Announcement

Collapse
No announcement yet.

এটা কি তালিবানের কৃতিত্ব নাকি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্* আয'যা 'ওয়া-যাল এর নাযিল কৃ&#

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • এটা কি তালিবানের কৃতিত্ব নাকি বিশ্বজগতের প্রতিপালক আল্লাহ্* আয'যা 'ওয়া-যাল এর নাযিল কৃ&#

    বিসমিল্লাহির রহমানীর রহিম ।

    একোনমিক্সে ইলাস্টিসিটি নামে একটা কনসেপ্ট আছে। কোন জিনিসের দাম উঠানামার সাথেসাথে সেটার চাহিদাও উঠানামা করে। সহজ ভাষায়, দামের পরিবর্তনের কারণে কোন প্রডাক্টের দামের উঠানামার মাত্রাকে প্রাইস ইলাস্টিসিটি বলা হয়। সাধারণত, দামের সাথে চাহিদার সম্পর্ক ব্যাস্তানুপাতিক। দাম বাড়লে চাহিদা কমে, দাম কমলে চাহিদা বাড়ে। তবে কিছু প্রডাক্টের চাহিদা ইনিলাস্টিক। দামের সাথে এদের ডিমান্ডে তেমন কোন পরিবর্তন হয় না। ইনিলাস্টিক ডিমান্ডের একটা টেক্সটবুক উদাহরণ হল হেরোইন। দাম বাড়লেও যে হেরোইনের নেশা করে তার আগের মতো একই পরিমানে হেরোইন লাগবে। অ্যাডিক্ট হেরোইন কেনার সময় অর্থনৈতিক লাভক্ষতির হিসেব মেলায় না, সে হিসেব করে নেশা “ধরার” জন্য মিনিমাম কতোটুকু কিনতে হবে।



    একই কথা অন্যান্য আরো অনেক ড্রাগের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। বিকল্প কোন প্রডাক্ট বাজারে আসার পরই কেবল চাহিদায় পরিবর্তন আসে। যেমন একসময় অ্যামেরিকায় সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ড্রাগের একটি ছিল কোকেইন। সবচেয়ে অ্যাডিক্টিভ ড্রাগগুলোর একটা হবার পাশাপাশি ফ্রি-বেইস কোকেইন সবচেয়ে দামী ড্রাগগুলোর অন্যতম। তাই কিছুদিন পর কম দামের “ক্র্যাক-কোকেইন” সহজলভ্য হলে, কোকেইন ব্যবহারকারীদের বিশাল একটা অংশ ফ্রি বেইস কোকেইন ছেড়ে ঝুকলো ক্র্যাকে। নব্বইয়ের দশকে অনেক কম দামে, আরো বেশি শক্তিশালী (ও বিপজ্জনক) ক্রিস্টালমেথ (মেথঅ্যাম্ফেটামিন) ব্যাপকভাবে বাজারে আসলো। অ্যাডিক্টদের অধিকাংশই কোকেইন আর ক্র্যাক ছেড়ে মেথ ধরলো, পাশাপাশি তৈরি হল আরো অনেক নতুন অ্যাডিক্ট। অর্থাৎ দীর্ঘমেয়াদে একটা ড্রাগের চাহিদা কমলেও প্রায় সমান পরিমাণে সমগোত্রীয় বিকল্প কোন ড্রাগের চাহিদা বাড়বে। আবার কমদামী বিকল্প ড্রাগ সহজলভ্য হলে ড্রাগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়ে যাবে।



    ইনিলাস্টিক ডিমান্ড এবং ডেডিকেইটেড কাস্টমারদের কারণে ড্রাগের বাজারটা অন্যসব পণ্যের বাজারের চেয়ে আলাদা। যদি অন্যসব ফ্যাক্টর অপরিবর্তিত থাকে (সেটেরিস পেরিবাস) তাহলে সময়ের সাথে একটা দেশে ড্রাগের ব্যবহার বাড়বে। খুব দূরে যাবার দরকার নেই, গত ১৫ বছরে বাংলাদেশে ইয়াবার বাজারের দিকে লক্ষ্য করলেই প্রমাণ মিলবে। আর এমন হবে না-ই বা কেন? উদারনৈতিক ধর্মনিরপেক্ষ সমাজের সন্তানরা কেন ড্রাগ ইউস করবে না? যদি সবার উপর মানুষ সত্য হয়, জীবনের উদ্দেশ্য হয় যতো বেশি সম্ভব আনন্দ বা ইউটিলিটি খোঁজা, আর যদি অপরাধের সংজ্ঞা হয় আরেকজনের ক্ষতি করা, যদি ভালোমন্দ নির্ভর করে মানুষের ওপর - তাহলে নিজে নিজে ড্রাগ ইউস করলে সমস্যা কোথায়? রাষ্ট্রের বেঁধে দেয়া অপরাধের সংজ্ঞা কি একজন “মুক্তচিন্তার” মানুষ মেনে চলতে বাধ্য? দিকনির্দেশনা, নৈতিকতা, আত্মপরিচয় এবং উদ্দেশ্যহীন, পপ কালচারে মন্ত্রমুগ্ধ, বস্তুবাদ ও ভোগবাদে দীক্ষিত, বন্ধু-আড্ডা-গানে হারিয়ে যাওয়ার মন্ত্রযপা যুবসমাজ, কেন নেশা করবে না? কেন সাময়িক কিন্তু তীব্র আনন্দের স্বাদ নেবে না? চেতনা, দেশপ্রেম, সামাজিক দায়িত্বের বুলি শুনতে ভালো, কিন্তু ওগুলোতে ডোপামিনের বন্যা নামে না, রক্ত নাচে না। নগদ সুখ কে পায়ে ঠেলতে পারে? আর কতোবার? যদি মৌলিক ও ব্যাপক কোন পরিবর্তন না আসে তাহলে ড্রাগ ব্যবহারকারীর সংখ্যা বাড়বেই। এটাই বাস্তবতা; আমার-আপনার খারাপ লাগায় বদলাবে না।



