শত্রুকে সন্ত্রাসী হামলা চালানো হচ্ছে একটা দ্বীনি দায়িত্ব এবং তাদের লিডারদের গুপ্তহত্যা একটা সুন্নাহঃ
আমার মনে আছে যে হাফিজ আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং বিপ্লবের দিনগুলিতে মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সামরিক শাখার স্পেশাল ফোর্স তৈরির জন্য ট্রেইনিং কোর্সে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বয়স ছিল ২২ বছর। এটা ছিল ১৯৮০ সালে বাগদাদের ইরাকি আর্মির অন্তর্ভুক্ত আল-রাশিদ ক্যাম্প। যখন ট্রেইনার প্রবেশ করেন – এবং তিনি (রঃ) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি – মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রথম জেনারেশানের একজন বয়োবৃদ্ধ শায়েখ। তিনি ছিলেন তাদের একজন যারা শায়েখ হাসান আল-বান্নার (রঃ) হাতে বায়াত নেন, তখন উনার বয়স ছিল ১৭ বছর। তিনি ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করেন এবং জেরুজালেমে আহত হন এবং তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের বিশেষ মেকানিজম দায়িত্বে কাজ করতেন। তিনি ৫০ দশকের শুরুর দিকে সুয়েজ ক্যানেল জোনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিক্রেট প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উনার সাথে সায়্যিদ কুতুব (রঃ) এর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি মিশর ত্যাগ করেন এবং উনার বাকী জীবন মিশরের বাহিরে কাটিয়ে দেন। ১৯৬৯ সালে ফিলিস্তিন লিবারেশান অরগানাইজেশান (plo) এর পূর্ব জর্ডানের শুয়ুখ ক্যাম্পে একজন ট্রেইনার ছিলেন এবং বিভিন্ন জিহাদি মুভমেন্টে সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, যেগুলো ছিল মুসলিম ব্রাদারহুড দ্বারা সমর্থিত। এটা ছিল সেই সময় যখনও মুসলিম ব্রাদারহুড আল-বান্না এবং কুতুবের মানহাজ অনুযায়ী চলতেছিল, গণতন্ত্রের মহামারী এবং পার্লামেন্ট ব্যবস্থার শুরুর আগে...
তিনি আমাদের মিলিটারি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ট্রেইনিং করাতেন এবং তিনি বয়োবৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে শারীরিক কসরতে অংশ নিতেন। উনি আমাদের মাঝে উনার বয়ান উপস্থাপন করলেন। আমার মনে আছে সেই সময়কার সিরিয়ান ব্রাদারহুডের মিলিটারি উইংগের এলিট শাখার ৩০ জণের একটা যুবক সৈনিক দলের মাঝে প্রথম উপস্থিত হন। প্রথম যেটা উনি আমাদের উনার মিশরি আঞ্চলিক টানে আমাদের বললেন, তা ছিলঃ ‘তোমরা কি মুসলিম ভাই ?’ আমরা বললাম জি হাঁ। তিনি বললেন, ‘তোমরা নিশ্চিত বাচারা ?’ আমরা বললাম, আমরা নিশ্চিত। নিজের গর্দানের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘তোমারা সকলে জবেহ হবে, রাজি ?’ আমরা সবাই খুশি এবং আনন্দের সহিত উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলে উঠলাম, ‘আমরা সবাই রাজি আছি...’
তিনি ব্লাকবোর্ডের দিকে ফিরে দাঁড়ালেন এবং এর উপর প্রথম বয়ানের শিরোনাম লিখলেনঃ
‘সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে একটা ধর্মীয় দায়িত্ব এবং গুপ্তহত্যা হচ্ছে একটা সুন্নাহ!’
