তালিবান কি কাশ্মীর উদ্ধার করবে না? উইঘুরদের জন্য কাজ করবে না? সিরিয়ানদের জন্য কিছু করবে না?
তালিবান কি শরীয়াহ কায়েম করবে না? তাহলে কি তালিবান কিছুটা মডারেট হয়ে যাচ্ছে🥺🥺।
ইত্যাদি ইত্যাদি অজস্র অভিযোগ তালিবানের উপর।
যারা এসব অভিযোগ করেন তারা নিজের দেহে কতটা শরীয়াহ কায়েম করছেন বা নিজের ত্বাগুতের আন্ডারে থাকা ভূখণ্ডে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কি করছেন কিংবা নিজের পর্ন-দেখা ছোট ভাই বা কাজিন এর জন্য কি করতে পারছেন তা জানা নেই।
আমার ফ্যামিলিকে যেখানে ভোটদানের কুফরী কাজ থেকে বিরত রাখতে পারছিনা, সেখানে কিভাবে আমি তালিবানের কার্যক্রম নিয়া টেনশন করি না। আমার দরকার নাই। আমি আমার আম্মাকে বলেছিলাম ভোট না দিতে। এটা কুফরী।
তিনি রেগে গেলেন, "আরে ধুর! এটা নিয়া তুমি কুফরী বলার কে?? আলেমও না, আলেমের ভাইও না। যেখানে উলামায়ে কেরাম ভোট দিচ্ছেন, ভোটে অংশ নিচ্ছেন সেখানে এটা কুফরী হবে কেনো?? দেইখো, এই ব্যাপারে ফেসবুকে কিছু লেইখো না। নইলে ধরে নিয়ে যাবে।"
২০১২ সালে তালিবের একজন রাজনৈতিক প্রতিনিধি ফ্রান্সের আমন্ত্রণে গেলে সেখানে তাদের বলা হলো গণতন্ত্রে গেলেই তো হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বিজয়ই অর্জন করবো। যদি তালিব যদি মডারেটপন্থা অবলম্বন করার ইচ্ছে থাকতো তাহলে তখনই কোনো বিহিত করতো।
যারা খেলার মাঠে খেলে তারা জানে খেলা কি কষ্টকর। আর যারা গ্যালারিতে বসে তারা জাস্ট উপভোগ করে আর আওড়াতে থাকে.. এভাবে শট দিলে গোল হয়ে যেতো.. ওভাবে তুলে মারলে গ্যালারির ওপারে গিয়া পড়তো।
তালিব মডারেট ইসলামের জন্য ২০ বছর রক্ত ঝরায়নি। আমরা যা দেখছি তা জাস্ট রাজনৈতিক কৌশল যেটা বুঝার সক্ষমতা আমাদের ব্রেইনের নাই। জেনে রাখা উচিত বিশ্বের সর্বনিম্ন অর্থনীতির দরিদ্র আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ পুরোপুরি তালিবের সহায়তা ছাড়া না খেয়ে মারা যাবে। তাছাড়া যারা আফিম(মাদক) চাষ করতো তালিব আফিম নিষিদ্ধের পরে তাদের পরিবারের ভরণপোষণের টেনশনও তালিবের মাথায়। তালিব হয় তাদের ভরণপোষণের অর্থ দেবে নয় খারেজী আ-ইএ-সের মতো পরিবারসহ হত্যা করতে হবে।
সমরাস্ত্র ও সমরকৌশল যত উন্নত হয়েছে তেমনি ধ্বংসলীলাও বেড়েছে। যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ সেটা যুদ্ধাক্রান্ত এলাকার লোকেরা জানে। ব্যারেল বোমার আঘাতে যার শরীরের চামড়া পুড়েছে সে জানে বোমার আঘাতের যন্ত্রণা কতটুকু। চল্লিশ বছর যাবত এই আফগান জাতি নিজেরা সকল বোমার আঘাত সহ্য করে পরপর দুইটা পরাশক্তির কোমড় ভেঙে দিয়েছে। এরপরেও কি আপনারা চান তারা অন্য ভূখণ্ডে আক্রমণ করে নিজেদের আরো ধ্বংস করুক।
আর খারেজী আ-ই+এ-সদের অভিযোগ তা-তালিবান শিয়াদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছে না কেন ইরানে আক্রমণ করছে না কেন? কেনো সিরিয়ান মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছে না?
