগুলো মসজিদে মসজিদে বসানো হবে। অচিরেই হয়তো মসজিদে মূর্তিগুলো দেখা যাবে।
আল্লাহ তাআলা এ ধারণাকে সত্য না করুন। মাজহাবের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করার মত লোকের অবশ্য অভাব নেই। যাদের সামনে উম্মাহর দু:খের চিত্রগুলো ভাসে না তারা মাজহাব নিয়ে বাড়াবাড়ি করছেন। সামনে আরো বেশিও করতে পারেন। তবে হয়তো সেটা পূজা পর্যান্ত গড়াবে না। মসজিদে মসজিদে হয়তো ইমামদের মূর্তি দেখা যাবে না। আল্লাহ তাআলা আপনার আশঙ্খাকে সত্য না করুন। চৌদ্দশত বছরে আশাকরি কোন মাজহাবের কোন ইমামের পূজা হয়নি। মূর্তিও হয়তো বসেনি। আল্লাহ তাআলার কাছে দোয়া করি সামনে যেন কোন ইমামের পূজা না হয়। কোন মসজিদে যেন কোন ইমামের মূর্তি দেখা না যায়। হে আল্লাহ তুমি কবুল কর। আমীন!
সর্বোপরি কথা, এই বক্তব্য সত্যের পাশাপাশি মিথ্যাচার আর অপবাদে পরিপূর্ণ। এটার প্রচার প্রসারের দ্বারা জিহাদের কাজের তেমন কোন উপকার হবে বলে মনে হচ্ছে না। উপরন্তু হিংসা-বিদ্বেষ, মতভেদ এবং দলাদলী সৃষ্টি হওয়ার প্রবল আশঙ্খা রয়েছে। ‘আল-বুরকান’ মিডিয়ার ভাইদের প্রতি অনুরোধ থাকলো এ ধরণের বক্তব্য প্রচার না করার জন্য। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে সত্য বুঝে আমল করার তাওফীক দান করুন। আমীন!
Last edited by ইলম ও জিহাদ; 06-10-2017, 11:56 PM.
Comment
-
আলোচনাটিতে অযাচিতভাবে মাজহাব, ফিকহ ইত্যাদি বিষয়ে বিতর্কিত কিছু কথা আনা হয়েছে, যার ফলশ্রুতিতে এখানে ফোরাম ভিজিটররা ইখতেলাফী বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিতর্কে লিপ্ত হয়ে যেতে পারেন যা এই ফোরামের মূল উদ্দেশ্য এর সাথে সংগতিপূর্ণ নয়। তাই আলোচনাটির ডাউনলোড লিংক মুছে দেয়া হল।
বুরকান মিডিয়ার ভাইদেরকে অনুরোধ করবো, আপনারা পোষ্টটি নিজেরা ডিলিট করে দিন, আর ইখতেলাফী ইস্যু নিয়ে কোন বয়ান পাবলিশ না করাই জিহাদী মিডিয়ার জন্য কাংখিত।
ওয়াসসালাম।কথা ও কাজের পূর্বে ইলম
- Likes 4
Comment
-
ইলম ও জিহাদ ভাইয়ের কমেন্টে বক্তব্যের প্রধান সমালোচনীয় দিকগুলো চলে এসেছে। ইলম ও জিহাদ ভাই হয়তো জযবার কারণে একটু কঠিন ভাষা ব্যবহার করেছেন। তবে কথা যা বলেছেন সত্যই বলেছেন।
বক্তব্যটা শুনে মনে হল বক্তা একজন মাজহাব এবং হানাফী বিদ্বেষী ব্যক্তি। এই ধরণের বক্তব্য শুনে যদি কেউ জিহাদের পথে আসেও তাহলে তার অন্তরে মুসলিম উম্মাহর আইম্মায়ে কেরাম, মুজতাহিদীন এবং সাধারণ জনগণের বিদ্বেষ বুকে ধারণ করে আসবে। এরপর তার হাতে অস্ত্র আসলে তার বিদ্বেষের বহি:প্রকাশ ঘটবে মুসলিমদের রক্ত প্রবাহিত করণের মধ্য দিয়ে।
জিহাদের দাওয়াত দেয়া চাই উম্মাহর প্রতি দরদ দেখিয়ে। আইম্মায়ে কেরাম ও মুজতাহিদীনের প্রতি সম্মান দেখিয়ে। আইম্মায়ে কেরাম দ্বীনের সহীহ ব্যাখ্যা দিয়ে যাওয়ার কারণেই আজ আমরা সহীহ দ্বীন মানতে পারছি। মুসলিম উম্মাহর যত মানুষ দ্বীনের উপর চলবে তাদের সকলের সওয়াবের সমান সওয়াব আইম্মায়ে কেরাম কবরে বসে পেয়ে যাবেন। কারণ, তাদের দেখানো পথে উম্মাহ চলছে। মুসলিম উম্মাহর উপর মুজতাহিদীনে কেরামের ইহসানের কোন সীমা পরিসীমা নেই। কুরআন হাদীসের নাম করে আইম্মায়ে কেরামের সমালোচনার বীজ যুবকদের অন্তরে প্রোথিত করলে তারা ক্ষমতা পেয়ে মুসলিম উম্মাহর রক্ত প্রবাহিত করতে কোন দ্বিধা করবে না। তাই জিহাদের দাওয়াত দিয়ে কাউকে বিদ্বেষী না বানানো চাই।
আফগান জিহাদের বেলায় আমরা জানি যে, অনেক আরব সালাফী যুবক আফগানদের তাবীজ-তুমার … ইত্যাদী দেখে জিহাদ ছেড়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন। আব্দুল্লাহ আযযাম রহ. তাদেরকে বুঝিয়েছেন। তারা বুঝতে পেরেছেন। এরপর তারা এসব লোকেরই কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়াই করেছেন। এদের জন্যই এই আরবীয় সম্ভ্রান্ত যুবকগুলো জীবন দিয়ে গেছেন।
জিহাদের দাওয়াত তো এমনই হওয়া চাই যেন মতভেদে লিপ্ত যুবকেরা সব ভেদাভেদ ভুলে আসল দুশমন কাফের মুরতাদ আর তাগুতদের বিরুদ্ধে লড়তে প্রস্তুত হয়। পক্ষান্তরে যদি যারা মতভেদ থেকে দূরে তাদের মাঝেও হিংসা বিদ্বেষ আর মতভেদের আগুন জ্বালিয়ে দেয়া হয় তাহলে এতে মুসলিম উম্মাহর কোন উপকার হওয়ার পরিবর্তে কাফের মুরতাদদেরই উপকার হবে। দাওয়াতের ক্ষেত্রে এসব কথা নতুন নয়। এসব বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ। আল্লাহ তাআলা আমাদেরকে তাওফীক দান করুন।
Comment
Comment