সম্পাদকীয় |
ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি : গাজওয়াতুল হিন্দের ডঙ্কা?
ভারতে একটি টেকসই হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মুসলিমদেরকে ওখান থেকে তাড়াতে হবে। আর মুসলিমদের তাড়াতে তাই বলপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় মালাউন সরকার। একদিকে এনআরসি, সিএএ-এর নামে মুসলিমদের বিদেশী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে তাড়ানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে, অন্যদিকে এসকল আইনের বিরোধিতাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে। আর, এ নির্দেশ পালনে অস্ত্রহাতে মাঠে নেমেছে হিন্দু যুবকরা, গুলি করছে মুসলিমদের বুকে।
মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করার চক্রান্ত
ভারত থেকে হিন্দুরা মুসলিমদেরকে তাড়িয়ে দিতে চায়— এই চক্রান্ত এখন আর গোপন বিষয় নয়। এ কথা বর্তমানে কোনোপ্রকার দ্বিধা ছাড়াই সুস্পষ্টভাবে বলছে মালাউন হিন্দু নেতারা। প্রথমে আসামকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের বিতাড়ন শুরু করলেও, এখন সমগ্র ভারতে ‘মুসলিম তাড়াও’ নীতি অবলম্বন করছে মালাউন সরকার।
আর মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য দুটি পন্থাকে তারা বেশ জোড়ালোভাবে এখন প্রয়োগ করছে। প্রথমত, মুসলিমদেরকে বয়ান-বিবৃতির মাধ্যমে আক্রমণ তথা মুসলিমদেরকে ‘বিদেশী, অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশী ইত্যাদি’ বলে ঘোষণা করছে। গত ২৫শে জানুয়ারী ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘শিবসেনা’ বলেছে, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলিমদের ভারত থেকে তাড়ানো উচিত এবং এসকল মুসলিমদের তাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সন্দেহও থাকা যাবে না। এভাবে, দীর্ঘকাল ধরে ভারতে বসবাস করে আসা নিরীহ মুসলিমদেরকে ‘বাংলাদেশী বা অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে ভারতছাড়া করার ব্যাপারে সন্ত্রাসী মুশরিক হিন্দুরা একমত। আর এটি এনআরসি ও সিএএ বিল এনে কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, যারা এসকল ব্যাপারে দ্বিমত করবে তাদেরকে ‘ভারতবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তাদের বুকে গুলি চালানোর নীতি অবলম্বন করছে সন্ত্রাসী হিন্দুরা। এনআরসি, সিএএ-এর মতো মুসলিমবিদ্বেষী আইনগুলোর বিরোধিতাকারীদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বিজেপির মালাউন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছে, ‘দেশদ্রোহীদের গুলি করে মারো’।
এভাবে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক শারজিল ইমামকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী মালাউন বাহিনী, এমনকি তার হাত কেটে ফেলার প্রকাশ্য হুমকিও দিয়েছে সন্ত্রাসী হিন্দু সংগঠন শিবসেনা। এখন আবার তাকে গুলি করে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মোদির গেরুয়া বাহিনী।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুশরিক হিন্দু নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছে, সিএএ-এর বিরোধিতাকারীরা ভারতবিরোধী। এনআরসি, সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক তরুণীকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী দিলীপ বলেছে, `ও কি মরতে চায়?’ অবশ্য এর আগেও আন্দোলনকারীদের মৃত্যু কামনা করেছে এই দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে, মালাউন গেরুয়া সন্ত্রাসীদের অন্যতম উগ্র নেতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতের দিল্লির শাহিনবাগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছে। শহরে পা রেখেই এই মালাউন সিএএ-এর বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেছে, ‘বিজেপি দেশের শত্রুদের সঙ্গে কথা বলবে না, সরাসরি গুলি চালাবে।’