    তাহলে ড্রাগ সমস্যার সমাধান কী? বর্তমানে আমাদের দেশে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে। লিস্ট করে মানুষ অথবা মাদক ব্যবসায়ী মারা হচ্ছে। মাঝেমধ্যে দুটো মিলেমিশে যাচ্ছে। গুলিয়ে যাচ্ছে সংজ্ঞা। গুলি চলছে, নাম কাটা পড়ছে। অনেক মানুষ এ অভিযানকে সমর্থন করছেন। বলছেন, মাদক মহামারীর সমাধান এটাই। আবার অনেকে বলছেন, এ অভিযানের মাধ্যমে সমাধান আসবে না, কারণ মারা পড়ছে চুনোপুটিরা। রাঘববোয়ালরা আগের মতো এখনো ধরাছোয়ার বাইরেই। বাংলার এস্কোবার এখনো রাজ করছে বহাল তবিয়তে।



    আপাতভাবে শুনতে বিপরীতমুখী মনে হলেও, দু’দলের বক্তব্য মৌলিকভাবে এক – “যদি মূল ব্যবসায়ীদের মেরে ফেলা হয়, তাহলে মাদক সমস্যার সমাধান হবে”।



    ধরুন রাষ্ট্র রাঘববোয়ালের মেরে ফেলা শুরু করলো, সত্যিকারভাবেই যুদ্ধ নামলো। তাহলে কি সমাধান আসবে? ক্লিয়ারলি অনেকের কাছেই এ ধরণের সমাধান আকর্ষনীয় মনে হচ্ছে। কিন্তু এভাবে সমাধান আসবে না। একজন এস্কোবারকে মারলে দু’জন কিংবা দশজন তার জায়গা নেবে। এ ব্যবসায় খুব, খু-উ-ব বেশি লাভ। পৃথিবীর সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা তিনটি – মানুষ, মাদক, অস্ত্র। আর এ তিনটির মধ্যে সবচেয়ে সস্তা হল মানুষ। তাই এক-দু’শো কিংবা এক-দুই হাজার মেরে বাজার বন্ধ করতে পারবেন না। কিছু লাশ ফেলে আমরা হয়তো আত্মতৃপ্তি পেতে পারি, কিন্তু যতোদিন ডিমান্ড থাকছে, এস্কোবাররা আসবে যাবে। আর চুনোপুটিদের গোণায় ধরেও লাভ নেই। মারিও পুজোর গডফাদারের গল্পের মত। ভিটো কর্লিওনি হেরোইনের ব্যবসা থেকে দূর থাকতে চেয়েছিল। এজন্য মরতে বসেছিল। কিন্তু শেষপর্যন্ত কর্লিওনিরা এ ব্যবসায় ঢুকতে বাধ্য হয়েছিল। ভিটো বুঝতে পেরেছিল তাকে ছাড়াও এ ব্যবসা চলবে, তার সিদ্ধান্তে কিছুই বদলাবে না। কেবল মাঝখান দিয়ে সে ও তার পরিবার ধ্বংস হয়ে যাবে। এমন হাই স্টেইক্সের খেলায় নীতি নিয়ে বিলাসিতার সুযোগ কোথায়? ক্যাপিটালিযম – শীতল, হিসেবি, চতুর ক্যাপিটালিযম। খেলোয়ার আসবে যাবে, কিন্তু খেলা চলবে।



