'আরব আমিরাত' মুসলিম উম্মাহর বিরূদ্ধে ষড়যন্ত্রের আঁতুরঘর
ইহুদি ও খ্রিস্টানের বিশস্ত ক্রীড়নক আরব–আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন জায়েদ। আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের পুত্র। তিনি , সশস্ত্র বাহিনীর উপ সুপ্রিম কমান্ডার এবং আরো রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর পদের দায়িত্বে আছেন।
তার জন্ম ১৯৬১ সালে ।তিনি ১৯৭৯ সালে কুফরের প্রধান আমেরিকা থেকে শিক্ষালাভ করেন।
আরব–আমিরাত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় তার পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের আমলে।শেখ জায়েদের পর ক্ষমতায় আসেন যুবরাজ মুহাম্মাদের বড় ভাই খলিফা বিন জায়েদ। ২০১৪ সালে স্ট্রোক পরবর্তী অপারেশনের পর থেকে তিনি আর জনসম্মুখে আসেন না।এরপর থেকেই আরব-আমিরাতের ক্ষমতা তার হাতে।আমিরাতে এখন তার ইশারায় সবকিছু হয়। দেশটিকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করে জনগণের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিদেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি বিশেষত কট্টর ডানপন্থী খৃষ্টবাদ , জায়োনিজম ও হিন্দুত্ববাদের ইসলাম বিরোধী প্রজেক্টগুলোয় তার প্রচন্ড আগ্রহ। ক্রুসেডার দুষ্টচক্রের সাথে মিলে ইসলামপন্থীদের দমন করতে ঘৃণ্য পরিকল্পনা রয়েছে তার।এইসব নামধারী মুসলিম শাসকদের কারণে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কাফের-মুশরিকরা নির্বিঘ্নে হামলা ও যুদ্ধ করে লক্ষ-লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে যাচ্ছে।যার অসহায় বলি হয়েছেন কেবলই সাধারণ মুসলিমগণ। লক্ষ-লক্ষ মুসলমান গৃহহীন হয়েছেন, আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন। শুধু ইয়েমেনেই না খেয়ে মারা গেছে ৮৬ হাজার শিশু।
সাম্প্রতিক ভারতে কাশ্মীর ইস্যুতে সারা পৃথিবীর মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। গতো ৫ আগস্ট স্বায়ত্ব শাসন সংক্রান্ত কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে হিন্দুত্ববাদী মুশরিকরা।এর মাধ্যমে মুসলিম দেশটিকে গিলে ফেলেছে মালাউনরা। আর এই চক্রান্তের সহযোগী হিসেবে শুরু থেকেই ভারতের পাশে ছিলো বিশ্ব সন্ত্রাসীদের গডফাদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।
ইসরায়লের সাথে ইসলাম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির সখ্য গড়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক, এতে কেউ আশ্চর্য হয়নি। সে সময় সবাইকে অবাক করে গো-পূজারী ভারতের পাশে ছিল আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদও।আরব মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও মোদিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়ে ইসরায়েল ও ভারতের পাশে থাকার সদম্ভ ঘোষণা দিয়েছিলো আরব–আমিরাত।
ক্ষমতা কারো ক্ষেত্রেই চিরস্থায়ী নয়।এই শাসকেরা পোষ্যদের জন্য কেয়ামত পর্যন্ত মসনদের নিরাপত্তা চান। তার জন্য উম্মাহর পিঠে নির্দ্বিধায় ছুড়ি বসিয়ে দিতে কার্পণ্য করছেননা তারা।
কাশ্মীরে তখন লাগাতার কারফিউ।সেনাবাহিনী বৃদ্ধি করে গণগ্রেফতার, হত্যা,ধর্ষণ, সামাজিক বিদ্বেষ তৈরী করে মুশরিক হিন্দুরা। টেলিফোন–ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভারত এবং তাবৎ দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরকে।
কাস্মীরী মুসলিমদের এমন বিপদের সময় আরব-আমিরাত দাওয়াত করে মোদিকে সোনার মালা পড়িয়ে দিলো। এটা কিসের পুরষ্কার?বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা,আরাকান, কাশ্মীরে মুসলিমদের গণহত্যা, ফাসি,ধর্ষণ, দেশান্তর করে আচ্ছামত সাইজ করতে পেরেছে। এইসব মুসলিম হত্যার প্রতিদানই কি দেওয়া হল গুজরাটের কসাইকে?
