উম্মাহর মহান মুজাহিদ ও মুজাদ্দিদ শায়েখ উসামা বিন লাদেন রহিমাহুল্লাহর বিরুদ্ধে হাজারো অপবাদ এবং মিথ্যা প্রোপাগাণ্ডা ছড়িয়েছে কাফেররা। কাফেরদের দিক থেকে এমন আচরণ অপ্রত্যাশিত নয়, কিন্তু দুঃখজনক এবং অপ্রত্যাশিত বিষয় হলো অনেক মুসলিম ভাইও অজ্ঞতার কারণে কিংবা দলান্ধতার শিকার হয়ে এই মহান ব্যক্তিত্বের নামে বিভিন্ন রকম মিথ্যা অভিযোগ তুলেছেন।
.
শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার নামে অপবাদ দিয়ে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি হামাসকে কেবল এ জন্যই ভ্রান্ত মনে করতেন যে, হামাস আলকায়েদার আনুগত্য স্বীকার করেনা। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবী।
.
প্রথম কথা হলো, শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহ 'হামাসকে ভ্রান্ত' মনে করতেন না, হ্যা, তিনি মনে করতেন হামাস মা'সুম এবং নির্ভুল নয়। উম্মাহর কোনো জামাতই আসলে নির্ভুল হয়না, সব দলেরই কিছু না কিছু ভুল থাকে। তো, শায়খ রহিমাহুল্লাহ হামাসের জিহাদ ও মহৎ অবদানগুলোকে স্বীকার করতেন, স্বীকৃতি দিতেন, প্রশংসা করতেন। আর গণতন্ত্র, নেশনস্টেট, মক্কা চুক্তির মাধ্যমে ফাতাহর সাথে চুক্তি করে তাদের অধীনে যাওয়া সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের কিছু মতামত ও কর্মকাণ্ডকে ভুল মনে করতেন।
কিন্তু তিনি কখনোই শুধু আলকায়েদার আনুগত্য স্বীকার না করাকে কোনো জামাআতের ভ্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন নি। হামাসের ক্ষেত্রেও না, অন্য কোনো জামাআতের ক্ষেত্রেও না। এমন বহু জামাআত আছে যারা আলকায়েদাকে বাইআত না দেওয়া সত্ত্বেও শায়খ রহিমাহুল্লাহ তাঁদেরকে সহযোগিতা করেছেন, সুসম্পর্ক রেখেছেন, বাইআত না দেওয়াকে গোমরাহী বা ভ্রান্তি আখ্যা দেন নি।
.
বরং আলকায়েদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা একিউএপির সাবেক আমীর শায়খ হারিস গাজী আন নাজ্জারী রহিমাহুল্লাহ তো স্বতন্ত্র বই লিখেছেন, الموجز غي أحكام الإمارة নামে। যেখানে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করে প্রমাণ করেছেন, যে কোনো জামাআত বা দলের বাইআতকে খেলাফতের বাইআতের মত সর্বব্যপী এবং সবার উপর ফরজ মনে করা যাবেনা। পরবর্তী কোনো এক সুযোগে আমরা ইনশাআল্লাহ শায়খের ওই রচনার কিয়দাংশের অনুবাদ প্রকাশ করব।
পারস্পরিক মতভিন্নতা সত্ত্বেও শায়খ রহিমাহুল্লাহ হামাসের সৌহার্দ্য ও সৌজন্য বজায় রেখেছেন, হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারাও শায়খের সঙ্গে সম্মান, সৌহার্দ্য ও সৌজন্য বজায় রাখতেন।
.
যখন শায়েখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহকে শহীদ করা হয় তখন শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লাহ এক বার্তায় বলেছিলেন 'আমরা আল্লাহর কাছে অঙ্গীকার করছি যে আমরা আমেরিকার কাছ থেকে শায়েখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ হত্যার কিসাস গ্রহণ করবো।'
সূত্র https://www.alyaum.com/articles/166871/
.
আবার শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লার শাহাদাতের পর শায়েখ ইসমাইল হানিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন-
"আমরা সকল মুজাহিদ, সকল মুসলিমের বিরুদ্ধে পরিচালিত গুপ্তহত্যার নিন্দা জানাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখেন।"
সূত্র https://akhawat.islamway.net/.../269...3%D9%82%D9.../
.
হামাসের বহু সাধারণ যোদ্ধার উপর শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার অনস্বীকার্য প্রভাব ছিল। হামাস সর্বপ্রথম ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে টানেল হামলা চালিয়েছিল, সে হামলা বাস্তবায়নকারী হামাসের দুই বীর মুজাহিদ শাহাদাতের আগ মুহূর্তে শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার রচিত কবিতা পাঠ করছিলেন।
.
