বিদ্যমান গনতন্ত্র, সেকুলারিজম, লিবারিজম ও জাতিয়তাবাদের আদলে বিশ্বব্যবস্থাকে বুঝে আমাদের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া আব্যশক। নিম্নক্ত উপলব্ধি/পদক্ষেপগুলো বিশিষ্ট একজন গুরাবা মুহতারামের। খেলাফতে আলা মানহাজে নবুয়্যাত ফিরে পেতে মুহতারামের চিন্তাধারাগুলো আমাদের অন্তরে লিপিবদ্ধ করে প্রত্যেক দায়ীভাইদের আমল করা জরুরত।
→ আমরা উম্মাহ হিসেবে আজ স্বাধীন নই এবং নিজেদেরকে স্বাধীন ভাবার অর্থ নিজেদেরকে ধোকা দেওয়া । মূলত আমরা ইহুদিদের অধীন ও আমেরিকার নেতৃত্বে পরিচালিত নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নতুন বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার গোলাম এবং তাদের খাঁচায় আবদ্ধ।
→বর্তমান বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার মৌলিক আদর্শ ও থিউরিগুলো পূর্ণরূপে ধর্মহীন এবং তা আল্লাহকে অস্বীকার করে এবং নবীদের শিক্ষার সাথে বিদ্রোহ করে।
→আজ আমাদের মোকাবেলা পূর্বের জামানার মত সাধারণ খৃষ্টান ও ইহুদিদের সাথে নয় বরং আমরা আজ খ্রিস্টান ও ইহুদিদের এক চূড়ান্ত বিকৃত রূপের মোকাবেলা করেছি। যারা ধর্মহীনতা ও নাস্তিকতায় মিশ্রিত এক সেকুলার ব্যবস্থার অধীনে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে।
→গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, হিউম্যানিজম, মানবাধিকার ও সেকুলারিজম এর সাথে আমাদের দ্বীন ও ইতিহাসের বিন্দু পরিমাণ সম্পর্ক নেই। এগুলো পশ্চিমাদের অন্ধকার যুগের অভ্যন্তরীণ লড়াই এবং মানুষের বানানো খৃষ্টবাদ ও বুদ্ধি পূজার পারস্পরিক যুদ্ধের ফলে তৈরি হয়েছে ।এই চিন্তাগুলো এতটাই নিকৃষ্ট কুফরি ও শিরক যে, এগুলোকে ইসলামের সাথে যুক্ত করা অথবা এগুলোকে ইসলামিকরণের চেষ্টাকারীদের ব্যাপারে অবাক হওয়া ও আফসোস করা ছাড়া কিছুই বিকল্প করার নেই।
→ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার তার দখলদারিত্ব অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ব্যক্তি, বংশ, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ প্রত্যেক স্তরকে নিজের শিকড়কে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দখলদারিত্বকে শুধু তারগিব ও তাবলীগের মাধ্যমে পতন ঘটানোর কল্পনা করা। এ ব্যবস্থা সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার ফল।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর শরীয় বুদ্ধিভিত্তিক কোনভাবেই এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, এই উম্মাহর একমাত্র আশ্রয় কেন্দ্র তাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসা এবং একমাত্র মুক্তির পথ ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বাস্তবায়ন করা। এই কর্মপন্থা ব্যতীত উম্মাহ যেই রাস্তাই গ্রহণ করবে, তাতে সমস্যা আরোও বৃদ্ধি পাবে। কেননা ইতিহাস আমাদের চিৎকার করে বলেছে এই উম্মাহর সমস্যা ও পতনের শুরু তখনই হয়েছে যখন তারা দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছে।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর এই বাস্তবতা অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, তাদের শেখানো পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাদের নীতিমালা ও সংবিধান মান্য করে ইসলামের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনার আদর্শ শরয়ী ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে ভুল। এটা হচ্ছে দিনের বিধান পালনের জন্য মদ্যশালা বানানোর মতো, যেখানে সব ধরনের অশ্লীলতা চলেছে এবং সরাব পান করা হচ্ছে। সেটাকে ধ্বংসের পরিবর্তে এই অবস্থাতেই সেখানে প্রবেশ করে, তার সব নোংরামি থেকে পবিত্র হয়ে সালাত আদায়ের চেষ্টা করা এবং এটাই মুসলিমদের মিরাজ ও দ্বীনের আসল চাহিদা ঘোষণা করা। মুসলিম অঞ্চলগুলোর ওপর অধিকৃত এই ব্যবস্থার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংসের মাধ্যমে, সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে এবং এটাই আমাদের দ্বীনের একান্ত কর্মপন্থা ।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর শরীয় ও আকলি কোনভাবেই এই বাস্তবতা অস্বীকার করা নয় যে, সামরিক শক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই নিকৃষ্ট ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও এর পরিচালনাকারী অসৎ ব্যক্তিদের শক্তি নিঃশেষ করা, জিহাদ ব্যতীত অসম্ভব। আবশ্য দিনের সমস্ত বিধানের উপর আমল করা এবং সমস্ত হুকুমকে তার অবস্থান অনুযায়ী গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক কিন্তু এমন যেকোনো আন্দোলন যারা আজ উম্মাহকে কুফরির গোলামী থেকে বের করার সংকল্প করেছে তাদের জন্য এটা বোঝা জরুরী যে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার দ্বারা একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, উম্মাহর আসল রক্ষক সেসব মুমিনেরাই, যারা আজ পশ্চিমা বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক সামগ্রিক যুদ্ধে লিপ্ত যারা আজ প্রতিটি জায়গায় তাদের স্বার্থের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তাদেরকে নাস্তানাবুধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যবস্থাকে বোঝার ফলে এই কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে:
√ জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ না করে উম্মাহর এক মুসলিম মিল্লাত দৃষ্টিভঙ্গি উজ্জীবিত করা।
√ মানুষের বুদ্ধি ও জনগণকে বিধানদাতা বিশ্বাস না করে আল্লাহর হাকিমিয়্যাতের আকিদাকে ব্যাপকভাবে দাওয়াহ দেওয়া
√ গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ না করে খেলাফতে আলা মানহাজে নাবুয়্যাতের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
√ মানুষের হিউম্যান বানানো পরিবর্তে আল্লাহর বান্দা বানানোর দাওয়াহ দেওয়া।
√ পশ্চিমা ও গ্রীক দর্শনের অঙ্গ অনুকরণের পরিবর্তে নবীদের পরিপূর্ণ আনুগত্যর দিকে দাওয়াহ দেওয়া।
√ পুঁজি, লাভ ও লোভের মধ্যে বৃদ্ধির পরিবর্তে সৎ কাজ, প্রতিদান ও সওয়াব বৃদ্ধিকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেয়া।
√ দেশ বা স্বার্থের ভিত্তিতে বন্ধুত্ব ও শত্রুতার পরিবর্তে আল্লাহ তাআলার জন্য আলওয়ালা ওয়াল বারার আকিদার শিক্ষা কে গ্রহণ করে নেওয়া।
√ সিভিল সোসাইটির পরিবর্তে ইসলামের দেওয়া মুসলিম ব্যক্তি, মুসলিম বংশ ও বাস্তব ইসলামী সমাজ গড়ে তোলা।
√ সমাজকে থানা, কাচারি ও গণতন্ত্রের রূপে সঙ্ঘবদ্ধ করার পরিবর্তে মসজিদ-মাদ্রাসা, দারুল ইফতা ও সত্য পন্থী আলেমদের অধীনে সঙ্ঘবদ্ধ করা।
√ অধিকৃত মুসলিম অঞ্চলগুলোর ওপর খ্রিস্টান ইহুদি জোটের দখলকে মেনে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এগুলোই সেই মৌলিক যেগুলোর সাথে সকল দ্বীনি মুসলিম ভাইদের সম্পৃক্ত করা, দাওয়াত দেওয়া এবং বাস্তবে নিজেদের চেষ্টার মূল লক্ষ্য বানিয়ে নেয়া। আজকের প্রত্যেক আলিম, দায়ী খতিব, লেখক, সাহিত্যিক দ্বীনি আন্দোলন ও মুসলিম সমাজের সমস্ত সদস্য যোগ্যতা সম্পন্ন সকল ব্যক্তির জিম্মাদারী।
রাতের অন্ধকার যতই নিগাঢ় হোক না কেন প্রত্যুষের আলো ততোই নিকটে। আল্লাহর তায়ালার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন এই বিদ্যমান পশ্চিমা আদলে গড়া বিশ্ব ব্যবস্থাকে ভেংগে খেলাফতে আল মিনহাজে নাবুওয়াতকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাওহিদবাদী ও সত্যান্বেষী মুসলিমদেরকে আরও প্রগাঢ়ভাবে দ্বীনের পথে উজ্জীবিত করেন ও আটুট রাখেন (আমিন)।
→ আমরা উম্মাহ হিসেবে আজ স্বাধীন নই এবং নিজেদেরকে স্বাধীন ভাবার অর্থ নিজেদেরকে ধোকা দেওয়া । মূলত আমরা ইহুদিদের অধীন ও আমেরিকার নেতৃত্বে পরিচালিত নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার বা নতুন বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার গোলাম এবং তাদের খাঁচায় আবদ্ধ।
→বর্তমান বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার মৌলিক আদর্শ ও থিউরিগুলো পূর্ণরূপে ধর্মহীন এবং তা আল্লাহকে অস্বীকার করে এবং নবীদের শিক্ষার সাথে বিদ্রোহ করে।
→আজ আমাদের মোকাবেলা পূর্বের জামানার মত সাধারণ খৃষ্টান ও ইহুদিদের সাথে নয় বরং আমরা আজ খ্রিস্টান ও ইহুদিদের এক চূড়ান্ত বিকৃত রূপের মোকাবেলা করেছি। যারা ধর্মহীনতা ও নাস্তিকতায় মিশ্রিত এক সেকুলার ব্যবস্থার অধীনে আমাদের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে আছে।
→গণতন্ত্র, পুঁজিবাদ, হিউম্যানিজম, মানবাধিকার ও সেকুলারিজম এর সাথে আমাদের দ্বীন ও ইতিহাসের বিন্দু পরিমাণ সম্পর্ক নেই। এগুলো পশ্চিমাদের অন্ধকার যুগের অভ্যন্তরীণ লড়াই এবং মানুষের বানানো খৃষ্টবাদ ও বুদ্ধি পূজার পারস্পরিক যুদ্ধের ফলে তৈরি হয়েছে ।এই চিন্তাগুলো এতটাই নিকৃষ্ট কুফরি ও শিরক যে, এগুলোকে ইসলামের সাথে যুক্ত করা অথবা এগুলোকে ইসলামিকরণের চেষ্টাকারীদের ব্যাপারে অবাক হওয়া ও আফসোস করা ছাড়া কিছুই বিকল্প করার নেই।
→ নিউ ওয়ার্ল্ড অর্ডার তার দখলদারিত্ব অর্থনৈতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সহ সকল ক্ষেত্রেই প্রতিষ্ঠা করেছে এবং ব্যক্তি, বংশ, সমাজ ও রাষ্ট্রসহ প্রত্যেক স্তরকে নিজের শিকড়কে ছড়িয়ে দিয়েছে। এই দখলদারিত্বকে শুধু তারগিব ও তাবলীগের মাধ্যমে পতন ঘটানোর কল্পনা করা। এ ব্যবস্থা সম্পর্কে চূড়ান্ত অজ্ঞতার ফল।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর শরীয় বুদ্ধিভিত্তিক কোনভাবেই এ বাস্তবতাকে অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, এই উম্মাহর একমাত্র আশ্রয় কেন্দ্র তাদের দ্বীনের দিকে ফিরে আসা এবং একমাত্র মুক্তির পথ ব্যক্তিগত ও সামাজিক স্তরে পূর্ণাঙ্গ দ্বীন বাস্তবায়ন করা। এই কর্মপন্থা ব্যতীত উম্মাহ যেই রাস্তাই গ্রহণ করবে, তাতে সমস্যা আরোও বৃদ্ধি পাবে। কেননা ইতিহাস আমাদের চিৎকার করে বলেছে এই উম্মাহর সমস্যা ও পতনের শুরু তখনই হয়েছে যখন তারা দ্বীন থেকে দূরে সরে গেছে।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর এই বাস্তবতা অস্বীকার করা সম্ভব নয় যে, তাদের শেখানো পদ্ধতি গ্রহণ করে, তাদের নীতিমালা ও সংবিধান মান্য করে ইসলামের কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আনার আদর্শ শরয়ী ও বুদ্ধিভিত্তিকভাবে চূড়ান্ত পর্যায়ে ভুল। এটা হচ্ছে দিনের বিধান পালনের জন্য মদ্যশালা বানানোর মতো, যেখানে সব ধরনের অশ্লীলতা চলেছে এবং সরাব পান করা হচ্ছে। সেটাকে ধ্বংসের পরিবর্তে এই অবস্থাতেই সেখানে প্রবেশ করে, তার সব নোংরামি থেকে পবিত্র হয়ে সালাত আদায়ের চেষ্টা করা এবং এটাই মুসলিমদের মিরাজ ও দ্বীনের আসল চাহিদা ঘোষণা করা। মুসলিম অঞ্চলগুলোর ওপর অধিকৃত এই ব্যবস্থার সাথে ইসলামের কোন সম্পর্ক নেই। এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ধ্বংসের মাধ্যমে, সমস্ত সমস্যার সমাধান হবে এবং এটাই আমাদের দ্বীনের একান্ত কর্মপন্থা ।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার পর শরীয় ও আকলি কোনভাবেই এই বাস্তবতা অস্বীকার করা নয় যে, সামরিক শক্তি দ্বারা প্রতিষ্ঠিত এই নিকৃষ্ট ব্যবস্থাকে ধ্বংস ও এর পরিচালনাকারী অসৎ ব্যক্তিদের শক্তি নিঃশেষ করা, জিহাদ ব্যতীত অসম্ভব। আবশ্য দিনের সমস্ত বিধানের উপর আমল করা এবং সমস্ত হুকুমকে তার অবস্থান অনুযায়ী গুরুত্ব দেয়া আবশ্যক কিন্তু এমন যেকোনো আন্দোলন যারা আজ উম্মাহকে কুফরির গোলামী থেকে বের করার সংকল্প করেছে তাদের জন্য এটা বোঝা জরুরী যে আল্লাহর কালিমা বুলন্দ করা ও খিলাফত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে জিহাদ ছাড়া অর্জন করা সম্ভব নয়।
→ এই ব্যবস্থাকে বোঝার দ্বারা একথা স্পষ্ট হয়েছে যে, উম্মাহর আসল রক্ষক সেসব মুমিনেরাই, যারা আজ পশ্চিমা বিশ্ব ব্যবস্থার বিরুদ্ধে এক সামগ্রিক যুদ্ধে লিপ্ত যারা আজ প্রতিটি জায়গায় তাদের স্বার্থের পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে এবং তাদেরকে নাস্তানাবুধ করার প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই ব্যবস্থাকে বোঝার ফলে এই কথা স্পষ্ট হয়ে গেছে যে:
√ জাতীয়তাবাদী দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ না করে উম্মাহর এক মুসলিম মিল্লাত দৃষ্টিভঙ্গি উজ্জীবিত করা।
√ মানুষের বুদ্ধি ও জনগণকে বিধানদাতা বিশ্বাস না করে আল্লাহর হাকিমিয়্যাতের আকিদাকে ব্যাপকভাবে দাওয়াহ দেওয়া
√ গণতান্ত্রিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ না করে খেলাফতে আলা মানহাজে নাবুয়্যাতের দিকে এগিয়ে যাওয়া।
√ মানুষের হিউম্যান বানানো পরিবর্তে আল্লাহর বান্দা বানানোর দাওয়াহ দেওয়া।
√ পশ্চিমা ও গ্রীক দর্শনের অঙ্গ অনুকরণের পরিবর্তে নবীদের পরিপূর্ণ আনুগত্যর দিকে দাওয়াহ দেওয়া।
√ পুঁজি, লাভ ও লোভের মধ্যে বৃদ্ধির পরিবর্তে সৎ কাজ, প্রতিদান ও সওয়াব বৃদ্ধিকে জীবনের লক্ষ্য বানিয়ে নেয়া।
√ দেশ বা স্বার্থের ভিত্তিতে বন্ধুত্ব ও শত্রুতার পরিবর্তে আল্লাহ তাআলার জন্য আলওয়ালা ওয়াল বারার আকিদার শিক্ষা কে গ্রহণ করে নেওয়া।
√ সিভিল সোসাইটির পরিবর্তে ইসলামের দেওয়া মুসলিম ব্যক্তি, মুসলিম বংশ ও বাস্তব ইসলামী সমাজ গড়ে তোলা।
√ সমাজকে থানা, কাচারি ও গণতন্ত্রের রূপে সঙ্ঘবদ্ধ করার পরিবর্তে মসজিদ-মাদ্রাসা, দারুল ইফতা ও সত্য পন্থী আলেমদের অধীনে সঙ্ঘবদ্ধ করা।
√ অধিকৃত মুসলিম অঞ্চলগুলোর ওপর খ্রিস্টান ইহুদি জোটের দখলকে মেনে নেওয়ার পরিবর্তে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাপকভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা।
এগুলোই সেই মৌলিক যেগুলোর সাথে সকল দ্বীনি মুসলিম ভাইদের সম্পৃক্ত করা, দাওয়াত দেওয়া এবং বাস্তবে নিজেদের চেষ্টার মূল লক্ষ্য বানিয়ে নেয়া। আজকের প্রত্যেক আলিম, দায়ী খতিব, লেখক, সাহিত্যিক দ্বীনি আন্দোলন ও মুসলিম সমাজের সমস্ত সদস্য যোগ্যতা সম্পন্ন সকল ব্যক্তির জিম্মাদারী।
রাতের অন্ধকার যতই নিগাঢ় হোক না কেন প্রত্যুষের আলো ততোই নিকটে। আল্লাহর তায়ালার কাছে দোয়া করি, তিনি যেন এই বিদ্যমান পশ্চিমা আদলে গড়া বিশ্ব ব্যবস্থাকে ভেংগে খেলাফতে আল মিনহাজে নাবুওয়াতকে ফিরিয়ে আনার ক্ষেত্রে তাওহিদবাদী ও সত্যান্বেষী মুসলিমদেরকে আরও প্রগাঢ়ভাবে দ্বীনের পথে উজ্জীবিত করেন ও আটুট রাখেন (আমিন)।
Comment