সম্ভবত মুসলিম উম্মাহ শত্রুদের চূড়ান্ত শিকারে পরিণত হওয়ার মুহুর্তে উপনীত হয়েছে। তাই ঘরের শত্রুরাও এখন নিজেদের আড়ালে রাখার আর প্রয়োজন আছে মনে করছেনা।
মূল বিষয় হলো এই শাসক শ্রেণীর ধারণা, উম্মাহর বৃহত্তর অংশ ভোগবাদিতার জালে এমনভাবে আটকে পড়েছে যে, জিহাদ করে প্রতিরোধ গড়ার মতো শক্তি এই জাতির মধ্যে অবশিষ্ট নেই। তাই গাদ্দার শাসকদের আচরণ বেপরোয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তান বা উইঘুরের মুসলমানদের অধিকার আদায়ের যে ন্যায়সঙ্গত লড়াই হচ্ছে, অজানা কারণে এগুলোরও বিরুদ্ধে অবস্থান মোহাম্মাদ বিন জায়েদের। তিনি বরং মুসলমানদের জাগরণের প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে প্রত্যেক অঞ্চলে মুসলমানদের স্থানীয় শত্রুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।
মিশরে ত্বগুত আব্দুল ফাত্তাহ সিসির সাথে হাত মিলিয়েছেন, উদ্দেশ্য মিশরের মুসলিমদের শায়েস্তা করা।মিশরে মুসলিমদের কোনঠাসা ও উৎখাতের জন্য সিসিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে আরব–আমিরাত।
লিবিয়ায় কট্টর ইসলামবিরোধী মিলিশিয়া হাফতার। ইসলাম ও মুসলিম মুজাহিদদের বিরুদ্ধে হাফতারের মিলিশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছেন সাহায্য করেছেন মোহাম্মাদ বিন জায়েদ।
আল-জাযিরার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, মুহাম্মাদ বিন জায়েদ প্রথমে ইয়েমেনের হুথিদের সহযোগিতা করেছেন সুন্নি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে। আবার এই হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত বাহিনীকেও অর্থায়ন করেছেন তিনি।
গালফে প্রতিবেশি দেশ আম্মানের সেনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার উপর গোয়েন্দা জাল বিছিয়েছিলেন তিনি। আম্মানের জাতীয় সংবাদসংস্থার তদন্তে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ উতাইবার সাথে মার্কিন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কিছু তারবার্তা ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে কাতারের বিরুদ্ধে তাকে চক্রান্তে লিপ্ত দেখা যায়। এই উতাইবা মুহাম্মাদ বিন জায়েদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে রবার্ট গেটসকে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে মোহাম্মদ বিন জায়েদের একটি পত্র তাকে হস্তান্তর করে। সেখানে রবার্ট গেটসকে শুভেচ্ছা জানানোর পর কাতারের উপর “জাহান্নামের দরজা” খুলে দিতে তাকে আহবান করেন। এর পরপর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়।
উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যাচ্ছে, আরবের জনমতকে তাবেদার রাজরাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করতে কাতারের আল জাযিরার অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা এটেছিলেন এই যুবরাজ। আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধাপরাধের দৃশ্যগুলো যেন ধারণ না করতে পারে সে জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তানে যে আল জাযিরার অফিস দু’ দু’বার বোমা হামলার শিকার হয়েছে তার পিছনেও আমিরাতের ইন্ধন ছিলো।
