ইসলামি শাসনব্যবস্থা অস্পষ্ট কিংবা অবাস্তব কোনো ধারণা নয়
আফগানিস্তান এখন এক বিশেষ সময় অতিক্রম করছে। কেননা, আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তির আওতায় বিদেশি বাহিনীগুলো আমাদের মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের জনগণ দখলদারিত্বের অবসানের পর আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। ইসলামি শাসনব্যবস্থা যেমনিভাবে আল্লাহর নির্দেশ এবং মুসলিমদের উপর ফরজ হলো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করা, তেমনিভাবে আমাদের জাতির সম্মিলিত দাবিও এটি। আর দোহায় আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি ধারাও এটি ছিল যে—আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সরকার হবে ইসলামি। সুতরাং কেউ জোর গলায় বলতেই পারেন, আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত করা এমন এক অবহেলিত সিদ্ধান্ত, যার ধর্মীয়, জাতীয় এবং সার্বজনীন সমর্থন ও সাহায্য রয়েছে।
তবে একদিকে যখন আমাদের মুমিন জনগণ ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, অন্যদিকে তখন ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরোধিতাকারীরা সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করছে; প্রবাদ অনুযায়ী একে বলা যায় ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’-এর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই কিছুদিন ধরে কাবুল প্রশাসনের মিডিয়াগুলোতে একটি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তারা বলছে, ‘ইসলামি শাসনব্যবস্থা একটি অস্পষ্ট ও অবাস্তব ধারণা; এ ব্যাপারে অনেক আলোচনা ও সংশোধনের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া, বর্তমান সময়ে ইসলামি শাসন কায়েম করা কঠিন।’
ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরোধিতাকারী এসব লোকদেরকে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর দ্বীনকে মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ ও চিরন্তন জীবনব্যবস্থা হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানবজাতি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে, আল্লাহর দ্বীন ইসলাম ঐসবগুলোরই সমাধান করতে সক্ষম। এমনকি মানবজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটাতে হবে—সে বিষয়েও ইসলামের সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে। রাজনৈতিক নীতিমালা সম্বন্ধে ইসলামের বিধান খুবই স্পষ্ট ও স্বচ্ছ; এর মধ্যে কিছু সামাজিক জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পৃথিবীতে নববী মানহাজ অনুযায়ী ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা মানবজাতির অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আর ইসলামের পুরো ইতিহাসজুড়েই রয়েছে ইসলামি সরকার ও ধর্মীয় কিতাব দ্বারা শাসনের দৃষ্টান্ত। এ-সবকিছু কাবুল সরকারের মিডিয়ায় প্রচারিত সকল সংশয়ের অপনোদন করে।
যেসব লোকেরা ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে এই যুগের সাথে বেমানান বলে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আসলে ইসলামের প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞাত ও মূর্খ। ইসলাম কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা; এরপর আর কোনো ধর্ম আসবে না।
তাছাড়া মাত্র দুই দশক আগেও আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত প্রয়োগিকভাবে দেখিয়েছে যে, ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে আধুনিক যুগের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের ইসলামি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইসলামি ইমারত বিশ্বাস করে যে, আফগান সংকট নিরসনে প্রধান সমাধান হলো একটি প্রকৃত ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের জাতি ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই এত এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনোকিছুই তারা মেনে নিবেন না। তাই দেশি ও বিদেশি সকল পক্ষের জন্য জরুরি হলো, আফগান জাতির এই সার্বজনীন আকাঙ্ক্ষাকে গ্রহণ করে নেওয়া এবং আরো কোনো অজুহাত ও বাধা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।
[আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের অফিসিয়াল ইংরেজি ওয়েবসাইট থেকে এই আর্টিকেলটি অনুবাদ করা হয়েছে।]
আফগানিস্তান এখন এক বিশেষ সময় অতিক্রম করছে। কেননা, আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত হওয়া চুক্তির আওতায় বিদেশি বাহিনীগুলো আমাদের মাতৃভূমি ছেড়ে চলে যাচ্ছে। আর আমাদের জনগণ দখলদারিত্বের অবসানের পর আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার প্রতীক্ষায় রয়েছে। ইসলামি শাসনব্যবস্থা যেমনিভাবে আল্লাহর নির্দেশ এবং মুসলিমদের উপর ফরজ হলো ইসলাম প্রতিষ্ঠিত করা, তেমনিভাবে আমাদের জাতির সম্মিলিত দাবিও এটি। আর দোহায় আমেরিকার সাথে স্বাক্ষরিত চুক্তির একটি ধারাও এটি ছিল যে—আফগানিস্তানের ভবিষ্যৎ সরকার হবে ইসলামি। সুতরাং কেউ জোর গলায় বলতেই পারেন, আফগানিস্তানে ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত করা এমন এক অবহেলিত সিদ্ধান্ত, যার ধর্মীয়, জাতীয় এবং সার্বজনীন সমর্থন ও সাহায্য রয়েছে।
তবে একদিকে যখন আমাদের মুমিন জনগণ ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে, অন্যদিকে তখন ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরোধিতাকারীরা সন্দেহ-সংশয় সৃষ্টি করছে; প্রবাদ অনুযায়ী একে বলা যায় ‘ঘোলা পানিতে মাছ শিকার’-এর চেষ্টা চালাচ্ছে।
এই কিছুদিন ধরে কাবুল প্রশাসনের মিডিয়াগুলোতে একটি বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা হচ্ছে। তারা বলছে, ‘ইসলামি শাসনব্যবস্থা একটি অস্পষ্ট ও অবাস্তব ধারণা; এ ব্যাপারে অনেক আলোচনা ও সংশোধনের প্রয়োজন আছে। তাছাড়া, বর্তমান সময়ে ইসলামি শাসন কায়েম করা কঠিন।’
ইসলামি শাসনব্যবস্থার বিরোধিতাকারী এসব লোকদেরকে আমরা মনে করিয়ে দিতে চাই, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা তাঁর দ্বীনকে মানবজাতির জন্য পূর্ণাঙ্গ ও চিরন্তন জীবনব্যবস্থা হিসেবে পাঠিয়েছেন। মানবজাতি যেসব সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে, আল্লাহর দ্বীন ইসলাম ঐসবগুলোরই সমাধান করতে সক্ষম। এমনকি মানবজীবনের প্রতিটি মুহূর্ত কীভাবে কাটাতে হবে—সে বিষয়েও ইসলামের সুস্পষ্ট নীতিমালা আছে। রাজনৈতিক নীতিমালা সম্বন্ধে ইসলামের বিধান খুবই স্পষ্ট ও স্বচ্ছ; এর মধ্যে কিছু সামাজিক জীবনের সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে বিবেচিত। ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে, এই পৃথিবীতে নববী মানহাজ অনুযায়ী ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা মানবজাতির অন্যতম প্রধান দায়িত্ব। আর ইসলামের পুরো ইতিহাসজুড়েই রয়েছে ইসলামি সরকার ও ধর্মীয় কিতাব দ্বারা শাসনের দৃষ্টান্ত। এ-সবকিছু কাবুল সরকারের মিডিয়ায় প্রচারিত সকল সংশয়ের অপনোদন করে।
যেসব লোকেরা ইসলামি শাসনব্যবস্থাকে এই যুগের সাথে বেমানান বলে ঘোষণা দিয়েছে, তারা আসলে ইসলামের প্রকৃতি সম্পর্কে অজ্ঞাত ও মূর্খ। ইসলাম কিয়ামতের পূর্ব পর্যন্ত মানবজাতির জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ জীবনব্যবস্থা; এরপর আর কোনো ধর্ম আসবে না।
তাছাড়া মাত্র দুই দশক আগেও আফগানিস্তান ইসলামি ইমারত প্রয়োগিকভাবে দেখিয়েছে যে, ইসলামি শাসনব্যবস্থা প্রকৃতপক্ষে আধুনিক যুগের সাথেও সামঞ্জস্যপূর্ণ। আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের ইসলামি শাসনব্যবস্থা পরিচালনা করার অভিজ্ঞতা রয়েছে। ইসলামি ইমারত বিশ্বাস করে যে, আফগান সংকট নিরসনে প্রধান সমাধান হলো একটি প্রকৃত ইসলামি সরকার প্রতিষ্ঠিত করা। আমাদের জাতি ইসলামি শাসন প্রতিষ্ঠার জন্যই এত এত ত্যাগ স্বীকার করেছেন। ইসলাম ব্যতীত অন্য কোনোকিছুই তারা মেনে নিবেন না। তাই দেশি ও বিদেশি সকল পক্ষের জন্য জরুরি হলো, আফগান জাতির এই সার্বজনীন আকাঙ্ক্ষাকে গ্রহণ করে নেওয়া এবং আরো কোনো অজুহাত ও বাধা সৃষ্টি করা থেকে বিরত থাকা।
[আফগানিস্তান ইসলামি ইমারতের অফিসিয়াল ইংরেজি ওয়েবসাইট থেকে এই আর্টিকেলটি অনুবাদ করা হয়েছে।]
Comment