জাতিসংঘের অন্ধকার জগৎ!
আজকের দিনে অন্যতম আলোচিত বিষয় হলো ‘জাতিসংঘ’। এই প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে আমাদের দেশের স্কুল-কলেজের পাঠ্যবইগুলোতেও অনেক সুন্দর সুন্দর কথা বলা হয়। কিন্তু এক শ্রেণির মানুষ সবসময়ই এই মিষ্টি-মধুর কথার বিরোধীতা করে আসছে। জাতিসংঘের অনেকগুলো সমালোচনা আছে বিভিন্ন পর্যালোচনাপত্র ও একাডেমিক আলোচনায়। প্রতিষ্ঠানটির নীতি, আদর্শ, প্রশাসন, এজেন্ডা, আদর্শিক পক্ষপাত ইত্যাদি কারণে এটি বড়লোকদের বৈশ্বিক ক্লাবে পরিণত হয়েছে। এগুলোর মধ্য থেকেই কয়েকটিকে আজকে একত্রিত করে তুলে ধরব। চলুন, দেখে নেওয়া যাক জাতিসংঘের অন্ধকার জগৎ ও দুর্বলতা।
নিরাপত্তা পরিষদ ও ভেটো পদ্ধতি:
জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের পাঁচ স্থায়ী সদস্যের (চীন, ফ্রান্স, রাশিয়া, যুক্তরাজ্য এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র) দাদাগিরির আরেক নাম ‘ভেটো পদ্ধতি’। অনুচ্ছেদ ২৭(৩) অনুসারে এই ‘ভেটো পদ্ধতি’ প্রণীত হয়েছে। এর ফলে সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সমতার নীতি ক্ষুণ্ণ হয়, শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলো বৈশ্বিক নিরাপত্তার চেয়ে তাদের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দেওয়ার সুযোগ পায় এবং মানবাধিকার লঙ্ঘনের মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে জাতিসংঘ নিষ্কিয় থাকে। একে এক ধরণের অস্ত্র হিসাবেও আখ্যায়িত করেছেন বিভিন্ন বিশ্লেষকগণ, বিশেষ করে এমন ক্ষেত্রে যেখানে স্থায়ী সদস্যের মিত্ররা কোনো সংঘাতে জড়ায়। সমালোচকরা বলছেন যে ভেটো মানবতাবিরোধী অপরাধের বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ব্যর্থ হওয়ার অন্যতম প্রধান নিয়ামক। কারণ এটি স্থায়ী সদস্য এবং তাদের মিত্রদের (allies) বিরুদ্ধে জাতিসংঘের পদক্ষেপকে কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করে। এর সবচেয়ে বড় প্রমাণ হলো গাযায় গণহত্যার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক ইসরায়েলের পক্ষে ৩৫ এরও বেশিবার ভেটো দেওয়া। এমনকি পশ্চিমাদেরই মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল দাবি করেছে যে পাঁচ স্থায়ী সদস্য ভেটো ব্যবহার করে বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষার স্বার্থের চেয়ে তাদের রাজনৈতিক স্বার্থকে বড় করে দেখে।
গণতন্ত্রের আঁতুড় ঘরেই স্বৈরতন্ত্র:
আরও খারাপ বিষয় হলো, এই ৫ সদস্য যখন প্রস্তাবনা তৈরি করে, তখন প্রায়শই অন্যান্য কাউন্সিল সদস্যদের বাদ দিয়ে নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে। এমনকি সদস্যরা অনেক সময়ই প্রস্তাবনার আগাম নোটিশ পান না। যা গনতান্ত্রিক আদর্শের সম্পূর্ন বিপরীতে স্বৈরতান্ত্রিক আদর্শ। ফলে দরজার আড়ালে অনেক আলাপই হয় বলে অভিযোগ আছে, যেগুলোর ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণে অন্যান্য দেশের ভূমিকা খুব কমই থাকে। এছাড়াও এই ৫ সদস্য রাষ্ট্র জাতিসংঘের মিশনে পর্যাপ্ত সৈন্য পাঠায় না।