আর ফিলিস্তিনের জন্য শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার সবচেয়ে বড় যে অবদান সেটা হল সাপের মাথা আমেরিকার উপর আঘাত করা। গাজ্জায় পরিচালিত গণহত্যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই সবকিছুর মূল মাস্টারমাইন্ড আমেরিকা। শুধু ইসরাইলকে পরাজিত করতে পারলেও যুদ্ধ শেষ হবেনা, বরং আমেরিকাকে পরাজিত করতে পারলে বিজয় আসবে, ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধার হবে। কিন্তু হামাস যেহেতু কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন, কাতারসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে তাদের রাজনৈতিক অফিস আছে, ফলে হামাসের পক্ষে কখনোই আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব না। এদিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া ফিলিস্তিনের মুক্তিও তো সম্ভব না। তো, ফিলিস্তিন ও হামাসের হয়ে তাদের অসম্পূর্ণ কাজটিই তো নিজেদের জিম্মাদারী হিসেবে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহ। আমেরিকার উপর বহু হামলা, এমনকি তাদের সদর প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের উপর হামলাটিও তিনি করেছিলেন ফিলিস্তিনে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ ও প্রতিরোধের অংশ হিসেবে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে সেটা সবসময় জানিয়েছেনও। ফিলিস্তিনের জন্যই তিনি উচ্চারণ করেছিলেন তাঁর সেই অমর উক্তি 'আমেরিকা এবং আমেরিকার অধিবাসীরা যেন শান্তিতে থাকার স্বপ্নও না দেখে যতদিন পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনে শান্তিতে বসবাস করতে না পারি'।
.
আলআকসা পুনরুদ্ধারের স্বপ্নচারী এই মহান মুজাহিদকে যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, তাঁর শুরু করে যাওয়া মিশনকে পূর্ণতায় পৌঁছে দেন, বাইতুল মাকদিস পুনরায় মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দেন, ইসরাইল ও আমেরিকাকে পরাজিত করেন এবং ফিলিস্তিন ও আহলুশ শামকে বিজয় দান করেন।
.
শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার নামে অপবাদ দিয়ে বলা হচ্ছে, তিনি নাকি হামাসকে কেবল এ জন্যই ভ্রান্ত মনে করতেন যে, হামাস আলকায়েদার আনুগত্য স্বীকার করেনা। এটা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন একটি দাবী।
.
প্রথম কথা হলো, শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহ 'হামাসকে ভ্রান্ত' মনে করতেন না, হ্যা, তিনি মনে করতেন হামাস মা'সুম এবং নির্ভুল নয়। উম্মাহর কোনো জামাতই আসলে নির্ভুল হয়না, সব দলেরই কিছু না কিছু ভুল থাকে। তো, শায়খ রহিমাহুল্লাহ হামাসের জিহাদ ও মহৎ অবদানগুলোকে স্বীকার করতেন, স্বীকৃতি দিতেন, প্রশংসা করতেন। আর গণতন্ত্র, নেশনস্টেট, মক্কা চুক্তির মাধ্যমে ফাতাহর সাথে চুক্তি করে তাদের অধীনে যাওয়া সহ বিভিন্ন ইস্যুতে তাদের কিছু মতামত ও কর্মকাণ্ডকে ভুল মনে করতেন।
কিন্তু তিনি কখনোই শুধু আলকায়েদার আনুগত্য স্বীকার না করাকে কোনো জামাআতের ভ্রান্তি হিসেবে চিহ্নিত করেন নি। হামাসের ক্ষেত্রেও না, অন্য কোনো জামাআতের ক্ষেত্রেও না। এমন বহু জামাআত আছে যারা আলকায়েদাকে বাইআত না দেওয়া সত্ত্বেও শায়খ রহিমাহুল্লাহ তাঁদেরকে সহযোগিতা করেছেন, সুসম্পর্ক রেখেছেন, বাইআত না দেওয়াকে গোমরাহী বা ভ্রান্তি আখ্যা দেন নি।
.
বরং আলকায়েদার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ শাখা একিউএপির সাবেক আমীর শায়খ হারিস গাজী আন নাজ্জারী রহিমাহুল্লাহ তো স্বতন্ত্র বই লিখেছেন, الموجز غي أحكام الإمارة নামে। যেখানে তিনি বিস্তারিত আলোচনা করে প্রমাণ করেছেন, যে কোনো জামাআত বা দলের বাইআতকে খেলাফতের বাইআতের মত সর্বব্যপী এবং সবার উপর ফরজ মনে করা যাবেনা। পরবর্তী কোনো এক সুযোগে আমরা ইনশাআল্লাহ শায়খের ওই রচনার কিয়দাংশের অনুবাদ প্রকাশ করব।
পারস্পরিক মতভিন্নতা সত্ত্বেও শায়খ রহিমাহুল্লাহ হামাসের সৌহার্দ্য ও সৌজন্য বজায় রেখেছেন, হামাসের উচ্চপদস্থ নেতারাও শায়খের সঙ্গে সম্মান, সৌহার্দ্য ও সৌজন্য বজায় রাখতেন।
.
