Announcement

Collapse
No announcement yet.

বিয়ে করার গুরুত্ব

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • বিয়ে করার গুরুত্ব

    ★ যেভাবে আপনার সন্তানের অভাব আল্লাহ দুর করবেন।
    আল্লাহ তা আলাতো প্রত্যেক ভালো কাজেই সাহায্য করেন তবুও তিনি কয়েকটা জায়গায় সাহায্যের কথা বিশেষ ভাবে বলেছেন।হযরত আবু হুরায়রা রাঃ বলেছেনঃ নিশ্চয়ই রাসুল সাঃ বলেছেনঃআল্লাহ তিন ব্যক্তির সাহায্য করা নিজের দায়িত্ব মনে করেন।
    ১.ঐ চুক্তিবদ্ধ দাস যে তার মুল্য পরিশোধের চেষ্টা করে।
    ২.সে বিবাহিত যুবক যে তা চরিত্র হেফাজতের উদ্দেশ্যে বিবাহ করে।
    ৩.সে মুজাহিদ যে আল্লাহর রাস্তায় জেহাদ করে।
    (নাসায়ী) (ইবনে মাজাহ)
    মহান আল্লাহ বলেনঃ তোমরা তোমাদের মধ্যকার অবিবাহিত নারীপুরুষ ও সৎকর্মশীল দাস দাসীদের বিবাহ দাও, তারা অভাবি হলে। আল্লাহ নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে অভাবমুক্ত করে দেবেন।আল্লাহ প্রচুর্যময় ও মহাজ্ঞানী।(সুরা আন নুর ৩২) #হযরত ইবনে মাসউদ রাঃ বলেন, যদি তোমরা ধনী হতে চাও তবে বিবাহ করো।
    #ইবনে আবী হাতেম বর্ননা করেন, হযরত আবু বকর রাঃ একবার মুসলমানদের সম্বোধন করে বলেন,তোমরা বিবাহের ব্যাপারে মহান আল্লাহর আদেশ পালন কর। তিনি যে ধনাঢ্যতা দান করার ওয়াদা করেছেন,তা পূর্ন করবেন।
    আজ ইমানের দুর্বলতার কারনে আল্লাহ ওয়াদা বিশ্বাস হয় না।

    ★বিবাহ না করার ভয়ংকর ক্ষতি সমুহঃ
    অনেক মা বাবা তাদের সন্তানকে বিবাহ করাতে দেরি করেন।কারন দ্রুত বিবাহ করালে খরচ বেড়ে যাবে।ক্যারিয়ারের ক্ষতি হবে।তাই দেরি করেন। কিন্তু আপনারা কি জানেন এতে আপনাদের সন্তানদের কত বড় ক্ষতি হচ্ছে?আপনি কি জানেন আপনার ছেলে বিয়ে না করার কারনে দিন দিন দারিদ্রতার দিকে যাচ্ছে?আপনারা বিবাহ করান না সন্তনের খরচ বেড়ে যাবে।অথচ এটাই সন্তানের ক্ষতি ডেকে আনছে।
    এখন প্রশ্ন হলো বিয়ে করাতে দেরি করলে কিভাবে দারিদ্র হয়? হাদিসে আসছেঃরাসুল সাঃ বলেন ঃ হে মুসলমানগন তোমরা ব্যভিচার বর্জন কর কেননা এর ছয়টি শাস্তি রয়েছে।দুনিয়ায় তিনটি ও আখেরাতে তিনটি প্রকাশ পাবে।
    যে তিনটি শাস্তি দুনিয়াতে হয় তা হচ্ছেঃ
    ১. তার চেহারার ঔজ্জল্যতা নষ্টা হবে।
    ২.তার আয়ুষ্কাল কমে যাবে।
    ৩.তার দারিদ্রতা চিরস্থায়ী হবে।
    আখেরাতে যে তিনটি শাস্তি প্রকাশ পাবে তা হলোঃ১.আল্লাহর অসন্তোষ
    ২.কঠিন হিসেব।
    ৩.জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে।
    (বায়হাকি)
    আপনার ছেলেকে বিয়ে দেরি করে করানোর কারনে সে যদি কোন যেনাতে জড়িত হয় হোক সেটা হাত দ্বারা বা চোখের বা লজ্জাস্থান দ্বারা বা কোন অবৈধ সম্পর্কে জড়িত হয়।তাহলে সে আজ হোক বা কাল হোক দরিদ্র হয়ে যাবে।দেখুন আপনি তাকে বিয়ে করাচ্ছেন না খরচ বেড়ে যাবে অপরদিকে সে যিনা করে দিন দিন দারিদ্র হয়ে যাচ্ছে।

