নীড়ে ফিরা
মোটাদাগে বললে এদেশের মানুষজনকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয় উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। প্রথম তিনটি শ্রেণিকে মানুষ মনে করা হলেও শেষের শ্রেণিকে ক্ষেত্রবিশেষ মানুষের কাতারেই ফেলা হয় না।যদিও এটা আল্লাহ পাকের নিয়ম নয়।এমন শ্রেণিভাগ মানুষেরই বানানো। আল্লাহ পাকের আইনে সব মানুষ সমান, কোন প্রভেদ নেই।তবে রিযিকের মধ্যে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির মানুষজনের সুখের অভাব নেই । তাদের কেউ দুনিয়ায় চরম ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে বলে, আমরা বেহেশতে আছি!।যদিও বেহেশতের সুখ দুনিয়াতে পাওয়া সম্ভব নয়।
তার পরের দুটি শ্রেণির অবস্থা অনেকটা এমন যে, না উপরে উঠতে পারছে, না নিচে নামতে পারছে।মাঝ সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাদের কাউকে দেখা যায় পরিবারের বোঝা বহনে জীবন পার হয়ে গেছে।না দ্বীনের কোন কাজ করতে পেরেছে না দুনিয়ায় সুখ পাখির দেখা পেয়েছে। আর শেষ শ্রেণির কথা আর কি বলব!!?দুংখ-দুর্দশা,ঘৃণা -অবহেলা তাদের নিত্য সঙ্গী।তাদের যেন কোন মূল্যই নেই এই ধরাধামে। বর্তমান সমাজের চিত্র যেন বলে দিচ্ছে তোমাদের কোন মূল্য নেই।
কেন এমন? এই তো কদিন আগেও সমাজে হালাত এমন ছিল না, ন্যায় -ইনসাফ ছিল কোন ভেদাভেদ ছিল না।সবাই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় স্বস্তির নিশ্বাস নিত। যখন ইসলাম রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী ছিল।পুরো পৃথিবী তার রবের বিধানের ফল ভোগ করছিল মহানন্দে।কারো সুযোগ ছিল না অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার।ছিল না সুযোগ আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার।
হঠাৎ ১৯২৪ সালে ছন্দের হলো পতন।ভেঙে সব চুরমার হয়ে গেল। সবাই দিশেহারা। পৃথিবীর নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিল ইসলাম ও মুসলিম এবং সমগ্র পৃথিবীর শত্রুরা।পুরা পৃথিবীতে তারা শয়তানি বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দিল।তারা তাদের লিডার কে নিয়ে পুরোদমে কাজ করতে লাগল।আমাদের সামনে কমিউনিজমকে সুসজ্জিত করে পেশ করলো। শুরু হলো সারা দুনিয়ায় তার জয়গান এ যেন সবার মুক্তির সোপান। তবে যাইহোক মিথ্যার কোন স্থায়িত্ব নেই আর সত্যের কোন ধ্বংস নেই।তাই ৮০ এর দশকে কমিউনিজমের শয়তানী মূর্তি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল সত্যের সামান্য আঘাতে।ফলে সত্যের বুঝি একটু নিশ্বাস ফেলার সুযোগ হলো কিন্তু তা আর স্থায়ী হয়নি, ঘাপটি মেরে থাকা শয়তানি শক্তি গণতন্ত্র নামক মূর্তির খোলসে আবার লড়াইয়ের ময়দানে নামল। সমানতালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আরও নানা বিভ্রান্তী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, নাস্তিক্যবাদ,পুঁজিবাদ, মানবতাবাদ,নারীবাদ, বাকস্বাধীনতা আরও হরেকরকমের অসার কথা,যেন হক ও হক্কানিয়্যাত কে চির বিদায় করতে পারে। কিন্তু তা কি আর সম্ভব!? মিথ্যা লেবাসে সুরতে যতই সুসজ্জিত হোক তার ধ্বংস অনিবার্য। আর হক বিজয় নিশ্চিত । বাতিলের সাময়িক বিজয়ে পুরো পৃথিবী অস্থিতিশীল, বৈষম্যপূর্ণ ।আজ সারা দুনিয়া জুলুম-নির্যাতন আর ভেদাভেদে ভরপুর।তাই বাতিলকে ছেড়ে আসতে হবে আসল নীড়ে ফিরে।
ফিরে আসা....
