Announcement

Collapse
No announcement yet.

তাকলিদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • তাকলিদ


    দীনের ইলম অর্জন ও হক চেনার ক্ষেত্রে, সাম্প্রতিক সময়ে আরব-আজমের প্রায় সকলেই যার অনুসরণের ব্যাপারে একমত; তিনি হলেন- ইমাম শাহ ওয়ালিউল্লাহ দেহলভি রহ.। সালাফি, দেওবন্দি, বেরলবি সকলেই ইমামের শ্রেষ্ঠত্ব ও গ্রহণযোগ্যতা স্বীকার করে নিলেও, কে কতটুকু অনুসরণ করছে বা করে চলেছে, তা মূলত বিবেচ্য বিষয় ব্যাক্তি, জামাত বা মাসলাকের গৃহীত অবস্থান থেকে।
    .
    বিশেষত, দীন বোঝার অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত- 'তাকলিদ ও মাযহাব'এর ক্ষেত্রে ইমাম ওয়ালিউল্লাহর বয়ান কতই না ভারসাম্যপূর্ণ, অসাধারণ, সহজ, বোধগম্য ও অনুসৃতব্য!
    বর্তমান সময়ে, এখনো হকপন্থী উলামায়ে কেরামের আলোচনা ও তাসনিফ থেকে আজো ইমাম ওয়ালিউল্লাহর আলোচনাই প্রতিধ্বনিত হয় আলহামদুলিল্লাহ। যেমন- বর্তমানে আহলুস সুন্নাহর প্রধাণ উলামাদের অন্যতম শায়খ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনির (হাফিজাহুল্লাহ) আলোচনা থেকে আমরা পাই।
    .


    তাকলিদ কি?
    আলিমগণ বলেন,
    التقليدُ العملُ بقولِ منْ ليسَ قولهُ إحدى‌َ الحججِ بلاَ حجةٍ منهاَ (تيسير التحرير: ٤ / ٣٥٢)
    "যার কথা শরিয়তের কোনো দলিল নয়, দলিল ছাড়া তার ফতোয়া অনুযায়ী আমল করার নামই হলো তাকলিদ।" - তাইসিরুত তাহরির, ৪/৩৫২

    .
    তাকলিদ ও মাযহাব প্রসঙ্গে ইমাম ওয়ালিউল্লাহ রহ. এর বক্তব্য-
    "সেই প্রাচীন যুগ থেকে আজ পর্যন্ত লােকেরা প্রায় সর্বসম্মতভাবে তাঁদের তাকলীদ করে আসছে। আর এতে যে বিরাট কল্যাণ নিহিত আছে, তাও সকলের চোখের সামনেই রয়েছে। বিশেষ করে কাল-পরিক্রমায় লােকেরা যখন দীনি বিষয়াদি নিয়ে চিন্তা গবেষণা পরিত্যাগ করে বসেছে, নিজ মতের পিছে ছুটে বেড়াচ্ছে এবং নফসের ঘােড়ার পিছে দৌড়াচ্ছে।
    .