    ★বিবাহ না করার বিজ্ঞান সম্মত ক্ষতি সমুহঃ
    অনেকে আছেন যারা বিবাহ না করে ধৈর্য ধরেন। যার কারনে দীর্ঘদিন শরীরে বীর্য আটকে থাকে।যারা ফলে তাদের বীর্যবদ্ধক রোগ হয়।বীর্যবর্ধক রোগ হলো বীর্য বহুদিন শরীরে আবদ্বো থাকলে উহার বীষক্রিয়া মস্তিষ্কে পর্যন্ত উঠে।যার ফলে মাথার ক্ষতি হয়।
    মুহাম্মদ ইবনে যাকারিয়া বলেনঃ আমি এমন এক সম্প্রদায় সম্পর্কে জানি যারা বীর্যবান ছিলো।তারা দার্শনিক হইয়া সহবাস বাদদিলে তাদের শরীর শুকাইয়া যায় এবং হজমে গোলমাল হয়।
    ইমাম আব্দুর রহমান জাওযী তার বইতে লিখেনঃ
    সহবাস করে না এমন এক ব্যাক্তিকে দেখিয়াছি যে তাহার পানাহারের কোন ইচ্ছা ছিলো না।জোরজবরদস্তি করে পানাহার করতে বসিলেও অল্প খেয়ে উঠে যেত। যাহা খাইত বুমি করে ফেলে দিত হজম হইত না।তাহাকে স্ত্রী সহবাসের উপদেশ দেওয়া হইলে। কয়েক দিনের মধ্যে তাহার অবস্থা স্বাভাবিক হয়ে যায়।
    এই ক্ষতিগুলোতো হলো তাদের যারা বিবাহ করে না এবং অন্য কোন ভাবেও শরীর থেকে নাপাক পানি বের করে না।
    কিন্তু যে সকল যুবক বিবাহ না করে বিভিন্নভাবে যৌন উত্তেজনা কমানোর চেষ্টা করে তাদের ক্ষতিতো আরো মারাত্নক।
    আপনি হয়ত ভাবছেন আপনার ছেলেতো হিরোইন বা কোকেন অন্য কোন নেশা করে না।কত ভালো ছেলে।কিন্তু আপনি কি জানেন আপনার ছেলে যে পর্নগ্রাফি বা অশ্লীল ছবি দেখার কারনে কত বড় ক্ষতি হয়? হিরোইন বা কোকেন খেলে যে ক্ষতি হয় পর্নগ্রাফি ছবি দেখলে তার ছেয়েও বেশি ক্ষতি হয়।হস্তমৈথুন করলে আরও মারাত্নক ক্ষতি হয়।হস্তমৈথুন করলে শরীরের টেস্টোস্টেরন হরমোন কমে যায় যার ফলে শরিরে যে ক্ষতিগুলো হয় নিম্নে দেওয়া হলোঃ
    ১.ক্লান্তিভাব।
    ২.দূর্বল স্মৃতিশক্তি।
    ৩.বিষন্নতা।
    ৪ মনোযোগ কমে যাওয়া।
    ৫.কম শারীরিক সক্ষমতা।
    ৬.আত্মনিয়ন্ত্রণ কমে যাওয়া।
    ৭আচরনে মিনমিনে ভাব আসা।
    ৮.অতিরিক্ত অস্থিরতা।
    ৯পুরুষালি আচরন কমে যাওয়া।
    ১০. স্বাভাবিক যৌন ক্রিয়াতে আগ্রহ না থাকা।
    ১১.চুল পড়ে যাওয়া।
    ১২. শরীরে চর্বি জমে যাওয়া।
    ১৩.দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়া।
    ১৪.হাড় ক্ষয়ে যাওয়া।
    অনেকে বলবেন তাহলেতো স্বাভাবিক সহবাসেও টেস্টোস্টেরন কমে যাবে।কিন্তু না।সহবাস আর হস্তমৈথুন আকাশ পাতাল পার্থক্য রয়েছে। এটা বিজ্ঞানিক ভাবে প্রমানিত।
    এসকল বিষয় বিস্তারিত জানতে গুগল দেখতে পারেন অথবা এসকল বিষয়ের উপর অসাধারন একটি বই আছে। যেখানে প্রমান সহ বিস্তারিত লেখা হয়েছে সেটা পড়ে এসব বিষয় জানতে পারেন।যারা এসকল কাজে জড়িত তারা বইটি পড়লে হয়ত কয়েক রাতের ঘুম নষ্ট হয়ে যাবে।কারন এসকল পাপ যে কত ক্ষতিকর বইটি থেকে জানতে পারবেন। বইটির নাম "মুক্ত বাতাসের খোজে"।
    প্রতিটি যুবকের বইটি পড়া উচিত।

