শত্রুর দৃষ্টি থেকে আড়াল হওয়ার আমল সংক্রান্ত একটি হাদিস হযরত কা'ব (রা.) সিরিয়ার এক ব্যক্তির কাছে বর্ণনা করেন।
ঘটনাক্রমে সেই সিরিয়ান মুসলমান রোমে গমন করে বেশ কিছুদিন সেখানে অবস্থানের পর, রোমান কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারের শিকার হওয়ায়, সেখান থেকে তিনি পলায়ন করেন, কিন্তু পরিস্থিতি আচ করতে পেরে, তারা উনার পিছু নেয়, তিনি পলাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ কা'ব (রা.) এর বর্ণিত সেই হাদিসখানা তার মনে পড়ে, সাথে সাথেই তিনি তার উপর আমল করেন, অপতর তিনি যে রাস্তায় চলছেন শত্রুরাও সে রাস্তা অতিক্রম করছিলো, অথচ তারা তাকে দেখতে পায়নি।
ইতিহাসে পাওয়া যায়- একিভাবে ইমাম সা'লাবি (রাহি.) রায় এলাকার একজনের কাছে হযরত কা'ব (রা.) থেকে উল্লেখিত সে হাদিসটি বর্ণনা করেন, পরে কোনো একদিন সায়লামের কাফিরদের হাতে সে ব্যক্তি বন্ধি হলে, কিছুদিন এভাবেই কাটানো হয়। হঠাৎ একদিন সুযোগ পেয়ে তিনি পলায়নের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মাল'উন কাফেরেরা তার পিছুধাওয়া করে বসে, এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে কা'ব (রা.) সুত্রে সা'লাবির বর্ণিত সে হাদিস তার স্মরণ হয়, তাতক্ষণাত তিনি তা আমলে নেন, ফলে কাফেরদের চোখে পর্দা পড়ে যায়, দেখাগেলো তিনি যে রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন তারাও সে রাস্তা দিয়ে হাটে, এমনকি তাদের কাপড়কে স্পর্শ করছিলো তার কাপড়, কিন্তু তারা তাকে দেখতে পারেনি।
এমনি ইমাম কুরতুবী (রাহি) বলেন, আমি স্বদেশ আন্দালুসে কর্ডোভার নিকটবর্তী মনসুর দূর্গে এভাবে কাফেরদের থেকে পিছু ধাওয়া করার সম্মুখীন হই, তাই আমি শত্রুর সামন দিয়ে দৌড় দেই, তারা দু'জন কে পাঠায় আমার পশ্চাদ্ধাবন করার জন্যে, এদিকে আমার সামনে ছিলো খোলা মাঠ, আড়াল নেয়ার কিছুই পাচ্ছিলাম না, তাই একজাগায় আমি বসে পড়ি ও সূরা ইয়াসীনের প্রথম সে নয় আয়াত তিলাওয়াত করি, গৃহবন্দি থেকে হিজরত করার সময় যা রাসূলুল্লাহ (সা.) পাঠ করেছিলেন, ফলে আল্লাহ তা'আলা তাদের চোখে পর্দা ফেলেদেন, তারা একেওপরকে "কোনো শয়তান হবে হয়তো" বলে আমার পাশ অতিক্রম করে চলে যায়, অবশ্যই আমাকে তারা দেখতে পায়নি।
তাই তিনি বলেন কা'ব (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) এর সে হাদিসের উপর আমলের সাথে সূরা ইয়াসীনের এ আয়াত গুলাও যোক্ত করা উচিত।
আমাদের কাঙ্ক্ষিত সে হাদিসখানা হলো- কা'ব (রা) বলেন, রাসূল (সা.) যখন মুশরিকদের থেকে আত্নগোপনের ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি এ আয়াতত্রয় তিলাওয়াত করতেন।