জাতিসংঘের মিশনে পর্যাপ্ত সৈন্য না পাঠিয়ে এ দেশেগুলো বিশ্বের অন্যান্য দেশে সামরিক, রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক প্রভাব বিস্তারসহ নিজেদের সৈনিকদের সাম্রাজ্য কায়েমে নিয়োজিত রাখে যা স্বৈরতন্ত্রের এক জ্বলন্ত প্রমাণ। গত শতকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিদেশী কমান্ডারদের অধীনে দেশটির সৈন্যদের কাজ করার উপর স্পষ্ট নিষেধাজ্ঞা প্রদান করেছিল। কিন্তু অন্যদিকে ঠিকই উন্নয়নশীল দেশের (যেমনঃ বাংলাদেশ) সৈন্যদেরকে ব্যবহার করা হয় বিভিন্ন অন্যায় ও ঝুঁকিপূর্ণ মিশনে।
অশান্তির মূল হোতা:
শান্তি বলতে আমরা কী বুঝি? শুদ্ধ যুদ্ধের অবসান নাকি সামাজিক স্থিতিশীলতাও? শান্তির মানে যাই হোক না কেন, জাতিসংঘ যুদ্ধের অবসানেও যেমন ব্যর্থ হয়েছে, তেমনি বিভিন্ন ক্ষেত্রে সামাজিক অস্থিতিশীলতা তৈরিতেও ভূমিকা রেখেছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ৮ কোটি ৫০ লক্ষ লোক নিহত হয়, যা মানব ইতিহাসের অন্যতম বড় ট্রাজেডি। এরপর সুশীল শ্রেণির একদল রাষ্ট্রচিন্তক ও রাজনীতিবিদসহ বিভিন্ন ঘরানার ব্যক্তিদের উদ্যোগে ভবিষ্যতের যুদ্ধ রোধ করার জন্য ১৯৪৫ সালে জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠা করে। কিন্তু এটি যুদ্ধ বা গণহত্যা রোধ করতে ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার কারণ হলো জাতিসংঘ পুরানো জাতি-রাষ্ট্র ব্যবস্থার উপর নির্মিত। এই ব্যবস্থায় সরকার চাইলে সার্বভৌমত্বের কথা বলে নিজের নাগরিকদের উপর জুলুম করতে পারে কিংবা গণহত্যাও চালাতে পারে। প্রমাণ চাচ্ছেন? বেশি দূরে যাবো না, মানবাধিকারের সবক দিতে থাকা জাতিসংঘ ২৪ এর জুলাইয়ে তেমন কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। পরে গণহত্যা শেষ হয়ে যাওয়ার পরে চিরাচরিত নিয়মে প্রতিবেদন বানিয়ে মোড়ল হতে চেয়েছে। আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার হলো, স্থায়ী ৫ সদস্য রাষ্ট্রের কেউই এমন একটি শক্তিশালী ‘জাতিসংঘ সামরিক বাহিনী’ চায় না, যা তাদের নিজস্ব সেনাবাহিনীর বিরোধিতা করতে পারে।
এরপর গাযার কথা বলতে হয়। অসংখ্য মানুষ মারা গিয়েছে, কিন্তু ভেটো ক্ষমতার নেতিবাচক প্রয়োগের কারণে জাতিসংঘ গাযাবাসীর জন্য কোনো ভূমিকাই রাখতে পারেনি। উইঘুর, আরাকান, কাশ্মীর-প্রতিটি সংকটে তাদের ভূমিকা ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অতি নগণ্য। উপরন্তু তাদের মদদ ও ভূমিকায় বহু দেশে হয়েছে সংঘাত ও অন্যায় যুদ্ধ। যেমনঃ কোরিয়ান যুদ্ধ (১৯৫০-১৯৫৩), সোমালিয়া যুদ্ধ (১৯১২) ইত্যাদি।
বিচারকই যেখানে ধর্ষক!
জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর সদস্যরা নারীদেরকে যৌন নির্যাতন করেছে এমন নজিরও পাওয়া গিয়েছে। শুধু তা-ই নয়, এসব নিষ্ঠুর মানুষদের দ্বারা ধর্ষণের ফলে সন্তানের জন্মও হয়েছে। বছরের পর বছর ধরে ‘অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস’ এবং অন্যান্য সংবাদমাধ্যম হাইতিতে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষী বাহিনীর দ্বারা যৌন নির্যাতন এবং শোষণের বিশ্বাসযোগ্য প্রতিবেদন প্রকাশ করে এসেছে। হাইতি এমন অনেক দেশের মধ্যে একটি, যেখানে শান্তিরক্ষীরা! নারী ও মেয়েদের ধর্ষণ করেছে অথবা খাবার ও সহায়তার বিনিময়ে তাদেরকে যৌনতার সাথে শোষণ করেছে। সোমালিয়া, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র এবং কঙ্গোতেও জাতিসংঘের সৈন্যদের দ্বারা ধর্ষণের বিষয়েও একাধিক প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে।
দারিদ্র্যপীড়িত জীবন, অন্যদিকে লাঞ্চনার ছাপ। এছাড়াও অবৈধ সম্পর্ক বা জোর পূর্বক যৌন মিলনের ফলে জন্ম নেওয়া সন্তানেরা তাদের পিতৃপরিচয় ছাড়াই বড় হয়। কেউ কেউ কলঙ্কের দাগ বহন করে এবং পরবর্তী জীবনে অপরাধমূলক কার্যক্রমে জড়িয়ে পড়ে। যদিও জাতিসংঘ যৌন নির্যাতন এবং ধর্ষণের অভিযোগ তদন্ত করতে পারে, যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারে এবং যেসমস্ত দেশের সৈন্যরা এ ধরণের কাজ করেছে, সে সমস্ত দেশের কাছে জবাব চাইতে পারে; কিন্তু এতো এতো মিডিয়া কভারেজ এবং ক্ষোভের পরেও তাদের দৃশ্যমান ভূমিকা খুবই বিরল।
এলজিবিকিউ প্রোমোট:
জাতিসংঘ গত শতকের ৯০ এর দশ থেকে সমকামিতার পক্ষে জোরালো অবস্থান গ্রহণ করতে শুরু করে। সময়ের পরিক্রমায় এর LGBTQ বিষয়ক তৎপরতা নিচের ছকে উল্লেখ করা হলোঃ
এভাবেই ধীরে ধীরে তারা বিভিন্ন পশ্চিমা এজেন্ডার মধ্যে LGBTQ ঢুকিয়ে দিচ্ছে। আর এক্ষেত্রে কাজ করছে তাদের বিভিন্ন অঙ্গ-সংস্থা ও প্রজেক্ট। যেমনঃ UNDP, OHCHR (বাংলাদেশে যার অফিস হচ্ছে), WHO, UNICEF, HRC, UNFPA (যারা বাংলাদেশে সমকামিতার অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছে) ইত্যাদি।
জাতিসংঘ মূলত Free & Equal Campaign এবং UN Global Compact উদ্যোগের মাধ্যমে সিভিল সোসাইটিতে এই মূল্যবোধ বিধ্বংসী এজেন্ডা বাস্তবায়নে কাজ করে যাচ্ছে। মুসলিম দেশসমূহের তীব্র বিরোধীতার পরেও সেই দেশগুলোতে কৌশলে SOGI নীতি চাপিয়ে দিয়েছে জাতিসংঘ।
ফেমিনিজম প্রতিষ্ঠা:
ফেমিনিজম বলতে কী বুঝায়? এই প্রশ্নের উত্তর সহজ কথায় দিতে হলে বলতে হয়, ফেমিনিজম মানে নারীর অধিকার ও ক্ষমতায়নের নামে নারীকে কর্পোরেট সিন্ডিকেট এবং বৈশ্বিক এজেন্ডার দাস বানানো। জাতিসংঘ ঠিক এই বিষয়টাকেই ধীরে ধীরে প্রতিষ্ঠিত করছে, যেভাবে তারা LGBTQ নিয়ে ধাপে ধাপে কাজ করেছে। ১৯৫২ সালে জাতিসংঘ নারীর রাজনৈতিক অধিকারের স্বীকৃতি নিয়ে কাজ শুরু করে। ১৯৬২ সালে বিয়ের ন্যূনতম বয়স ও রেজিস্ট্রেশন সনদ অনুমোদন করে। ১৯৭৫ এ ঘটে এক ঐতিহাসিক ঘটনা-’প্রথম বিশ্ব নারী সম্মেলন’, যেটি নারীর কথিত সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ের একটি বড় মাইলফলক। আর ১৯৮১ সালে কার্যকর হয় CEDAW (Convention on the Elimination of All Forms of Discrimination Against Women), যা সরাসরি ফেমিনিজমকে উপস্থাপন করে।
সমস্যা হলো, এগুলোর নারীর চূড়ান্ত অধিকারের জন্য নয়, বরং নারীকে পণ্য বানানোর জন্যই হয়েছে। ফলস্বরূপ গর্ভপাত ও অবৈধ যৌনাচার বিপুল পরিমাণে বেড়েছে। আর এগুলোকে অধিকার নাম দিয়েই কাজ করছে OHCHR (যার অফিস বাংলাদেশে হতে চলেছে) এবং UN Women।
শত শত নারী জুলাই যোদ্ধা রক্তাক্ত হলে জাতিসংঘের ভূমিকা কেমন হয় আর শ্রীলঙ্কায় একজন লেসবিয়ানের জন্য জাতিসংঘ কতটুকু দরদী হয় খেয়াল করে দেখুন। গাযায় কত হাজার মহিলা শহিদ হয়েছেন, ভারতে কত নারী ধর্ষণের শিকার-কিন্তু জাতিসংঘের পলিসি কোনো কাজে এসেছে? এমনকি যেসকল শান্তিরক্ষীরা বিভিন্ন দেশের নারীদের যৌন নিপীড়ন করেছে, তাদের বিরুদ্ধেই বা কতটুকু ব্যবস্থা নিয়েছে এই বৈশ্বিক ক্লাবটি?