    ব্যাপারটা এভাবে চিন্তা করে দেখুন - ভর্তুকি দিয়ে চলা, চরম ইনেফিশিয়েন্ট, দক্ষ কর্মচারীর অভাবে ভোগা, নানা সমস্যায় জর্জরিত, মারাত্বক লসের মধ্যে থাকা রাষ্ট্র নামক কর্পোরেইশান কিভাবে পৃথিবীর সবচেয়ে শক্তিশালী, টেক স্যাভি, ইনোভেটিভ, ক্রমাগত এক্সপ্যানশান, ইম্প্রুভমেন্টে এবং চরম পর্যায়ে প্রফিটে থাকা ইন্ডাস্ট্রিগুলোর একটির সাথে মোকাবেলা করবে? অল্প ক’দিন না হয় লিস্ট-লিস্ট খেলা যাবে, তারপর? হয় তারা রাষ্ট্রকে আউটগান করবে, অথবা কিনে নেবে। মেক্সিকো কিংবা কলোম্বিয়ার দিকে তাকান। ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রি এ দেশগুলোর অর্থনীতি ও রাজনৈতিক কাঠামো একরকম নিজেদের বানিয়ে নিয়েছে। প্রশাসন, বিচারবিভাগ, সরকারী বাহিনী – রাষ্ট্রযন্ত্রের সব অংশের লোকেদের কিনে নিয়েছে। আর এমনিতেও বাংলাদেশের মতো রাষ্ট্র কখনো ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রির সত্যিকারের প্লেয়ারদের ছুতে পারবে না।



    উনবিংশ শতাব্দীতে চীনের বিরুদ্ধে ব্রিটেন মোট সাত বছরব্যাপী দুটো যুদ্ধ করেছিল আফিম ব্যবসা চালিয়ে যাওয়ার জন্য। ভারতের (বিশেষভাবে বঙ্গের) কৃষকদের সভ্য সাদা মানুষেরা পপি চাষে বাধ্য করতো আর তারপর সেটা চীনে বিক্রি করতো। অন্যান্য ইউরোপীয় কলোনিয়াল শক্তি এবং অ্যামেরিকাও এ ব্যবসায় যুক্ত ছিল। এ সময়টাতে পশ্চিমে ঘটা অর্থনৈতিক বুমের পেছনে আফিম ব্যবসার বিশাল একটা ভূমিকা ছিল। এলএসডির ব্যাপক প্রচলন, এলএসডিসহ অন্যান্য ড্রাগ ব্যবহার করে বিভিন্ন সাইকোলজিকাল এক্সপেরিমেন্ট, বিটনিক ও হিপিদের ড্রাগ কালচার, ল্যাটিন অ্যামেরিকাতে চলা মাদক উৎপাদনে (বিশেষত হেরোইন ও কোকেইন) সিআইএর ভূমিকা নিয়েও অনেক লেখালেখি হয়েছে। [আগ্রহী পাঠক দেখতে পারেন The Politics of Heoin: CIA Complicity in the Global Drug Trade, Alfred W. McCoy, এবং The Search for the "Manchurian Candidate": The CIA and Mind Control: The Secret History of the Behavioral Sciences, Johon Marks]। আমরা এমন একটা গ্লোবাল সিস্টেমের মধ্যে আছি যেটা বৈশ্বিক ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রির পৃষ্ঠপোষকতা করে। এই সিস্টেম স্বল্পমেয়াদের ড্রাগের ব্যবহার একটা নির্দিষ্ট মাত্রার রাখতে চায়, আর দীর্ঘমেয়াদে বাড়াতে চায়। এই সিস্টেম মূল প্লেয়ারদের ধরাছোয়ার বাইরে রাখে, অথবা বলা যায় মূল প্লেয়ারদের অনেকেই সিস্টেমের ওপরের তলার অংশ। তাই সিস্টেমের ভেতরে থেকে, লিস্ট করে কিছু মানুষ কিংবা গডফাদার মারলে যে এই গ্লোবাল ইন্ডাস্ট্রির হাত থেকে নিস্তার পাওয়া যাবে, অথবা বাংলাদেশের মতো “সম্ভাবনাময়” মার্কেট থেকে এই “প্রডাক্ট” দূরে রাখা যাবে, এমন মনে করাটা সুখকর হলেও, বাস্তবসম্মত না।