মুসলমানদের ছিল সবকিছু।ছিল কিন্তু এখন নেই অনেক কিছু।তবে সব হারিয়ে যায়নি।হয়তো আমরা সাময়িক তামকিন হারিয়েছি।দুনিয়ায় নিজেদের ক্ষমতা হারিয়েছি।তবে আমাদের মূল শিকড় কিন্তু কোন দিন হারায়নি আর কিয়ামাত অবধি হারাবেও না।তাই আমাদের হতাশ হওয়ার বা থেমে যাওয়ার কোন কারণ নেই।আমরা আমাদের অতীত থেকে শিখব, বর্তমান কে যথাযথ কাজে লাগিয়ে আমাদের সোনালী অতীত কে ফিরিয়ে এনে আমাদের আলোকিত ভবিষ্যৎ গড়ব ইনশাআল্লাহ। আমাদের ফিরতে হবে আপন নীড়ে।আকঁড়ে ধরতে হবে রবের বিধান।তাহলেই ঘুচবে যত লাঞ্ছণা আর অপমান।দ্বীনহীনতাই আমাদের করেছে অপমান। আর ইসলামই দিয়েছে আমাদের প্রকৃত মর্যাদা -সম্মান।
মোটাদাগে বললে এদেশের মানুষজনকে কয়েকটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয় উচ্চবিত্ত,মধ্যবিত্ত,নিম্ন মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত। প্রথম তিনটি শ্রেণিকে মানুষ মনে করা হলেও শেষের শ্রেণিকে ক্ষেত্রবিশেষ মানুষের কাতারেই ফেলা হয় না।যদিও এটা আল্লাহ পাকের নিয়ম নয়।এমন শ্রেণিভাগ মানুষেরই বানানো। আল্লাহ পাকের আইনে সব মানুষ সমান, কোন প্রভেদ নেই।তবে রিযিকের মধ্যে কাউকে কারো উপর প্রাধান্য দিয়ে থাকেন তিনি।
প্রথম শ্রেণির মানুষজনের সুখের অভাব নেই । তাদের কেউ দুনিয়ায় চরম ভোগ-বিলাসে মত্ত থেকে বলে, আমরা বেহেশতে আছি!।যদিও বেহেশতের সুখ দুনিয়াতে পাওয়া সম্ভব নয়।
তার পরের দুটি শ্রেণির অবস্থা অনেকটা এমন যে, না উপরে উঠতে পারছে, না নিচে নামতে পারছে।মাঝ সমুদ্রে হাবুডুবু খাচ্ছে। তাদের কাউকে দেখা যায় পরিবারের বোঝা বহনে জীবন পার হয়ে গেছে।না দ্বীনের কোন কাজ করতে পেরেছে না দুনিয়ায় সুখ পাখির দেখা পেয়েছে। আর শেষ শ্রেণির কথা আর কি বলব!!?দুংখ-দুর্দশা,ঘৃণা -অবহেলা তাদের নিত্য সঙ্গী।তাদের যেন কোন মূল্যই নেই এই ধরাধামে। বর্তমান সমাজের চিত্র যেন বলে দিচ্ছে তোমাদের কোন মূল্য নেই।
কেন এমন? এই তো কদিন আগেও সমাজে হালাত এমন ছিল না, ন্যায় -ইনসাফ ছিল কোন ভেদাভেদ ছিল না।সবাই ইসলামের সুশীতল ছায়ায় স্বস্তির নিশ্বাস নিত। যখন ইসলাম রাজনৈতিকভাবে বিজয়ী ছিল।পুরো পৃথিবী তার রবের বিধানের ফল ভোগ করছিল মহানন্দে।কারো সুযোগ ছিল না অবৈধ সম্পদের পাহাড় গড়ার।ছিল না সুযোগ আঙুল ফুলে কলা গাছ হওয়ার।