তিনি আমাদের পাঠ দান শুরু করার জন্য বোর্ডে একটা আন্ডারলাইন আঁকলেন ... এবং আমাদের কাজ শুরু করার জন্য ... আমরা অনুশীলনের দিকে মনোযোগ স্থাপন করলাম, পথ অঙ্কিত হয়েছিল এবং সুসংবাদ অব্যাহত রইল... মহান আল্লাহ তাআলার উপর আশাকারী এই মুজাহিদ দলের কেউ কেউ তাদের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেছে এবং বাকীরা অপেক্ষায় আছে।
উস্তাদ শায়েখ আবু মুস'আব আস-সুরী (আল্লাহ উনাকে মুক্ত করে দিন)
আমার মনে আছে যে হাফিজ আল-আসাদের সরকারের বিরুদ্ধে জিহাদ এবং বিপ্লবের দিনগুলিতে মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনের সামরিক শাখার স্পেশাল ফোর্স তৈরির জন্য ট্রেইনিং কোর্সে আমি অংশগ্রহণ করেছিলাম। আমার বয়স ছিল ২২ বছর। এটা ছিল ১৯৮০ সালে বাগদাদের ইরাকি আর্মির অন্তর্ভুক্ত আল-রাশিদ ক্যাম্প। যখন ট্রেইনার প্রবেশ করেন – এবং তিনি (রঃ) ছিলেন একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি – মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রথম জেনারেশানের একজন বয়োবৃদ্ধ শায়েখ। তিনি ছিলেন তাদের একজন যারা শায়েখ হাসান আল-বান্নার (রঃ) হাতে বায়াত নেন, তখন উনার বয়স ছিল ১৭ বছর। তিনি ১৯৪৮ সালে ফিলিস্তিনে যুদ্ধ করেন এবং জেরুজালেমে আহত হন এবং তিনি মুসলিম ব্রাদারহুডের বিশেষ মেকানিজম দায়িত্বে কাজ করতেন। তিনি ৫০ দশকের শুরুর দিকে সুয়েজ ক্যানেল জোনে ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে সিক্রেট প্রতিরোধ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। উনার সাথে সায়্যিদ কুতুব (রঃ) এর সাথে বন্ধুত্ব সম্পর্ক গড়ে উঠে। তিনি মিশর ত্যাগ করেন এবং উনার বাকী জীবন মিশরের বাহিরে কাটিয়ে দেন। ১৯৬৯ সালে ফিলিস্তিন লিবারেশান অরগানাইজেশান (plo) এর পূর্ব জর্ডানের শুয়ুখ ক্যাম্পে একজন ট্রেইনার ছিলেন এবং বিভিন্ন জিহাদি মুভমেন্টে সহযোগিতার মাধ্যমে নিজেকে আত্মনিয়োগ করেছিলেন, যেগুলো ছিল মুসলিম ব্রাদারহুড দ্বারা সমর্থিত। এটা ছিল সেই সময় যখনও মুসলিম ব্রাদারহুড আল-বান্না এবং কুতুবের মানহাজ অনুযায়ী চলতেছিল, গণতন্ত্রের মহামারী এবং পার্লামেন্ট ব্যবস্থার শুরুর আগে...
তিনি আমাদের মিলিটারি শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে ট্রেইনিং করাতেন এবং তিনি বয়োবৃদ্ধ হওয়া সত্ত্বেও আমাদের সাথে তাল মিলিয়ে শারীরিক কসরতে অংশ নিতেন। উনি আমাদের মাঝে উনার বয়ান উপস্থাপন করলেন। আমার মনে আছে সেই সময়কার সিরিয়ান ব্রাদারহুডের মিলিটারি উইংগের এলিট শাখার ৩০ জণের একটা যুবক সৈনিক দলের মাঝে প্রথম উপস্থিত হন। প্রথম যেটা উনি আমাদের উনার মিশরি আঞ্চলিক টানে আমাদের বললেন, তা ছিলঃ ‘তোমরা কি মুসলিম ভাই ?’ আমরা বললাম জি হাঁ। তিনি বললেন, ‘তোমরা নিশ্চিত বাচারা ?’ আমরা বললাম, আমরা নিশ্চিত। নিজের গর্দানের দিকে ইঙ্গিত করে বললেন, ‘তোমারা সকলে জবেহ হবে, রাজি ?’ আমরা সবাই খুশি এবং আনন্দের সহিত উচ্ছ্বাসিত কণ্ঠে বলে উঠলাম, ‘আমরা সবাই রাজি আছি...’
তিনি ব্লাকবোর্ডের দিকে ফিরে দাঁড়ালেন এবং এর উপর প্রথম বয়ানের শিরোনাম লিখলেনঃ
‘সন্ত্রাসবাদ হচ্ছে একটা ধর্মীয় দায়িত্ব এবং গুপ্তহত্যা হচ্ছে একটা সুন্নাহ!’
তিনি আমাদের পাঠ দান শুরু করার জন্য বোর্ডে একটা আন্ডারলাইন আঁকলেন ... এবং আমাদের কাজ শুরু করার জন্য ... আমরা অনুশীলনের দিকে মনোযোগ স্থাপন করলাম, পথ অঙ্কিত হয়েছিল এবং সুসংবাদ অব্যাহত রইল... মহান আল্লাহ তাআলার উপর আশাকারী এই মুজাহিদ দলের কেউ কেউ তাদের প্রতিজ্ঞা পূর্ণ করেছে এবং বাকীরা অপেক্ষায় আছে।
উস্তাদ শায়েখ আবু মুস'আব আস-সুরী (আল্লাহ উনাকে মুক্ত করে দিন)
Comment