যখন শায়েখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহকে শহীদ করা হয় তখন শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লাহ এক বার্তায় বলেছিলেন 'আমরা আল্লাহর কাছে অঙ্গীকার করছি যে আমরা আমেরিকার কাছ থেকে শায়েখ আহমাদ ইয়াসিন রহিমাহুল্লাহ হত্যার কিসাস গ্রহণ করবো।'
সূত্র https://www.alyaum.com/articles/166871/
.
আবার শায়েখ উসামা রহিমাহুল্লার শাহাদাতের পর শায়েখ ইসমাইল হানিয়া রহিমাহুল্লাহ বলেছিলেন-
"আমরা সকল মুজাহিদ, সকল মুসলিমের বিরুদ্ধে পরিচালিত গুপ্তহত্যার নিন্দা জানাই। আল্লাহর কাছে দোয়া করি তিনি যেন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহকে তাঁর রহমতের চাদরে ঢেকে রাখেন।"
সূত্র https://akhawat.islamway.net/.../269...3%D9%82%D9.../
.
হামাসের বহু সাধারণ যোদ্ধার উপর শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার অনস্বীকার্য প্রভাব ছিল। হামাস সর্বপ্রথম ইসরাইলের বিরুদ্ধে যে টানেল হামলা চালিয়েছিল, সে হামলা বাস্তবায়নকারী হামাসের দুই বীর মুজাহিদ শাহাদাতের আগ মুহূর্তে শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার রচিত কবিতা পাঠ করছিলেন।
.
আর ফিলিস্তিনের জন্য শায়খ উসামা রহিমাহুল্লার সবচেয়ে বড় যে অবদান সেটা হল সাপের মাথা আমেরিকার উপর আঘাত করা। গাজ্জায় পরিচালিত গণহত্যা থেকে এটা স্পষ্ট যে, এই সবকিছুর মূল মাস্টারমাইন্ড আমেরিকা। শুধু ইসরাইলকে পরাজিত করতে পারলেও যুদ্ধ শেষ হবেনা, বরং আমেরিকাকে পরাজিত করতে পারলে বিজয় আসবে, ফিলিস্তিন পুনরুদ্ধার হবে। কিন্তু হামাস যেহেতু কিছুটা নিয়মতান্ত্রিক সংগঠন, কাতারসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে তাদের রাজনৈতিক অফিস আছে, ফলে হামাসের পক্ষে কখনোই আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করা সম্ভব না। এদিকে আমেরিকার বিরুদ্ধে লড়াই করা ছাড়া ফিলিস্তিনের মুক্তিও তো সম্ভব না। তো, ফিলিস্তিন ও হামাসের হয়ে তাদের অসম্পূর্ণ কাজটিই তো নিজেদের জিম্মাদারী হিসেবে কাঁধে তুলে নিয়েছিলেন শায়খ উসামা রহিমাহুল্লাহ। আমেরিকার উপর বহু হামলা, এমনকি তাদের সদর প্রতিরক্ষা দফতর পেন্টাগনের উপর হামলাটিও তিনি করেছিলেন ফিলিস্তিনে মার্কিন আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ ও প্রতিরোধের অংশ হিসেবে। বিবৃতিতে স্পষ্ট করে সেটা সবসময় জানিয়েছেনও। ফিলিস্তিনের জন্যই তিনি উচ্চারণ করেছিলেন তাঁর সেই অমর উক্তি 'আমেরিকা এবং আমেরিকার অধিবাসীরা যেন শান্তিতে থাকার স্বপ্নও না দেখে যতদিন পর্যন্ত আমরা ফিলিস্তিনে শান্তিতে বসবাস করতে না পারি'।
.
আলআকসা পুনরুদ্ধারের স্বপ্নচারী এই মহান মুজাহিদকে যেন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জান্নাতের সর্বোচ্চ মাকাম দান করেন, তাঁর শুরু করে যাওয়া মিশনকে পূর্ণতায় পৌঁছে দেন, বাইতুল মাকদিস পুনরায় মুসলমানদের হাতে ফিরিয়ে দেন, ইসরাইল ও আমেরিকাকে পরাজিত করেন এবং ফিলিস্তিন ও আহলুশ শামকে বিজয় দান করেন।
Comment