হঠাৎ ১৯২৪ সালে ছন্দের হলো পতন।ভেঙে সব চুরমার হয়ে গেল। সবাই দিশেহারা। পৃথিবীর নেতৃত্ব-কর্তৃত্ব ছিনিয়ে নিল ইসলাম ও মুসলিম এবং সমগ্র পৃথিবীর শত্রুরা।পুরা পৃথিবীতে তারা শয়তানি বিষ বাষ্প ছড়িয়ে দিল।তারা তাদের লিডার কে নিয়ে পুরোদমে কাজ করতে লাগল।আমাদের সামনে কমিউনিজমকে সুসজ্জিত করে পেশ করলো। শুরু হলো সারা দুনিয়ায় তার জয়গান এ যেন সবার মুক্তির সোপান। তবে যাইহোক মিথ্যার কোন স্থায়িত্ব নেই আর সত্যের কোন ধ্বংস নেই।তাই ৮০ এর দশকে কমিউনিজমের শয়তানী মূর্তি ভেঙে টুকরো টুকরো হয়ে গেল সত্যের সামান্য আঘাতে।ফলে সত্যের বুঝি একটু নিশ্বাস ফেলার সুযোগ হলো কিন্তু তা আর স্থায়ী হয়নি, ঘাপটি মেরে থাকা শয়তানি শক্তি গণতন্ত্র নামক মূর্তির খোলসে আবার লড়াইয়ের ময়দানে নামল। সমানতালে মাথাচাড়া দিয়ে উঠল আরও নানা বিভ্রান্তী ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ, নাস্তিক্যবাদ,পুঁজিবাদ, মানবতাবাদ,নারীবাদ, বাকস্বাধীনতা আরও হরেকরকমের অসার কথা,যেন হক ও হক্কানিয়্যাত কে চির বিদায় করতে পারে। কিন্তু তা কি আর সম্ভব!? মিথ্যা লেবাসে সুরতে যতই সুসজ্জিত হোক তার ধ্বংস অনিবার্য। আর হক বিজয় নিশ্চিত । বাতিলের সাময়িক বিজয়ে পুরো পৃথিবী অস্থিতিশীল, বৈষম্যপূর্ণ ।আজ সারা দুনিয়া জুলুম-নির্যাতন আর ভেদাভেদে ভরপুর।তাই বাতিলকে ছেড়ে আসতে হবে আসল নীড়ে ফিরে।
ফিরে আসা....
মুসলমানদের ছিল সবকিছু।ছিল কিন্তু এখন নেই অনেক কিছু।তবে সব হারিয়ে যায়নি।হয়তো আমরা সাময়িক তামকিন হারিয়েছি।দুনিয়ায় নিজেদের ক্ষমতা হারিয়েছি।তবে আমাদের মূল শিকড় কিন্তু কোন দিন হারায়নি আর কিয়ামাত অবধি হারাবেও না।তাই আমাদের হতাশ হওয়ার বা থেমে যাওয়ার কোন কারণ নেই।আমরা আমাদের অতীত থেকে শিখব, বর্তমান কে যথাযথ কাজে লাগিয়ে আমাদের সোনালী অতীত কে ফিরিয়ে এনে আমাদের আলোকিত ভবিষ্যৎ গড়ব ইনশাআল্লাহ। আমাদের ফিরতে হবে আপন নীড়ে।আকঁড়ে ধরতে হবে রবের বিধান।তাহলেই ঘুচবে যত লাঞ্ছণা আর অপমান।দ্বীনহীনতাই আমাদের করেছে অপমান। আর ইসলামই দিয়েছে আমাদের প্রকৃত মর্যাদা -সম্মান।
Comment