    ★উপযুক্ত বয়সে বিবাহ না করালে মা বাবার কি ক্ষতি হবেঃ
    যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করে তাদের জন্য রয়েছে দুনিয়া আখেরাতে যন্ত্রনাদায়ক শাস্তি।আল্লাহ জানেন তোমরা জান না।সুরা নুর ১৯
    আয়াতে বলা হচ্ছে যারা মুমিনদের মধ্যে অশ্লীলতার প্রসার কামনা করবে তাদের শুধু আখেরাতেই শাস্তি দেওয়া হবে না বরং দুনিয়াতেই শাস্তি দেওয়া হবে।মা বাবা যখন ছেলেকে উপযুক্ত বয়সে বিবাহ করান না।ক্যারিয়ার গঠনের চিন্তা বসে থাকেন তখন সন্তান কোন না কোন মেয়ের সাথে প্রেম করে।হয়ত একটা বা তারও অধীক মেয়ের সাথে প্রেম করে এতে মারাত্নক অশ্লীলতার প্রসার ঘটে।শুধু তাই না একজন বাবা যখন সন্তানকে দেরিতে বিয়ে করান তখন অন্য বাবাও তার সন্তানকে দেরিতে বিবাহ করাতে অনুপ্রানীত হন।সাধারন মানুষের স্বভাব হলো একজনের দেখে অন্য জন অনুপ্রানীত হন। এতে সমাজে অশ্লীলতার প্রসার ঘটতেই থাকে।আর এজন্য মা বাবা যে শুধু আখেরাতেই শাস্তি ভোগ করবেন তা নয় বরং দুনিয়ায়েও কঠিন শাস্তি ভোগ করতে হবে।হতে পারে আপনার ছেলে মারাত্নক খারাপ হবে।না হয় সে হস্তমৈথুন ও অশ্লীল ছবি দেখতে দেখতে দূর্বল হয়ে যাবে।বা কোন যেনা বা সমকামিতায় লিপ্ত হবে
    নতুবা তার ছেয়েও মারাত্নক কিছু হবে। হয়ত পাপ করার কারনে মারাত্নক রোগে আক্রান্ত হবে।কারন হস্তমৈথুন ও অশ্লীল ছবি দেখলে ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভবনা থাকে। মোটকথা মারাত্নক কিছু ভোগ করতে হবে দুনিয়ায়।আর আখেরাতেতো শাস্তি আছেই।