১। বনী-ইসরাঈল-৪৬
وَّجَعَلۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ اَکِنَّۃً اَنۡ یَّفۡقَہُوۡہُ وَفِیۡۤ اٰذَانِہِمۡ وَقۡرًا ؕ
২। আন নাহ্ল-১০৮
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ طَبَعَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَسَمۡعِہِمۡ وَاَبۡصَارِہِمۡ ۚ
৩। আল জাছিয়াহ-২৩
اَفَرَءَیۡتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـہَہٗ ہَوٰىہُ وَاَضَلَّہُ
اللّٰہُ عَلٰی عِلۡمٍ وَّخَتَمَ عَلٰی سَمۡعِہٖ وَقَلۡبِہٖ وَجَعَلَ عَلٰی بَصَرِہٖ غِشٰوَۃً ؕ
সাথে ইমাম তবারী (রাহি) এর বর্ণিত সূরা ইয়াসীনের প্রথম নয় আয়াত-
یٰسٓ ۚ✪ وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ✪ اِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ۙ✪ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ؕ✪ تَنۡزِیۡلَ الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ ۙ✪ لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اُنۡذِرَ اٰبَآؤُہُمۡ فَہُمۡ غٰفِلُوۡنَ✪ لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِہِمۡ فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡن✪ اِنَّا جَعَلۡنَا فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ اَغۡلٰلًا فَہِیَ اِلَی الۡاَذۡقَانِ فَہُمۡ مُّقۡمَحُوۡنَ✪ وَجَعَلۡنَا مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ سَدًّا وَّمِنۡ خَلۡفِہِمۡ سَدًّا فَاَغۡشَیۡنٰہُمۡ فَہُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ✪
ঘটনাক্রমে সেই সিরিয়ান মুসলমান রোমে গমন করে বেশ কিছুদিন সেখানে অবস্থানের পর, রোমান কাফেরদের দ্বারা অত্যাচারের শিকার হওয়ায়, সেখান থেকে তিনি পলায়ন করেন, কিন্তু পরিস্থিতি আচ করতে পেরে, তারা উনার পিছু নেয়, তিনি পলাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ কা'ব (রা.) এর বর্ণিত সেই হাদিসখানা তার মনে পড়ে, সাথে সাথেই তিনি তার উপর আমল করেন, অপতর তিনি যে রাস্তায় চলছেন শত্রুরাও সে রাস্তা অতিক্রম করছিলো, অথচ তারা তাকে দেখতে পায়নি।