আপনি কি ইরানের মিসাইল দেখেছেন? শিয়া খোমেনী-খামেনি দেশের মানুষকে না খাইয়ে রেখে হলেও বস্তা বস্তা টাকা খরচ করে হাজার হাজার মিসাইল এর ভান্ডার গড়ে তুলেছে। মাটির তলে মিসাইলের একটা শহর তৈরি করে ফেলেছে। ধরা যাক তালিবান ইরানের সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ট ইস্পাহানে আক্রমণ করল, স্বাভাবিকভাবে ইরানি সেনারা পিছু হটবে কারণ তালিবানের গ্রাউন্ড ফোর্সের সামনে ইরানি বাহিনী টিকতে পারবে না। এয়ারফোর্সের সহায়তা ছাড়া মার্কিন বাহিনীরও সক্ষমতা নাই তালিবের সামনে টিকার। কিছুদিন আগে ইরানি সেনাদের সাথে তালিবানের বর্ডারে সংঘর্ষ হয়েছিল ইরানের সেনারা পাঁচটা চেকপোস্ট ফেলে পালিয়ে যায়।
কিন্তু ইরানের আকাশ হামলা কি তালেবান আটকাতে পারবে, যেখানে আমেরিকা আটকাতে পারেনি? তালিবের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল আটকানোর জন্য এন্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল নেই। হেরাত থেকে শুরু করে ইরান সংলগ্ন একটা শহর আস্ত থাকবে না।
তেমনিভাবে তালিবান কাশ্মীরে আক্রমণ করে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে কেন অথবা উইঘুরদের বাঁচাতে গিয়ে চীনের সাথে লেগে নিজেদের দেশের ধ্বংস টেনে আনবে কেন?
এবার আমার একটা প্রশ্ন, যেসব এলাকাকে উদ্ধারের কথা আপনার বলছেন ওই সব এলাকায় কি মুসলিম নাই? মুসলিম যুবক নাই? তারা কি করছে?
তাহলে তো আমাদের অভিযোগটা বনি ইসরাইল জাতির মত হয়ে যাচ্ছে যাদেরকে নাকি এক শক্তিশালী জাতির বিরুদ্ধে জি-হাদ করতে বলা হয়েছিল। আর তারা মুসা(আ)কে জবাবে যা বলেছিল তা আল্লাহপাকের কাছে এতটাই পছন্দ হয়েছে যে তিনি সেটা কোরআনে কোট করে দিয়েছেন,
‘হে মুসা, তারা যতক্ষণ সেখানে থাকবে ততক্ষণ আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না; কাজেই তুমি আর তোমার রব গিয়ে যুদ্ধ করো। নিশ্চয়ই আমরা এখানেই বসে থাকব। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২৪)
আসুন আমরাও বলি,
হে তালিবান! তোমরাও চীনে গিয়ে উইঘুরদের জন্য যুদ্ধ করো। ইরানিদের কাছ থেকে লাখ লাখ সিরিয়ান ও ইরাকি মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ নাও। কাশ্মীরে এটাক কর। আর আমরা তাগুতের আন্ডারে আরাম চেয়ারে বসে বসে তামাশা দেখলাম...............................বাংলাদেশ থেকে......................
