Announcement

Collapse
No announcement yet.

জঙ্গি তকমা লাগিয়ে বোনদেরকে গ্রেফতার করা পুলিশ সুপারের মেয়ে বেইলি রোডের রেস্টুরেন্টে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেমলীলা করতে গিয়ে দগ্ধ!!

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • জঙ্গি তকমা লাগিয়ে বোনদেরকে গ্রেফতার করা পুলিশ সুপারের মেয়ে বেইলি রোডের রেস্টুরেন্টে বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে প্রেমলীলা করতে গিয়ে দগ্ধ!!

    নাসিরুল ইসলাম। একজন তুখোর ডিআইজি। ত্বাগুত প্রশাসনের কাছে তিনি এক অমূল্য রত্ন। কারণ, যারা রাষ্ট্রের আইন পরিপন্থী কাজ করছে এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত তাদের দমনে যারা যারা অগ্রবর্তী তিনি তাদের একজন। এরকম পারফর্মেন্স তাকে পদোন্নতি পেতে সাহায্য করেছে।
    রাষ্ট্টের একজন ভৃত্য হিসেবে তিনি এই রাষ্ট্টের শত্রুদের দমন করতে কখনো এমনসব টেকনিকের অবলম্বন করেছেন যা কর্ণেল গুলজারদের ক্লাসেই তাকে নিয়ে যায়। তার এমন কাজের ব্যাপারে একজনের ফেসবুক বর্ণনা অনুযায়ী, তিনি এক আসামীকে ধরতে গিয়ে বাসায় তাকে না পেয়ে তার কন্যাকে বের করে আনেন। লজ্জাশীল মেয়েটি প্রচন্ড বিব্রত হয়। ইজ্জত হরণের ভয়ে সে ইশারা করে দেখায় যে তার আব্বু পুকুরে লুকিয়েছে। নাসিরুল ইসলাম লোকটিকে বের করেন। কন্যার সামনে তাকে গুলি করে হত্যা করেন।

    কন্যার আহাজারি তার কানে পৌছায়নি। পৌছাবেই বা কেনো কারণ এই রাষ্ট্রযন্ত্রের মধ্যে ঢুকেছিলেন একজন পরীক্ষাউত্তীর্ণ ছাত্র হিসেবে। আর এই রাষ্ট্রযন্ত্রের চেইন ইন কমান্ড তাকে নাদান বানিয়ে ছেড়েছে। তাকে এই প্রশিক্ষণ দিয়েছে যে, রাষ্ট্টের জন্য এরকম খুন, কোনো ব্যাপার না। এটা স্বাভাবিক। মানুষ তো হলো আমাদের গৃহপালিত। এখান থেকে যা ইচ্ছা হত্যা খুন গুম করতে পারি।
    ******



    রাষ্ট্টের কাছে নাসির সাহেব একজন একান্ত অনুচর হলেও সাধারণ মানুষের কাছে তিনি একজন ঘৃণিত লোক। কারো কাছে তিনি অস্ত্রধারী ভাড়াটিয়া মাস্তান। কারো কাছে মাফিয়াদের মার্সেনারি। কারো কাছে তিনি ত্বাগুতের রক্ষী ও দ্বীনের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত।

    বাংলাদেশে ত্বাগুত প্রশাসনদের পদোন্নতি পেতে যে জিনিসটা বেশী সহায়তা করে তার মধ্যে একটি হলো জঙ্গী গ্রেফতার। তাইতো শত শত দাগী আসামী গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে নির্বিঘ্নে ঘুরলেও তাদের গ্রেফতারের ব্যাপারে আগ্রহ দেখায় না ত্বাগুত প্রশাসন। তাদের কেইস ফাইলগুলো অজস্র ফাইলের গাদার মধ্যে ফেলে যে রাখে, সেখান থেকে আর বের করার প্রয়োজনীয়তা পায় না।

