মুখে মুখে আমরা কম বেশি সবাই শুনেছি একটি নাম -- চেঙ্গিস খান। কে এই লোক? ভিলেন নাকি হিরো? মুসলিম নাকি কাফের? রামাদানের সাথে চেঙ্গিস খানের কী সম্পর্ক? হুম, সম্পর্ক আছে বৈকি।
চেঙ্গিস খান ছিলো পৃথিবীর ধ্বংসযজ্ঞের কারিগর, নারকীয়তার শিল্পী। তার নেতৃত্বে তাতার জাতি মুসলিম বিশ্বে আক্রমণ চালালো, এটা তেরো শতাব্দীর কাহিনি। প্রথমে আক্রমণ করলো বুখারা, এ যুগের উজবেকিস্তান। চেঙ্গিস খান কথা দিলো, যদি মুসলিমরা আত্নসমর্পণ করে তাহলে সে তাদের কোনো ক্ষতি করবেনা। মুসলিমরা আত্নসমর্পণ করলো। চেঙ্গিস খান মুহূর্তের মাঝে চুক্তি ভঙ্গ করলো, এত বেশি মুসলিমকে হত্যা করল যে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই! আর এভাবেই শুরু।
ধর্ষণ-গণহত্যা-লুটপাট-নৃশংসতা-ত্রাস ছিলো তার যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি। তাতারদের নিষ্ঠুরতা তৎকালীন ইতিহাসবিদ ইবন আল-আসীরের কলমকে আক্ষরিক অর্থে চার বছরের জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিলো। একে একে তাতাররা দখল করে নিলো বুখারা, সমরখন্দ, আফঘানিস্তান, ইরাক, শাম। তৎকালীন আব্বাসি খিলাফতের রাজধানী ছিল বাগদাদে। খলিফা কোনো প্রতিরোধ গড়লো না, গড়ার চেষ্টাও করলো না। তাতাররা বাগদাদকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেললো, খলিফাকে হত্যা করলো। এরপর শাম দখল করলো, বাকি থাকলো ইসলামের একটিমাত্র দূর্গ -- মিশর।
কেন মুসলিমরা তাতারদের সাথে পেরে উঠলো না? মুসলিমদের অর্থসম্পদ, লোকবল, সামরিক শক্তিমত্তা -- কোনোকিছুরই অভাব ছিলো না। তাহলে কেন?
তাদের অভাব ছিলো স্পৃহা, রুখে দাঁড়াবার কোনো আগ্রহ, ইচ্ছা, প্রত্যয় কিছুই তাদের ছিলো না। একের পর একটি দেশ দখল হয়ে যাচ্ছিলো, আর সবাই চেয়ে চেয়ে দেখছিলো। আর শাসকবর্গ ছিলো এক কাঠি সরেস। তাদের কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে তাতারদের সাথে এক হয়ে প্রতিবেশি মুসলিমদেশ দখল করতে হাত বাড়িয়ে দিলো যেন নিজের গদিকে অক্ষত রাখা যায়। যে সালাহ আদ-দ্বীন উম্মাহকে কিছুকাল আগে এক করেছিলেন, তার ‘বীরপুঙ্গব’ অকর্মণ্য ছেলে আর নাতিরা তখন নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে মত্ত। তাতাররা যে মুসলিমদের গিলে খাচ্ছে সেটা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
সময়টা যেন আমাদের আজকের সমাজের প্রতিচ্ছবি। চারদিকে দুর্নীতি, রাহাজানি, লুটপাট, অন্যায়, হত্যা। কিন্তু কেউ কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না, সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। জনতা মেনেই নিয়েছে দুঃসময়, অন্যায়, অবিচার চলতেই থাকবে। চায়ের টেবিলে সমালোচনার ঝড় উঠবে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই আর হয় না। লাঞ্চনা আর অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত মুসলিম জাতি।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মিশরের বুকে আল্লাহ তাআলা অদ্ভূতভাবে একজন মানুষকে রাজত্ব দিলেন। মানুষ তো নন, একজন হিরো। শুধু এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই হয়তো আল্লাহ তাকে পাঠিয়েছেন। তিনি এসেছিলেন খুব অল্প সময়ের জন্য, কিন্তু যে শিক্ষা আর প্রভাব তিনি রেখে গেছেন তা ছিলো অসামান্য!
কে এই হিরো?
ধূলিমলিন উপহারঃ রামাদান সিরিজের এই পর্বে আলোচনা হবে তাকে নিয়েই!