    এছাড়া এধরণের ট্রিগার-হ্যাপি সমাধানে আরো কঠিন কিছু প্রশ্ন দেখা দেয়। যদি বিচার বহির্ভূত হত্যাকে ঢালাওভাবে পলিসি হিসেবে নেয়া হয় তাহলে সেটার শেষ কোথায়? এধরণের “সমাধানে” বেশ বড় রকমের সমস্যা আছে। ধরুন নিয়ম করে সব মাদক ব্যবসায়ী এবং ব্যবহারকারীদের মারা শুরু হল। এটা কোথায় গিয়ে থামবে? একজন মাদক ব্যবহারকারী কিংবা একজন রোহিঙ্গা মাদকবিক্রেতা কি একজন চোর কিংবা ডাকাতের চেয়ে বেশি অপরাধী? কিংবা হাজার হাজার কোটি টাকা লুট করা ঋণখেলাপির চেয়ে? সরকারী অফিসে বসে থাকে ঘুষখোরের চেয়ে? কিংবা চাঁদাবাজ? আচ্ছা ধর্ষক? নিশ্চয় ধর্ষকদেরও এভাবে লিস্ট করে মেরে ফেলা যায়। তাহলে শিবির-সন্ত্রাসী-জঙ্গি-মাদকব্যবসায়ী-ধর্ষকের সাথে কি অ্যাটলিস্ট ঋণখেলাপিদেরও লিস্টে রাখা যায়? একজন মাদকব্যবহারকারী কি একজন ঋণখেলাপির চেয়ে বড় অপরাধী? অপরাধের তীব্রতার মাত্রা কিভাবে ঠিক করা হবে? আচ্ছা এভাবে কি কখনো রাজনৈতিক প্রতিপক্ষদের মেরে ফেলার সম্ভাবনা আছে? অথবা যেকোন বিরোধিতাকারীকে? কোটাবিরোধী আন্দোলন কিংবা শিক্ষাখাতে ভ্যাটবিরোধীদের মেরে ফেলা জায়েজ হতে পারে?



    নিশ্চিন্ত মনে কাদের কাদের বিচার ছাড়া মেরে ফেলা যাবে এটা কিসের ভিত্তিতে ঠিক হবে? জনমত? ক্ষমতাসীনদের ইচ্ছে? সুশীল সমাজের মত? মধ্যবিত্তের ভোট? মানুষের বানানো সংবিধান? নাকি জঙ্গলের নিয়মে? যারা একেবারেই চিন্তা করার ক্ষমতা বিসজর্ন দেননি তাদের বুঝতে পারার কথা যে এধরনের প্রেসক্রিপশানে কোন সমাধান আসবে না, বরং আরো বড় সমস্যা তৈরি হবে।



    মাদকনিয়ন্ত্রনে সম্ভাব্য আরেকটা জনপ্রিয় সমাধান হল মাদকবিরোধী আইন জোরদার করা, শাস্তি কঠিন করা এবং আইনের প্রয়োগ নিশ্চিত করা। আপাতভাবে এটাকে বেশ লজিকাল সমাধান মনে হয়। তবে ৭৬-এ অর্থনীতিতে নোবেল পাওয়া মিল্টন ফ্রিডম্যান এ ব্যাপারে খুব ইন্টারেস্টিং কিছু কথা বলেছিলেন। তার বিখ্যাত/কুখ্যাত বক্তব্য ছিল - নেশাদ্রব্যগুলোকে অবৈধ করে রাখার দ্বারা ড্রাগ সমস্যার সমাধান হবে না। অ্যামেরিকার প্রহিবিশানের দিকে তাকিয়ে দেখুন। ১৯১৯ সালে অ্যামেরিকায় মদ উৎপাদন, পরিবহন, বিক্রি ও পান করা অবৈধ ঘোষণা করা হয়েছিল। এটার ফলাফল কী ছিল? মদপানের পরিমাণ কমেনি, কিন্তু মদপানের কারণে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েছে। কারণ মানুষ বিভিন্ন ধরণের চোলাই মদ খাওয়া শুরু করলো। অনেকেই ঘরে মদ বানানো শুরু করলো। মদের বিশাল একটা ব্ল্যাকমার্কেট গড়ে উঠলো, এবং মাফিয়া পরিবারগুলো এটার নিয়ন্ত্রণ নেয়ার জন্য ব্যাপক খুনোখুনি করলো। আগে যে আইন মেনে চলা সুনাগরিক ছিল, সে শুধু মদ পান করার কারণে এখন অপরাধী হয়ে গেল। সবগুলো কথা ড্রাগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।