    কিন্তু যেই মাত্র শুনে যে অমুক এলাকায় জিহাদী আছে তখনই পুরো স্পেশাল গুন্ডা বাহিনী তার বাসা ঘেরাও করে বসে। গ্রেফতার করে প্রমাণ করতে পারলেই তো প্রমোশন। এর কারণ কি? কারণ তারা এসমস্ত লোক যারা বর্তমান বিশ্বব্যাবস্থার বিরুদ্ধে দাড়িয়েছে। তাই তো আমেরিকা তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা দিয়েছে। আমেরিকার এই পারপাস সার্ভ করতে পারলে তাদের জন্য রয়েছে বিশেষ বৈদেশিক সাহায্য। এই সুযোগ কে মিস করবে। তাইতো, যাকে তাকে জঙ্গি কেসে ফাসিয়ে দেয়ার এক সলিড প্রতিযোগীতা চলে তাদের মধ্যে।

    এই প্রতিযোগীতায় পিছিয়ে নেই নাসিরুল ইসলাম নিজেও। তাই তো তিনি গ্রেফতার করতে থাকেন সন্দেহপ্রবণ জঙ্গিদের। তার হাত থেকে বাদ যায় না মুসলিম মেয়েও। প্রাপ্তিও কম নেই মি ইসলামের। ছিলেন সাধারণ এসপি। সেখান থেকে তিনি হয়েছেন ডিআইজি।
    ******


    মানুষের কাছে একজন ঘৃণিত মাস্তান হলেও নাসিরুল ইসলামের একটা উজ্জ্বল দিক আছে। সেটা তার পরিবারের কাছে। বাবা খুন হওয়া বহু মেয়ে কিংবা জঙ্গি কেসে ফাসিয়ে জীবন তামা তামা করে দেয়া বোনদের কাছে তিনি বদদোআর প্রথম সারিতে থাকা লোক হলেও নিজের মেয়েদের কাছে তিনি একজন মমতাময়ী বাবা।

    তাই তো স্ত্রীর মৃত্যুর পর আর কোনো বিয়ে করেননি। শুধু দুটি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে। তাদের ভবিষ্যত গড়া থেকে শুরু করে উপযুক্ত পাত্রের কাছে হস্তান্তর বিশাল এক দায়িত্ব। এর মধ্যে সতীন আসলে তো মেয়েরা উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়বে। যেটা বাংলায় সচরাচর ঘটে।

    তার বিপুল যত্নের ফলেই তার মেয়ে লামিসা ইসলাম চান্স পায় বুয়েটে। পেয়ে যায় ভালো মানের সাবজেক্ট। বাবা হিসেবে নাসির সাহেবের কাছে এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি কি আছে! এখন তার অপরাধের সঙ্গী বহু কলিগ কিংবা বসের কাছে তিনি মুখ ফুটে বলতে পারবেন যে তার মেয়ে একজন বুয়েটিয়ান।

    বুয়েটে এসেই লামিসা এক রোমান্টিক জগতের সন্ধান পায়। বিভিন্ন গান-পার্টি-নাচ ও বিভিন্ন অনুষ্ঠানে বড় আপুদের পারফর্মেন্স দেখে সে বেশ প্রভাবিত হয়ে যায়। খুব দ্রুত হারাম কপোতজোড়াও তৈরী হয়। পেয়ে যায় তারই ব্যাচমেটকে(নাম বললাম না। পত্রিকায় পাবেন)। ছেলের সঙ্গে দিনরাত্রি চ্যাট, কিছু চাঁদ-তারা এনে দেয়ার আবদারে লামিসা ভেসে যায় র‌োমান্টিকতার ভেলায়।

    কিন্তু রোমান্সে ভেসে যাওয়া লামিসার কি মনে পড়ে সেই বোনগুলোর অশ্রুর কথা? যাদের জীবনকে তার বাবা ধ্বংস করে দিয়েছে শুধুমাত্র শরীয়াহকে ভালোবাসতো বলে? অথবা ঐ মেয়েটার কথা যার বাবাকে তার বাবা গুলি করে হত্যা করেছে? নাকি সে মনে করে যে "এরা হলো বিষাক্ত কীট, যাদের হত্যা করা, ইজ্জত হরণ সবকিছুই বৈধ'"

    ******


    সময় গড়াতে থাকে। প্রেমিকের সাথেও তার সম্পর্কের উন্নতি ঘটতে থাকে। ভালোবাসা প্রগাঢ় হতে থাকে। এরই মধ্যে চলে আসে ২৯ ফেব্রুয়ারী। রাতে ছেলেটির হাত ধরে সে চালে যায় বেইলি রোডের এক হোটেল বা রেষ্টুরেন্টে। এরপর কি হলো তা কেউ জানে না। রাত্রে দুটি ছেলেমেয়ে এরকম কেনো যায় এর কোনো বৈধ ব্যাখ্যাও পাই না। তাদের ব্যাচমেট কিংবা পত্রিকা তাই বলছে।

