বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
ব্যাটল অফ আটলান্টিকঃ সূর্য-না-ডোবা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হলো যেভাবে।
ব্যাটল অফ আটলান্টিকঃ সূর্য-না-ডোবা সাম্রাজ্যবাদী ব্রিটেনের মৃত্যুযন্ত্রণা শুরু হলো যেভাবে।
পোল্যান্ড হামলার সঙ্গে সঙ্গেই ব্রিটেন ও ফ্রান্স জার্মানির বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে। ব্রিটিশ ও ফরাসি সেনারা জড়ো হতে থাকে ফ্রান্স-জার্মান বর্ডারে। কিন্তু মাত্র বিশ বছর আগে প্রথম বিশ্বযুদ্ধে ক্লান্ত তাদের জন্য আরেকটা বিশ্বযুদ্ধ শুরু করা আসলেই কঠিন ছিলো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে তাও যদি আমেরিকার নতুন সেনারা না আসতো তাহলে জার্মানীকে পরাজিত করা কঠিন ছিলো। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে উসমানি খিলাফতকে ধ্বংস করে ও জার্মানিকে সারেন্ডার করানো ব্রিটেন যাবৎ ওভার-কনফিডেন্সে ভোগা ব্রিটেন বিশ বছর তার টেকনোলজিকেও আপডেট তেমন আপডেট করেনি।
জার্মানী পোল্যান্ডে নতুন স্টাইলে আঘাত শুরু করে, যা ছিলো প্রথম বিশ্বযুদ্ধের ট্রেঞ্চ ওয়ারফেয়ার কিংবা পরিখা-যুদ্ধের চেয়ে ভিন্ন। নতুন এই পদ্ধতির নাম 'ব্লিটযক্রিগ'(Blitzkrieg) পদ্ধতি। এর মাধ্যমে জার্মান সেনাদের ট্যাংকবাহিনী আকস্মিক হামলা করে বসে একটি শহরের ওপর। একই সংগে জার্মান বিমানবাহিনী শত শত যুদ্ধবিমান নিয়ে একযোগে শত্রুর শক্তিকেন্দ্র টার্গেট করে হামলা করে ধ্বংস করে দেয়।জার্মান স্টুকা ডাইভ বোম্বার। ব্লিটযক্রিগ স্ট্রাইকের জন্য স্টুকা বোম্বারগুলোকেই ব্যবহার করা হতো। লন্ডন থেকে শুরু করে রাশিয়ান স্ট্যালিনগ্রাডের মাঝখানে বহু শহরকে ধ্বংসস্তুপে পরিণত করেছে এই ডাইভ বোম্বারগুলো।
এভাবে পোল্যান্ড ২৭ দিনের মাথায় আত্মসমর্পন করে। এদিকে ফ্রান্স ও ব্রিটেন যুদ্ধ ঘোষণা দিলেও তাদের জন্য হামলা তো দূরের কথা নিজেদের ভূমি বাচানোর চিন্তা শুরু করে। তবে একটা জায়গায় তাদের প্রচুর শক্তি ছিলো দূর্দমনীয়। সেটা হলো সমুদ্র। সেই সালাহউদ্দীন আইউবীর আমল থেকে আজ পর্যন্ত তারা সমুদ্রে তাদের শক্তি শেষ হয়নি।ব্রিটিশ রয়েল নেভি। চীন সাগর থেকে ইন্ডিয়ান সাগর হয়ে আলটান্টিক মহাসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত তৎকালীন পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী নৌবাহিনী।