বিস্তারিত: http://bit.ly/2s5fXZq
আগের সব পর্ব একসাথে পেতে: http://bit.ly/2rbQ6Rl
চেঙ্গিস খান ছিলো পৃথিবীর ধ্বংসযজ্ঞের কারিগর, নারকীয়তার শিল্পী। তার নেতৃত্বে তাতার জাতি মুসলিম বিশ্বে আক্রমণ চালালো, এটা তেরো শতাব্দীর কাহিনি। প্রথমে আক্রমণ করলো বুখারা, এ যুগের উজবেকিস্তান। চেঙ্গিস খান কথা দিলো, যদি মুসলিমরা আত্নসমর্পণ করে তাহলে সে তাদের কোনো ক্ষতি করবেনা। মুসলিমরা আত্নসমর্পণ করলো। চেঙ্গিস খান মুহূর্তের মাঝে চুক্তি ভঙ্গ করলো, এত বেশি মুসলিমকে হত্যা করল যে তার কোনো পরিসংখ্যান নেই! আর এভাবেই শুরু।
ধর্ষণ-গণহত্যা-লুটপাট-নৃশংসতা-ত্রাস ছিলো তার যুদ্ধের স্ট্র্যাটেজি। তাতারদের নিষ্ঠুরতা তৎকালীন ইতিহাসবিদ ইবন আল-আসীরের কলমকে আক্ষরিক অর্থে চার বছরের জন্য স্তব্ধ করে দিয়েছিলো। একে একে তাতাররা দখল করে নিলো বুখারা, সমরখন্দ, আফঘানিস্তান, ইরাক, শাম। তৎকালীন আব্বাসি খিলাফতের রাজধানী ছিল বাগদাদে। খলিফা কোনো প্রতিরোধ গড়লো না, গড়ার চেষ্টাও করলো না। তাতাররা বাগদাদকে পুরোপুরি ধ্বংস করে ফেললো, খলিফাকে হত্যা করলো। এরপর শাম দখল করলো, বাকি থাকলো ইসলামের একটিমাত্র দূর্গ -- মিশর।
কেন মুসলিমরা তাতারদের সাথে পেরে উঠলো না? মুসলিমদের অর্থসম্পদ, লোকবল, সামরিক শক্তিমত্তা -- কোনোকিছুরই অভাব ছিলো না। তাহলে কেন?
তাদের অভাব ছিলো স্পৃহা, রুখে দাঁড়াবার কোনো আগ্রহ, ইচ্ছা, প্রত্যয় কিছুই তাদের ছিলো না। একের পর একটি দেশ দখল হয়ে যাচ্ছিলো, আর সবাই চেয়ে চেয়ে দেখছিলো। আর শাসকবর্গ ছিলো এক কাঠি সরেস। তাদের কেউ কেউ আগ বাড়িয়ে তাতারদের সাথে এক হয়ে প্রতিবেশি মুসলিমদেশ দখল করতে হাত বাড়িয়ে দিলো যেন নিজের গদিকে অক্ষত রাখা যায়। যে সালাহ আদ-দ্বীন উম্মাহকে কিছুকাল আগে এক করেছিলেন, তার ‘বীরপুঙ্গব’ অকর্মণ্য ছেলে আর নাতিরা তখন নিজেদের মধ্যে ক্ষমতার লড়াইয়ে মত্ত। তাতাররা যে মুসলিমদের গিলে খাচ্ছে সেটা নিয়ে তাদের কোনো মাথাব্যথা নেই।
সময়টা যেন আমাদের আজকের সমাজের প্রতিচ্ছবি। চারদিকে দুর্নীতি, রাহাজানি, লুটপাট, অন্যায়, হত্যা। কিন্তু কেউ কোনো ভ্রুক্ষেপ করছে না, সবাই নিজেকে নিয়ে ব্যস্ত। জনতা মেনেই নিয়েছে দুঃসময়, অন্যায়, অবিচার চলতেই থাকবে। চায়ের টেবিলে সমালোচনার ঝড় উঠবে, কিন্তু বাস্তবে কিছুই আর হয় না। লাঞ্চনা আর অপমানের চূড়ান্ত পর্যায়ে উপনীত মুসলিম জাতি।
এই সংকটময় পরিস্থিতিতে মিশরের বুকে আল্লাহ তাআলা অদ্ভূতভাবে একজন মানুষকে রাজত্ব দিলেন। মানুষ তো নন, একজন হিরো। শুধু এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার জন্যই হয়তো আল্লাহ তাকে পাঠিয়েছেন। তিনি এসেছিলেন খুব অল্প সময়ের জন্য, কিন্তু যে শিক্ষা আর প্রভাব তিনি রেখে গেছেন তা ছিলো অসামান্য!
কে এই হিরো?
ধূলিমলিন উপহারঃ রামাদান সিরিজের এই পর্বে আলোচনা হবে তাকে নিয়েই!
বিস্তারিত: http://bit.ly/2s5fXZq
আগের সব পর্ব একসাথে পেতে: http://bit.ly/2rbQ6Rl
Comment