করোনা এবং সরকারি চুরি
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে, করোনা বর্তমান এ তাগুত সরকারকে চুরির মৌসুম এনে দিয়েছে। যদিও সারা বছরই এরা চুরি করে নিজেদের আঙুলগুলোকে ফুলিয়ে ফাঁপিয়ে কলাগাছ বানিয়েছে, তবুও করোনাকে কেন্দ্র করে যেনো তারা চুরিতে বেপরোয়া হয়ে গিয়েছে। বিভিন্ন আওয়ামী নেতানেত্রীর চাল চুরি, তেল চুরি ইত্যাদির সংবাদ তো আজ হাটে-বাজারে ভেসে বেড়াচ্ছে। এরই মধ্যে ২রা মে, ২০২০ এ দৈনিক নয়া দিগন্তের অনলাইন ভার্সনে একটি রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, “করোনাভাইরাসের কারণে সরকারের রাজস্ব আদায় তলানিতে নেমে গেছে। সঞ্চয়পত্র থেকেও কাঙ্ক্ষিত ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। বাধ্য হয়ে ব্যয় ঠিক রাখতে সরকারের ব্যাংকব্যবস্থার ঋণের ওপর নির্ভরশীলতা বেড়ে যাচ্ছে। সরকার বিভিন্ন ব্যয় নির্বাহে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে শুধু গত মাসে (২৭ এপ্রিল পর্যন্ত) ঋণ নিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা।….”
কেবল এক মাসেই বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে সরকার ঋণ নিয়েছে ১০ হাজার কোটি টাকা। সরকারের ব্যয় ঠিক রাখতে নাকি এ ঋণ নেওয়া হয়েছে। আচ্ছা, এ ব্যয়ের খাতগুলো আসলে কী কী? ত্রাণ এবং প্রণোদনার নামে টাকা হস্তগত করা নয় তো? ইতোমধ্যে আমরা এর কিছু নজিরও দেখেছি। বাকিটা না হয় সময়ই বলে দেবে।
গত ১০ মাসে সরকার ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ নিয়েছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা! গত ৯ মাস তো লক ডাউনের জন্যে রাজস্ব আদায় বন্ধ ছিলো না। তবুও ঋণের পরিমাণ এতটা কেনো?
নয়া দিগন্তের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, “সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, গত মাসে ব্যাংকব্যবস্থা থেকে ঋণ গ্রহণের এ হার আরো বেড়ে যেত। কিন্তু বিভিন্ন করপোরেশনের যে উদ্বৃত্ত তহবিল ছিল তা ব্যয় করতে শুরু করছে সরকার। ইতোমধ্যে বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনসহ (বিপিসি) আরো কয়েকটি করপোরেশনের উদ্বৃত্ত তহবিল সরকার ব্যয় করেছে। এ কারণেই ঋণের মাত্রা ৫৮ হাজার কোটি টাকায় ঠেকেছে। অন্যথায় ব্যাংকব্যবস্থা থেকে সরকারের ঋণ গ্রহণ আরো বেড়ে যেত।”
এরপরেও যদি আমরা এ রাক্ষুসে তাগুত বাহিনীর আসল চেহারা না চিনতে পারি, তবে সত্যিই তা আমাদের জন্যে বড্ড দূর্ভাগ্য। আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
লেখক: আবদুল্লাহ আবু উসামা
Comment