    তাই ফ্রিডম্যানের মতে - সমাধান হল, সব ড্রাগ বৈধ করে দেয়া। বৈধ করে দেয়া হলে ড্রাগ ব্যবহারের আগে এর সাথে সম্পর্কিত যে অপরাধগুলো হয় – যেমন চুরি, ছিনতাই, খুব, ব্যবসায়ীদের নিজেদের ভেতরকার যুদ্ধ – এগুলো কমিয়ে আনা যাবে। যেহেতু ড্রাগগুলো অবৈধ তাই ড্রাগ ব্যবহারকারীরা অপরাধীতে পরিণত হচ্ছে, যদিও এদের মধ্যে এমন অনেকে আছে যারা সাধারণত অন্যান্য সব আইন মেনে চলে। আবার একদিকে যেহেতু এই ড্রাগগুলোর ব্যাপক ডিমান্ড আছে, এবং অন্যদিকে ড্রাগগুলো অবৈধ রাখা হচ্ছে - প্র্যাকটিকালি এর অর্থ হল ড্রাগের ব্ল্যাকমার্কেট তৈরি করা। যার ফলে ড্রাগগুলোর দাম বেড়ে যাচ্ছে। বেশি দাম দিয়ে ড্রাগ কেনার জন্য অপরাধ বেশি হচ্ছে। নিম্নমানের প্রডাক্টের কারণে ড্রাগ-রিলেটেড মৃত্যু বাড়ছে। এবং এতো কিছুর পরও ড্রাগের ব্যবহার কমছে না, বাড়ছে। সবচেয়ে অ্যাডিক্টিভ ড্রাগ সিগারেট, যে ড্রাগের কারণে সবচেয়ে বেশি মৃত্যু হয় সেটা হল অ্যালকোহল, অথচ এ দুটোই লিগ্যাল। তাহলে অন্যান্য ড্রাগগুলো অবৈধ করে রাখার ক্ষেত্রে যুক্তি কি, আর সেই একই যুক্তিগুলো কেন সিগারেট বা মদের ক্ষেত্রে খাটবে না? বাস্তবতা হল, যদি ড্রাগ সাপ্লাই থাকে তাহলে ড্রাগগুলো অবৈধ বানিয়ে রেখে ড্রাগের ব্যবহার এবং ড্রাগ-রিলেটেড অপরাধ কোনটাই কমানো যায় না।



    ইনফ্যাক্ট ড. ফ্রিডম্যানের দাবি হল, ড্রাগ লিগালাইয করে দেয়া হলে অ্যামেরিকাতে কয়েদী এবং জেলের সংখ্যা কমবে। প্রতি বছর কমপক্ষে ১০ হাজার খুন কমবে। ড্রাগ ব্যবহারকারীদের মধ্যে অপরাধের মাত্রা ও পরিমাণ কমে আসবে ইত্যাদি। [আরো জানতে দেখতে পারেন - https://bit.ly/28T24qp, https://bit.ly/2sqgV42]। মজার ব্যাপারটা হল, ইনটুইটিভলি প্রায় ৯০% বা তারচেয়েও বেশি মানুষের কাছে ড. ফ্রিডম্যানের কথা ভুল মনে হলেও, লিবারেল সেক্যুলারিযমের অবস্থান থেকে ঢালাওভাবে তার কথাকে উড়িয়ে দেয়া বেশ কঠিন। ড. ফ্রিডম্যান বক্তব্যের পক্ষে উনি বেশ কিছু শক্ত এম্পিরিকাল ডেইটা এনেছেন, এবং আংশিকভাবে হলেও পশ্চিমে এ অবস্থান মেনে নেয়া শুরু হয়েছে। অ্যামেরিকার অনেক স্টেইটে মারিওয়ানা (ক্যানাবিস, গাঁজা) লিগালাইয করা হয়েছে। এছাড়া স্ক্যান্ডেনেইভিয়ার কিছু দেশে, বিশেষ করে নরওয়েতে নেশাজাতীয় ড্রাগগুলোকে ডিক্রিমিনালাইয (লিগালাইয না) করা হয়েছে। সুতরাং, আপাতভাবে আমাদের কাছে যে সমাধানকে মানবিক এবং লজিকাল মনে হয়, সেটাও অতোটা সোজাসাপ্টা এবং কার্যকর না।



    তাহলে সমাধান কী? এভাবেই কি আমাদের ড্রাগ ও ড্রাগমানির ক্রমবৃদ্ধিমান ব্যবহার ও প্রভাব দেখতে হবে?



    সমাধান আছে, তবে সম্ভবত আপনার পছন্দ হবে না।



    প্যারাসিটামলের সমাধান না, অপারেশনের সমাধান।



    ২০০০ এর মাঝামাঝি তালিবান নেতা মুল্লাহ মুহাম্মাদ উমার ঘোষণা করেন আফগানিস্তানে আর কোন পপি চাষ হবে না। পৃথিবীর মোট পপির প্রায় ৯০% এবং হেরোইনের প্রায় ৭০% আসে আফগানিস্তান থেকে। তাই এধরনের ঘোষণার প্রতিফিলন বাস্তবে কতোটা ঘটবে এ নিয়ে প্রশ্ন ওঠাই স্বাভাবিক ছিল। বিশেষ করে অ্যামেরিকার প্রহিবিশানের উদাহরণের পর। কিন্তু বিস্ময়করভাবে লক্ষ্য করা গেল, ১ বছরের মাথায় তালিবান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে পপি চাষ ৯৯% কমে আসলো। কিভাবে তালিবান এই “অসাধ্য” সাধন করলো? তালিবানের মাদকবিরোধী অভিযানের মোটা দাগে চারটি মূলনীতি পাওয়া যায় –



