Announcement

Collapse
No announcement yet.

ভিক্টোরিয়াস ফোর্স: ইসলামি ইমারাহর সামরিক সক্ষমতার একটি দৃষ্টান্ত

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • ভিক্টোরিয়াস ফোর্স: ইসলামি ইমারাহর সামরিক সক্ষমতার একটি দৃষ্টান্ত

    ভিক্টোরিয়াস ফোর্স:
    ইসলামি ইমারাহর সামরিক সক্ষমতার একটি দৃষ্টান্ত


    মার্কিন নেতৃত্বাধীন জোটের সামরিক আগ্ৰাসন শুরু হওয়ার পর ইসলামি ইমারাহকে বহুবিধ প্রতিকূলতার মোকাবেলা করতে হয়েছে। প্রাদেশিক রাজধানীসমূহ থেকে ইসলামি ইমারাহর কৌশলগত পশ্চাদপসরণের ফলে অল্প সময়ের ব্যবধানে আফগানিস্তানের বিস্তীর্ণ অঞ্চল শত্রুদের দখলে চলে যায়। এক পর্যায়ে বুদ্ধিজীবী, বিশ্লেষক , গবেষক এবং বিদেশি ও তাদের তাঁবেদাররা ঘোষনা করলো, ইসলামি ইমারাহর কফিনে শেষ পেরেক ঠুকা হয়ে গেছে।

    ইসলামি ইমারাহর কৌশলগত পশ্চাদপসরণ ও শত্রুদের প্রাথমিক সফলতার পর একেবারে ধীর গতিতে প্রতিরোধ যুদ্ধ শুরু হয়। আফগানিস্তানের বীর সন্তানেরা সমাজের প্রতিটি স্তর থেকে মুজাহিদদের দলে যোগ দিতে শুরু করে।
    সেসময় যুদ্ধাস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জামের দিক থেকে মুজাহিদদের অবস্থা ছিল একেবারে সূচনীয়। সেসময় যুদ্ধ জয়ের কল্পনা করা ছিল সেরেফ বাতুলতা। আগ্ৰাসী বাহিনীর অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র ও বিমান বাহিনী ইত্যাদির বিপরীতে মুজাহিদদের হাতে সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য অস্ত্র যা ছিল তা হচ্ছে, সোভিয়েত আমলের স্বয়ংক্রিয় কিছু অস্ত্রশস্ত্র।

    সেসময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ছিল—প্রতিরোধ ও আত্মরক্ষা। সমর উপকরণ ছিল সীমিত। লোকবল ছিল হাতেগোনা। স্বাধীনতার জন্য ইসলামি ইমারাহর উঁচু পর্যায়ের নেতারা পর্যন্ত যুদ্ধের সামনের সারিতে থেকে জীবন বিলিয়ে দিয়েছেন।
    ইসলামি ইমারাহর যুদ্ধাস্ত্র ও সাজ-সরঞ্জাম যা ছিল তা তুলনামূলকভাবে না থাকারই নামান্তর। তবু তারা ধীরে চলার নীতিতে লড়াই অব্যাহত রেখে আগ্ৰাসী বাহিনীকে এমন শিক্ষা দিয়ে ছেড়েছেন, যা তারা কখনো ভুলতে পারবে না।
    ইসলামি ইমারাহর নেতৃস্থানীয়রা নিষ্ঠা, নজীরবিহীন ত্যাগ তিতিক্ষা ও রক্তের বিনিময়ে একদিকে বিশ্বের এক চরম অবাধ্য জাতিকে পদদলিত করেছেন, তাদেরকে পরাজয় মেনে নিয়ে নাকে ক্ষত দিয়ে বিদায় নিতে বাধ্য করেছেন; অপরদিকে ইসলামি ইমারাহ ব্যাপক সামরিক শক্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।

    সামরিক সক্ষমতার একটি দৃষ্টান্ত হচ্ছে ভিক্টোরিয়াস ফোর্স ( বিজয়ী সেনাদল)। ভিক্টোরিয়াস ফোর্স ইসলামি ইমারাহর একটি সেনাশাখা। প্রতিরোধ যুদ্ধের সূচনালগ্নে বাহিনীটিতে কোনো শৃঙ্খলা ছিল না। ছিল না নিয়মতান্ত্রিকতা। কিন্তু বর্তমানে এটি একটি সুশৃঙ্খল সেনাদল। এই বাহিনীর কাজ হচ্ছে, দেশি- বিদেশি শত্রুদের কবল থেকে সাধারণ আফগানদের জান-মাল ও ইজ্জত-আব্রু হেফাজত করা। ইসলামি ইমারাহর অন্যান্য বাহিনীর মধ্যে ভিক্টোরিয়াস ফোর্স হচ্ছে একটি উদাহরণ। এই বাহিনীর রয়েছে হালকা ও ভারি অত্যাধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, নাইট ভিশন সরঞ্জাম, সামরিক ঘুড়ি ও মিনি ড্রোন।
    সামরিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলা যায় যে, ভিক্টোরিয়াস ফোর্সের মতো দলগুলো জাতির ভবিষ্যৎ। তারা দেশের স্বাধীনতা ও অখণ্ডতা রক্ষা করছে এবং গণমানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে।
    ভিক্টোরিয়াস ফোর্সের দিকে তাকালে অনুমান করা যায় যে, ইসলামি ইমারাহ দেশ ও জাতির স্বার্থে এবং শান্তি, স্থিতিশীলতা ও ইসলামি সিস্টেম পুনঃপ্রতিষ্ঠায় একটি শক্তিশালী ও সক্ষম সেনাবাহিনী গঠনে জোর তৎপরতা চালাচ্ছে।