তালিবান কি শরীয়াহ কায়েম করবে না? তাহলে কি তালিবান কিছুটা মডারেট হয়ে যাচ্ছে🥺🥺।
ইত্যাদি ইত্যাদি অজস্র অভিযোগ তালিবানের উপর।
যারা এসব অভিযোগ করেন তারা নিজের দেহে কতটা শরীয়াহ কায়েম করছেন বা নিজের ত্বাগুতের আন্ডারে থাকা ভূখণ্ডে ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য কি করছেন কিংবা নিজের পর্ন-দেখা ছোট ভাই বা কাজিন এর জন্য কি করতে পারছেন তা জানা নেই।
আমার ফ্যামিলিকে যেখানে ভোটদানের কুফরী কাজ থেকে বিরত রাখতে পারছিনা, সেখানে কিভাবে আমি তালিবানের কার্যক্রম নিয়া টেনশন করি না। আমার দরকার নাই। আমি আমার আম্মাকে বলেছিলাম ভোট না দিতে। এটা কুফরী।
তিনি রেগে গেলেন, "আরে ধুর! এটা নিয়া তুমি কুফরী বলার কে?? আলেমও না, আলেমের ভাইও না। যেখানে উলামায়ে কেরাম ভোট দিচ্ছেন, ভোটে অংশ নিচ্ছেন সেখানে এটা কুফরী হবে কেনো?? দেইখো, এই ব্যাপারে ফেসবুকে কিছু লেইখো না। নইলে ধরে নিয়ে যাবে।"
২০১২ সালে তালিবের একজন রাজনৈতিক প্রতিনিধি ফ্রান্সের আমন্ত্রণে গেলে সেখানে তাদের বলা হলো গণতন্ত্রে গেলেই তো হয়। জবাবে তিনি বলেন, আমরা তো বিজয়ই অর্জন করবো। যদি তালিব যদি মডারেটপন্থা অবলম্বন করার ইচ্ছে থাকতো তাহলে তখনই কোনো বিহিত করতো।
যারা খেলার মাঠে খেলে তারা জানে খেলা কি কষ্টকর। আর যারা গ্যালারিতে বসে তারা জাস্ট উপভোগ করে আর আওড়াতে থাকে.. এভাবে শট দিলে গোল হয়ে যেতো.. ওভাবে তুলে মারলে গ্যালারির ওপারে গিয়া পড়তো।
তালিব মডারেট ইসলামের জন্য ২০ বছর রক্ত ঝরায়নি। আমরা যা দেখছি তা জাস্ট রাজনৈতিক কৌশল যেটা বুঝার সক্ষমতা আমাদের ব্রেইনের নাই। জেনে রাখা উচিত বিশ্বের সর্বনিম্ন অর্থনীতির দরিদ্র আফগানিস্তানের জনগোষ্ঠীর বিশাল একটা অংশ পুরোপুরি তালিবের সহায়তা ছাড়া না খেয়ে মারা যাবে। তাছাড়া যারা আফিম(মাদক) চাষ করতো তালিব আফিম নিষিদ্ধের পরে তাদের পরিবারের ভরণপোষণের টেনশনও তালিবের মাথায়। তালিব হয় তাদের ভরণপোষণের অর্থ দেবে নয় খারেজী আ-ইএ-সের মতো পরিবারসহ হত্যা করতে হবে।
সমরাস্ত্র ও সমরকৌশল যত উন্নত হয়েছে তেমনি ধ্বংসলীলাও বেড়েছে। যুদ্ধ কতটা ভয়াবহ সেটা যুদ্ধাক্রান্ত এলাকার লোকেরা জানে। ব্যারেল বোমার আঘাতে যার শরীরের চামড়া পুড়েছে সে জানে বোমার আঘাতের যন্ত্রণা কতটুকু। চল্লিশ বছর যাবত এই আফগান জাতি নিজেরা সকল বোমার আঘাত সহ্য করে পরপর দুইটা পরাশক্তির কোমড় ভেঙে দিয়েছে। এরপরেও কি আপনারা চান তারা অন্য ভূখণ্ডে আক্রমণ করে নিজেদের আরো ধ্বংস করুক।
আর খারেজী আ-ই+এ-সদের অভিযোগ তা-তালিবান শিয়াদের বিরুদ্ধে জিহাদ করছে না কেন ইরানে আক্রমণ করছে না কেন? কেনো সিরিয়ান মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ নিচ্ছে না?