    তাকলীদ সম্পর্কে ইবনে হাযমের বক্তব্য ("কুরআন এবং প্রাচীন আলিমগণের সর্বসম্মত মতানুযায়ী তাকলীদ হারাম এবং মুজতাহিদ ইমামগণ স্বয়ং তাঁদের তাকলীদ করতে নিষেধ করে গেছেন") লােকদের দারুণ ভুল বুঝাবুঝিতে নিমজ্জিত করেছে। তারা মনে করে বসেছে, কথাটা বুঝি সর্বশ্রেণীর মানুষের জন্যেই প্রযােজ্য! কথাটি স্বয়ং সত্য কথা, তবে তা প্রযােজ্য হবে ক্ষেত্রবিশেষে।
    অর্থাৎ তাকলীদ নিষিদ্ধ তাদের জন্যে, যারা ইজতিহাদের যােগ্যতা রাখেন অন্তত একটি মাসআলার ক্ষেত্রে হলেও।
    তাদের জন্যেও তাকলীদ করা নিষেধ, যারা সুস্পষ্টভাবে জানেন যে, 'রাসূলুল্লাহ (সা) অমুক কাজের হুকুম দিয়েছেন, অমুক কাজ নিষেধ করেছেন এবং অমুক হুকুম রহিত।'
    এ জ্ঞান তারা সরাসরি হাদীস অধ্যয়ন করে অর্জন করুক কিংবা অর্জন করুক দীনের সেরা আলিমদের আমল দেখে, তাতে কিছু যায় আসে না।
    .
    এ সত্যের প্রতিই ইংগিত করেছেন শাইখ ইযযুদ্দীন আবদুস সালাম। তিনি বলেছেন :
    “ঐসব ফকীহদের অবস্থা দেখে আমি বিস্মিত হচ্ছি, যারা স্বীয় ইমামদের ইজতিহাদী ভ্রান্তি সম্পর্কে অবগত হওয়া সত্ত্বেও সেই ভ্রান্তিকে আঁকড়ে ধরে থাকে এবং তা ত্যাগ করে কিতাব, সুন্নাহ ও কিয়াসের সাক্ষ্যের ভিত্তিতে বিশুদ্ধ মতকে গ্রহণ করে না। বরঞ্চ এসব অজ্ঞ অন্ধরা তাদের অন্ধ তাকলীদের ভ্রান্ত জযবায় অনেক সময় বাস্তবে কুরআন সুন্নাহর বিরুদ্ধে চলে যায় এবং স্বীয় ইমামকে ত্রুটিহীন প্রমাণ করার জন্যে কুরআন সুন্নাহর এমন ভ্রান্ত ব্যাখ্যা বিশ্লেষণ করে যা কালামের তাহরীফ ছাড়া আর কিছু নয়।”
    .
    তিনি অন্যত্র লিখেছেন
    “প্রথম যুগের লােকেরা যে আলিমকেই সামনে পেতেন, তার কাছেই ফতােয়া জেনে নিতেন। তিনি কোন্ খেয়াল ও মসলকের লােক, তা জানার চেষ্টা করতেন, কিন্তু পরবর্তীকালে এ অবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়ে যায়। চার মাযহাবের আবির্ভাব ঘটে আর সেগুলাের অন্ধ অনুকরণকারীদের আগমন ঘটে।
    লােকেরা হিদায়াতের আসল উৎস থেকে মুখ ফিরিয়ে কেবল ইমামদের বক্তব্যের উপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে, তাদের কোনাে বক্তব্য যতােই দুর্বল ও দলিলবিহীন হােক না কেন। ভাবটা যেন এমন যে, মুজতাহিদরা মুজতাহিদ নন বরং আল্লাহর রাসূল, মাসূম এবং তাদের কাছে ওহী নাযিল হয়! এটা সত্য ও হকের পথ নয়। বরঞ্চ নির্ঘাত অজ্ঞতা ও ভ্রান্তির পথ।”
    .