    ১) মাদক এবং মাদক উৎপাদনের ব্যাপারে ইসলামের অবস্থান ব্যাপকভাবে প্রচার করা – জনমত তৈরি,



    ২) শারীয়াহ অনুযায়ী অপরাধীর দ্রুত ও কঠোর শাস্তির হুমকি,



    ৩) তৃণমূল পর্যায়ে মনিটরিং এবং পপি ক্ষেত ধ্বংস করা, ব্যর্থতার জন্য চাষীদের পাশপাশি তৃণমূলের দায়িত্বশীলদের শাস্তির ব্যবস্থা করা



    ৪) অপরাধীদের পাবলিকলি শাস্তি দেয়া ও অপমানিত করা।



    [দেখুন - http://reformdrugpolicy.com/wp-conte...libanOpium.pdf , এই লিঙ্কে মূল তথ্যগুলো পাবেন। তবে লেখকেরা তথ্য ব্যাখ্যা করতে গিয়ে নিজের স্বভাবজাত বায়াসের কারণে বেশ কিছু বড় ধরণের ভুল করেছে।]



    তালিবান পুরো ব্যাপারটাকে আইনশৃঙ্খলা বা অপরাধ পরিস্থিতির বদলে শারীয়াহর হুকুম বাস্তবায়ন হিসেবে অ্যাপ্রোচ করলো। আধুনিক, সভ্য, সফিসটিকেইটেড অ্যামেরিকান রাষ্ট্রযন্ত্র যেখানে ব্যার্থ হল, যেখানে প্রহিবিশান ফেইল করলো - “বর্বর, মধ্যযুগীয়, আনকালচারড” জঙ্গি তালিবান সেখানে সফল হল। কান্দাহার আর হেলমান্দের কৃষকরা বলা শুরু করলো, না খেয়ে মারা গেলেও তারা আর কখনো পপি চাষ করবে না। তালিবান অপরাধের সাথে যুক্ত বিশাল একটা অংশকে অপরাধ ছেড়ে দিতে কনভিন্স করলো। এটা তারা করলো রাষ্ট্রের কর্তৃত্ব কিংবা মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে না, আল্লাহর সার্বভৌম আইনের কথা মানুষের কাছে তুলে ধরার মাধ্যমে। ‘আমাদের হাতে অস্ত্র আছে, আর কেবল আমাদেরই অস্ত্র ব্যবহারের অধিকার আছে, তাই আমরা যা বলবো তাই আইন’ – আধুনিক জাতি-রাস্ট্রের এ মেসেজের বদলে তারা বললো – ‘আসমান ও যমিনের মালিক এ কাজ হারাম করেছেন, আর আল্লাহর যমিনে আল্লাহর আইনই চলবে। যে আল্লাহর আইন মানবে না সে আখিরাতে আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করবে। আর দুনিয়াতে, আমরা শারীয়াহ অনুযায়ী তাদের বিচার করবো। এর চেয়ে বিন্দুমাত্র কম বা বেশি করার এখতিয়ার আমাদের নেই’।



    তালিবান মানুষের সামনে এমন একটি আদর্শ দিল যা তাদের ত্যাগ স্বীকার উদ্বুদ্ধ করলো। বাস্তবতা বলে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, দেশপ্রেম, মুক্তচিন্তা কিংবা ধর্মনিরপেক্ষতা মানুষকে এভাবে মোটিভেইট করতে পারে না। তারা এমন একটি বিচার ব্যবস্থা এবং প্রশাসন গড়ে তুললো যেখানে আসলে বিচার হয় অপরাধী যেই হোক না কেন। সেক্যুলার সিস্টেমের মতো না যেখানে একবার মামলা ঢুকলে সেটা হারিয়ে যায়, আর কেবল দুর্বলদের বিচার হয়। এবং তারা এমন একটি রাষ্ট্র গড়ে তুললো যা পশ্চিমের গড়ে তোলা গ্লোবাল সিস্টেমের কর্তৃত্ব স্বীকার করে না, আর তাই গ্লোবাল ড্রাগ ইন্ডাস্ট্রির মূল প্লেয়ারদের তোয়াজ করাকেও দরকার মনে করে না। ভালো ও মন্দের মানবরচিত পরিবর্তনশীল সংজ্ঞার বদলে তারা পরম, ধ্রুব সংজ্ঞার কাঠামো নিজেদের কাজগুলোকে সাজালো। অপরাধীও স্বীকার করলো সে যা করছে তা আসলেই অপরাধ। সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি, ক্ষমাতাসীনদের দেয়া সংজ্ঞা, মানবরচিত আন কিংবা নির্বাচনী হিসেবনিকেশের কারণে না। এটা অপরাধ কারণ সৃষ্টিজগতের মালিক বলেছেন এটা অপরাধ।