ইতিহাসে পাওয়া যায়- একিভাবে ইমাম সা'লাবি (রাহি.) রায় এলাকার একজনের কাছে হযরত কা'ব (রা.) থেকে উল্লেখিত সে হাদিসটি বর্ণনা করেন, পরে কোনো একদিন সায়লামের কাফিরদের হাতে সে ব্যক্তি বন্ধি হলে, কিছুদিন এভাবেই কাটানো হয়। হঠাৎ একদিন সুযোগ পেয়ে তিনি পলায়নের চেষ্টা করছিলেন, কিন্তু মাল'উন কাফেরেরা তার পিছুধাওয়া করে বসে, এহেন সংকটময় পরিস্থিতিতে কা'ব (রা.) সুত্রে সা'লাবির বর্ণিত সে হাদিস তার স্মরণ হয়, তাতক্ষণাত তিনি তা আমলে নেন, ফলে কাফেরদের চোখে পর্দা পড়ে যায়, দেখাগেলো তিনি যে রাস্তা দিয়ে হাটছিলেন তারাও সে রাস্তা দিয়ে হাটে, এমনকি তাদের কাপড়কে স্পর্শ করছিলো তার কাপড়, কিন্তু তারা তাকে দেখতে পারেনি।
এমনি ইমাম কুরতুবী (রাহি) বলেন, আমি স্বদেশ আন্দালুসে কর্ডোভার নিকটবর্তী মনসুর দূর্গে এভাবে কাফেরদের থেকে পিছু ধাওয়া করার সম্মুখীন হই, তাই আমি শত্রুর সামন দিয়ে দৌড় দেই, তারা দু'জন কে পাঠায় আমার পশ্চাদ্ধাবন করার জন্যে, এদিকে আমার সামনে ছিলো খোলা মাঠ, আড়াল নেয়ার কিছুই পাচ্ছিলাম না, তাই একজাগায় আমি বসে পড়ি ও সূরা ইয়াসীনের প্রথম সে নয় আয়াত তিলাওয়াত করি, গৃহবন্দি থেকে হিজরত করার সময় যা রাসূলুল্লাহ (সা.) পাঠ করেছিলেন, ফলে আল্লাহ তা'আলা তাদের চোখে পর্দা ফেলেদেন, তারা একেওপরকে "কোনো শয়তান হবে হয়তো" বলে আমার পাশ অতিক্রম করে চলে যায়, অবশ্যই আমাকে তারা দেখতে পায়নি।
তাই তিনি বলেন কা'ব (রা.) থেকে বর্ণিত রাসূল (সা.) এর সে হাদিসের উপর আমলের সাথে সূরা ইয়াসীনের এ আয়াত গুলাও যোক্ত করা উচিত।
আমাদের কাঙ্ক্ষিত সে হাদিসখানা হলো- কা'ব (রা) বলেন, রাসূল (সা.) যখন মুশরিকদের থেকে আত্নগোপনের ইচ্ছা করতেন, তখন তিনি এ আয়াতত্রয় তিলাওয়াত করতেন।
১। বনী-ইসরাঈল-৪৬
وَّجَعَلۡنَا عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ اَکِنَّۃً اَنۡ یَّفۡقَہُوۡہُ وَفِیۡۤ اٰذَانِہِمۡ وَقۡرًا ؕ
২। আন নাহ্ল-১০৮
اُولٰٓئِکَ الَّذِیۡنَ طَبَعَ اللّٰہُ عَلٰی قُلُوۡبِہِمۡ وَسَمۡعِہِمۡ وَاَبۡصَارِہِمۡ ۚ
৩। আল জাছিয়াহ-২৩
اَفَرَءَیۡتَ مَنِ اتَّخَذَ اِلٰـہَہٗ ہَوٰىہُ وَاَضَلَّہُ
اللّٰہُ عَلٰی عِلۡمٍ وَّخَتَمَ عَلٰی سَمۡعِہٖ وَقَلۡبِہٖ وَجَعَلَ عَلٰی بَصَرِہٖ غِشٰوَۃً ؕ
সাথে ইমাম তবারী (রাহি) এর বর্ণিত সূরা ইয়াসীনের প্রথম নয় আয়াত-
یٰسٓ ۚ✪ وَالۡقُرۡاٰنِ الۡحَکِیۡمِ ۙ✪ اِنَّکَ لَمِنَ الۡمُرۡسَلِیۡنَ ۙ✪ عَلٰی صِرَاطٍ مُّسۡتَقِیۡمٍ ؕ✪ تَنۡزِیۡلَ الۡعَزِیۡزِ الرَّحِیۡمِ ۙ✪ لِتُنۡذِرَ قَوۡمًا مَّاۤ اُنۡذِرَ اٰبَآؤُہُمۡ فَہُمۡ غٰفِلُوۡنَ✪ لَقَدۡ حَقَّ الۡقَوۡلُ عَلٰۤی اَکۡثَرِہِمۡ فَہُمۡ لَا یُؤۡمِنُوۡن✪ اِنَّا جَعَلۡنَا فِیۡۤ اَعۡنَاقِہِمۡ اَغۡلٰلًا فَہِیَ اِلَی الۡاَذۡقَانِ فَہُمۡ مُّقۡمَحُوۡنَ✪ وَجَعَلۡنَا مِنۡۢ بَیۡنِ اَیۡدِیۡہِمۡ سَدًّا وَّمِنۡ خَلۡفِہِمۡ سَدًّا فَاَغۡشَیۡنٰہُمۡ فَہُمۡ لَا یُبۡصِرُوۡنَ✪
Comment