জেরুসালেম দখলের পরে শামে ক্রুসেডারদের আগ্রাসন হয়েছিলো সমুদ্রপথে। সুদুর ইউরোপ থেকে তারা ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে শক্তিশালী ক্রুসেডারদের দল নৌবহর নিয়ে এসেছিলো জেরুজালেম পূনঃর্দখল করতে, যাদেরকে ঠেকিয়ে রাখতে সালাহউদ্দীন আইউবীকে জীবনের শেষ তিন বছর লড়াই করতে হয়েছে। ব্রিটেন ও ফ্রান্স আটলান্টিক মহাসাগরে জার্মানির বানিজ্যিক জাহাজগুলোতে হামলা শুরু করে। হিটলারের গ্রাউন্ড ও এয়ারফোর্স ছিলো শক্তিশালী। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে পরাজয়ের পরে বিজয়ী শক্তি ব্রিটেন, ফ্রান্স ও আমেরিকা জার্মানির ওপর চাপিয়ে দেয় অপমানজনক ভার্সাই চুক্তি। এর পর থেকে জার্মানরা তাদের প্রতি অত্যন্ত প্রতিশোধপরায়ন ছিলো। এই ক্ষোভ থেকেই তারা প্রস্তুতি নিতে থাকে আবার সংঘাতের। আর তাদের উপর যে সমস্ত চুক্তি চাপিয়ে দেয়া হয়েছিলো তা থেকে বাঁচার জন্য সংঘাতে যাওয়া ছাড়া উপায় ছিলো না। হিটলার জার্মানীর চ্যান্সেলর হওয়ার পর থেকে গ্রাউন্ড ফোর্স ও এয়ারফোর্সকে কিন্তু নৌশক্তির দিক থেকে এতো বেশী শক্তি ছিলো না যে ব্রিটিশ নেভিকে মোকাবেলা করতে পারবে। কারণ জার্মানী প্রথম বিশ্বযুদ্ধে হারার পর তাদের উপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলো যে তারা নৌবাহিনী রাখতে পারবে না। রয়্যাল নেভির একটি ব্যাটলশিপ
ফলে বিশ বছরের তাদের ন্যাভাল পাওয়ার উন্নত হয়নি। অপরদিকে ব্রিটিশ নেভি ছিলো তৎকালে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী বাহিনী। তবে একটা জায়গায় জার্মানরা বেশ ভালো উন্নতি করেছিলো। সেটা হলো সাবমেরিন। জার্মান U-Boat সাবমেরিনগুলো টর্পেডো বহন করতো এবং জাহাজগুলোকে ধ্বংস করতে পারতো। হিটলার ইউবোট সাবমেরিনগুলো উত্তর আটলান্টিকে ছড়িয়ে দেয়। জার্মান ইউ-বোট সাবমেরিন
ইউবোট সাবমেরিন আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটেনকে ন্যাভাল ব্লকেড দেয়া শুরু করে। ইন্ডিয়া, আফ্রিকা, মালয়, মধ্যপ্রাচ্য লুটপাট করে শতশত মার্চেন্ট শিপ টনকে টন সম্পদ নিয়ে ব্রিটেনে পৌছাতো। ব্রিটেন থেকে বানিজ্যিক জাহাজগুলো রওয়ানা দিতো গোটা বিশ্বের দিকে। ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রগ ছিলো সমুদ্র। ব্রিটিশ এম্পায়ারের বাণিজ্যিক প্রবাহপথ।
কিন্তু ১৯৩৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ১০৪ টি ব্রিটিশ বাণিজ্যিক জাহাজ ডুবিয়ে দেয় জার্মান সাবমেরিনগুলো। এর ফলে ভারত উপমহাদেশ থেকে ব্রিটেনে খাদ্যশস্য চালান বাধাগ্রস্থ হতে থাকে। ইউবোটগুলো বেশ সাফল্যের সঙ্গে আটলান্টিক মহাসাগরে ব্রিটেনের বানিজ্যিক রুটকে বাঁধাগ্রস্থ করছিলো। ইউবোটের হামলায় ধ্বংস একটি ট্যাংকার জাহাজ