    রাত্রে একপর্যায়ে নিচতলা থেকে ভেসে আসে আর্তচিৎকার। ব্যাপার কি? আগুন লেগেছে। মানুষ ছুটাছুটি করছে। অনেকেই দৌড়ে সিড়ি বেয়ে উঠছে ছাদে। আগুন ছড়িয়ে পড়ে বিভিন্ন ফ্লোরে। বুয়েট থেকে আসাই এই কপোতজোড়াও আত্মরক্ষার্থে চেষ্টা করছে ছাদে উঠতে। কিন্তু তীব্র ধোঁয়ায় পুড়ে যাচ্ছে শ্বাসনালী।

    এরই মধ্যে ফোন আসে নাসিরুল ইসলামের ফোনে। তিনি রিসিভ করা মাত্রই শুনতে পান তার মেয়ের আহাজারি, "বাবা! আমাকে বাঁচাও"। কিন্তু কিভাবে বাঁচাবেন? এটা ত‌ো জঙ্গী না! এটা আগুন। এটা কোনো জিহাদপ্রেমী বোন না যে তাকে ধরতে এখন পুরো ফোর্স নিয়ে হানা দেবে তার বাসায়! যার হাত থেকে তার মেয়েকে বাঁচানো তার জন্য অসম্ভব। বহু মেয়ের গগনবিদারী আর্তনাদের কারণ হওয়া এই জানোয়ারটি এবার নিজের মেয়ের মৃত্যদশায় আর্তনাদ করে উঠেন।

    ******


    হায়! কি নিদারুণ পরিণতি। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতাবলে বহু মানুষের জীবনে আঁধার নামিয়ে আনা এই লোকটি শেষ পর্যন্ত পারলেন না নিজের মেয়েকে রক্ষা করতে। কেনো ভাই? তার হাতে কি রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ছিলো না? আর তিনি তো এর জন্যই নিজের জীবনকে উৎসর্গ করে দিয়েছেন। তাহলে কেনো পারলেন না রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা ব্যবহার করে নিজের মেয়েকে আগুনের হাত থেকে বাঁচাতে? কেন‌ো অসহায়ভাবে ডুকরে উঠলেন?

    রহস্যটা অন্য জায়গায়। যেদিন তিনি আরেকজনের মেয়েকে জিহাদের অভিযোগে গ্রেফতার করেন সেটা তার জন্য ছিলো এক পরম আনন্দের ব্যাপার। কিন্তু নির্যাতনের ফলে বোনটির আহাজারি কিংবা বাসা থেকে বাবা মায়ের চিৎকার আল্লাহর আরশকে প্রকম্পিত করেছিলো। যে মেয়েটার সামনে তিনি তার বাবাকে গুলি করে হত্যা করেন তার আর্তনাদ ও ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা ছিলো না। কারণ রাসুলুল্লাহ(সা) বলেন,
    ‘মজলুমের ফরিয়াদকে ভয় করবে। কেননা তার ফরিয়াদ এবং আল্লাহর মধ্যে কোনো পর্দা থাকে না’। (সহিহ বুখারি: ২৪৪৮)



    মজলুমের আহাজারি রূপ নেয় আল্লাহর আযাবে। যা দুনিয়াতেই আপতিত হয়ে থাকে। আর আখিরাতে ত‌ো আছে ভয়ানক শাস্তি। আল্লাহ পাক বলেন,
    'সাবধান! জালিমদের ওপর আল্লাহর অভিশাপ'। (সুরা হুদ, আয়াত : ১৮)