    আধুনিক ইতিহাসে এর চেয়ে সফল আর কোন মাদকবিরোধী অভিযানের দৃষ্টান্ত নেই।



    ২০০১ সালে অ্যামেরিকার আফগানিস্তান আক্রমণের পর আফিম উৎপাদন আবার আগের অবস্থায় ফেরত গেল। ২০১৭ সালে উৎপাদিত হয়েছে আফগান ইতিহাসে সর্বোচ্চ পরিমাণ হেরোইন।



    প্রাচীন রোমে এক শ্রেণির মানুষকে বলা হত – Homo Sacer – এরা না-মানুষ। নিষিদ্ধ, যে কেউ এদের মেরে ফেলতে পারে। মানবতার বুলি আওরাতে আওড়াতে, সভ্যতার সবক দিতে দিতে আমরাও আমাদের হোমো সাসের তৈরি করে নিয়েছি। পশ্চিমের কাছে, সাম্রাজ্যের কাছে হোমো সাসের হল জঙ্গি, সন্ত্রাসী। জঙ্গি হলে গর্ভের শিশু, কোলের শিশু, অশতিপরবৃদ্ধ - আর মাঝের সবাই হত্যাযোগ্য। ৫ কোটি মানুষ জাস্ট সন্ত্রাসবিরোধী যুদ্ধের কোলেটরাল ড্যামেজ। যদি কারো ওপর জঙ্গি নামটা লাগিয়ে দেয়া যায়, তাহলে আর কিছুর দরকার নেই। জঙ্গি ট্যাগ লাগানো গেলে যারা জঙ্গিত্ব থেকে বাঁচতে বেপরোয়া, সাম্রাজ্যবাদের কুনজর এড়াতে, স্বীকৃতি পেতে আর “শত্রু” হওয়া এড়াতে নতজানু, সেই “মূলধারাকেও” রাতের অন্ধকারে পাইকারীভাবে মেরে ফেলা যায়। সকালে পত্রিকায় গাছ কাটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করলেই হয়ে যায়। ফিরিঙ্গি হতে চেয়েও হতে না পারা আমাদের কাছে, না-মানুষ হল এমন যে কেউ যার সাথে আমরা নিজেদের মেলাতে পারি না, অথবা চাই না। যতোক্ষন আমার জীবনে ব্যাঘাত ঘটছে না, ততোক্ষণ যাকে ইচ্ছে, যখন ইচ্ছে মেরে ফেলা হোক। আমাদের সমস্যা নেই।



    ইচ্ছেমতো মানুষকে হত্যাযোগ্য বলে সাব্যস্ত করার মতো এতো ভয়ঙ্কর পর্যায়ের যুলুমও আমরা মেনে নেবো, কিন্তু সমাধানের দিকে তাকাবো না। আমাদের মধ্যে কেউ সুষ্ঠু ও অবাধ গণতন্ত্রের কথা বলবে, কেউ মানবাধিকারের মুখস্থ বুলি আওড়াবে, কেউ দেশপ্রেম, কেউ চেতনা, কেউ মুক্তিচিন্তা আর কেউ বাকস্বাধীনিতার কথা বলবে - কেউ পোস্ট-মর্ডানিস্ট ব্যাখ্যা দেবে, কেউ “বাবা তুমি কানতেসো যে”-উক্তিকে রাষ্ট্রীয় ফ্যাসিবাদ আর সমাজের অভিজাতদের শক্তি উপাসনার আলোকে ডিকন্সট্রাক্ট করবে - কেউ বলবে পশ্চিম কতো ভালো, কেউ বলবে বিএনপি কতো ভালো, কেউ বলবে ‘শালার জাতটাই খারাপ - কেউ “আই হেইট পলিটিক্স” কপচাবে - কেউ দুই নৌকায় পা দিয়ে ইসলামি গণতন্ত্রের কথা বলবে, কেউ ইসলামি প্রতিষ্ঠান গড়ার মাধ্যমে সামাজিক প্রভাব অর্জনের বালুর প্রাসাদের স্বপ্ন দেখবে, কেউ মগজে পশ্চিম আর অন্তরের অর্ধেকটাতে ইসলাম রেখে প্রলাপ বকে যাবে, নিজের কাপুরুষতার ওপর সংবেদনশীলতা, হিকমাহ আর বুদ্ধিবৃত্তির প্রলেপ দেবে – কিন্তু সমাধানের কথা বলবে না। কেউ পরিপূর্ণ ইসলামী শারীয়াহর কথা বলবে না, কেউ সাম্রাজ্যের মোকাবেলার কথা বলবে না, কেউ সমাধানের প্রয়োজনীয় দাম দিতে রাজি হবে না।