জার্মানিতে ইউবোটের অপারেটররাও বেশ সেলিব্রিটি হয়ে যাচ্ছিলো। জার্মানি লার্জ স্কেলে ইউবোট প্রোডাকশন শুরু করে। বৃটেন প্রাচ্য থেকে বৃটেনের অর্থনৈতিক প্রবাহকে পুরোপুরি ধ্বংস করার জন্য শত শত ইউবোট প্রোডাকশন শুরু হয় ১৯৩৯ সালেই। ব্রিটেন তখন ইউবোটগুলোকে ধ্বংস করার জন্য তার নেভিকে উত্তর আটলান্টিকে মোতায়েন করে। পেরিস্কোপ ভিউ। কমার্শিয়াল জাহাজে ইউবোট স্ট্রাইক
১৯৪০ সালের মে মাসে জার্মানি ফ্রান্সে হামলা করে। ফরাসি ও ব্রিটিশ সেনারা প্রানপণে চেষ্টা করছিলো ফ্রান্সকে রক্ষা করতে। কিন্তু হিটলারের অত্যাধুনিক ট্যাংক-বাহিনী ও প্রতিদিন শত শত যুদ্ধবিমানের হামলার মুখে তারা টিকতে পারেনি। ফলে ব্রিটিশরা ফ্রেঞ্চদের ফেলে পালিয়ে যায় ব্রিটেনে। পালাতে গিয়ে জার্মান বিমানগুলোর হামলায় হাজার হাজার সেনার হয় সলিল সমাধি। আর ফ্রান্স আত্মসমর্পন করে। হিটলারের আন্ডারে জার্মান নাৎসি সেনারা ফ্রান্স, পোল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস, বেলজিয়াম, নরওয়ে, ফিনল্যান্ড, চেকোস্লোভাকিয়া, অস্ট্রিয়া, গ্রীস, যুগোস্লোভিয়া দখল করে নেয়। ইতালি, রোমানিয়া তার সঙ্গে মিত্রতা ঘোষণা করে। সুইডেন, সুইজারল্যান্ড, স্পেন নিরপেক্ষ থাকলেও জার্মানির বশে চলতে রাজি হয়। ফলে ইউরোপের মূল ভূখন্ডে তার সামনে একটা শত্রুই বাকি ছিলো:- ব্রিটেন।
১৯৪০ সালের শুরুতে হিটলার এবার ব্রিটেন দখলের প্ল্যান নেয়। তার হাতে ব্রিটেনের মূল ভূখন্ড দখল করার মতো শক্তি ও গ্রাউন্ড ফোর্স রেডি হয়ে গিয়েছিলো। যদি ব্রিটেনের সঙ্গে ইউরোপের মূল ভূখন্ডের এক বিন্দু সংযোগও থাকতো তাহলে এতোদিনে তারা দখল করে ফেলতো। কিন্তু মূল ইউরোপ ও ব্রিটিশ ভূখন্ডের মাঝখানে রয়েছে ইংলিশ চ্যানেলের বিশাল বাঁধা। আর ইংলিশ চ্যানেলের ওপারে দাঁড়িয়ে আছে রয়াল ন্যাভির শত শত যুদ্ধজাহাজ যার বাঁধা টপকিয়ে ব্রিটেনে ঢুকা অসম্ভব।
এই ইংলিশ চ্যানেল, যা হাজার বছর ধরে ব্রিটেনকে তার শত্রুর হাত থেকে রক্ষা করে এসেছে। স্পেনিশ সাম্রাজ্য, নেপোলিয়ন কিংবা হিটলার যারাই ব্রিটেনকে দখল করতে চেয়েছে তাদের সামনেই এই ইংলিশ চ্যানেল বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। ইউরোপ ও ব্রিটেনকে বিভক্তকারী ইংলিশ চ্যানেল
ভবিষ্যতে যদি কোনোদিন মুসলিমরা ব্রিটেন দখলের প্ল্যান করে, তাহলে হয়তো আমাদের এক দশক যাবৎ প্রস্তুতি নিতে হবে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে কিভাবে ব্রিটেনে ঢুকা যায়। ফ্র্যান্সের দিক থেকে ইংলিশ চ্যানেল। এখনো ওই জায়গায় দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যাবহৃত জাহাজগুলোর ধ্বংসাবশেষ রয়েছে।
