পুলিশি নির্যাতন : জনতার ‘বন্ধু’ পুলিশের হিংস্রতা
পুলিশকে জনগণের বন্ধু হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। কিন্তু বাস্তবতা বলছে ভিন্ন কথা। জনগণের সাথে পুলিশের অপরাধনামা এতই দীর্ঘ যে, তা কোথা থেকে শুরু করা যায় এ নিয়ে পড়তে হয় বিড়ম্বনায়। শুধু একটি প্রতিবেদনে সব তুলে ধরা সম্ভব নয়। নিচে পুলিশি নির্যাতনের নির্বাচিত কিছু ঘটনা তুলে ধরা হলো:
১.
২০১১ সালে লিমন হোসেন নামক এক ১৬ বছর বয়সি কিশোরের পায়ে গুলি করে এক ব়্যাব সদস্য৷ গুলিতে গুরুতর আহত লিমনের বাম পা উরুর নীচ থেকে কেটে ফেলতে হয়৷ এই ঘটনায় ব়্যাবের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদের ঝড় ওঠে৷ তবে এখনো সুবিচার পায়নি লিমন৷ উল্টো বেশ কিছুদিন কারাভোগ করেছেন তিনি৷
২.
২০১৪ সালের ৯ই ফেব্রুয়ারি রাতে রাজধানীর মিরপুরে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে দুই ভাই ইশতিয়াক হোসেন জনি এবং ইমতিয়াজ হোসেন রকিকে আটক করে পুলিশ। বড় ভাই জনির মৃত্যু হয় পুলিশ হেফাজতে।
ইমতিয়াজ হোসেন রকি এক সাক্ষাৎকারে বিবিসি বাংলাকে বলেছিলেন, ওই রাতে পুলিশ হেফাজতে নির্যাতনেই মৃত্যু হয়েছিল তার ভাইয়ের।
৩.
২০১৬ সালের এক মধ্যরাত । আব্দুল আলীমের (ছদ্মনাম) বাসায় প্রবেশ করে সাদা পোষাকে পুলিশের বেশ কিছু সদস্য। কোনো ওয়ারেন্ট ছাড়াই আব্দুল আলীমকে নিয়ে আসা হয় থানায়। তখনো আব্দুল আলীম জানেন না তার অপরাধ কী? সকাল হতেই শুরু হয় তার ওপর নির্যাতন।
আব্দুল আলীম বলছিলেন, “থানার ভেতরে একটি রুমে ওরা আমাকে প্রথমে রশিতে ঝুলায়। এরপর আমার শরীর ঘোরাতে থাকে আর কয়েকজন পুলিশ সদস্য লাঠি দিয়ে এলোপাতাড়ি পেটাতে থাকে। ঘণ্টা দুয়েক থেমে থেমে চলে এই নির্যাতন।”
আব্দুল আলীম বলছিলেন, এভাবে টানা আট দিন তাকে মারধর করা হয়। প্রতিদিন অন্তত দুই ঘণ্টা।
কিন্তু কোনো মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়নি।
মারধরের আওয়াজ মোবাইল ফোনে তার বাড়ির সদস্যদের শুনিয়ে টাকা চাওয়া হয়েছিলো। বলা হয়েছিলো, টাকা দিলে ছেড়ে দেবে।
আব্দুল আলীম জানাচ্ছেন, তারা টাকা দিতে পারেননি। পরে ভাংচুরের একটি মামলায় তাকে গ্রেফতার দেখিয়ে চারদিনের রিমান্ডে নেয়া হয়। আবারো চলে নির্যাতন।
আব্দুল আলীম প্রায় দশ মাস কারাভোগের পর জামিন পান।
তবে তিনি পরে থানা হেফাজতে নির্যাতন বিষয়ে টুঁ শব্দটিও করেননি। কোনো মামলাও করেননি।
“আমি বা আমার পরিবার আসলে মামলা করার কথা ভাবিইনি। ছাড়া পেয়েছি এটাই ছিলো বড় কথা। পুলিশের বিরুদ্ধে মামলা করে কি নিজের জীবনকেই হুমকির মধ্যে ফেলবো?” আব্দুল আলীমের পাল্টা প্রশ্ন।
৪.