    এ প্রসঙ্গে ইমাম আবু শামাহ্ বলেন,
    "কেউ যদি ফিকাহর প্রতি আকর্ষণ বােধ করেন, তিনি যেন কোনাে একটি মাযহাবকে যথেষ্ট মনে না করেন। বরঞ্চ প্রত্যেক মুজতাহিদের মতামত যেনাে মনােযােগ দিয়ে দেখেন। প্রত্যেকের মধ্যে ডুব দিয়ে সত্যের বাতি জ্বালিয়ে দেখা উচিত। অতঃপর যে মতটিকে কুরআন সুন্নাহর অধিকতর কাছাকাছি মনে করবেন সেটাই যেন গ্রহণ করেন।
    .
    প্রাচীন আলিমগণের জ্ঞানভাণ্ডারের প্রয়ােজনীয় অংশগুলাের প্রতি যদি তিনি নযর দেন, তবে ইনশাবল্লাহ যাচাই বাছাইয়ের এ শক্তি অর্জন করা তার জন্যে সহজ হয়ে যাবে এবং সহজেই শরীয়তের সত্যিকার রাজপথের সন্ধান পেয়ে যাবেন।
    এরূপ লােকদের কর্তব্য হলাে গােষ্ঠীগত গোঁড়ামী থেকে নিজেদের মন মস্তিষ্ককে পবিত্র রাখা। বিবাদ বিসম্বাদের ময়দানে একটি কদমও না ফেলা। কারণ সেখানে সময় নষ্ট করা এবং স্বভাব ও আচরণে বিকৃতি লাভ করা ছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায় না।
    .
    ইবনে হাযমের মন্তব্য এমন সাধারণ ব্যক্তির ব্যাপারেও প্রযােজ্য, যে দীনি ইলম সম্পর্কে পূর্ণজ্ঞান না থাকার কারণে তাকলীদ করে বটে, কিন্তু কোনাে একজন ফকীহর তাকলীদ এই দৃষ্টিভঙ্গিতে করে যে, তিনি ভুল করেন না, তিনি যা বলেন সবই সঠিক। তাছাড়া দলিল প্রমাণের দিক থেকে তাঁর মত যতােই ভুল এবং বিপরীত মত যতােই বিশুদ্ধ হােক না কেন, সর্বাবস্থায়ই সে তাঁর তাকলীদের উপর জমে থাকার সিদ্ধান্ত নেয়। মূলত এ নীতি সেই ইহুদীবাদেরই অনুরূপ যা তাওহীদী আদর্শকে শিরকে রূপান্তরিত করে দিয়েছিল।
    .
    এ প্রসঙ্গে একটি হাদীস উল্লেখযােগ্য। হাদীসটি মুসলিম শরীফে আদী ইবনে হাতিম থেকে বর্ণিত হয়েছে। তিনি বলেন,
    “রাসূলুল্লাহ (সা) "তারা আল্লাহকে বাদ দিয়ে নিজেদের উলামা মাশায়েখদের রব বানিয়ে নিয়েছে।" আয়াত পড়ে বলেছেনঃ ইহুদীরা তাদের উলামা মাশায়েখদের ইবাদত করতাে না বটে, কিন্তু তারা যখন কোনাে জিনিসকে বৈধ বলতাে। তারা সেটাকেই (নির্বিচারে) বৈধ বলে গ্রহণ করতাে আর তারা তাদের জন্যে যেটাকে নিষিদ্ধ করতাে, সেটাকেই অবৈধ বলে মেনে নিতাে।"
    .
    সুতরাং এই দৃষ্টিভঙ্গিতে কোনাে একজন মাত্র ইমামের তাকলীদ করা যে, তিনি শরীয়তের নির্ভুল মুখপত্র- তার পূজা করারই সমতুল্য।
    ঐ ব্যক্তির ব্যাপারেও ইবনে হাযমের ফতােয়া প্রযােজ্য, যে ব্যাক্তি কোনাে হানাফীর জন্যে শাফেয়ী ফকীহর কাছে এবং কোনাে শাফেয়ীর জন্যে হানাফী মুজতাহিদের তাকলীদ করতাে না।
    কোনাে বিশুদ্ধ নির্ভরযােগ্য সূত্রে যদি আল্লাহর সেই মাসুম রাসূলের (সা) কোনাে হাদীস আমার নিকট পৌছে, যার আনুগত্য করা আমার জন্যে ফরয, সেই হাদীসটি যদি আমার ইমামের (বা মাযহাবের) মতের বিরােধী হয়, তখন যদি আমি হাদীসটিকে ত্যাগ করে ইমামের মতকে আঁকড়ে থাকার ব্যাপারে গোড়ামী প্রদর্শন করি, তাহলে আমার চেয়ে বড় যালিম আর কে হতে পারে?
    এক্ষেত্রে কিয়ামতের দিন রাব্বুল আলামীনের দরবারে আমি কি জবাব দেবাে?"
    (আল ইনসাফ ফি বায়ানি আসবাবিল ইখতিলাফ)
    .
    .
    এবং শায়খ আবু কাতাদা আল ফিলিস্তিনি বলেন,