ব্রিটেনকে দখল করার জন্য হিটলার নতুন প্ল্যান হাতে নেয়। এর নাম দেয়া হয় 'অপারেশন সি লায়ন'।
তার প্ল্যান অনুসারেঃ
১। জার্মান বিমানবাহিনীর হাজার হাজার যুদ্ধবিমান ক্রমাগত বোম্বিং করে ব্রিটেনকে দূর্বল করে দিবে। লন্ডনসহ ব্রিটেনের বিভিন্ন সমস্ত শিল্পনগরী, সমুদ্রবন্দর ধ্বংস করে দিবে।
২। জার্মান ইউ-বোটগুলো উত্তর আটলান্টিকে ব্রিটিশ জাহাজগুলোকে ধ্বংসের মাধ্যমে প্রাচ্যের সংগে এর যোগাযোগ বন্ধ করে দিবে।
৩। জার্মান বিমানবাহিনী ইংলিশ চ্যানেলে থাকা ব্রিটিশ যুদ্ধজাহাজগুলোকে ধ্বংস করে দিবে।
৪। ব্রিটিশ নৌবাহিনীর শক্তি নষ্ট হয়ে গেলে ইউরোপের মূল ভূখন্ড থেকে জাহাজ ও বোটে করে লক্ষ লক্ষ জার্মান সেনা একযোগে ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়ে ব্রিটেনের দক্ষিনে অবতরণ করবে আর বিমান থেকে প্যারাট্রুপাররা শহরে অবতরণ করবে। পরের ধাপে আরো কয়েক লাখ সেনা অবতরণ করবে। জার্মান বোমা হামলায় বিধ্বস্ত লন্ডন
এই অবস্থায় ব্রিটেনের একটা ভরসাস্থল বাকি ছিলো- সেটা হলো আংকেল স্যাম(আমেরিকা)। কিন্তু আমেরিকা এই সংঘাতে আসবে না জানিয়ে দেয়। কারণ জার্মান সেনারা যেভাবে অল্প সময়ে ইউরোপ দখল করে নিয়েছিলো, তা দেখে সেও বুঝতে পারে যে জার্মানির সঙ্গে সংঘাতে এইবার জড়ানো ভুল হবে। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর এখনকার পরিস্থিতি সেম না। আমেরিকার গ্রাউন্ড ফোর্স জার্মানির তুলনায় বেশ দূর্বল। জার্মানির শক্তিশালী এয়ারফোর্স থাকলেও আমেরিকার এয়ারফোর্স এখনো শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারেনি।
১৯৪০ সাল নাগাদ আমেরিকার ২৫০০ অপারেশনাল যুদ্ধবিমান ছিলো আর জার্মানির ছিলো ৫০০০ যুদ্ধবিমান যা আবার ডগফাইট, প্রিসিজন স্ট্রাইকের দিক থেকে অনেক এগিয়ে।
আমেরিকার প্রতি বছর যুদ্ধবিমান উৎপাদন ক্ষমতা ছিলো প্রতি বছর ৫০০০ টি, কিন্তু জার্মানির ইন্ডাস্ট্রিয়াল ক্যাপাবিলিটি প্রতি বছর ১০৮০০ টি যুদ্ধবিমান উৎপাদন করার উপযুক্ত ছিলো।(পুরো বিশ্বযুদ্ধের সময় জুড়ে জার্মানি ১ লক্ষেরও বেশী যুদ্ধবিমান উৎপাদন করেছিলো।) জার্মান আন্ডারগ্রাউন্ড যুদ্ধবিমান প্রোডাকশন কারখানা। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
আর গ্রাউন্ড ফোর্সের দিক থেকে তো কোনো কথাই নেই! ১৯৪০ সালে আমেরিকার সেনাসংখ্যা ছিলো ২-৩ লাখ যারা আবার প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পুরাতন ট্রেঞ্চ ওয়্যারফেয়ারেই সজ্জিত, এবং যুদ্ধক্ষেত্রে অনভিজ্ঞ। কিন্তু জার্মানীর সেনাসংখ্যা ৬০, ০০, ০০০(ষাট লাখ) যাদেরকে অত্যাধুনিক বিল্টযক্রিগ ওয়ারফেয়ারে সুসজ্জিত করা হয়েছে এবং ইতোমধ্যে ইউরোপের লড়াইয়ে তারা অভিজ্ঞতা অর্জন করে ফেলেছে।