বিভিন্ন অঞ্চলে মুজাহিদদের বিরুধীতার পাশাপাশি তুরষ্ক,মিশর,ফিলিস্তিনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার চক্রান্ত ও বিপুল অর্থায়ন ছিলো।
আর এই প্রত্যেক ষড়যন্ত্রে ছায়ার মতো তাকে সঙ্গ দিচ্ছে আরেক ইহুদি ঘেঁষা সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান।
ইয়েমেনে নির্বিচারে বেসামরিক লোকজন হত্যার জন্য ফ্রান্সের একটি মানবাধিকার সংগঠন যুবরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করেছিল। মানাবাধিকার সংগঠনটির অভিযোগ হচ্ছে, আরব–আমিরাত এ যুদ্ধে যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে অর্থাৎ ব্যাপক ও নির্বিচার বোমা বর্ষণ সামরিক বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
মুসলমানদের ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈরী সম্পর্ক থাকলেও অন্য ধর্মের নেতাদের সঙ্গে যুবরাজের যথেষ্ট প্রীতির সম্পর্ক রয়েছে। মোহাম্মদ বিন যায়েদের আমন্ত্রণেই প্রথমবারের মতো আরব আমিরাত সফরে আসেন খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস।
ইহুদি ও খ্রিস্টানের বিশস্ত ক্রীড়নক আরব–আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স মুহাম্মাদ বিন জায়েদ। আমিরাতের প্রতিষ্ঠাতা জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের পুত্র। তিনি , সশস্ত্র বাহিনীর উপ সুপ্রিম কমান্ডার এবং আরো রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর পদের দায়িত্বে আছেন।
তার জন্ম ১৯৬১ সালে ।তিনি ১৯৭৯ সালে কুফরের প্রধান আমেরিকা থেকে শিক্ষালাভ করেন।
আরব–আমিরাত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয় তার পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের আমলে।শেখ জায়েদের পর ক্ষমতায় আসেন যুবরাজ মুহাম্মাদের বড় ভাই খলিফা বিন জায়েদ। ২০১৪ সালে স্ট্রোক পরবর্তী অপারেশনের পর থেকে তিনি আর জনসম্মুখে আসেন না।এরপর থেকেই আরব-আমিরাতের ক্ষমতা তার হাতে।আমিরাতে এখন তার ইশারায় সবকিছু হয়। দেশটিকে পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করে জনগণের মুখে তালা লাগিয়ে দিয়েছেন তিনি।
বিদেশী রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়াদি বিশেষত কট্টর ডানপন্থী খৃষ্টবাদ , জায়োনিজম ও হিন্দুত্ববাদের ইসলাম বিরোধী প্রজেক্টগুলোয় তার প্রচন্ড আগ্রহ। ক্রুসেডার দুষ্টচক্রের সাথে মিলে ইসলামপন্থীদের দমন করতে ঘৃণ্য পরিকল্পনা রয়েছে তার।এইসব নামধারী মুসলিম শাসকদের কারণে মুসলিম বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে কাফের-মুশরিকরা নির্বিঘ্নে হামলা ও যুদ্ধ করে লক্ষ-লক্ষ মুসলিমকে হত্যা করে যাচ্ছে।যার অসহায় বলি হয়েছেন কেবলই সাধারণ মুসলিমগণ। লক্ষ-লক্ষ মুসলমান গৃহহীন হয়েছেন, আজীবনের জন্য পঙ্গু হয়েছেন, নিহত হয়েছেন। শুধু ইয়েমেনেই না খেয়ে মারা গেছে ৮৬ হাজার শিশু।