গাজওয়াতুল হিন্দের ডঙ্কা
হিন্দু নেতারা মুসলিমদেরকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে, আর মালাউন গেরুয়া সন্ত্রাসীরা সেটি মাঠে বাস্তবায়ন করছে, মুসলিমদের বুকে গুলি চালাচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে বলেছিল, ‘দেশদ্রোহীদের গুলি মারুন।’ আর, তার এই ঘোষণার পরপরই এক মুশরিক হিন্দু যুবক দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভরত মুসলিমদের উপর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এসময় তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাদের দেশে শুধু হিন্দুরাই টিকবে।’
এর আগে, হিন্দুত্ববাদী পুলিশের সামনেই ভারতের জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে গুলি চালিয়েছিল ১৯ বছর বয়সী মালাউন হিন্দু যুবক গোপাল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, পুলিশের সামনেই পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের শাসায় মালাউন গোপাল। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ঐ হিন্দু সন্ত্রাসী বলে, কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি। তারপরেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে ঐ হিন্দু সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় একজন মুসলিম ছাত্র আহত হয়েছেন। একইভাবে, ৪দিনে ৩ বার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর মুশরিক হিন্দু যুবকরা গুলি চালিয়েছে। মাসখানেক আগে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বাহিনীও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিলো।
এভাবেই, ভারতে মুসলিমবিদ্বেষের মাত্রা চরম আকারে নিয়ে গেছে মালাউন মুশরিক হিন্দুরা। গোপূজারীরা আগে গোরক্ষার নামে মুসলিমদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এখন, মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। এনআরসি, সিএএ-এর নামে ভারত থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আর যারা এসকল মুসলিমবিরোধী আইনের বিরোধিতা করছে, তাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে হিন্দু নেতারা, আর সে নির্দেশ পালনে হিন্দুত্ববাদী পুলিশসহ হিন্দু যুবকরাও অস্ত্র হাতে বেরিয়ে প্রকাশ্যে মুসলিমদের বুকে গুলি ছুড়ছে।
সবমিলিয়ে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি যে গাজওয়াতুল হিন্দের পূর্বাভাস বা গাজওয়াতুল হিন্দের রণাঙ্গনের উপযুক্ত হচ্ছে —তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা এখনও কেবল আশা-আকাঙ্ক্ষা বা ভবিষ্যদ্বাণীর বিষয় হয়ে থাকেনি, আজ এটি বাস্তব। হিন্দের যুদ্ধ চলছে, শত্রুরা মাঠে নেমেছে, মুসলিমদের হত্যা করছে। আর যুদ্ধের তীব্রতার প্রতীক্ষায় রয়েছে মুসলিমরা! আজ হিন্দু যুবকরা অস্ত্রহাতে প্রকাশ্যে মুসলিমদের বুকে গুলি ছুড়ছে, আর তথ্য সন্ত্রাসের প্রভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগা মুসলিম যুবকরা ‘সন্ত্রাসী’ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ‘অস্ত্র’ থেকে খুব সতর্কভাবে নিজেকে দূরে রেখেছে।
লেখক: আহমাদ উসামা আল-হিন্দ, সম্পাদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/04/32507/
ভারতের অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি : গাজওয়াতুল হিন্দের ডঙ্কা?