    সমাজে দুইচার জন মা বাবা যখন তাদের সন্তানকে দ্রুত বিবাহ করাবেন তখন তারা হয়ে যাবেন সমাজের উদাহরন।তখন অন্য অবিবাহিত ছেলেরাও তাদের মা বাবাকে তাদের উদাহরন( যারা সন্তানকে দ্রুত বিবাহ করিয়েছে) দিতে পারবে।তাই প্রত্যেক বাবা এরকম উদাহরন হওয়ার চেষ্টা করুন।
    এইতো গেলো ছেলেদের ব্যাপারে। মেয়েদের যখন দেরিতে বিয়ে দেওয়া হয় তখনতো ফেতনা আরও বেশি হয়।যে ফেতনাগুলো বিবরন লিখলে হয়ত পুরো একটা বই হবে।তাই মেয়েদেরকেও বিবাহ দিয়ে দিন দ্রুত।
    ★আমার ছেলে কি খারাপ ছবি দেখবে বা হস্তমৈথুন করবে?
    অনেক মা বাবা ভাবেন যে আমার ছেলে কি খারাপ ছবি দেখবে বা হস্তমৈথুন করবে? সে কি এত খারাপ হতে পারে? তাকেতো এখনো মোবাইল দিয় নি।কিভাবে খারাপ ছবি দেখবে। আসলে আপনার ছেলে সম্পর্কে জানতে হলে তার সহপাটির কাছে গোপনে জিজ্ঞেস করুন। তাহলেই জানতে পারবেন সে কেমন। বর্তমানে ক্লাস গুলোতে এমন কোন ছাত্র বাকি নাই যারা অশ্লীল ছবি দেখে বা হস্তমৈথুন করে না।দুই এক জন আছেন যাদেরকে আল্লাহ রক্ষা করেন।বাকি সকলেই এসকল কাজে জড়িয়ে পড়েন।যদি বিশ্বাস না হয় জরিপ করে দেখুন নতুবা "মুক্ত বাতাসের খোজে "বইটি পড়ুন।সেখানের সামান্য কিছু জরিপ পড়ুন।আর আজকাল হস্তমৈথুন ও পর্নোগ্রাফি ছবি ছেলেরা খুব সাধারন মনে করে এগুলোতে জড়িয়ে পড়ে।এটাকে তেমন কোন পাপ মনে করে না।
    ২০১২ সালে কয়েকটি স্কুলের ছাত্র ছাত্রীর উপর জরিপ করে দেখা যায়।শতকরা ৭৬ শিক্ষার্থী ফোন চালায়।বাকিরা মা বাবার ফোন ব্যবহার করে নতুবা বন্ধুদের ফোনে খারাপ ছবি দেখে।
    --৮২ শতাংশ সুযোগ পেলেই পর্ন দেখে।
    --৬২শতাংশ ক্লাসে বসে পর্ন দেখে।
    ২০১৬ এর এপ্রিল থেকে ২০১৮ এর মে পর্যন্ত চালানো গবেষণা পরিচালিত হয়। গবেষনায় দেখা আঠারো বছরের নিচে শতকরা ৮৬.৭৫ভাগ মোবাইল ব্যবহার করে। শতকরা ৮৪.২২ ইন্টানেটের জন্য মোবাইল ব্যবহার করে।স্কুলগামী ছেলেদের ৬১.৬৫ ভাগ মোবাইলে পর্ন দেখে।আর ৫০.৭৫ ভাগ মোবাইলে পর্ন খোজে।
    দেখুন আপনারই ছেলে হিরোইন খাচ্ছে না বা কোকেন খাচ্ছে।কিন্তু এগুলো খেলে যে ক্ষতি হবে তার চেয়েও বেশি ক্ষতি হচ্ছে।


    ★ছেলে বেকার হলে কিভাবে বিবাহ করাবো?
    অনেকে ভাবেন আমার ছেলেতো বেকার কে মেয়ে দিবে? আসলে বান্দার কাজ হলো সামর্থ অনুযায়ি চেষ্টা করা বাকিটা আল্লাহই সাহায্য করবেন।দেখুন মুসা আঃ সাধ্য ছিলো নদী পর্যন্ত যাওয়া। যেহেতু তিনি উনার সামর্থ্য অনুযায়ি চেষ্টা করেছেন তাই আল্লাহ উনাকে নদীতে বারটি রাস্তা করে দিয়েছেন।আপনি আপনার সন্তানকে ধ্বংসের হাত থেকে বাচানোর জন্য চেষ্টা করুন।আল্লাহ আপনাকে কিভাবে যে সাহায্য করবেন কল্পনাও করতে পারবেন না।তাই সন্তানকে বিবাহ করানোর জন্য সামর্থ অনুযায়ী চেষ্টা করুন। আজই মেয়ে দেখতে থাকুন। যে মেয়ে তার তাকদীরে আছে সেতো আসবেই।সুতরাং আপনার চেষ্টা আপনি করুন।আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করুন।