সাম্প্রতিক ভারতে কাশ্মীর ইস্যুতে সারা পৃথিবীর মানুষ ভারতের বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল। গতো ৫ আগস্ট স্বায়ত্ব শাসন সংক্রান্ত কাশ্মীরের বিশেষ সুবিধা বাতিল করে হিন্দুত্ববাদী মুশরিকরা।এর মাধ্যমে মুসলিম দেশটিকে গিলে ফেলেছে মালাউনরা। আর এই চক্রান্তের সহযোগী হিসেবে শুরু থেকেই ভারতের পাশে ছিলো বিশ্ব সন্ত্রাসীদের গডফাদার অবৈধ রাষ্ট্র ইসরায়েল।
ইসরায়লের সাথে ইসলাম বিদ্বেষী নরেন্দ্র মোদির সখ্য গড়ে ওঠা খুবই স্বাভাবিক, এতে কেউ আশ্চর্য হয়নি। সে সময় সবাইকে অবাক করে গো-পূজারী ভারতের পাশে ছিল আমিরাতের যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন জায়েদও।আরব মুসলিম দেশ হওয়া সত্বেও মোদিকে সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় সম্মাননা দিয়ে ইসরায়েল ও ভারতের পাশে থাকার সদম্ভ ঘোষণা দিয়েছিলো আরব–আমিরাত।
ক্ষমতা কারো ক্ষেত্রেই চিরস্থায়ী নয়।এই শাসকেরা পোষ্যদের জন্য কেয়ামত পর্যন্ত মসনদের নিরাপত্তা চান। তার জন্য উম্মাহর পিঠে নির্দ্বিধায় ছুড়ি বসিয়ে দিতে কার্পণ্য করছেননা তারা।
কাশ্মীরে তখন লাগাতার কারফিউ।সেনাবাহিনী বৃদ্ধি করে গণগ্রেফতার, হত্যা,ধর্ষণ, সামাজিক বিদ্বেষ তৈরী করে মুশরিক হিন্দুরা। টেলিফোন–ইন্টারনেটের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভারত এবং তাবৎ দুনিয়া থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়েছে কাশ্মীরকে।
কাস্মীরী মুসলিমদের এমন বিপদের সময় আরব-আমিরাত দাওয়াত করে মোদিকে সোনার মালা পড়িয়ে দিলো। এটা কিসের পুরষ্কার?বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা,আরাকান, কাশ্মীরে মুসলিমদের গণহত্যা, ফাসি,ধর্ষণ, দেশান্তর করে আচ্ছামত সাইজ করতে পেরেছে। এইসব মুসলিম হত্যার প্রতিদানই কি দেওয়া হল গুজরাটের কসাইকে?
সম্ভবত মুসলিম উম্মাহ শত্রুদের চূড়ান্ত শিকারে পরিণত হওয়ার মুহুর্তে উপনীত হয়েছে। তাই ঘরের শত্রুরাও এখন নিজেদের আড়ালে রাখার আর প্রয়োজন আছে মনে করছেনা।
মূল বিষয় হলো এই শাসক শ্রেণীর ধারণা, উম্মাহর বৃহত্তর অংশ ভোগবাদিতার জালে এমনভাবে আটকে পড়েছে যে, জিহাদ করে প্রতিরোধ গড়ার মতো শক্তি এই জাতির মধ্যে অবশিষ্ট নেই। তাই গাদ্দার শাসকদের আচরণ বেপরোয়া ঔদ্ধত্যপূর্ণ হয়ে পড়েছে।
ফিলিস্তিন, কাশ্মীর, আফগানিস্তান বা উইঘুরের মুসলমানদের অধিকার আদায়ের যে ন্যায়সঙ্গত লড়াই হচ্ছে, অজানা কারণে এগুলোরও বিরুদ্ধে অবস্থান মোহাম্মাদ বিন জায়েদের। তিনি বরং মুসলমানদের জাগরণের প্রচেষ্টাকে রুখে দিতে প্রত্যেক অঞ্চলে মুসলমানদের স্থানীয় শত্রুদের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলেছেন।
মিশরে ত্বগুত আব্দুল ফাত্তাহ সিসির সাথে হাত মিলিয়েছেন, উদ্দেশ্য মিশরের মুসলিমদের শায়েস্তা করা।মিশরে মুসলিমদের কোনঠাসা ও উৎখাতের জন্য সিসিকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সহযোগিতা দিয়েছে আরব–আমিরাত।