ভারতে একটি টেকসই হিন্দুরাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত করতে হলে মুসলিমদেরকে ওখান থেকে তাড়াতে হবে। আর মুসলিমদের তাড়াতে তাই বলপ্রয়োগ ও সন্ত্রাসের পথ বেছে নিয়েছে ভারতীয় মালাউন সরকার। একদিকে এনআরসি, সিএএ-এর নামে মুসলিমদের বিদেশী আখ্যা দিয়ে দেশ থেকে তাড়ানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে, অন্যদিকে এসকল আইনের বিরোধিতাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে। আর, এ নির্দেশ পালনে অস্ত্রহাতে মাঠে নেমেছে হিন্দু যুবকরা, গুলি করছে মুসলিমদের বুকে।
মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করার চক্রান্ত
ভারত থেকে হিন্দুরা মুসলিমদেরকে তাড়িয়ে দিতে চায়— এই চক্রান্ত এখন আর গোপন বিষয় নয়। এ কথা বর্তমানে কোনোপ্রকার দ্বিধা ছাড়াই সুস্পষ্টভাবে বলছে মালাউন হিন্দু নেতারা। প্রথমে আসামকে কেন্দ্র করে মুসলিমদের বিতাড়ন শুরু করলেও, এখন সমগ্র ভারতে ‘মুসলিম তাড়াও’ নীতি অবলম্বন করছে মালাউন সরকার।
আর মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করার চক্রান্ত বাস্তবায়ন করার জন্য দুটি পন্থাকে তারা বেশ জোড়ালোভাবে এখন প্রয়োগ করছে। প্রথমত, মুসলিমদেরকে বয়ান-বিবৃতির মাধ্যমে আক্রমণ তথা মুসলিমদেরকে ‘বিদেশী, অনুপ্রবেশকারী, বাংলাদেশী ইত্যাদি’ বলে ঘোষণা করছে। গত ২৫শে জানুয়ারী ভারতের হিন্দুত্ববাদী সন্ত্রাসী সংগঠন ‘শিবসেনা’ বলেছে, বাংলাদেশি ও পাকিস্তানি মুসলিমদের ভারত থেকে তাড়ানো উচিত এবং এসকল মুসলিমদের তাড়ানোর ব্যাপারে কোনো সন্দেহও থাকা যাবে না। এভাবে, দীর্ঘকাল ধরে ভারতে বসবাস করে আসা নিরীহ মুসলিমদেরকে ‘বাংলাদেশী বা অনুপ্রবেশকারী’ আখ্যা দিয়ে ভারতছাড়া করার ব্যাপারে সন্ত্রাসী মুশরিক হিন্দুরা একমত। আর এটি এনআরসি ও সিএএ বিল এনে কাগজে-কলমে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।
দ্বিতীয়ত, যারা এসকল ব্যাপারে দ্বিমত করবে তাদেরকে ‘ভারতবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে তাদের বুকে গুলি চালানোর নীতি অবলম্বন করছে সন্ত্রাসী হিন্দুরা। এনআরসি, সিএএ-এর মতো মুসলিমবিদ্বেষী আইনগুলোর বিরোধিতাকারীদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে বিজেপির মালাউন মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছে, ‘দেশদ্রোহীদের গুলি করে মারো’।
এভাবে, জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের পিএইচডি গবেষক শারজিল ইমামকে দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে গ্রেফতার করেছে সন্ত্রাসী মালাউন বাহিনী, এমনকি তার হাত কেটে ফেলার প্রকাশ্য হুমকিও দিয়েছে সন্ত্রাসী হিন্দু সংগঠন শিবসেনা। এখন আবার তাকে গুলি করে হত্যা করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে মোদির গেরুয়া বাহিনী।
একইভাবে পশ্চিমবঙ্গের মুশরিক হিন্দু নেতা দিলীপ ঘোষ বলেছে, সিএএ-এর বিরোধিতাকারীরা ভারতবিরোধী। এনআরসি, সিএএ-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করায় এক তরুণীকে লক্ষ্য করে সন্ত্রাসী দিলীপ বলেছে, `ও কি মরতে চায়?’ অবশ্য এর আগেও আন্দোলনকারীদের মৃত্যু কামনা করেছে এই দিলীপ ঘোষ।
অন্যদিকে, মালাউন গেরুয়া সন্ত্রাসীদের অন্যতম উগ্র নেতা উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ ভারতের দিল্লির শাহিনবাগে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর প্রকাশ্যে গুলি চালানোর হুমকি দিয়েছে। শহরে পা রেখেই এই মালাউন সিএএ-এর বিরোধিতাকারীদের উদ্দেশ্যে ঘোষণা করেছে, ‘বিজেপি দেশের শত্রুদের সঙ্গে কথা বলবে না, সরাসরি গুলি চালাবে।’