    ★ক্যারিয়ার আগে নাকি বিবাহ আগে? একজন ছাত্র যখন প্রচন্ড ক্ষুধার্ত থাকে তখন যদি তাকে পড়তে বলা হয় লাভ হবে না।কারন তার মন থাকবে ক্ষুধার দিকে।তেমনি যে সকল ছাত্ররা সহ শিক্ষার মাধ্যমে পড়া লেখা করে। তাদের প্রত্যেকের অবশ্যই কোন না কোন মেয়ে নিয়ে চিন্তা থাকেই।সে যাই করুক তার মনে কারো প্রতি আকর্ষন থাকে।দুই একজন ভিন্নতা থাকতে পারে।কিন্তু প্রায় প্রত্যেকে মনেই কাউকে নিয়ে ভাবনা থাকে।কারন সে একজন পুরুষ।তাই সে খাবার খেলে যেমন শরীরে রক্ত হয় মাংস হয় তেমনি বীর্যও উৎপাদন হয়।এমন অবস্থায় তার পেটের ক্ষুধা যেমন বাড়ে তেমনি যৌনক্ষুধাও বাড়ে।আর ক্ষুধা হালাল ভাবে মিটানোর সুযোগ করে না দিলে। সে সবসময়ই পেরেশানিতে থাকবে।এটাই স্বাভবিক।এ অবস্থায় রেখে কিভাবে একটা ছেলে থেকে ভালো কিছু আশা করা যায়।তবে যে সকল স্কুল বা মাদরাসায় সহ শিক্ষা নেই যেখানের ছাত্রদের স্বাধীনতা শিক্ষকদের হাতে থাকে তাদের কথা ভিন্ন।

    ★কিভাবে মেয়ে ছেলেকে বিবাহ করাবো ও দিবোঃ
    প্রথমত বিবাহ দেওয়া বা করানো জন্য দ্বীনদারিতা প্রাধান্য দিন।কারন আপনি একজন ধনী ছেলের কাছে মেয়েকে বিয়ে দিলেন। কিন্তু ছেলেটা বিয়ের আগে বহু মেয়ের সাথে প্রেম করেছে বা অন্যান্য পাপ করেছে।মনে রাখবেন এ ছেলেটা এখন ধনী থাকলেও কোনদিন সে অভাবি হবেই।কারন তার পাপের প্রায়শ্চিত্ত ভোগ করতে হবে।আর একটা ছেলে দ্বীনদার হলে সে এখন গরীব হলেও ইনশাআল্লাহ কোন দিন সে সচ্ছল হবে।দ্বীনদ্বার ছেলে বা মেয়ের বিতরে অবশ্যই কল্যান আছেই।তাই দ্বীনদারিতাকে প্রাধান্য দিন।বাকি অন্যগুলো থাকলেতো ভালোই।

