Announcement

Collapse
No announcement yet.

পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বক্তব্য ও উলামায়ে কেরামের ইজমা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বক্তব্য ও উলামায়ে কেরামের ইজমা

    পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বক্তব্য ও উলামায়ে কেরামের ইজমা


    পাকিস্তানের শাসকদের ব্যাপারে আল্লামা ইউসুফ বিন্নুরী রহ. আজ থেকে ত্রিশবছর আগের বক্তব্য। যদি তিনি আজকের বর্তমান শাসকদের দেখতেন যারা নিজ দেশের নাগরিকদের উপর তথাকথিত ‘যরবে আযাব’ পরিচালনা কারী, যারা ইমারাতে ইসলামিয়্যাকে ধ্বংসের জন্য পূর্বেও আমেরিকাকে সাহায্য করেছে এখনও আমেরিকার সাথে মিলে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে, যারা ইসরাইলকে নগ্ন সমর্থন ও সহায়তাকরী ট্রাম্প যেন নোবেল পুরস্কার পায় সে জন্য নির্লজ্জ চাটুকারের মত লবিং করে যাচ্ছে, তাহলে কি বলতেন?

    جس بنيادي مقصد كا باربار اعلان كيا جاتاتھا كه اسلامي حكومت قائم ہوگي اور يوں عالمٍ اسلامي سے اتحاد ہوگا، اس كے لۓ حكمرانوں اور حكومتو ں نے كيا كيا؟ اپنے وعدوں كو كهاں تك پورا كيا؟ يهاں كون كون سے اسلامي قوانين جاري هوۓ؟ كفر والحاد كو كهاں تك ختم كيا گيا؟ اسلامي معاشرت قائم كرنے كے لۓ كيا كيا اقدام كۓ گۓ؟ ان تمام سوالات كا جواب حسرت ناك نفي مں ملے گ، آخر امتحان كا يه عبوري دور تھا، كون سي نعمت تھي جو حق تعالى نے نه دي هو؟ كون سي فرصت تھي جو نه ملي هو؟ ليكن واحسرتاه! كه ربع صدي سے زياده عرصه گزر گيا، مگر پاكستان كے مقصدِ وجود كا خواب شرمند‏ہ تعبير نه هوا، كون سا وعده پورا كيا گيا؟ كون سي اسلامي عدالت قائم هوئي؟ زاني اور شرابي كو كون سي سزادي گئي؟ بد اخلاقي كا كيا انسداد كيا گيا؟ ظلم، عدوان، رشوت ستاني، كنبه پروري، بے حيائي وعرياني، سودخوري وبدمعاشي كو ختم كرنے كے لۓ كون سا قدم اٹھايا گيا؟ بلكه اس كے برعكس يه هوا كه سودخوري، شراب نوشي، بد اخلاقي اور بے حيائي كي نه صرف حوصله افزائي كي گئي، بلكه سركاري ذرائع سے اس كي نشر واشاعت ميں كوئي كسر باقي نہيں اٹھا ركھي گئي، “بينات” كےصفحات ميں ان دردناك داستانوں كو باربار دهرايا گيا هے – (مجلة بينات، العدد : جمادى الأخرى 1437 ص 17)

    “পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার যে মূল লক্ষ্য-উদ্দেশ্য বারবার ঘোষণা করা হতো যে, ইসলামী হুকুমত কায়েম হবে আর এভাবেই ইসলামী বিশ্বের সাথে পাকিস্তানের ঐক্য হবে, এ লক্ষ্য পূরণে সরকার ও শাসকশ্রেণী কি কাজ করেছে? নিজেদের কৃত ওয়াদা কতটুকু পূর্ণ করেছে, এদেশে ইসলামের কোন কোন বিধান বাস্তবায়ন হয়েছে? কুফর ও ধর্মদ্রোহীতা কোন স্তর পর্যান্ত মেটানো হয়েছে? ইসলামী অর্থনীতি প্রতিষ্ঠা করার জন্য কি কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? এই সব প্রশ্নের উত্তর অত্যন্ত দুঃখজনক ও নেতিবাচক ভাবেই মিলবে। এটা তো পরীক্ষাস্বরুপ অন্তর্বর্তীকাল ছিল। আল্লাহ তায়ালা কোন নেয়ামত দিতে বাকী রেখেছিলেন? কোন সুযোগটা হাতছাড়া রয়ে গিয়েছিল?