    "এটা জানা বিষয় যে, কিছু কিছু মাসয়ালার বিষয়ে আহলে ইলমরা প্রায় কাছাকাছি ঐক্যমত হয়েছে। আরেকটি জানা বিষয় হলো- মুকাল্লিদের জন্য এটা জায়েজ নয় যে, সে (অন্ধভাবে) মাজহাব অনুসরন করবে। বস্তুত তাকলীদ হলো আল্লাহওয়ালা হওয়ার বিশুদ্ধ পথ। কিছু মানুষের জন্য তো তাকলীদ করা ছাড়া আল্লাহওয়ালা হওয়া অসম্ভব, সুতরাং তারা তাকলীদ করবে। এই ব্যাপারে ঐক্যমত আছে যে, তাকলীদ হল আল্লাহওয়ালা হওয়ার পথ।
    .
    এর বিপরীতেও কিছু মত আছে যারা কিনা তাকলিদের নিন্দা করেছেন; যেমন, ইবনে হাজম রহ.। যদিও ইবনে হাজমের বক্তব্য ছিলো, আহলে ইলমের মধ্য থেকে তাকলিদ না করার ক্ষেত্রে যে জ্ঞান ও বুঝ রাখে তিনি এটা করতে পারবেন। (অর্থাৎ, যিনি ইজতিহাদের যোগ্য)।
    তিনি বলেন, সেই আলেম যেন সেই মুহুর্তেই তাকলীদ থেকে বের হয়ে যায় যখন তার কাছে একজন অজ্ঞ বা সাধারন ব্যক্তি আসবে (কিছু জানার জন্য)। যে কি না আহলে সুন্নাহর অনুসারী সেই আলেমের কাছে এসে তাকে প্রশ্ন করে, 'আল্লাহ এই মাসয়ালার ব্যাপারে কি হুকুম দিয়েছেন?'
    অত:পর আলেম তাকে ঐ প্রশ্নের জবাব দিবেন।
    তখন প্রশ্নকারীর জন্য এটা জরুরী হবে যে, সে উক্ত আলেমকে প্রশ্ন করবেন যে, 'জবাবটি আপনি দিয়েছেন তা কি (কুরআন-সুন্নাহর আলোকে) কিয়াসের মাধ্যমে দিয়েছেন না কি অন্যের তাকলীদের প্রভাবে বলেছেন?'
    .
    জবাবে আলেম যদি আপনাকে বলে যে, আমি এটা সুন্নাহ থেকে বলেছি (প্রশ্নকারী কিন্তু সুন্নাহ সম্পর্কে জ্ঞান রাখে না) এবং কুর'আন থেকে বলেছি, তখন ঐ সাধারন লোক এই আলেমের কথা গ্রহন করে নিবে এবং সে অনুযায়ী আমল করবে৷
    অতপর তিনি বলেন, যখন সে জানবে যে, ঐ আলেম তাকে সুন্নাহ থেকে ফতওয়া দিয়েছেন তখনই সে মুকাল্লিদ হওয়া থেকে মুক্ত হয়ে গেলো।
    .
    পক্ষান্তরে, যদি আলেম বলেন যে, 'আমি আপনাকে উত্তর দিয়েছি তাকলিদের মাধ্যমে অথবা এটা অমুক শায়খের অমুখ কথা; তাহলে সে তা গ্রহন করবে না এবং অন্য আরেকজনের নিকট চলে যাবে, যতক্ষন না উপরোক্ত অর্থ হাসিল হয়। ইবনে হাজম রহ. মূলত এভাবে তাকলীদ থেকেই বের হয়ে যেতে বলেছেন।
    তবে বাস্তবতা হলো- উপরোক্ত তাকলীদও কিন্তু তাকলীদ। যাই হোক, এতে সমস্যা নেই। বর্তমান সময়, এটা নিয়ে বিতর্কের সময় নয়। এ বক্তব্যের দ্বারা ইমামে আজম ইবন হাজম রহ. (এর উদ্দেশ্য কি ছিল তা বোঝার চেষ্টা করা হলো)।
    .
    তাকলীদ হলো আল্লাহওয়ালা হওয়ার মরতবাসমুহের মধ্যে একটি মরতবা (স্তর)। কিছু মানুষ তাকলীদ করা ছাড়া আল্লাহওয়ালা হওয়ার সক্ষমতা রাখে না।
    .
    কিন্তু ঢালাও ও অন্ধভাবে একটি মাজহাবকে গ্রহন করে নেয়াটা বিদ'আত, যা পরবর্তীদের যুগে আবিষ্কৃত হয়েছে। সাহাবী, তাবেয়ী এবং এর পরবর্তী যুগেও অন্যান্য অবস্থায় সাধারন মানুষ এধরনের অন্ধ অনুসরন ছাড়া ছিলো। কিন্তু যখন মাজহাব মানুষের মাঝে স্থায়ী হলো, মানুষ তার দিকে ঝুঁকে পড়লো, মানুষ এর দ্বারাই নিজেদেরকে ভূষিত করতে লাগলো; এমনকি মাজহাবকে ওয়ারিস সুত্রে প্রাপ্ত সম্পদ বানিয়ে ফেলল- অর্থাৎ তার পরিবার শাফেয়ী, ওর পরিবার হানাফি। আর এভাবেই মানুষ দিন কাটাচ্ছিলো।


