া-লতাপাতা পর্যন্ত তোমার বিরহে ব্যথিত
হে আল্লাহর প্রিয় বান্দা,
আজ তোমার জন্য আমাদের দরদ কোথায় হারিয়ে গেলো?
হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ
যখন এই হাদিসটি শুনলেন
যেখানে বলা হয়েছে,
যেই গাছের গুঁড়ির উপর বসে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা দিতেন,
সেই গাছের গুঁড়িটি আল্লাহর রাসূলের বিরহে ইয়া উম্মতে মুহাম্মাদ ক্রন্দন করতো,
তিনি তখন অঝোরে কাঁদতেন আর লোকদের বলতেন,
‘হে মুসলমানরা!
বৃক্ষ, তরু-লতা পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের জন্য বিরহী-দরদী ছিলো।
বৃক্ষ, তরু-লতা পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের জন্য বিরহী-দরদী ছিলো, তোমরা কি সেই দরদ অনুভব কর না তাঁর স্মৃতিকাতরতায়?’
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবিদের মাঝে মাঝেই বলতেন,
'আমি আমার ভাইদের নিয়ে চিন্তিত। আমি আমার ভাইদের নিয়ে চিন্তিত।'
কাজেই তারা জানতে চাইতেন, 'আমরা কি আপনার ভাই নই?’
তিনি তাদের বলতেন,
'তোমরা আমার সাহাবি।
আমার ভাই তো তারা,
যারা আমাকে বিশ্বাস করবে অথচ তারা আমাকে কোনোদিন দেখেনি।'
সেদিন আমরা তাঁকে কি বলবো? যেদিন সব মানুষ জড়ো হবে কাউসারের পানি পান করার জন্য?
যখন তিনি বলবেন,
‘ওরা আমাকে নিয়ে হাসি- তামাশা করেছে, অমর্যাদা করেছে,
আমাকে আহত করেছে, তো তোমরা আমার সম্মান রক্ষা করার জন্য কি করেছিলে?'
হ্যাঁ, আপনাদের জন্যে এটাই সুযোগ
যারা চান, আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সম্মানিত হোক। এটাই সুযোগ। এই সেই দরজা।
যারা চান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্যে এগিয়ে যাবেন, তাঁরা প্রবেশ করুন এই দরজা দিয়ে।
কোথায় আপনাদের অনুভূতি? কোথায় আপনাদের পৌরষ?
কোথায় আপনাদের আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য ভালবাসা?
আর কোথায় আপনাদের রক্তে নাচন লাগা আত্মসম্মানবোধ?
সারা দুনিয়া তাকিয়ে আছে, অপেক্ষায় আছে কে সেই ব্যক্তি, কেউ কি আছে এই উম্মাহর মধ্যে সিংহ হৃদয়,
যিনি উম্মাহর সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবেন, যেই সম্মান আজকে কুফফার তাদের পায়ের নিচে দলছে?
তাঁর কসম করে বলছি,
যার দ্বীন ব্যতীত আর কোনো সত্য দ্বীন নেই, তাঁর কসম করে বলছি যার বার্তাবাহক মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম),
আমরা কোনোদিন সন্তুষ্ট হবো না, কোনোদিন না, যতক্ষণ না আপনারা তাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক, বাণিজ্য বন্ধ করে দেবেন, যতক্ষণ তারা একটা উচিত শিক্ষা লাভ না করবে।
ওয়াল্লাহি (আল্লাহর শপথ!) আমাদের জন্য কোনো কল্যাণই নেই! আমাদের কোনো মূল্যই নেই,
যদি এই ঘটনাগুলো এভাবেই চুপচাপ শেষ হয়ে যায়।
যে জাতি তার নেতার সম্মান রক্ষা করতে পারে না,
সে জাতি কীভাবে তার শত্রুদের পরাজিত করবে?