আপনি কি ইরানের মিসাইল দেখেছেন? শিয়া খোমেনী-খামেনি দেশের মানুষকে না খাইয়ে রেখে হলেও বস্তা বস্তা টাকা খরচ করে হাজার হাজার মিসাইল এর ভান্ডার গড়ে তুলেছে। মাটির তলে মিসাইলের একটা শহর তৈরি করে ফেলেছে। ধরা যাক তালিবান ইরানের সুন্নি সংখ্যাগরিষ্ট ইস্পাহানে আক্রমণ করল, স্বাভাবিকভাবে ইরানি সেনারা পিছু হটবে কারণ তালিবানের গ্রাউন্ড ফোর্সের সামনে ইরানি বাহিনী টিকতে পারবে না। এয়ারফোর্সের সহায়তা ছাড়া মার্কিন বাহিনীরও সক্ষমতা নাই তালিবের সামনে টিকার। কিছুদিন আগে ইরানি সেনাদের সাথে তালিবানের বর্ডারে সংঘর্ষ হয়েছিল ইরানের সেনারা পাঁচটা চেকপোস্ট ফেলে পালিয়ে যায়।
কিন্তু ইরানের আকাশ হামলা কি তালেবান আটকাতে পারবে, যেখানে আমেরিকা আটকাতে পারেনি? তালিবের কাছে ব্যালিস্টিক মিসাইল আটকানোর জন্য এন্টি-ব্যালিস্টিক মিসাইল নেই। হেরাত থেকে শুরু করে ইরান সংলগ্ন একটা শহর আস্ত থাকবে না।
তেমনিভাবে তালিবান কাশ্মীরে আক্রমণ করে ভারতের সঙ্গে যুদ্ধে জড়াবে কেন অথবা উইঘুরদের বাঁচাতে গিয়ে চীনের সাথে লেগে নিজেদের দেশের ধ্বংস টেনে আনবে কেন?
এবার আমার একটা প্রশ্ন, যেসব এলাকাকে উদ্ধারের কথা আপনার বলছেন ওই সব এলাকায় কি মুসলিম নাই? মুসলিম যুবক নাই? তারা কি করছে?
তাহলে তো আমাদের অভিযোগটা বনি ইসরাইল জাতির মত হয়ে যাচ্ছে যাদেরকে নাকি এক শক্তিশালী জাতির বিরুদ্ধে জি-হাদ করতে বলা হয়েছিল। আর তারা মুসা(আ)কে জবাবে যা বলেছিল তা আল্লাহপাকের কাছে এতটাই পছন্দ হয়েছে যে তিনি সেটা কোরআনে কোট করে দিয়েছেন,
‘হে মুসা, তারা যতক্ষণ সেখানে থাকবে ততক্ষণ আমরা সেখানে কখনো প্রবেশ করব না; কাজেই তুমি আর তোমার রব গিয়ে যুদ্ধ করো। নিশ্চয়ই আমরা এখানেই বসে থাকব। (সুরা : মায়েদা, আয়াত : ২৪)
আসুন আমরাও বলি,
হে তালিবান! তোমরাও চীনে গিয়ে উইঘুরদের জন্য যুদ্ধ করো। ইরানিদের কাছ থেকে লাখ লাখ সিরিয়ান ও ইরাকি মুসলিম হত্যার প্রতিশোধ নাও। কাশ্মীরে এটাক কর। আর আমরা তাগুতের আন্ডারে আরাম চেয়ারে বসে বসে তামাশা দেখলাম...............................বাংলাদেশ থেকে......................
Comment