বিজয়ের মাস রমাদান
শাহরু রমাদান। গুনাহ মাফের মাস। তাকওয়া অর্জনের মাস। নফসকে শেকলাবদ্ধ করার মাস।
শাহরু রমাদান। জিহাদের মাস। বিজয় অর্জনের মাস। কালিমার পতাকাকে দৃঢ় করার মাস।
মনে আছে সেই ১৭ই রমাদানের কথা? বদর প্রান্তরে মুখোমুখি দু’টি দল। একটি দল হক, অপরটি বাতিল। একটি দল আল্লাহর, অপরটি শয়তানের। একটি হিযবুল্লাহ, অপরটি হিযবুশ শাইত্বন।
এক অসম লড়াইয়ের দামামা বেজে উঠলো! এ দলে মাত্র ৩১৩ জন। অপরদিকে সে দলে ১০০০! তবুও ৩১৩ জনের ছোট্ট এ কাফেলা বিজয় অর্জন করলো রণসাজে সজ্জিত ১০০০ জনের ওপর। করবেই বা না কেনো? এ দল যে হকের দল। এ দল যে হিযবুল্লাহ। এ দলের সেনানায়ক যে হযরত মুহাম্মাদ মুস্তাফা সা.।
৩১৩ জন জানবাজ মুজাহিদ। হৃদয়ে ছিলো ঈমানের দৃপ্ত বল, ছিল তাকওয়াপূর্ণ হিম্মত। যাদের হৃদয়ে থাকবে ঈমান আর তাকওয়া তাদেরকে তো মহান রব্বুল আলামীন সাহায্য করবেনই।
’আর অবশ্যই আল্লাহ তোমাদেরকে বদরে সাহায্য করেছেন অথচ তোমরা ছিলে হীনবল। অতএব তোমরা আল্লাহকে ভয় করো, আশা করা যায়, তোমরা শোকরগুজার হবে।
স্মরণ করো, যখন তুমি মুমিনদেরকে বলছিলে, ‘তোমাদের জন্য কি যথেষ্ট নয় যে, তোমাদের রব তোমাদেরকে তিন হাজার নাযিলকৃত ফেরেশতা দ্বারা সাহায্য করবেন?’ হ্যাঁ, যদি তোমরা ধৈর্য ধর এবং তাকওয়া অবলম্বন করো। আর তারা হঠাৎ তোমাদের মুখোমুখি এসে যায়, তবে তোমাদের রব পাঁচ হাজার চিহ্নিত ফেরেশতা দ্বারা তোমাদেরকে সাহায্য করবেন। [সূরা আলে ইমরান: ১২৩-১২৫]
মনে আছে সে বিজয়ের কথা? সে ঐতিহাসিক বিজয়গাঁথা কি স্মরণ হয়?
ঠিক এখনো যদি আমরা হতে পারি মুমিন, যদি এখনো আমরা তাকওয়ার রঙে আমাদেরকে রাঙাতে পারি, যদি এখনো আমরা দেখাতে পারি ধৈর্যের পরাকাষ্ঠা, তাহলে আল্লাহ এ যুগেও আমাদেরকে সাহায্য করবেন, বিজয় দান করবেন কাফেরদের ওপর। যে আল্লাহ বদর প্রান্তরে মুমিনদের সাহায্য করেছিলেন, সে আল্লাহ তো এখনো আছেন এবং থাকবেন অনাদিকাল।
তাই চলুন আরো একটি ঐতিহাসিক বিজয় অর্জনের পথে। চলুন রব্বে কারীমের প্রত্যক্ষ নুসরত পাওয়ার জন্যে।
হে আল্লাহ, আমাদেরকে ক্ষমা করে দাও, বাড়িয়ে দাও ঈমানি বল। কবুল করে নাও তোমার পথে, কবুল করে নাও খলিফা মুহাম্মাদ ইবনে আব্দুল্লাহ আল মাহদির সৈন্যদলে।
লেখক: আব্দুল্লাহ আবু উসামা, ইসলামী চিন্তাবিদ
সূত্র: https://alfirdaws.org/2020/05/02/37322/
Comment