আমাদের নপুংসকতার জন্য মুখে আঁচল চাপা দিয়ে কাঁদুন, আর আল্লাহর কাছে দুয়া করুন যেন আমাদের সন্তানদের এরকম অক্ষম করে না বানান।
আমরা যেদিন থেকে এই ব্যভিচারী জাতিগুলোর দুধ পান করা শিখেছি সেদিন থেকেই তারা আমাদের অসম্মান আর লজ্জা গুলে খাইয়ে দিচ্ছে।
আজকে আমাদের পুরুষদের জন্য মহিলাদের মত বোরখা পরে রাস্তায় চলাচল করাই উত্তম, তবু তাদের অপমানজনক মিথ্যাচার শুনতে চাই না, তাদের ঘৃণা থেকে উৎসারিত এ কথা কি আমরা বুঝি না?
তারা বলছে, ‘আমরা আমাদের ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র মাধ্যমে আমাদের চিন্তা- চেতনার প্রকাশ ঘটাচ্ছি!' হে মাথামোটা লোকের দল! একবার ভালো করে বুঝুন, কোনোদিন দেখেছেন এই বিজাতিরা (ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের নামে) কোনো হিন্দু কিংবা ইহুদিকে নিয়ে তামাশা করেছে?
গরুর পূজারীরা কি আমাদের চেয়ে বেশি সুপুরুষ হয়ে গেল নাকি? কোথায় সত্যবাদীরা?
কোথায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশি রাসূলকে ভালবাসার দাবিদারেরা?
মুসলিম দেশের সরকারগুলোর অবস্থান কোথায়? দেড়শ কোটি (নামেই মাত্র) মানুষের উম্মাহর অবস্থান কোথায়?
হে আল্লাহর বান্দারা!
ন্যায়পরায়ণ মুসলিম উলামাগণ একত্রিত হয়েছেন,
কারণ নিজের জান-মাল সবকিছু কুরবানি করে হলেও আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষা করা আবশ্যক
এবংযত দিক থেকে তাঁর বিরুদ্ধে
যা বলা হবে, সবকিছু প্রতিরোধ করতে হবে
📝 শাইখ খালিদ আর রাশিদ হাফিঃ
আল্লাহ তার উওম কাজের উসিলায় তার কারা মুক্তিকে ত্বরাণিত করুক
( আমীন )
হে আল্লাহর প্রিয় বান্দা,
আজ তোমার জন্য আমাদের দরদ কোথায় হারিয়ে গেলো?
হাসান বসরী রাহিমাহুল্লাহ
যখন এই হাদিসটি শুনলেন
যেখানে বলা হয়েছে,
যেই গাছের গুঁড়ির উপর বসে আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম খুতবা দিতেন,
সেই গাছের গুঁড়িটি আল্লাহর রাসূলের বিরহে ইয়া উম্মতে মুহাম্মাদ ক্রন্দন করতো,
তিনি তখন অঝোরে কাঁদতেন আর লোকদের বলতেন,
‘হে মুসলমানরা!
বৃক্ষ, তরু-লতা পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের জন্য বিরহী-দরদী ছিলো।
বৃক্ষ, তরু-লতা পর্যন্ত আল্লাহর রাসূলের জন্য বিরহী-দরদী ছিলো, তোমরা কি সেই দরদ অনুভব কর না তাঁর স্মৃতিকাতরতায়?’
রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাঁর সাহাবিদের মাঝে মাঝেই বলতেন,
'আমি আমার ভাইদের নিয়ে চিন্তিত। আমি আমার ভাইদের নিয়ে চিন্তিত।'
কাজেই তারা জানতে চাইতেন, 'আমরা কি আপনার ভাই নই?’
তিনি তাদের বলতেন,
'তোমরা আমার সাহাবি।
আমার ভাই তো তারা,
যারা আমাকে বিশ্বাস করবে অথচ তারা আমাকে কোনোদিন দেখেনি।'
সেদিন আমরা তাঁকে কি বলবো? যেদিন সব মানুষ জড়ো হবে কাউসারের পানি পান করার জন্য?
যখন তিনি বলবেন,
‘ওরা আমাকে নিয়ে হাসি- তামাশা করেছে, অমর্যাদা করেছে,
আমাকে আহত করেছে, তো তোমরা আমার সম্মান রক্ষা করার জন্য কি করেছিলে?'
হ্যাঁ, আপনাদের জন্যে এটাই সুযোগ
যারা চান, আপনাদের দুনিয়া ও আখেরাতের জীবন সম্মানিত হোক। এটাই সুযোগ। এই সেই দরজা।
যারা চান আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের সাহায্যে এগিয়ে যাবেন, তাঁরা প্রবেশ করুন এই দরজা দিয়ে।
কোথায় আপনাদের অনুভূতি? কোথায় আপনাদের পৌরষ?