    হায় আফসোস! পচিশ বছরেরও বেশি পেরিয়ে গেল, কিন্তু পাকিস্তান গঠনের স্বপ্ন পূরণ হল না।কোন ওয়াদাটা রক্ষা করা হয়েছে? কোথায় ইসলামী আদালত প্রতিষ্ঠিত হয়েছে? ব্যাভিচারী ও মদ্যপকে কি শাস্তি দেওয়া হয়েছে? অনৈতিকতা ও বদআখলাকী কতটুকু মেটানো হয়েছে? জুলুম-অত্যাচার, ঘুষখোরী-সুদখোরী, বেহায়াপনা-বেলেল্লাপনা ও জাতিয়তাবাদ দমন করার জন্য কি কি পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে? বরং এর বিপরীত সুদখোরী, মদপান, অনৈতিকতা ও বেহায়াপনার প্রতি শুধু উৎসাহিত করাই হয়নি, এরচেয়েও আগে বেড়ে সরকারী মাধ্যমগুলো ব্যবহার করে এগুলোর প্রচার-প্রসার করার সর্বাত্মক চেষ্টা করা হয়েছে!!! -বাইয়িনাত, সংখ্যা: জুমাদাল উখরা ১৪৩৭ পৃ: ১৭

    এবার ইউসুফ বিন্নুরী রহ. এর বিবরণ অনুযায়ী পাকিস্তানের হালত জানার পর এ ধরণের রাষ্ট্রের ব্যাপারে উলামায়ে কেরামের ইজমায়ী সিদ্ধান্তও জেনে নিন। মুহাদ্দিস আবুল আব্বাস কুরতুবী মালেকী রহিমাহুল্লাহ (মৃ: ৬৫৬ হি.) বলেন,
    قوله على المرء المسلم السَّمع والطاعة ظاهر في وجوب السمع والطّاعة للأئمة والأمراء والقضاة، ولا خلاف فيه إذا لم يأمر بمعصية، فإن أمر بمعصية فلا تجوز طاعته في تلك المعصية قولًا واحدًا، ثم إن كانت تلك المعصية كفرًا وَجَبَ خَلعُه على المسلمين كلهم، وكذلك لو ترك إقامة قاعدة من قواعد الدين كإقام الصلاة وصوم رمضان وإقامة الحدود ومَنَع من ذلك، وكذلك لو أباح شرب الخمر والزنا ولم يمنع منها لا يختلف في وجوب خَلعِهِ. (المفهم لما أشكل من تلخيص صحيح مسلم: 4/39 ط. دار ابن كثير: 1497)
    “রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী, “মুসলিমের উপর শ্রবণ ও আনুগত্য ওয়াজিব”, প্রমাণ করে, মুসলমানদের জন্য ইমাম, আমির ও কাযীর আনুগত্য করা ওয়াজিব, আর এ ব্যাপারে আলেমগণের মাঝে কোন দ্বিমতও নেই, যতক্ষণ না শাসক গুনাহের আদেশ করে। যদি শাসক গুনাহের আদেশ করে তাহলে সর্বসম্মতিক্রমে সে গুনাহের কাজে তার আনুগত্য করা জায়েয হবে না। এখন সেই গুনাহটা যদি কুফর হয়, তাহলে সকল মুসলমানের উপর ফরজ হলো, তাকে অপসারণ করা। এমনিভাবে সে যদি নামায, রমযানের রোযা, হুদুদ তথা দণ্ডবিধির মতো দ্বীনের মৌলিক কোন বিধান প্রতিষ্ঠা করা ছেড়ে দেয় এবং সেগুলো পালনে বাধা দেয়, তদ্রুপ সে যদি মদপান ও যিনাকে বৈধতা দান করে এবং সেগুলো থেকে বারণ না করে, তখনও তার অপসারণ ওয়াজিব হওয়ার ব্যাপারে কোন দ্বিমত নেই।” –আল-মুফহিম: ৪/৩৯
    নিয়মিত খবর পড়তে ভিজিট করুনঃ https://alfirdaws.org

  • #2
    পাকিস্তানের প্রখ্যাত মুফতী ওলী হাসান ঠুনকি রহ. মুফতী তাকী উসমানী সাহেবকে লক্ষ্য করে বলেন, “দেখুন, এই দেশ এখনো ইসলামি রাষ্ট্র হিসেবে নিজের অবস্থান পরিষ্কার করতে পারেনি। শুধু ঘোষণা দিয়ে ইসলামি রাষ্ট্র তৈরি হয় না। অন্তত আইনকানুনে এর সামান্য হলেও প্রয়োগ থাকতে হয়। আমার মতে, এই দেশ এখনো শরয়িভাবে ইসলামি হতে পারেনি।” দেখুন: মুফতী আব্দুস সালাম চাটগামী সাহেব রহ. এর ‘আত্মজীবনী’: পৃ: ১৪৬

    Comment

    Working...
    X