Announcement

Collapse
No announcement yet.

আমরা অতিরিক্ত চাটুকারিতা থেকে বিরত থাকি।

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • আমরা অতিরিক্ত চাটুকারিতা থেকে বিরত থাকি।

    وَالظَّاهِرُ أَنَّ مَنْعَ الْمُتَقَدِّمِينَ مَبْنِيٌّ عَلَى مَا كَانَ فِي زَمَانِهِمْ مِنْ الْمُجَازَفَةِ فِي وَصْفِهِ مِثْلَ السُّلْطَانِ الْعَادِلِ الْأَكْرَمِ شَاهِنْشَاهْ الْأَعْظَمِ مَالِكِ رِقَابِ الْأُمَمِ. فَفِي كِتَابِ الرِّدَّةِ مِنْ التَّتَارْخَانِيَّة: سَأَلَ الصَّفَّارُ: هَلْ يَجُوزُ ذَلِكَ؟ فَقَالَ: لَا لِأَنَّ بَعْضَ أَلْفَاظِهِ كُفْرٌ، وَبَعْضُهَا كَذِبٌ وَقَالَ أَبُو مَنْصُورٍ: مَنْ قَالَ لِلسُّلْطَانِ الَّذِيبَعْضُ أَفْعَالِهِ ظُلْمٌ عَادِلٌ فَهُوَ كَافِرٌ، وَأَمَّا شَاهِنْشَاهْ فَهُوَ مِنْ خَصَائِصِ اللَّهِ تَعَالَى بِدُونِ وَصْفِ الْأَعْظَمِ لَا يَجُوزُ وَصْفُ الْعِبَادِ بِهِ وَأَمَّا مَالِكُ رِقَابِ الْأُمَمِ فَهُوَ كَذِبٌ.
    এখানে মূল কথা হল যে মুতাকদ্দিমিনদের নিষেধাজ্ঞার ভিত্তি হল তারা বাদশাহর প্রসংশা করার ক্ষেত্রে সীমালঙ্গন করত ।
    যেমন বাদশাহ ন্যায় বিচারক সবচেয়ে সম্মানিত সবচেয়ে মহাশাহেনশাহ মানুষের গর্দানের মালিক। তাতারখানিয়া‌ কিতাবে কিতাবুর রিদ্দাতের মধ্যে রয়েছে সাফ্ফার প্রশ্ন করল ইহাকি জায়েয হবে? তিনি বললেন না। কেননা এটার মধ্যে এমন কিছু শব্দ রয়েছে যেটা কুফরী। এবং কতিপয় জিনিস হল মিথ্যা। এবং আবু মানসূর বলেছেন যদি কেউ এমন কোন বাদশাহকে ইনসাফগার বলে যার কতিপয়
    কাজ হল জুলুম তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে কিন্তু শাহেনশাহ শব্দটি আল্লাহর একটি বৈশিষ্ট্য। যদিও এখানে أعظم গুনটিকে না আনা হয় ।‌তাই এটি কোন মানুষের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে না ।
    ( আর أعظم শব্দটিকে আনা হলে তা অগ্রগন্যতার ভিত্তিতে জায়েয হবে না।)
    এবং মানুষের গর্দানের মালিক এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।
    পৃথিবীর রঙ্গে রঙ্গিন না হয়ে পৃথিবীকে আখেরাতের রঙ্গে রাঙ্গাই।

  • #2
    حَدَّثَنَا سَعِيدُ بْنُ عَمْرٍو الأَشْعَثِيُّ، وَأَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ، وَأَبُو بَكْرِ بْنُ أَبِي شَيْبَةَ - وَاللَّفْظُ لأَحْمَدَ - قَالَ الأَشْعَثِيُّ أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرَانِ، حَدَّثَنَا سُفْيَانُ بْنُ عُيَيْنَةَ، عَنْ أَبِي الزِّنَادِ، عَنِ الأَعْرَجِ، عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏"‏ إِنَّ أَخْنَعَ اسْمٍ عِنْدَ اللَّهِ رَجُلٌ تَسَمَّى مَلِكَ الأَمْلاَكِ ‏"‏ ‏.‏ زَادَ ابْنُ أَبِي شَيْبَةَ فِي رِوَايَتِهِ ‏"‏ لاَ مَالِكَ إِلاَّ اللَّهُ عَزَّ وَجَلَّ ‏"‏ ‏.‏ قَالَ الأَشْعَثِيُّ قَالَ سُفْيَانُ مِثْلُ شَاهَانْ شَاهْ ‏.‏ وَقَالَ أَحْمَدُ بْنُ حَنْبَلٍ سَأَلْتُ أَبَا عَمْرٍو عَنْ أَخْنَعَ فَقَالَ أَوْضَعَ ‏.‏
    আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত আছে যে, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ পাকের কাছে সবচেয়ে ঘৃণিত নাম হচ্ছে ঐ ব্যক্তির নাম, যার নাম ’মালিকুল আমলাক’ -- (মহারাজ, রাজাধিরাজ) রাখা হয়। ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) তাঁর রিওয়ায়াতে আরও বলেছেন যে, "আল্লাহ ব্যতীত আর কেউ মালিক ও অধিপতি নেই।"

    আশ’আসী (রহঃ) বলেন, রাবী সুফিয়ান (রহঃ) বলেছেন, (এ শব্দ ফারসী ভাষার) ’শাহানশাহ’ এর অনুরূপ। আর আহমদ ইবনু হাম্বল (রহঃ) বলেন, আমি আবূ আমর (রহঃ) কে أَخْنَع এর অর্থ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন,أَوْضَعَ ‏ তথা নিকৃষ্ট। {কিতাব আদব (আচার-ব্যবহার ও শিষ্টাচার) সহীহ মুসলিম, বই ২৫, হাদীস ৫৩৩৮}






    আরবিতে - মালিকুল আমলাক, মালিকুল মুলুক
    বাংলায় - মহারাজ, রাজাধিরাজ, রাজাগণের রাজা
    ফারসীতে - শাহানশাহ

    কাউকে মালিকুল আমলাক বা মালিকুল মুলুক বা মহারাজ বা রাজাধিরাজ বা রাজাগণের রাজা বা শাহানশাহ বা শাহআলম বলে ডাকা বা কারও নাম রাখা হারাম। "আহলুস সুন্নাহ ওয়াল জামা'আতের জরুরী আকীদা এবং কুফরী-শিরকী আকীদার বিধান" নামক কিতাবে মুফতী মুহাম্মাদ কামলা হোসাইন মোনেনশাহী লিখেছেন, কাউকে শাহানশাহ (রাজাগণের রাজা) বলে ডাকা শিরকে আকবার ও কুফরী এবং এরপর তিনি উপরোক্ত হাদীসখানা উল্লেখ করেছেন, যে কিতাবখানা ফকীহুল আসর আল্লামা মুফতী মুহাম্মাদ আব্দুস সালাম চাটগামী রহ. এর সার্বিক তত্ত্বাবধানে রচিত হয়েছে।
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

    Comment


    • #3

      আমি যখন ইন্টারনেটে "শাহানশাহ" লিখে সার্চ করলাম, তখন প্রথমেই শাহানশাহ নামক দুইটি ছায়াছবির নাম এসেছে, যার একটি বাংলাদেশের শাকিব খান অভিনীত, যা ২০২০ সালে নির্মিত ও অপরটি ভারতের অমিতাভ বচ্চন অভিনীত, যা ১৯৮৮ সালে নির্মিত।
      হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

      Comment

      Working...
      X