কোথায় আপনাদের আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের জন্য ভালবাসা?
আর কোথায় আপনাদের রক্তে নাচন লাগা আত্মসম্মানবোধ?
সারা দুনিয়া তাকিয়ে আছে, অপেক্ষায় আছে কে সেই ব্যক্তি, কেউ কি আছে এই উম্মাহর মধ্যে সিংহ হৃদয়,
যিনি উম্মাহর সম্মান ও মর্যাদা পুনরুদ্ধার করবেন, যেই সম্মান আজকে কুফফার তাদের পায়ের নিচে দলছে?
তাঁর কসম করে বলছি,
যার দ্বীন ব্যতীত আর কোনো সত্য দ্বীন নেই, তাঁর কসম করে বলছি যার বার্তাবাহক মুহাম্মদ (সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম),
আমরা কোনোদিন সন্তুষ্ট হবো না, কোনোদিন না, যতক্ষণ না আপনারা তাদের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক, বাণিজ্য বন্ধ করে দেবেন, যতক্ষণ তারা একটা উচিত শিক্ষা লাভ না করবে।
ওয়াল্লাহি (আল্লাহর শপথ!) আমাদের জন্য কোনো কল্যাণই নেই! আমাদের কোনো মূল্যই নেই,
যদি এই ঘটনাগুলো এভাবেই চুপচাপ শেষ হয়ে যায়।
যে জাতি তার নেতার সম্মান রক্ষা করতে পারে না,
সে জাতি কীভাবে তার শত্রুদের পরাজিত করবে?
আমাদের নপুংসকতার জন্য মুখে আঁচল চাপা দিয়ে কাঁদুন, আর আল্লাহর কাছে দুয়া করুন যেন আমাদের সন্তানদের এরকম অক্ষম করে না বানান।
আমরা যেদিন থেকে এই ব্যভিচারী জাতিগুলোর দুধ পান করা শিখেছি সেদিন থেকেই তারা আমাদের অসম্মান আর লজ্জা গুলে খাইয়ে দিচ্ছে।
আজকে আমাদের পুরুষদের জন্য মহিলাদের মত বোরখা পরে রাস্তায় চলাচল করাই উত্তম, তবু তাদের অপমানজনক মিথ্যাচার শুনতে চাই না, তাদের ঘৃণা থেকে উৎসারিত এ কথা কি আমরা বুঝি না?
তারা বলছে, ‘আমরা আমাদের ‘মত প্রকাশের স্বাধীনতা'র মাধ্যমে আমাদের চিন্তা- চেতনার প্রকাশ ঘটাচ্ছি!' হে মাথামোটা লোকের দল! একবার ভালো করে বুঝুন, কোনোদিন দেখেছেন এই বিজাতিরা (ফ্রিডম অব এক্সপ্রেশনের নামে) কোনো হিন্দু কিংবা ইহুদিকে নিয়ে তামাশা করেছে?
গরুর পূজারীরা কি আমাদের চেয়ে বেশি সুপুরুষ হয়ে গেল নাকি? কোথায় সত্যবাদীরা?
কোথায় নিজের জীবনের চেয়ে বেশি রাসূলকে ভালবাসার দাবিদারেরা?
মুসলিম দেশের সরকারগুলোর অবস্থান কোথায়? দেড়শ কোটি (নামেই মাত্র) মানুষের উম্মাহর অবস্থান কোথায়?
হে আল্লাহর বান্দারা!
ন্যায়পরায়ণ মুসলিম উলামাগণ একত্রিত হয়েছেন,
কারণ নিজের জান-মাল সবকিছু কুরবানি করে হলেও আল্লাহর রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সম্মান রক্ষা করা আবশ্যক
এবংযত দিক থেকে তাঁর বিরুদ্ধে
যা বলা হবে, সবকিছু প্রতিরোধ করতে হবে
📝 শাইখ খালিদ আর রাশিদ হাফিঃ
আল্লাহ তার উওম কাজের উসিলায় তার কারা মুক্তিকে ত্বরাণিত করুক
( আমীন )
Comment