এখন কি আপনি বলবেন জাতিসংঘ নারীর মর্যাদা নিয়ে উদ্বিগ্ন? নাকি তারা উদ্দীপ্ত ফেমিনিজম প্রতিষ্ঠা করতে?
জাতিসংঘের অন্যান্য ধোঁকাবাজি!
গর্ভপাতের স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠা করা, নিজেদের নিরাপত্তা পরিষদে দুর্নীতি, পক্ষপাতদুষ্টতা, অযথা স্যাংশন প্রদান ইত্যাদি কারণেও জাতিসংঘ ব্যাপক সমালোচিত হয়ে এসেছে। আর তাই জবাবদিহিতা, কার্যকারিতা এবং ন্যায্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বহু ধর্মীয় নেতৃবৃন্দ ও মানবাধিকার কর্মীরা। সমালোচনা কেন কেবল যৌক্তিকই নয় বরং প্রয়োজনীয়ও, তা নিয়ে অনেক প্রতিবেদন ও প্রবন্ধ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে। তবুও নড়ছে না মোড়লদের টনক!
শেষ কথা:
আপনি বলতে পারেন, “জাতিসংঘের কি কোনো ভালো কাজ নেই?” অস্বীকার করব না, তারা বিভিন্ন দেশের পরিবেশ, শিক্ষা ও জনস্বাস্থ্যের উন্নয়নে কাজ করে গিয়েছে। কিন্তু এক্ষেত্রে দুটো কথা আছে। প্রথমত, তাদের কুৎসিত রূপের কাছে এই অবদানগুলো বেশ খানিকটা ম্লান হয়ে যায়। দ্বিতীয়ত, তারা তাদের ভালো কাজের মধ্যেও নোংরা খেলা ঢুকিয়েছে।
এখন সময় চোখ-কান খুলে বাস্তবতা বুঝার। পশ্চিমা চশমা দিয়ে দুনিয়াকে না দেখে একবার সুস্থ মস্তিষ্ক দিয়ে ভাবুন। পুরো বিশ্বব্যবস্থা (World Order) যে তিলে তিলে ধোঁকাবাজি দিয়ে গড়ে উঠেছে, তার অন্যতম জলজ্যান্ত উদাহরণ ‘জাতিসংঘ’।
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেছেন-
وَقَدۡ مَکَرُوۡا مَکۡرَہُمۡ وَعِنۡدَ اللّٰہِ مَکۡرُہُمۡ ؕ وَاِنۡ کَانَ مَکۡرُہُمۡ لِتَزُوۡلَ مِنۡہُ الۡجِبَالُ .
তারা তাদের সব রকম চাল চেলেছিল, কিন্তু আল্লাহর কাছে তাদের সমস্ত চাল ব্যর্থ করারও ব্যবস্থা ছিল, হোক না তাদের চালসমূহ এমন (শক্তিশালী), যাতে পাহাড়ও টলে যায়। (সূরা ইব্রাহীম-৪৬)
মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَمَكَرُوا وَمَكَرَ اللَّهُ ۖ وَاللَّهُ خَيْرُ الْمَاكِرِينَ.
আর তারা কুটকৌশল করেছে এবং আল্লাহ কৌশল করেছেন। আর আল্লাহ উত্তম কৌশলকারী। (সূরাঃ আলে-ইমরান -৫৪)
হে আমাদের প্রতিপালক, 'জাতিসংঘ' নামক বিশ্ব ধোঁকাবাজ ও পৃথিবীতে অশান্তির সৃষ্টির মূল হোতা থেকে মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন এবং জাতিসংঘের 'ইসলাম ও মুসলিম উম্মাহকে'ধ্বংসকারী সকল চক্রান্ত ও পলিসিকে বুদ্ধিবৃত্তিক, সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিকসহ সকল পার্যায়ে যথা উপযুক্ত মোকাবিলা করার তাওফীক দান করুন-আমীন
সংগৃহীত ও পরিমার্জিত: