নাস্তিকদের সাথে কিসের ডিবেট?
نحمده و نصل علي رسوله الكريم اما بعد فاعوذ بالله من الشيطان الرجيم بسم الله الرحمن الرحيم لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তায়ালার জন্য যিনি এই মহাবিশ্বের প্রতিপালক এবং যিনি সবকিছুর উপরে ক্ষমতাবান।বেশ কিছুদিন ধরে দেখতেছি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে নাস্তিকদের সাথে ডিবেট হচ্ছে।আর এই সুযোগে নাস্তিকরাও বারবার আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করেই যাচ্ছে। কোন নাস্তিক যখন ডিবেট করতে আসে, তখন সে এটা মেনে নিয়েই আসে যে, সে হেরে গেছে,
আর এই হেরে গিয়েও সে মনে করে জিতে গেছে, কারণ সে প্রকাশ্যে আল্লাহ এবং তাঁর রাসূলের বিরোধিতা করতে পেরেছে তাদেরকে নিয়ে সমালচনা করার সুযোগ পেয়েছে। কিন্তু তাকে কিছুই বলাহ চ্ছেনা এমনকি তাকে সম্মানের সাথে সম্বোধন করা হচ্ছে।এটা খুবই স্পর্শকাতর বিষয়। নাস্তিকদের সাথে ডিবেট করা মানে তাদেরকে প্রকাশ্যে আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে সীমালংঘন করার সুযোগ করে দেওয়া। আর তারা এটাই কামনা করে।
এখন প্রশ্ন থাকতে পারেতাহলে কি আমারা নাস্তিকদের প্রতিহত করবোনা?
হ্যা, অবশ্যই আমরা নাস্তিকদের প্রতিহত করবো। আর তা হবে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর দেখানো পন্থায়। আল্লাহ তা’আলা বলেন
لَّقَدْ كَانَ لَكُمْ فِي رَسُولِ اللَّهِ أُسْوَةٌ حَسَنَةٌ لِّمَن كَانَ يَرْجُو اللَّهَ وَالْيَوْمَ الْآخِرَ وَذَكَرَ اللَّهَ كَثِيرًا
{যারা আল্লাহ ও শেষ দিবসের আশা রাখে এবং আল্লাহকে অধিক স্মরণ করে, তাদের জন্যে রসূলুল্লাহর মধ্যে উত্তম নমুনা রয়েছে।}
নাস্তিকরা আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করা নতুন কোন বিষয় নয়। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর সময় থেকেই তা শুরু হয়েছে। তবে সেটা নিয়ে সেই নাস্তিকের সাথে ডিবেট করা খুবই দুঃখজনক। কারণ এতে করে সে আরো সুযোগ পেয়ে যায় আল্লাহ ও তাঁর রাসূল এর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করার।আমরা যদি রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কে নিয়ে কটুক্তিকারী কা’ব ইবনে আশরাফের পরিণতির দিকে লক্ষ করি তাহলে দেখতে পাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তার সাথে ডিবেট করা তো অনেক দূরের বিষয় বরং তিনি সাহাবায়ে কিরামকে উৎসাহিত করেছিলেন তাকে হত্যা করার জন্য
“রাসুল (সা.) বললেন, ‘কাব ইবনে আশরাফ আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে কষ্ট দিয়েছে, তাকে শায়েস্তা করার জন্য কে প্রস্তুত আছে?’ বিশিষ্ট সাহাবি মুহাম্মদ ইবনে মাসলামা (রা.) দাঁড়িয়ে বললেন, ‘ইয়া রাসুলাল্লাহ! আপনি কি চান, আমি তাকে হত্যা করি?’ তিনি বললেন, ‘হ্যাঁ।
এর পরের ঘটনা আমাদের সকলেরই জানা থাকার কথা। অবশেষে আমি বলতে চাই রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও আল্লাহর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘনকারীদের কি শাস্তি হবে তা তো পূর্বেই নির্ধারিত হয়ে গিয়েছে। সুতরাং তাদের সাথে ডিবেট করার কোন মানেই হয়না। আর এই ধরণের ডিবেট এর ফলে না কোন নাস্তিক সঠিক পথে ফিরে আসে, না সঠিক পথে আসার অনুভুতি তাদের মাঝে থাকে, আর না মুসলিম উম্মাহর বড় কোন উপকার হয়। বরং নাস্তিকদের জন্য সীমালঙ্ঘন করার সুযোগ তৈরি হয়। সে ডিবেটে বসেই আল্লাহ ও তাঁর রাসূল সাঃ এর ব্যাপারে সীমালঙ্ঘন করতে থাকে। অথচ সে সময় মৌখিক প্রতিবাদ করার মতও পরিস্থিতি থাকেনা। এমনকি তাকে সম্মানের সাথে সম্বোধন করতে হয়। সুতরাং নাস্তিকদের সাথে কিসের ডিবেট ? তাদের উপরে আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্ধারিত শাস্তি বাস্তবায়ন করা সময়ের দাবি।
نَصْرٌ مِّنَ اللَّهِ وَفَتْحٌ قَرِيبٌ ۗ وَبَشِّرِ الْمُؤْمِنِينَ
আল্লাহর পক্ষ থেকে সাহায্য এবং আসন্ন বিজয়। মুমিনদেরকে এর সুসংবাদ দান করুন।
Comment