    আর ইস্তেখারা করুন ইস্তেখারা করে সিদ্বান্ত নিলে অবশ্যই কল্যানকর সিদ্বান্ত নিতে পারবেন ইনশাআল্লাহ। ইস্তেখারা করলে যদি ছেলে বা মেয়ের ভিতরে অকল্যান থাকে তাহলে আল্লাহ আপনাকে ওই ছেলে বা মেয়ে থেকে হিফাজত করবেন ইনশাআল্লাহ।
    ★ইস্তেখারা কি?
    ইস্তেখারা হলো আপনি যখন কোন কিছুর সীদ্বান্ত নিতে যাবেন।তখন সে সিদ্বান্তের ভিতরে কল্যান থাকলে আল্লাহ তা বাস্তবায়ন করার তাওফিক দিবেন নতুবা সেটা থেকে মন ঘুরিয়ে দিবেন বা কোন একটা ঘটনা ঘটিয়ে দিবেন যাতে সে সিদ্বান্ত বাস্তবায়ন না।যেমনঃ আপনি কোন মেয়েকে বিবাহ করবেন ব্যাহিক দৃষ্টিতে দেখা যায় মেয়েটা অনেক সুন্দরী গুনবতী। কিন্তু এ মেয়েকে বিবাহ করলে আপনার দ্বীনের ক্ষতি হবে বা সে পরকীয়া করবে অথবা তার কোন সন্তান হবেন না,অথবা আপনি তার যে রুপ দেখে বিয়ে করেছেন সেটা কয় দিন পর কোন কারনে নষ্টা হয়ে যাবে ইত্যাদি। আপনি যখন ইস্তেখারা করবেন তখন আল্লাহ আপনাকে এ মেয়ের অকল্যান থেকে হিফাজত করবেন।
    আপনি কোন ব্যবসা দিবেন কিন্তু এ ব্যবসা দিলে আপনার ক্ষতি হবে দ্বীনের অথবা দুনিয়াবি।আপনি যখন ইস্তেখারা করবেন তখন আল্লাহ আপনাকে ক্ষতি থেকে রক্ষা করবেন।ইনশাআল্লাহ
    ইস্তেখারা করে কোন কাজ করলে আপনি ইনশাআল্লাহ কল্যান লাভ করতে পারবেন।
    মনে রাখবেন হালাল হারামের ক্ষেত্রে ইস্তেখারা হয় না। মদ খাবেন কি খাবেন না বা নামায পড়লে ভালো হবে কি হবে না এসব ক্ষেত্রে ইস্তেখারা হয় না।