    ******


    হে জাহিলিয়াতের ধ্বজাধারীরা, জাহিলিয়্যাতের সিস্টেমের জন্য তোমরা মুসলিম ও মুজাহিদদের সঙ্গে যে নৃসংশতা প্রদর্শন করছো, জেনে রেখো, এর প্রতিদান তোমাদের জন্য দুনিয়াতেই বরাদ্দ রয়েছে। অচিরেই তোমাদেরকে মুজাহিদদের হাতে শাস্তি দেয়াবেন। আর কেউ কেউ সাময়িকভাবে মুজাহিদদের হাত থেকে বেঁচে গেলে আল্লাহ দুনিয়াতেই তোমাদের সুখ-শান্তি কেড়ে নিবেন। সারা জীবন সুখের সন্ধান করবে কিন্তু তোমাদের লাইফে কোনোদিন শান্তি থাকবে না। যিল্লতি নিয়ে দুনিয়া থেকে বিদায় নেবে। চুড়ান্ত পাকড়াও তো আখিরাতে আখিরাতে বরাদ্দ আছে যেখানে তোমরা চিরস্থায়ী হবে।

    আর যে ত্বাগুতি সিস্টেমকে টিকিয়ে তোমরা তোমাদের জীবন ও ক্যারিয়ার উৎসর্গ করে দিয়েছ‌ো, জেনে রেখো, এই সিস্টেমকে, আমরা এমনভাবে ধ্বংস করবো যে এর কোনো অস্তিত্বও থাকবে না। আমরাও আমাদের জীবনকে আল্লাহর জন্য কোরবান করে দিয়েছি। এবং ধৈর্য ধরে জিহাদের পথে সারা জীবন থাকবে। আমাদের জীবনের কোনো না কোনো এক সময় এই জাহিলিয়্যাতে সিস্টেমকে বিলুপ্ত করে সেখানে ইসলামী শরীয়াহ কায়েম করবো, বিইযনিল্লাহ।
    তাদের বিরুদ্ধে লড়াই কর, তোমাদের হাত দিয়েই আল্লাহ তাদেরকে শাস্তি দিবেন, তাদেরকে অপমানিত করবেন, তাদের বিরুদ্ধে তোমাদেরকে সাহায্য করবেন আর মু’মিনদের প্রাণ ঠান্ডা করবেন।(সুরাহ তাওবাহ- আয়াত-১৪)



    _____________________
    রেফারেন্স:
    [১] এক বোনকে গ্রেফতার করা

    https://tinyurl.com/nasirul-arrests-a-sister

    [2] নাসিরুল ইসলামের মেয়ে দগ্ধ
    https://tinyurl.com/lamisa-burned-with-boyfriend

    [৩] মেয়ের সামনে বাবাকে গুলি করা। (ফেসবুক কমেন্ট স্ক্রীনশট)
    https://archive.org/details/image_20240308

  • #2
    সুবহানাল্লাহ নিঃসন্দেহে মহান আল্লাহ আল্লাহ সর্বোত্তম প্রতিদানকারি এবং তিনিই সর্বোত্তম ওয়াদা পালনকারী ।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ ছাড় দেন, তবে ছেড়ে দেন না।
      দুনিয়ায় তার হয়তো সংশোধন চান। আশা করি সে শিক্ষা নিবে এবং তওবা করে দ্বীনের পথে ফিরে আসবে।

      Comment


      • #4

        জেনে রেখো, এই সিস্টেমকে, আমরা এমনভাবে ধ্বংস করবো যে এর কোনো অস্তিত্বও থাকবে না। আমরাও আমাদের জীবনকে আল্লাহর জন্য কোরবান করে দিয়েছি। এবং ধৈর্য ধরে জিহাদের পথে সারা জীবন থাকবে। আমাদের জীবনের কোনো না কোনো এক সময় এই জাহিলিয়্যাতে সিস্টেমকে বিলুপ্ত করে সেখানে ইসলামী শরীয়াহ কায়েম করবো, বিইযনিল্লাহ।

        অবশ্যই আমরা আমাদের জীবনকে আল্লাহর জন্য কোরবান করবো। আল্লাহর সাথে আমাদের প্রতিশ্রুতিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করবো না। ইনশাআল্লাহ

        Comment


        • #5
          মানুষের কাছে একজন ঘৃণিত মাস্তান হলেও নাসিরুল ইসলামের একটা উজ্জ্বল দিক আছে। সেটা তার পরিবারের কাছে। বাবা খুন হওয়া বহু মেয়ে কিংবা জঙ্গি কেসে ফাসিয়ে জীবন তামা তামা করে দেয়া বোনদের কাছে তিনি বদদোআর প্রথম সারিতে থাকা লোক হলেও নিজের মেয়েদের কাছে তিনি একজন মমতাময়ী বাবা।

          তাই তো স্ত্রীর মৃত্যুর পর আর কোনো বিয়ে করেননি। শুধু দুটি মেয়েদের দিকে তাকিয়ে। তাদের ভবিষ্যত গড়া থেকে শুরু করে উপযুক্ত পাত্রের কাছে হস্তান্তর বিশাল এক দায়িত্ব। এর মধ্যে সতীন আসলে তো মেয়েরা উচ্ছিষ্ট হয়ে পড়বে। যেটা বাংলায় সচরাচর ঘটে।

          এদের রক্ত পশুর রক্তের চেয়েও মূল্যহীন। কারণ, এই সকল নিকৃষ্ট পশুরা সম্মানিত মুসলমানদের না হক (অন্যায়ভাবে) প্রাণ সংহার করা তাদের জন্যে সহজ করে নিয়েছে। যে মুসলমানদের ইজ্জত আর সম্মানের সামনে সাড়া দুনিয়ার সমস্ত কিছু আল্লাহ গৌণ করেছেন।

          রাসুল (সাল্লাল্লাহু আলাইহি অয়াসসাল্লাম) আমাদের বলেছেনঃ
          ‘‘আল্লাহ্ তা‘আলার নিকট পুরো বিশ্ব ধ্বংস হয়ে যাওয়া অধিকতর সহজ একজন মুসলিম হত্যা অপেক্ষা’’।
          (তিরমিযী ১৩৯৫; নাসায়ী ৩৯৮৭; ইব্নু মাজাহ্ ২৬৬৮)

          নিজেকে ভুলে যাওয়া সম্মানিত মুসলমান ভাই আর বোনেরা শতাব্দীর অধিক কাল চলতে থাকা কুফফারদের ষড়যন্ত্রের ধোঁকায় পড়ে অস্ত্র ত্যাগ করেছেন । অথচ রহমান আল্লাহ আমাদের জানিয়ে দিয়েছিলেনঃ
          "অবিশ্বাসীগণ কামনা করে, যেন তোমরা তোমাদের অস্ত্র-শস্ত্র ও আসবাবপত্র সম্বন্ধে অসতর্ক হও, যাতে তারা তোমাদের উপর হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়তে পারে।"
          (সুরা নিসা আয়াত ১০২)

          ‘‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ্ তা‘আলার আয়াত ও নিদর্শনসমূহ অস্বীকার করে, অন্যায়ভাবে নবীদেরকে হত্যা করে এবং মানুষদের মধ্য থেকে যারা ন্যায় ও ইন্সাফের আদেশ করে তাদেরকেও। (হে নবী) তুমি তাদেরকে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তির সুসংবাদ দাও। এদেরই আমলসমূহ ইহকাল ও পরকালে নষ্ট হয়ে যাবে এবং এদেরই জন্য তখন আর কেউ সাহায্যকারী হবে না’’। (আ’লি ’ইমরা’ন : ২১-২২)
          Last edited by Rakibul Hassan; 03-10-2024, 10:02 PM.

          Comment


          • #6
            আল্লাহ উত্তম প্রতিশোধ গ্রহণকারী।

            Comment


            • #7
              Originally posted by Jubayer Mahmud View Post
              জেনে রেখো, এই সিস্টেমকে, আমরা এমনভাবে ধ্বংস করবো যে এর কোনো অস্তিত্বও থাকবে না। আমরাও আমাদের জীবনকে আল্লাহর জন্য কোরবান করে দিয়েছি। এবং ধৈর্য ধরে জিহাদের পথে সারা জীবন থাকবে। আমাদের জীবনের কোনো না কোনো এক সময় এই জাহিলিয়্যাতে সিস্টেমকে বিলুপ্ত করে সেখানে ইসলামী শরীয়াহ কায়েম করবো, বিইযনিল্লাহ।

              অবশ্যই আমরা আমাদের জীবনকে আল্লাহর জন্য কোরবান করবো। আল্লাহর সাথে আমাদের প্রতিশ্রুতিতে বিন্দুমাত্র পরিবর্তন করবো না। ইনশাআল্লাহ
              আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন। আমীন
              ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

              Comment

              Working...
              X