এরকমই একটি মৃত্যুর ঘটনা বলছিলেন পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নারী। ধরা যাক, তার নাম মানুসরা খাতুন। মানসুরা খাতুন জানাচ্ছিলেন, ২০১২ সালে পুলিশের হাতে তার বড় ভাই আটক হওয়ার একদিন পরই তার লাশ পাওয়া যায় হাসপাতালের মর্গে।
“পুলিশের সোর্স আমার ভাইয়ের কাছে টাকা চাইছিলো। সে দেয় নাই। পরে একদিন পুলিশের এক এসআই কয়েকজন পুলিশ নিয়া আইসা আমার ভাইরে এলাকা থেকে ধরে থানায় নিয়ে যায়। রাতে আমরা দেখা করতে যাই। প্রথমে দেখা করতে পারি নাই। কিছুক্ষণ পরে থানার বাইরে থেকেই ভাইয়ের কান্না আর চিৎকার শুনতে পাইতেছিলাম। ওরা আমার ভাইরে মারতেছিলো।”
মানসুরা বলছেন, সেই রাত্রেই পরে থানায় ভাইয়ের সঙ্গে তারা দেখা করতে পেরেছিলেন।
তখন তার ভাইয়ের শরীর ছিলো রক্তাক্ত। তার ভাই তখন জানিয়েছিলেন, ৫০,০০০ টাকা না দিলে তাকে মেরে ফেলবে।
“পরদিন দুপুরে আমি থানা থিক্যা ফোন পাই। বলে আমার ভাই অসুস্থ। হাসপাতালে আছে। আমি আর আমার বোন দৌড়ায়া হাসপাতালে যাই। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ভাইরে খুইজ্যা পাই মর্গে। ভাইয়ের দুই পা নীল হয়া আছিলো। এমন মারছে যে, আমার ভাই যদি বাঁইচাও থাকতো, ওর পা দুইটা মনে হয় কাইটা ফেলতে হইতো।”
মানসুরা বলছেন, তার ভাইয়ের একমাত্র কন্যাকে এখন তারাই দেখাশোনা করছেন।
৫.
ব়্যাবের সদস্যরা ৬ কোটি টাকা ঘুসের বিনিময়ে সাত ব্যক্তিকে অপহরণ এবং খুন করে।
২০১৪ সালের ৩০ এপ্রিল বীভৎস শীতলক্ষ্যায় একে একে ভেসে ওঠে র*্যাব কর্তৃক অপহৃত ছয়জনের লাশ। পরদিন ১ মে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়।
সাতজনকে একসঙ্গে অপহরণের পর নৃশংসভাবে হত্যার পর লাশ গুম করার জন্য ফেলে দেয়া হয় শীতলক্ষ্যা নদীতে।
পরে সাতজনকে হত্যা এবং অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছে নারায়ণগঞ্জ র*্যাব-১১’র সাবেক কমান্ডার লে. কর্নেল তারেক সাঈদ মোহাম্মদ৷
শুধু নারায়ণগঞ্জের সাত খুন নয়, র*্যাব-১১-এর সাবেক অধিনায়ক তারেক সাঈদ মোহাম্মদের বিরুদ্ধে গুম-খুন-অপহরণের কমপক্ষে এক ডজন অভিযোগ পাওয়া গেছে।
৬.
২০১৬ সালের ৫ জুন সকাল ৭টা ১৭ মিনিটে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুলবাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় মোটরসাইকেলে করে তিন দুর্বৃত্ত মিতুকে ঘিরে ধরে প্রথমে গুলি করে। এরপর কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়।
পরে সকাল ৭টা ৩৭ মিনিটে চট্টগ্রামের বহুল আলোচিত মুছার মোবাইল ফোনে কল যায় এসপি বাবুল আক্তারের মোবাইল ফোন থেকে। মাত্র ২৭ সেকেন্ডের মোবাইল ফোনের কথোপথনের রেকর্ডটিই এখন মিতু হত্যার প্রধান আলামত ও সাক্ষী। সালাম দিয়ে মুছা ফোনটি রিসিভ করতেই ওপার থেকে বাবুল আক্তার বলেন, ‘তুই কোপালি ক্যান?’ ৩/৪ সেকেন্ড থেমে আবার বলেন, ‘বল তুই কোপালি ক্যান? তোরে কোপাতে কইছি?’ ওপার থেকে মুছার কথা, ‘না মানে’।
বাবুল আক্তার ফোনটি কেটে দেন।
বাবুল আক্তারের শ্বশুর সাবেক পুলিশ পরিদর্শক মোশারফ হোসেন ইত্তেফাককে বলেছিলেন, বাবুল আক্তারই তার মেয়েকে খুন করেছে। আমরা ওভার শিউর সেই খুন করেছে।
হত্যার প্রথম দিকে বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে অভিযোগ না করার বিষয়ে মোশারফ হোসেন বলেন, প্রথম দিকে ভেবেছিলাম যে বাবুল আক্তার ‘জঙ্গি’ দমনে ক্ষুব্ধ হয়ে ‘জঙ্গিরা’ মিতুকে হত্যা করতে পারে। কিন্তু ধীরে ধীরে বাবুল আক্তারের সব ঘটনা বেরিয়ে পড়ে। কক্সবাজারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপারের দায়িত্বে থাকার সময় সেখানকার এক এনজিও কর্মী গায়ত্রী দেবীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে ২০১৩ সাল থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্য কলহ চলছিল। সেটা থেকে যে বাবুল আক্তার হত্যার পরিকল্পনা করবে- সেটা স্বপ্নেও ভাবিনি।
৭.