    ★ছাত্র জীবনে বিয়ের কথা কি কল্পনা করা যায়?
    অনেকে ছাত্র জীবনে বিয়ের কথা কল্পনাই করতে পারেন না।যদিও ডজনখানেক মেয়ের সাথে প্রেম করার কল্পনা দিবারাত করা যায়।আসলে বিবাহের আসল সময় হলো ছাত্র জিবন।এই জিবনে বিবাহ করলে তুমি পড়া লেখা সহ সব কাজ প্রশান্তিতে করতে পারবে।অনেক বেশি করতে পারবে। আল্লাহ তোমাকে সাহায্য করবে।কারন তুমি তার হাবীবে একটি সুন্নাহ আদায় করেছো। আল্লাহ বরকত দিবে সব কাজে।ছাত্রজিবন হলো জীবনের শুরু। এ জীবনে যদি প্রশান্তিতে কিছু করা না যায় তাহলে সারা জীবন অনুশোচনা করতে হবে।একদিন হয়ত তুমি বিয়ে করবে কিন্ত তোমার ভালো একটি ক্যারিয়ার থাকবে না।কারন তুমি গুনাহ করে সব নষ্ট করে ফেলেছো।
    অনেক মানুষ ছাত্র জিবনে বিবাহ করে অনেক বড় নেতা হতে পেরেছে, তাহলে তুমি কেন বিবাহকে ক্যারিয়ারের বাধা মনে করছো।
    একজন অমুসলিমও যদি রাসুলের সুন্নাহ অনুসরন করে সে দুনিয়াতে কল্যান লাভ করবে।যেমন একজন অমুসলিম যদি সকাল সকার ঘুম থেকে উঠে, মিসওয়াক করে,ঢিলা ব্যবহার করে,খতনা করে তাহলে অবশ্যই দুনিয়ায় কল্যান লাভ করবে।তবে আখিরাতে কিছু পাবে না।কিন্তু একজন মুসলিম পাবে।
    ★বিবাহহীন থাকা ইমান হারানোর কারন?
    অনেকে আশ্চর্য হবেন যে বিবাহ না করা কেমন করে ইমান হারানোর কারন হবে? আসলে ব্যাপারটা হলো শয়তান হঠাৎ করেই কোন মানুষকে দ্বীন থেকে দুরে সরানোর চেষ্টা করে না।বরং সে আস্তে আস্তে মানুষকে দিয়ে ছোট থেকে ছোট পাপের দিকে জড়ানোর চেষ্টা করে।পাপ যত ছোটই হোক না কেন সে চেষ্টা করে পাপে কিভাবে মানুষকে জড়ানো যায়।যখন মানুষ শয়তান ও নফসের ধোকায় পড়ে আস্তে আস্তে ছোট থেকে ছোট পাপ করতে শুরু করে তখন অন্তরে কালো দাগ পড়তে থাকে। একটা সময় কালো দাগ পড়তে পড়তে অন্তর পুরো কালো হয়ে যায়।ইমান খুব দুর্বল হয়ে পড়ে ফলে একটা সময় শিরকে জড়িয়ে পড়ে।যারা বিবাহ করে না তারা হস্তমৈথুন করতে থাকে। মনে করে এটা খুব ছোট পাপ। এটাতো আর যিনা না।এরপর অশ্লীল ছবি দেখতে থাকে।মেয়েদের সাথে সামান্য সামান্য কথা বলতে থাকে।একটা সময় প্রেম করতে থাকে।এবং হারাম সম্পর্কে জায়েজ মনে করে করতে থাকে।অথচ কোন হালালকে হারাম বললে বা হারামকে হালাল বললে তার ইমান চলে যায়।একটা সময় পছন্দের মেয়েকে রাজি করাতে না পারলে বিভিন্ন ভন্ড কবিরাজের কাছে গিয়ে আপোষের জন্য জাদু করে। যা পুরই শিরক। এভাবে ইমান থেকে দুরে চলে যায়।বর্তমানে কবিরাজদের কাছে সবচেয়ে বেশী যায় একারনে।কত কত ভালো ভালো ছেলে আছে যারা শুধু প্রেমের কারনেই ভন্ড কবিরাজের কাছে যায়।কারন নারীর ফেতনা এমন এক ভয়ংকর ফেতনা যেটার দ্বারা বড় বড় আলেম বুযুর্গরাও ধোকায় পড়ে গেছেন।পৃথিবীর ইতিহাসে ইহুদি খ্রীষ্টানরা মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য সবচেয়ে বেশী এই হাতিয়ার ব্যবহার করেছে।কারন এই হাতিয়ার বড় মারাত্মক। বর্তমানে মুসলমানরাই সেই ভয়ংকর হাতিয়ার দিয়ে নিজেরা নিজেদের ক্ষতি করছে।তারাই তাদের মেয়ে ছেলেদের এই ফেতনার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।তাই নিজেদের ঘর বাচান।

  • #2
    ভাই উক্ত কথাগুলো নিঃসন্দেহে সঠিক।
    কিন্তু ভাল মেয়ে পাওয়া মুশকিল।
    বি:দ্র: আমার ধারণা- স্কুল-কলেজের প্রায় ৮০% যেনা করে।
    ইদানিং কওমী মাদ্রাসার মেয়েদের মাঝে বেশ পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়
    যেমন: চারিত্রিক ও মানসিক দিক থেকে।

    বর্তমানে অন্তত ভাল মেয়ে পাওয়া মুশকিল ওই নয় বরং নাম উনকিন ভী হে।

    এটা শুধু মেয়ের ক্ষেত্রেই নয় ছেলের ক্ষেত্রেও।

    আমি না আমি।
    আমি না হয় কোন একজনাকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহন করে নিলাম!
    কিন্তু আমি কিভাবে একজন সন্তানকে আমার মত বাবা আর কোন রকম একজন মা দিতে পারি?