গাজওয়াতুল হিন্দের ডঙ্কা
হিন্দু নেতারা মুসলিমদেরকে ‘দেশদ্রোহী’ আখ্যা দিয়ে গুলি করে হত্যা করার নির্দেশ দিচ্ছে, আর মালাউন গেরুয়া সন্ত্রাসীরা সেটি মাঠে বাস্তবায়ন করছে, মুসলিমদের বুকে গুলি চালাচ্ছে। বিজেপির কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের ব্যাপারে বলেছিল, ‘দেশদ্রোহীদের গুলি মারুন।’ আর, তার এই ঘোষণার পরপরই এক মুশরিক হিন্দু যুবক দিল্লির শাহিনবাগে বিক্ষোভরত মুসলিমদের উপর ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে প্রকাশ্যে গুলি চালায়। এসময় তাকে চিৎকার করে বলতে শোনা গেছে, ‘আমাদের দেশে শুধু হিন্দুরাই টিকবে।’
এর আগে, হিন্দুত্ববাদী পুলিশের সামনেই ভারতের জামিয়া মিলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মুসলিম শিক্ষার্থীদের উপর ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিয়ে গুলি চালিয়েছিল ১৯ বছর বয়সী মালাউন হিন্দু যুবক গোপাল। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা যায়, পুলিশের সামনেই পিস্তল উঁচিয়ে আন্দোলনকারীদের শাসায় মালাউন গোপাল। আন্দোলনকারীদের উদ্দেশ্যে ঐ হিন্দু সন্ত্রাসী বলে, কিসকো আজাদি চাহিয়ে? ম্যায় দুঙ্গা আজাদি। ইয়ে লো আজাদি। তারপরেই জয় শ্রীরাম স্লোগান দিয়ে আন্দোলনকারীদের দিকে গুলি ছোড়ে ঐ হিন্দু সন্ত্রাসী। এ ঘটনায় একজন মুসলিম ছাত্র আহত হয়েছেন। একইভাবে, ৪দিনে ৩ বার জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উপর মুশরিক হিন্দু যুবকরা গুলি চালিয়েছে। মাসখানেক আগে হিন্দুত্ববাদী পুলিশ বাহিনীও ‘জয় শ্রীরাম’ স্লোগান দিয়ে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়ার শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালিয়েছিলো।
এভাবেই, ভারতে মুসলিমবিদ্বেষের মাত্রা চরম আকারে নিয়ে গেছে মালাউন মুশরিক হিন্দুরা। গোপূজারীরা আগে গোরক্ষার নামে মুসলিমদের প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যা করেছে। এখন, মুসলিমদেরকে ভারতছাড়া করতে নতুন পরিকল্পনা নিয়ে মাঠে নেমেছে তারা। এনআরসি, সিএএ-এর নামে ভারত থেকে মুসলিমদের তাড়ানোর সকল আয়োজন সম্পন্ন করেছে। আর যারা এসকল মুসলিমবিরোধী আইনের বিরোধিতা করছে, তাদের দেশদ্রোহী আখ্যা দিয়ে হত্যার নির্দেশ দিচ্ছে হিন্দু নেতারা, আর সে নির্দেশ পালনে হিন্দুত্ববাদী পুলিশসহ হিন্দু যুবকরাও অস্ত্র হাতে বেরিয়ে প্রকাশ্যে মুসলিমদের বুকে গুলি ছুড়ছে।
সবমিলিয়ে ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি যে গাজওয়াতুল হিন্দের পূর্বাভাস বা গাজওয়াতুল হিন্দের রণাঙ্গনের উপযুক্ত হচ্ছে —তা বলার অপেক্ষা রাখে না। এটা এখনও কেবল আশা-আকাঙ্ক্ষা বা ভবিষ্যদ্বাণীর বিষয় হয়ে থাকেনি, আজ এটি বাস্তব। হিন্দের যুদ্ধ চলছে, শত্রুরা মাঠে নেমেছে, মুসলিমদের হত্যা করছে। আর যুদ্ধের তীব্রতার প্রতীক্ষায় রয়েছে মুসলিমরা! আজ হিন্দু যুবকরা অস্ত্রহাতে প্রকাশ্যে মুসলিমদের বুকে গুলি ছুড়ছে, আর তথ্য সন্ত্রাসের প্রভাবে হীনম্মন্যতায় ভোগা মুসলিম যুবকরা ‘সন্ত্রাসী’ হয়ে যাওয়ার ভয়ে ‘অস্ত্র’ থেকে খুব সতর্কভাবে নিজেকে দূরে রেখেছে।
লেখক: আহমাদ উসামা আল-হিন্দ, সম্পাদক, আল-ফিরদাউস নিউজ।
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/02/04/32507/
Comment