২০১৭ সালের ১৮ই জুলাই। খুলনায় শ্বশুর বাড়িতে বেড়াতে গিয়েছিলেন পিরোজপুরের সুবিদপুর গ্রামের মোঃ: শাহজালাল। সেদিন ছিনতাই-এর অভিযোগে তাকে গ্রেফতার করেছিলো পুলিশ।
তার বাবা মোঃ জাকির হোসেনের অভিযোগ, তার সবজি ব্যবসায়ী ছেলেকে তিনি পুলিশে হেফাজতে দেখেছেন সেদিন সন্ধ্যা বেলায়। কিন্তু সেদিনই হাসপাতালে রক্তাক্ত অবস্থায় পেয়েছেন তাকে।
মো. জাকির তার বর্ণনা দিয়ে বলছিলেন, “ধরেন রাত সাতটা সাড়ে সাতটার সময় থানায় গেছি। আমার ছেলেরে থানায় কাস্টডিতে দেখছি। খাবার দাবারও দিয়ে আসছি। রাত তিনটা সাড়ে তিনটায় তারা তাকে মেডিকেলে নিয়ে ফেলে গেছে। আমরা সেখানে গিয়ে দেখি আমার ছেলের সমস্ত শরীরে রক্ত।”
হাসপাতালে গিয়ে দেখতে পান ছেলের দুই চোখ তুলে নেয়া হয়েছে।
মো. জাকির বলছেন, “ছেলেটা আমার বেঁচে আছে কিন্তু দুইটা চোখ ছেলের নাই। সে অন্ধ অবস্থায় ঘরে পরে রয়েছে।” এই কথাগুলো যখন বলছিলেন তখন ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কাঁদতে আরম্ভ করেন তিনি।
জাকির হোসেন বলছেন এসব অভিযোগে পুলিশের একজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তার পরিবারের করা একটি মামলা এখনো উচ্চ আদালতে রয়েছে। এই সম্পর্কিত তদন্ত প্রতিবেদনও প্রত্যাখ্যান করেছেন মো. জাকির হোসেন।
৮.
১৩ আগস্ট,২০২০৷ মামলার বাদী কেরানীগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা সোহেল মীরের অভিযোগ, গত দুই আগস্ট ঢাকার ওয়াইজ ঘাট থেকে তাকে আটক করা হয়৷ এরপর তার পকেটে থাকা দুই হাজার ৯০০ টাকা নিয়ে নেয় পুলিশ সদস্যরা৷ আরো টাকা দিতে না পারায় তাকে ইয়াবা মামলা দেয়ার কথা বলে কোতয়ালি থানায় নিয়ে যায়৷ থানায় নিয়ে ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করে৷ শেষ পর্যন্ত পুলিশ দেড় লাখ টাকা নিয়ে ক্রসফায়ার থেকে রেহাই দিয়ে কোর্টে চালান করে বলে অভিযোগ তার৷
৯.
ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায়ের অভিযোগে ১৩ আগস্ট ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া থানা পুলিশের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা হয়েছে৷ হারুন মিয়া নামে একজন ভুক্তভোগীর অভিযোগ ক্রসফায়ারের ভয় দেখিয়ে তার কাছ থেকে অর্থ আদায় করা হয়৷ এ নিয়ে কথা বললে ওই থানার সেকেন্ড অফিসার নিতাই চন্দ্র দাস তাকে ক্রসফায়ারে মেরে ফেলার হুমকি দিয়েছে বলেও জানানো হয়েছে।
১০.
সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ হত্যাকাণ্ডের মূল হোতা কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ। প্রদীপের অসংখ্য অপকর্মের মধ্যে এক শিকারের নাম সিনহা।
“বন্দুকযুদ্ধ”,“ক্রসফায়ার” অথবা “শ্যুটআউটের” নামে কক্সবাজারে সংঘটিত বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ৫৬% একাই করেছে মালাউন পুলিশ প্রদীপ।
গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৮ সালের মে থেকে চলতি বছরের জুলাই পর্যন্ত কক্সবাজারে কথিত বন্দুকযুদ্ধ বা ক্রসফায়ারে নিহত হয়েছেন মোট ২৮৭ জন। তাদের মধ্যে ১৬১ জনই বিচার বহির্ভূতভাবে মারা গেছে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে।
তবুও ২০১৯ সালে বাহিনীতে অবদানের জন্য প্রদীপকে দেওয়া হয় বাংলাদেশ পুলিশ মেডেল। যদিও ৬টি আলাদা ঘটনায় বিভিন্ন নামে বিচার বহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে আলোচিত-সমালোচিত ছিল তার নাম।
নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে ধরণের নির্যাতন:
হিউম্যান রাইটস বাংলাদেশে নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে যে ধরণের নির্যাতন চলে তার একটি বিবরণ তুলে ধরেছে। তার কয়েকটি এরকম:
• বন্দীদের রড, বেল্ট এবং লাঠি দিয়ে পেটানো
• বৈদ্যুতিক শক্ দেয়া
• ওয়াটারবোর্ডিং (মুখের ওপর পানি ঢালতে থাকা যাতে করে পানিতে ডুবে যাওয়ার মতো অভিজ্ঞতা হয়)
• সিলিং থেকে বন্দীদের ঝুলিয়ে পেটানো
• ইচ্ছে করে বন্দীদের গুলি করা, বিশেষ করে পায়ের নীচের অংশে। এটিকে বলা হয় ‘নীক্যাপিং।’ এসব ঘটনাকে পুলিশ ‘ক্রসফায়ার’ বলে বর্ণনা করে।
হিউম্যান রাইটস ওয়াচের দক্ষিণ এশিয়ার পরিচালক মীনাক্ষী গাঙ্গুলী বলছেন, বাংলাদেশে এসব ঘটনা কোন বিচার হয়না বলেই নির্যাতনের একটি সংস্কৃতি বাংলাদেশে দাঁড়িয়ে গেছে।
তিনি বলছেন, “সিকিউরিটি ফোর্সের লোকেরা বলেন টর্চার ছাড়া নাকি তারা তদন্ত করতে পারে না। এই যে একটা মনোভাব এটা আমাদের দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশেই আছে। বাংলাদেশে যেটা সেটা হল টর্চার তাদের একটা রুটিন প্র্যাকটিসের মতো। তারা টর্চার এইজন্যেই করেন কারণ তারা এটা করতে পারেন। তারা ভাবেন তাদের এটা করার অনুমতি আছে।”
তিনি আরও বলছেন, “বাংলাদেশ রাষ্ট্র পরিচালনার পদ্ধতি হিসেবেই যেন এগুলো ব্যবহৃত হচ্ছে। আর সেজন্যে বিরোধী মতের ব্যক্তিরাই শুধু নয়, সাধারণ মানুষের মধ্যেও ভয় ঢুকে গেছে।”
আইন শৃঙ্খলা বাহিনী গ্রেপ্তার বা আটক করার পর হাজতে আসামি বা আটককৃত ব্যক্তির মৃত্যুর ঘটনা প্রতিবছরই বাড়ছে৷
মানবাধিকার সংগঠন আইন ও সালিশ কেন্দ্র জানিয়েছে, ২০১৯ সালে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হেফাজতে মোট ১৮ জন মারা গেছেন৷ ২০১৮ সালে ১৭ জন ও ২০১৭ সালে ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল৷
শুধু হেফাজতে বা হাজতে মৃত্যু নয় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দাবি করা ক্রসফায়ার, বন্দুকযুদ্ধ, গুলিবিনিময়, এনকাউন্টারেও বছর বছর প্রাণ হারাচ্ছেন শতাধিক মানুষ৷ আইন ও সালিশ কেন্দ্রের হিসাবে, ২০১৯ সালে এই সংখ্যা ছিলো ৩৬৭ জন৷ ২০১৮ সালে মারা গেছেন ৪২১ জন৷
উল্লেখিত খবরগুলো তো সামনে এসেছে। এছাড়াও এমন অসংখ্য ঘটনা হুকুমের গোলাম পুলিশ বাহিনী অহরহ ঘটাচ্ছে। যেগুলো থেকে যাচ্ছে আড়ালে।
লেখক: উসামা মাহমুদ, প্রতিবেদক আল-ফিরদাউস নিউজ
Comment