    --------------
    জিহাদ করতে হবে জিহাদ করতে হবে
    কিন্তু দল খোঁজে পাওয়া মুশকিল
    প্রস্তুতি নেওয়াও মুশকিল
    (যদিও আমরা কিছু সংখ্যক ভিন্ন কেননা আমরা কিছু হলেও জানি)

    এমনিভাবে বিয়ে করতে হবে বিয়ে করতে হবে
    কিন্তু উপযুক্ত মেয়ে পাওয়া মুশকিল



    আমাদের সমসাময়িক দ্বীনি কিছু ভাই বিয়ে করছে
    তাদের কারগুজারি শোনলে যে কেউ ভয় পাবে


    দোয়া চাই , যাতে একটা ভাল মেয়ে পাই আমার পোশাক বানানোর জন্য।
    আরও দোয়া চাই, যেন আমিও তাঁর জন্য ভাল পোশাক হয়ে উঠতে পারি।

    ভাল স্ত্রী পাওয়ার জন্য দোয়া করা কিন্তু মুত্তাক্বী হওয়ার আলামত!
    হে পরাক্রমশালী শক্তিধর! কৃপণতা আর কাপুরুষতা থেকে আশ্রয় চাই সর্বক্ষণ।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ, সময়োপযোগী পোস্ট। আল্লাহ অবিবাহিত ভাইদেরকে দ্রুত বিয়ে করে নেওয়ার তাওফিক দিন ও বিবাহিতদেরও সামর্থ থাকলে আরো একাধিক বিয়ের তাওফিক দিন।
      তবে ভাই খুব ভাল একটি বিষয়ে লেখাও বানান ভুলের কারণে পাঠকরা পড়তে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। তাই আপনার সচেতনতা কামনা করছি। জাযাকাল্লাহু খাইরান।
      ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

      Comment


      • #4
        আর আফ্রিদি ভাইজানের উদ্দেশ্যে বলবো, নিচের আয়াতটি নিয়ে গভীরভাবে ভাবুন-

        الْخَبِيثَاتُ لِلْخَبِيثِينَ وَالْخَبِيثُونَ لِلْخَبِيثَاتِ وَالطَّيِّبَاتُ لِلطَّيِّبِينَ وَالطَّيِّبُونَ لِلطَّيِّبَاتِ أُولَٰئِكَ مُبَرَّءُونَ مِمَّا يَقُولُونَ لَهُم مَّغْفِرَةٌ وَرِزْقٌ كَرِيمٌ ﴿النور: ٢٦
        দুশ্চরিত্রা নারীকূল দুশ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং দুশ্চরিত্র পুরুষকুল দুশ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। সচ্চরিত্রা নারীকুল সচ্চরিত্র পুরুষকুলের জন্যে এবং সচ্চরিত্র পুরুষকুল সচ্চরিত্রা নারীকুলের জন্যে। তাদের সম্পর্কে লোকে যা বলে, তার সাথে তারা সম্পর্কহীন। তাদের জন্যে আছে ক্ষমা ও সম্মানজনক জীবিকা। (সূরা নূর (২৪): ২৬)

        তাই নিরাশ হবেন না ভাই...আশা করি আমি/আপনি ভাল হলে আল্লাহ আমাদের জন্য কোন ভাল মেয়ের ব্যবস্থা অবশ্যই করে দিবেন, ইনশাআল্লাহ।
        وَمَا ذَٰلِكَ عَلَى اللَّهِ بِعَزِيزٍ
        এটা আল্লাহর পক্ষে কঠিন নয়।
        দু‘আ চাই ভাইজান।
        ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

        Comment


        • #5
          প্রিয় ভাই এক্সিডেন্ট হতে পারে এই চিন্তা করে কেউ গাড়িতে উঠে না। বরং ইমানদ্বাররা আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করেই উঠে।

          Comment


          • #6
            মাশা-আল্লাহ, জাযাকাল্লাহ।
            অনেক অনেক ভালো লাগলো পোস্টটি পড়ে। সময়োপযোগী অনেক সুন্দর পোস্ট করেছেন।
            আল্লাহ তায়ালা ভাইয়ের কলমের মধ্যে বরকত দান করুন। আমিন।
            এবং আল্লাহ তায়ালা যেন আমাদের জন্য নেককার স্ত্রীর ব্যবস্থা করে দেন। আমিন।

            Comment

            Working...
            X