তবে একটা জায়গায় আমেরিকা এগিয়ে, সেটা হলো- ন্যাভাল ফোর্স(নৌবাহিনী)। ঐ সময় আমেরিকান নেভি, বৃটিশ নেভির পরেই দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক শক্তি। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে জাপান। জার্মানি এই দিক দিয়ে অনেক দূর্বল। যাই হোক, ব্রিটিশরা এই যুদ্ধে সারেন্ডার করতে রাজি হয়নি। তারা যুদ্ধের পথকেই বেছে নিয়েছিলো। তারা হয়তো বুঝেছিলো হিটলারের সঙ্গে আপোষে গেলে তারা তাদের সমস্ত কলোনি ছেড়ে দিতে হবে। আর এটা করলে তো ব্রিটেনেরই অস্তিত্ব থাকবে না, থার্ড ক্লাস একটা কান্ট্রিতে পরিণত হবে।
[আমার ড্রিম বুক "মুজাহিদের দর্পনে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ থেকে নাইন-ইলেভেন" এর ছোট্ট একটি অংশ ইনশাআল্লাহ। যদিও এতোদিন শুধু ড্রিম দেখেই যাচ্ছি। এর আগেও আপনাদেরকে কথা দিয়েছিলাম যে রবার্ট গ্রীনের বই অনুবাদ করবো কিন্তু শয়তানের ধোকায় আর কথা রাখতে পারিনি। তবে যেহেতু নিয়্যতে রেখেছি, সেটা কখনো না কখনো বাস্তবায়ন করবোই ইংশা আল্লাহ।]
আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া। ইংলিশ চ্যানেল নিয়ে একটু লিখলে ভালো হতো। আর অপারেশন সী লায়নে কী হিটলার সফল হয়েছিলো?
অপারেশন সী লায়নকে আসলে সফলতা বলা যায় না। যদিও এই এটাকের প্রথম দিকে নাৎসীরা সুবিধাজনক অবস্থানে ছিলো কিন্তু ব্রিটেইন তাদের রাডার সিস্টেমের কারণে জার্মান বিমানগুলোর অবস্থান আগে থেকেই জেনে যাওয়ায় তারা জার্মানীর বহুত বিমান ভূপাতিত করতে সক্ষম হয়। অপারেশন সী লায়নের পর ব্রিটেনের আর.এ.এফ (royal air force) বার্লিনে এটাক করে, এজন্য হিটলারকে এই অপারেশন পস্টপন্ড করতে হয়।
আস সালামু আলাইকুম ভাইয়া। ইংলিশ চ্যানেল নিয়ে একটু লিখলে ভালো হতো। আর অপারেশন সী লায়নে কী হিটলার সফল হয়েছিলো?
ওয়ালাইকুমুস সালাম। যদি সফল হতো তাহলে তো জাতিসংঘ, আমেরিকা-সোভিয়েত রাশিয়া(As monstrous powers), ইসরায়েল এগুলোর অস্তিত্বও আসতো না। অবশ্য আমাদেরকে তখন জার্মান-জাপানিজ দখলদারদের বিরুদ্ধে জিহাদ করা লাগতো।
Omayer Binyameen ভাই, গত কয়েক মাসে ওয়াল্ডে অনেক গুলো গুরুত্বপুর্ন মোভমেন্ট চলে গেল। মোভমেন্ট গুলোতে আপনার আর্টিকেল মিস করেছি । ফোরামে অনেক ভাইয়ের পদাচারণ ছিল , বিভিন্ন কারনে অনেকেই চলে গেছে। গুরুত্বপুর্ন ভাইদের মিস করি ।
Comment