লিবিয়ায় কট্টর ইসলামবিরোধী মিলিশিয়া হাফতার। ইসলাম ও মুসলিম মুজাহিদদের বিরুদ্ধে হাফতারের মিলিশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছেন সাহায্য করেছেন মোহাম্মাদ বিন জায়েদ।
আল-জাযিরার অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, মুহাম্মাদ বিন জায়েদ প্রথমে ইয়েমেনের হুথিদের সহযোগিতা করেছেন সুন্নি সরকারের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করতে। আবার এই হুথিদের বিরুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত বাহিনীকেও অর্থায়ন করেছেন তিনি।
গালফে প্রতিবেশি দেশ আম্মানের সেনা এবং প্রশাসনিক ব্যবস্থাপনার উপর গোয়েন্দা জাল বিছিয়েছিলেন তিনি। আম্মানের জাতীয় সংবাদসংস্থার তদন্তে বিষয়টি ফাঁস হয়ে যায়।
যুক্তরাষ্ট্রে আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ইউসুফ উতাইবার সাথে মার্কিন সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী রবার্ট গেটসের কিছু তারবার্তা ফাঁস হয়ে যায়। সেখানে কাতারের বিরুদ্ধে তাকে চক্রান্তে লিপ্ত দেখা যায়। এই উতাইবা মুহাম্মাদ বিন জায়েদের ঘনিষ্ঠ বন্ধু। সে রবার্ট গেটসকে লাঞ্চের আমন্ত্রণ জানায়। সেখানে মোহাম্মদ বিন জায়েদের একটি পত্র তাকে হস্তান্তর করে। সেখানে রবার্ট গেটসকে শুভেচ্ছা জানানোর পর কাতারের উপর “জাহান্নামের দরজা” খুলে দিতে তাকে আহবান করেন। এর পরপর কাতারের বিরুদ্ধে অবরোধ আরোপ করা হয়।
উইকিলিকসের ফাঁস করা তথ্যে জানা যাচ্ছে, আরবের জনমতকে তাবেদার রাজরাদের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ বন্ধ করতে কাতারের আল জাযিরার অফিস বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা এটেছিলেন এই যুবরাজ। আফগানিস্তানে আমেরিকার যুদ্ধাপরাধের দৃশ্যগুলো যেন ধারণ না করতে পারে সে জন্য সাংবাদিকদের প্রবেশে বাঁধা দিতে পরামর্শ দিয়েছিলেন তিনি। আফগানিস্তানে যে আল জাযিরার অফিস দু’ দু’বার বোমা হামলার শিকার হয়েছে তার পিছনেও আমিরাতের ইন্ধন ছিলো।
বিভিন্ন অঞ্চলে মুজাহিদদের বিরুধীতার পাশাপাশি তুরষ্ক,মিশর,ফিলিস্তিনে মুসলিমদের বিরুদ্ধে তার চক্রান্ত ও বিপুল অর্থায়ন ছিলো।
আর এই প্রত্যেক ষড়যন্ত্রে ছায়ার মতো তাকে সঙ্গ দিচ্ছে আরেক ইহুদি ঘেঁষা সৌদি যুবরাজ মুহাম্মাদ বিন সালমান।
ইয়েমেনে নির্বিচারে বেসামরিক লোকজন হত্যার জন্য ফ্রান্সের একটি মানবাধিকার সংগঠন যুবরাজের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের মামলা দায়ের করেছিল। মানাবাধিকার সংগঠনটির অভিযোগ হচ্ছে, আরব–আমিরাত এ যুদ্ধে যে পদ্ধতি অনুসরণ করছে অর্থাৎ ব্যাপক ও নির্বিচার বোমা বর্ষণ সামরিক বাহিনীর উপপ্রধান হিসেবে এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
মুসলমানদের ধর্মীয় নেতাদের সাথে বৈরী সম্পর্ক থাকলেও অন্য ধর্মের নেতাদের সঙ্গে যুবরাজের যথেষ্ট প্রীতির সম্পর্ক রয়েছে। মোহাম্মদ বিন যায়েদের আমন্ত্রণেই প্রথমবারের মতো আরব আমিরাত সফরে আসেন খ্রিষ্টানদের শীর্ষ ধর্মীয় নেতা পোপ ফ্রান্সিস।
Comment