    ঘ্যানঘ্যানে কিছু বুড়ো মানুষ থাকেন। প্রায় সারাবছর কোন না কোন অসুখ নিয়ে অনুযোগ করবেন। প্রতিবার কথা বলার সময় কতো কষ্টে আছেন, শরীরের কতো জায়গায় সমস্যা – সেটার লম্বা ফিরিস্তি দেবেন। কিন্তু আগাগোড়া চেকআপ করে, বড় কোন সমস্যা থাকলে প্রয়োজনীয় অপারেশন বা অন্য কোন চিকিৎসার কথা বললে পিছিয়ে যাবেন। সমস্যা নিয়ে অভিযোগ করতে চাইলেও তারা সমস্যার সমাধানে আগ্রহী না। আসলে বলা উচিৎ, সহজ সমাধান না থাকলে, কঠিন সমাধানের বদলে তারা সমস্যা নিয়েই বেঁচে থাকতে পছন্দ করেন। আমার কেন জানি মনে হয়, আমাদের সমস্যাটা এই ঘ্যানঘ্যানে বুড়োদের মতো। সেই ছোটকাল দেখে আসছি সমস্যা। সবাই সমস্যা নিয়ে কথা বলতে চায়। সবার কোন না কোন মতামত আছে। সবাই বিশেষজ্ঞ, সবাই ইমোশনালি ইনভেস্টেড। কিন্তু ছোট ছোট সমস্যা নিয়ে সারাদিন ঘ্যানঘ্যান করার বদলে, মূল সমস্যা নিয়ে কথা বলুন – তখন আর কাউকে পাবেন না। আমরা ক্যান্সারের ট্রিটমেন্ট হিসেবে প্যারাসিটামল চাই। ফাঁপা হয়ে যাওয়া হাড় সারাতে ব্যান্ডেএইড লাগাই। ধর্ষন বলুন কিংবা মাদক সমস্যা – এই সমস্যাগুলো সিস্টেমিক। যায়নিস্ট ব্যাংকার আর ক্রুসেইডার জাতিসংঘ নিয়ন্ত্রিত যে বিশ্বব্যবস্থার মধ্যে আমরা আছি এগুলো সেই ব্যবস্থার কাঠামোগত সমস্যা। সুশাসনের সমস্যা না, কোন নির্দিষ্ট অঞ্চল কিংবা জাতিগোষ্ঠীর প্রকৃতিগত সমস্যা না। এগুলো সভ্যতার সমস্যা। লিবারেল সেক্যুলার সভ্যতার চূড়োয় থাকা দেশগুলোর দিকে তাকান – তারা কি ধর্ষন, মাদক, মানুষপাচার, পেডোফিলিয়া – এধরনের সমস্যার সমাধান করতে পেরেছে? বরং যতো “সভ্য” হয়েছে এ অপরাধগুলোর পরিমাণ, মাত্রা এবং অপরাধী কার্টেলদের সফিসটিকেইশান বেড়েছে।



    অন্যদিকে সভ্য আমরা যে সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছি, জলজ্যান্ত মানুষকে লিস্টে থাকা নাম বানিয়ে ফেলছি, যখনতখন যাকে তাকে মানুষের বানানো আইনে মেরে ফেলার লাইসেন্স দিচ্ছি, এবং এতো সবকিছুর পরও ব্যর্থ হচ্ছি – ১৪০০ বছর আগে মদীনাতে খুব সহজেই সেই সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল। মদীনার উদাহরণ অনুসরণ করে, বেশি না, মাত্র ১৮ বছর আগে আমাদের ভাষায় - পৃথিবীর সবচেয়ে পশ্চাৎপদ গোষ্ঠী - এই সমস্যার সমাধান করে দেখিয়েছে। কিন্তু আমরা চোখ বুজে রাখবো। আমরা ঐ সমাধানের দিকে তাকাবো না। আমরা কখনো বাহবা দেবো, কখনো অডিও নিয়ে তোলপাড় করবো, কখনো ভুলে যাবো, কখনো চিন্তায় জাবর কাটবো, কখনো কনসার্নড হবো। কিন্তু আমরা সমাধান করবো না। সমাধানের দিকে তাকাবো না। সমাধান নিয়ে চিন্তাও করবো না। কেবল অভিযোগ,অনুযোগ, আউটরেইজ আর নিন্দার দুঃখবিলাস করে যাবো।



    সমাধান আছে। সমাধানের বাস্তব দৃষ্টান্ত আছে। কিন্তু আমরা সমাধানে আগ্রহী না। আমরা আগ্রহী দুঃখবিলাস আর জাতে ওঠায়। আর তাই আমরা প্রজন্মের পর প্রজন্ম রুটিন অনুযায়ী সমর্থন-নিন্দা-আউটরেইজ-ভুলে যাওয়ার সাইকেলে ঘুরপাক খেতে থাকবো। প্যারাসিটামল দুই বেলা। /

  • #2
    মাশাআল্লাহ, সুন্দর পোস্ট। জাযাকাল্লাহ
    ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

    Comment

    Working...
    X