বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
‘হে আমার প্রতিপালক! তাদের উভয়ের প্রতি দয়া কর; যেভাবে শৈশবে তারা আমাকে লালন-পালন করেছেন।’ (বনী-ইসরাঈল ১৭:২৪)
رَبَّيَا : তারা দু'জন (মা-বাবা) লালন-পালন করেছেন ।
মূল হরফ : ر - ب - ب
মাছদার : اَلرَّبُّ
মাছদারের অর্থ : প্রতিপালন করা, লালন-পালন করা, বড় করে তোলা, নিয়ন্ত্রণ করা, কর্তৃত্ব করা, মালিক হওয়া, প্রভু হওয়া ... ইত্যাদি ।
মা-বাবা তার সন্তানকে সর্বোচ্চ সফলতার লক্ষ্যে ভালো-মন্দের প্রতি খেয়াল রেখে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যান ।
মা-বাবা তার সন্তানকে শুধু আদেশ, নিষেধ, দিকনির্দেশনা আর পথ প্রদর্শনই করেন না বরং সন্তানের জন্য পথ বানিয়েও দেন । যাতে সেই পথে চলে সন্তান খুব সহজেই তাদের আদেশ, নিষেধ, দিকনির্দেশনা আর পথ প্রদর্শন অনুযায়ী চলতে পারে ।
মা-বাবাই তো সন্তানের অভিভাবক । অথবা যিনি বা যাঁরা মা-বাবার অনুপস্থিতে সন্তানের জন্য মা-বাবার দায়িত্বগুলোই কাঁধে তুলে নেন তিনি বা তাঁরাই হচ্ছেন উক্ত সন্তানের অভিভাবক ।
আল্লাহ তা'আলাই আমাদের সর্বোচ্চ প্রতিপালক, প্রভু, মালিক, নিয়ন্ত্রক, অভিভাবক । এরপরও আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে কারো না কারো আওতাধীন করেছেন, যেমন মা-বাবার আওতাধীন করেন, এমনিভাবে স্তরে স্তরে আরও অনেকের আওতাধীন করেছেন... এমনকি আমরা এর জন্য দোয়াও করি,
তোমাদের কি হয়েছে যে, তোমরা আল্লাহর পথে এবং অসহায় নরনারী ও শিশুদের (উদ্ধারের) জন্য সংগ্রাম করবে না? যারা বলছে, ‘হে আমাদের প্রতিপালক! অত্যাচারী অধিবাসীদের এই নগর হতে আমাদেরকে বাহির করে অন্যত্র নিয়ে যাও এবং তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের অভিভাবক কর এবং তোমার নিকট হতে কাউকে আমাদের সহায় নিযুক্ত কর। (সূরাঃ ৪/ আন-নিসা:৭৬)
দয়া করে কোনো মুজাহিদ ভাইয়ের দায়িত্ব নিয়ে উদাসীনতা প্রদর্শন করবেন না । আপনি দায়িত্ব নিচ্ছেন মানে হল যে, আপনি তাকে নিয়ে সর্বোচ্চ সফলতার লক্ষ্যে ভালো-মন্দের প্রতি খেয়াল রেখে ধীরে ধীরে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন । আপনি শুধু তাকে আদেশ, নিষেধ, দিকনির্দেশনা আর পথ প্রদর্শনই করেন না বরং প্রয়োজনে তার জন্য পথ বানিয়েও দিবেন । যাতে সে উক্ত পথে চলে খুব সহজেই শরীয়তের আদেশ, নিষেধ, দিকনির্দেশনা আর পথ প্রদর্শন অনুযায়ী চলতে পারে । আর মুমিনের সর্বোচ্চ সফলতা তো মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের রব আল্লাহকে সন্তুষ্টি করার মাঝেই নিহিত ।
আল্লাহর ওয়াস্তে বিশেষ করে কোন মুজাহিদ ভাইয়ের প্রতি উদাসীনতা প্রদর্শন করবেন না ।
হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।
Comment