    (স্বাভাবিক বাস্তবতা এটাই ছিল যে,) সাধারন মানুষ আলেমদেরকে প্রশ্ন করতো আর আলেম তার মত প্রদান করতেন এবং সাধারন মানুষও তা গ্রহন করে নিত। কিন্তু আলেমদের মধ্য থেকে কোনো একজন আলেমের কথার উপরই তারা সীমাবদ্ধ হয়ে যেত না, শুধুমাত্র এই কারনে যে, সে তার দেশের আলেম অথবা বিশেষ কোনো মুসলিম দেশের আলেম। যুগের পরিবর্তনের সাথে সাথে বেশিরভাগ মানুষই বর্তমানে এই (নব-উদ্ভাবিত) পন্থা অনুসরণ করছে।
    এখন, কিছু মানুষকে আপনি পাবেন যারা এক আলেমের উপর আস্থাশীল, আবার তারা ভিন্ন ভিন্ন কারণে আবার অন্য আলেমের উপরও আস্থাশীল।
    .
    তাহলে হকপন্থা কোনটি আর কোনটিই বা বাতিল পন্থা?
    .
    বাতিলপন্থার উদাহারণ হলো-
    ব্যাক্তি কোনো আলেমের উপর একারণে আস্থাশীল যে, উক্ত আলেম তাদের নিজেদের দেশের (বা সংগঠন বা মাসলাকের) লোক। অথবা এই কারণে যে, জনৈক নেতা সেই আলেমকে নিয়োগ দিয়েছে এবং তার কাছ থেকেই ফতওয়া নেয়া ওয়াজিব করেছে। তাই তাকে ছাড়া কাউকে প্রশ্ন করা হয় না। যেমন- ফতওয়া বোর্ড অথবা এর সাথে সম্পৃক্ত অন্যান্য সংস্থাসমুহ। এটাই হলো বাতিল পন্থা।
    বরং, সমস্ত বিষয়ে আল্লাহর দ্বীনকেই অগ্রাধিকার দিতে হবে।
    .
    একইভাবে সহীহ পন্থার দৃষ্টান্ত হলো;
    প্রশ্নকারী অবগত আছে যে, সে যাকে জিজ্ঞেস করবে, তাঁর রয়েছে দূরদৃষ্টি, গবেষণা, ইলম ও কুর'আন-সুন্নাহর বুঝ। এবং তিনি যে জবাব দিবেন কুরআন-সুন্নাহ দ্বারাই দিবে৷ তিনি সুন্নাহ দ্বারা জবাবও দেন, আবার নিজেও সুন্নাহর অনুসারী। বিপরীতে, অন্যজন হাওয়ার অনুসারী।
    .
    সুতরাং ব্যাক্তির জন্য উচিত যে, সে সুন্নাহর অনুসারী আলেমের দিকে ঝুঁকে পড়বে, যেহেতু তিনি সুন্নাহর অনুসারী। এবং অন্য আলেম থেকে দূরে সরে যাবে, কেননা তিনি হাওয়ার অনুসারী।
    .
    যখন কোনো ব্যক্তি বলবে যে, আমি এই জামাত (বা মাসলাক) এবং তাদের উলামাদের ব্যাপারে আস্থাশীল। এজন্যই আমি তাদের ইলম ও ফিকহকে নির্বাচন করতে আস্থাশীল হয়েছি৷
    যদি তার স্তর হয় তাকলীদের স্তর, সুতরাং সে তা গ্রহন করবে এবং তাকলীদই তার জন্য পর্যাপ্ত হবে।
    .
    আর যদি ব্যক্তিটি এমন হয় যে, সে গোঁড়ামীপূর্ন ফতওয়া ও মাজহাবীয় মন্দ রায় থেকে বের হয়ে যাওয়ার জন্য ফতওয়া চাচ্ছে, সে শুনেও অন্যদের (জানানোর) জন্য, তখন সে আলেমের দেয়া ফতওয়া উপলব্ধি করবে যে, আলেম কি বলছে।"
    (মাকতাবাতু খাইর উম্মাহকে দেয়া সাক্ষাৎকারে)
    .
    আল্লাহ তা আলা আমাদেরকে বিষয়টি বোঝার ও আমল করার তাওফিক দান করুন।
    আল্লাহ তা আলা আমাদের সহিহ পন্থায় তাকলিদের তাওফিক দিন। অন্ধ, গোঁড়ামিপূর্ণ তাকলিদ থেকে হেফাজত করুন।
    (সংগৃহিত)




Working...
X