    ইসলামি ইমারাহর সেনা সদস্যদের আকিদা-বিশ্বাস, চিন্তা-চেতনা ও নীতি-নৈতিকতা শরীয়তের অনুগত এবং ইসলামি জ্ঞান দ্বারা সীঞ্চিত। ভিক্টোরিয়াস ফোর্সের মতো দলগুলো সর্বাবস্থায় দেশ ও জাতির পাশে থেকেছে। ভিক্টোরিয়াস ফোর্সসহ ইসলামি ইমারাহর প্রতিটি শাখা উঁচু নৈতিকতার প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত। তারা তাদের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক মূল্যবোধ সম্পর্কে সম্পূর্ণরূপে সচেতন। তারা কখনোই শত্রুদের খেলনাতে পরিণত হবে না। তারা সব সময় আফগানিস্তানের সুরক্ষায় কাজ করে যাবে।


    লেখক: জামাল ইব্রাহিম

    অনুবাদক: তারেক মুসান্না
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আলহামদুলিল্লাহ পড়ে ভালো লাগলো। আল্লাহ তা‘আলা অনুবাদক ও পোস্টকারী মিডিয়ার মেহনতসমূহ কবুল করুন ও উত্তম থেকে উত্তম জাযা দান করুন।
    সাহসিকতা আয়ু কমায় না আর কাপুরুষতা আয়ু বৃদ্ধি করে না। জিহাদের মাধ্যমেই উম্মাহ জীবন লাভ করে।

    Comment


    • #3
      মাশাআল্লাহ!

      অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের সকলের পড়া উচিত । আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন। এবং ভাইদের মেহনতকে কবুল করুন।
      গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

      Comment


      • #4
        Originally posted by Ibrahim Al Hindi View Post
        অনেক সুন্দর হয়েছে। আমাদের সকলের পড়া উচিত । আল্লাহ আমাদের তাউফিক দান করুন। এবং ভাইদের মেহনতকে কবুল করুন।
        আল্লাহুম্মা আমিন।

        Comment


        • #5
          আলহামদুলিল্লাহ,, [[[ আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ ]]] ভাইজান আল্লাহ আপনাদের কাজগুলো কবুল করে নিন আমীন। ভাইয়েরা,, আপনাদের মাধ্যমে ইসলামী ইমারাহ'র দায়িত্বশীল মুজাহিদ ভাইদের প্রতি আরজ।
          ১/ খুব দ্রুত একটি নিয়মতান্ত্রিক শক্তিশালী আর্মি গঠন করা।
          ২/ একটি অত্যাধুনিক সামরিক মুজাহিদ বাহিনী গঠন করা।
          ৩/ সীমান্ত পাহাড়া দেয়ার জন্য আধুনিক অস্ত্রের দ্বারা সজ্জিত একটি শক্তিশালী বাহিনী গঠন করা।
          ৪/ কয়েকটি গোয়েন্দা বাহিনী গঠন করা।
          ৫/ জনগণের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন কল্পে একটি শক্তিশালী গোয়েন্দা বাহিনী গঠন করা।
          ৬/ দ্রুত বিমান ও নৌবাহিনী গঠন করা।
          ৭/ খুব দ্রুত শক্তিশালী মেডিকেল টিম গঠন করা।
          ৮/ নিজেদের আয়ত্তেদিন নেটওয়ার্ক প্রযুক্তি অর্জন করা।
          ৯/ নিজেদের রেডিও স্টেশন তৈরি করা।
          ১০/ নিজেদের মিডিয়া সাপোর্ট তৈরি করা।
          ===============================
          [[ আল্লাহ আপনি মুজাহিদ ভাইদের সাহায্য করুন আমীন। আল্লাহ আপনি আমাদেরকেও আফগানের জিহাদসহ বিশ্বের সমস্ত মুজাহিদ ভাইদের পক্ষের শক্তি হিসেবে কবুল করুন আমীন।
          اللهم انی اسلک الهدی والتفی والعفافی والغناء

          Comment


          • #6
            আলহামদুলিল্লাহ,,আল্লাহু আকবার ওয়ালিল্লাহিল হামদ। ভাইজান, পোস্টটি পড়ে মনটা খুশিতে ভরে গেলো। আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের কাজগুলো কবুল করুন আমীন।
            [[[ একটি নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়মিত সামরিক বাহিনী গঠন করা সময়ের গুরুত্বপূর্ণ দাবী। এটি এমন একটি দাবী যা ছাড়া বিকল্প কিছু করার নেই। আল্লাহ ভাইদের সেই তাওফিকটুকু দান করুন আমীন। ]]]
            ১৫- ৪০,, একটি শক্তিশালী মুজাহিদ বাহিনী।
            ৪০- ৫০/৬০,, আরেকটি বাহিনী।
            ১৫ বছরের উপরে এবং ৪০ বছরের নীচে তারা হবেন নিয়নিত বাহিনীর অন্তর্ভুক্ত৷ আর বাকিরা অনিয়মিত। আর একটি শক্তিশালী কমান্ডো ফোর্স গঠন করা আরো গুরুত্বপূর্ণ। কমান্ডো ফোর্স যারা হবেন তারা আন্তর্জাতিক মানের হবেন, অর্থাৎ আন্তর্জাতিক জাতিক মানের কমান্ডো ফোর্স যেমন হয়।
            আমাদের জন্য অপরিহার্য হলো ভাইদের আর্থিকভাবে সাহায্য করে যাওয়া এবং আমাদের বাংলাদেশকে ইসলামী রাষ্ট্র বানানোর জন্য সব ধরনের চেষ্টা করে যাওয়া।
            والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

            Comment

            Working...
            X