Announcement

Collapse
No announcement yet.

যেভাবে আদর্শের শিকড় গভীরে পৌছায়

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • যেভাবে আদর্শের শিকড় গভীরে পৌছায়

    রাসূল সাঃ যখন পবিত্র মক্কা নগরীতে দাওয়াত দিলেন তখন গোটা মক্কা দুইভাগে বিভক্ত হয়ে গেলো।একদিকে ছিলো মুসলিমরা আরেক দিকে কাফেররা। কিন্তু যারা মুসলিম হলো তাদের দুই একজন বাদে বাকিরা সব ছিলো মক্কার কাফেরদের আত্নীয় স্বজন। তাও খুব কাছের আত্নীয়।

    ফলে দেখা গেলো কেউ কোন কাফের আঘাত করে আবার কোন কাফের প্রতিহত করে।
    রাসূল (সাঃ)ও সাহাবীরা যখন তিন বছর জ্বেলে ছিলেন তখন উনাদের বের করার জন্য কাফেরদের কিছু নেতাই এগিয়ে এসেছিলো, এমনকি যতদিন আবু তালিব বেঁচে ছিলেন ততদিন রাসূল সাঃ এর উপর সরাসরি আক্রমন করা থেকে কাফেররা বিরত ছিলো৷
    যখন রাসূল (সাঃ) তায়েফ থেকে ফিরলেন তখন মক্কায় মুতঈম ইবনে আদীর আশ্রয়ে রাসূল সাঃ ছিলেন।

    আসলে তাগুতের ভিতরে ইসলাম প্রবেশ করানো খুব গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়। তাগুতের আশপাশের লোকজন ইসলামে প্রবেশ করলে এটা তাগুতের জন্য অনেক বড় একটা দূর্বলতার কারন হয়।
    কিন্তু কথা হলো সে পর্যন্ত দাওয়াত পৌছাতে হবে। এ সমাজে সবাই আবু জাহেল নয়, এ সমাজের মাঝে
    আবু তালেব ও মুতঈম ইবনে আদীর মত লোকেরও আছে। যারা হয়ত আদর্শ ত্যাগ করবে না কিন্তু আপনাকে বলবে, তোমার যা মন চায় করো, কেউ কিছু বললে সেটা আমি দেখবো।

    তাগুতের আশপাশের কেউ যখন ধার্মিক হয় তখন সেটা হয় তাগুতের জন্য এক চরম পর্যায়ের আঘাত। কেননা তাগুত এতে চরম বিপদে পড়ে।

    যখন পেক্ষাপট এরকম হয়ে যায় তখন বুঝতে হবে আপনার দাওয়াতের শিকড় অনেক গভীরে চলে গেছে, যেটাকে চাইলেই আর উপড়ানো সম্ভব নয়।


    বনু মুস্তালিকের যুদ্বের পর মুনাফিক আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইর কর্মকান্ডের কারনে তারই ছেলে রাসূল সাঃ এর নিকট অনুমতি চেয়েছে যেন তাকে হত্যা করার অনুমতি দেন। এটাতে খুব গভীর এক শিক্ষা আছে।
    আসলে কাফেরদের দূর্বল করার জন্য এটা এক চরম আঘাত। যেটা কাফেররা প্রতিহত করতে পারে না। এই যে দেখুন, ফেরাউনের ঘরে কিভাবে মূসা লালন পালন হয়েছেন? ফেরাউন যখন সব শিশুদের হত্যা করতেছে তখন কে মূসা আঃ কে লালনপালন করতে উৎসাহিত করলো?মূসা আঃ ফেরাউনকে থাপ্পর দেওয়ার পর কে ফেরাউনকে আবার বুঝিয়ে নিলো?
    এগুলো সব হযরত আছিয়া (আঃ) এরই তো কাজ। তার মাধ্যমেই আল্লাহ এসব করিয়েছেন, যিনি ফেরাউনের স্ত্রী।



  • #2
    উত্তম পোস্ট ভাইসাব, চালিয়ে যান আপনার সত্যের কলম সর্বদা উজ্জীবিত থাকুন।।

    একজন জান্নাতী মহিলা আছিয়া আলাইহিস সালাম।
    বর্তমানে আমাদের বোনদের অনেকেই স্বামীর ঘরের সামান্য জ্বালা যন্ত্রনা, মেনে নিতে পারেনা,।। এই সমস্ত বোনদের আছিয়া থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত।।
    সর্বোত্তম আমল হলো
    আল্লাহর প্রতি ঈমান আনা এবং মহান মহীয়ান
    আল্লাহর পথে জিহাদ করা।নাসায়ী,শরীফ

    Comment


    • #3
      কিছু মানুষ এখন আপনার কথাগুলোর ভুল মতলব বের করে কুফফারদের সাথে জোট বাধা এবং তাদের থেকে সাহায্য নেয়াকে বৈধ মনে করবে।

      এসব জ্ঞানপাপীদের জন্য বিষয়টি ক্লিয়ার করে দিলে ভালো হতো।

      (অন্তত এটা লিখে দিন যে, আমার কথাগুলো দ্বারা কেও যেন কাফিরদের সাথে জোট বাধাকে বৈধ না বলে।)

      Comment

      Working...
      X