মায়ের নামে সন্তানের পরিচয়"সমাজে যিনা-ব্যভিচার" বৈধতা দানের এক গভীর চক্রান্ত!
২৪ জানুয়ারি ২০২৩ ইং; সন্তানের অভিভাবক হিসেবে এখন থেকে শুধু মায়ের নাম লেখা যাবে; বিচারপতি নাইমা হায়দার ও বিচারপতি মো. খায়রুল আলমের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। রায়ের পর অ্যাডভোকেট আইনুন্নাহার সিদ্দিকা সাংবাদিকদের বলেন, ‘হাইকোর্ট রায়ে বলেছেন—পিতৃপরিচয়হীন সন্তান, যৌনকর্মীদের সন্তান যাদের বাবার পরিচয় নেই তারা শুধু মায়ের নাম দিয়েই ফরম পূরণ করতে পারবেন। হাইকোর্ট রায়ের পর্যবেক্ষণে বলেছেন, সংবিধান সবাইকে সমান অধিকার দিয়েছে, শুধু বাবার নাম না থাকলে একজন শিশু ফরম ফিলাপ করতে পারবে না, পাসপোর্ট পাবে না, এটা ঠিক না। এটা সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সংবিধানে সমতার কারণে বাবা অথবা মায়ের পরিচয় থাকলেই যেকোনো ফরম পূরণ বা রেজিস্ট্রেশন পূরণ করার অধিকার পাবে।
১২ অক্টোবর ২০২৫ থেকে প্রথমবারের মত ৯ মাস থেকে ১৫ বছর বয়সী ছেলে-মেয়েদের "টাইফয়েডের টিকা" দেওয়া শুরু হয়েছে। যাদের টিকা কার্ড নেই, তাদের নাম রেজিস্ট্রেশন ফরমে পিতার নাম রাখা হয়নি। পিতার নাম না রাখার কারণ জানতে চাইলে স্বাস্থ্যকর্মীর উত্তর ছিল "পিতার নাম দিলেও চলবে"! কোন রেজিস্ট্রেশন ফর্মে পিতার নাম না থাকা মানে কী? এর দ্বারা কী বোঝায়? নিশ্চয়ই যিনা-ব্যভিচারের বৈধতা দেওয়া অর্থাৎ বৈবাহিক এবং বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ককে সমঅধিকার নিশ্চিত করা যা নারীবাদী, lgbt,lgbtq জাতিসংঘ, মানবাধিকার এবং পশ্চিমাদের এজেন্ডা। এর মাধ্যমে জীব-জানোয়ারের প্রজনন ও মানুষের জম্মের কোন পার্থক্য থাকবে না। যেমন: পশু-পাখির বাচ্চাদের পিতাকে জানা সম্ভব নয়, তদ্রুপ একটি মানব সন্তানও তার জন্মদাতা পিতাকে চিনবে না। সুতরাং মায়ের নামে সন্তানের পরিচিত হওয়ার দ্বারা মানুষকে পশুর স্তরে নামিয়ে আনার একটি জঘন্য প্রয়াস। যেখানে মানুষ নিজকে পশুর চেয়ে উত্তম ভাবতে শিখবে না বরং নিজকে পশু ভাবাটাই হবে "সভ্যতা"!
অন্য এক ভাই বললেন-তার পরিচিত একজন দীর্ঘদিন ধরে বিবাহ ছাড়াই স্বামী-স্ত্রীর মত তারা জীবন কাটাচ্ছে! কী এক অদ্ভূত বিশ্বে আজ আমরা বাস করছি, যার "অসভ্যতাই" "সভ্যতা", "পাপাচারই সামাজিকতা"!
বর্তমান সময়ে'যিনা-ব্যভিচার'এত মারাত্মক আকার ধারণ করছে যে, প্রায় প্রতিটি ফ্লাট বাড়ী এক একটি যৌন কেন্দ্র। অভিজাত ফ্যামিলির ছেলে মেয়েরা এ সব অপকর্মকে কোনো অন্যায় মনে করছে না। তারা মনে করছে এটি তাদের তাদের ব্যক্তিগত ব্যাপার ও স্বাধীনতা। তারা উন্নত বিশ্বকে তাদের মডেল হিসেবে উপস্থাপন করছে। তারা বলে উন্নত বিশ্বের মেয়েরা রাস্তা-ঘাট, হোটেল, পার্ক সব জায়গায় যেভাবে যৌন ক্ষুধা মিটিয়ে ঘরে ফিরে, তারাও এমন সমাজ ব্যবস্থার পক্ষপাতি।
ব্যভিচার এমন এক ‘ফ্রি সার্ভিস’ চিত্তবিনোদনের সুন্দর উপায় যে, ব্যভিচারীকে বিবাহ করে ঘর-সংসার করতে বাধা দেয়। তাকে বিবাহে আগ্রহহীন ও নিঃস্পৃহ করে তোলে। বিনা খরচ ও পরম স্বাধীনতায় যদি কাম-চরিতার্থ করা সহজ হয় এবং স্বামীর কোনো প্রকার দায়িত্ব ঘাড়ে না নিয়েই যদি মনের মত ‘বউ’ পাওয়া যায়, তবে কে আর বিয়ে করবে? ব্রিটেনের প্রায় ৯০শতাংশ যুবক-যুবতী এই দায়-দায়িত্বহীন সম্পর্ককেই পছন্দ করে এবং বিবাহে জড়িয়ে পড়াকে বড্ড ঝামেলার কাজ মনে করে!(আল-ইফ্ফাহ পৃ. ১৯।)
ফলে ব্যভিচার সমাজে নিরাপত্তাহীনতা ডেকে আনে। ধর্ষণের ভয়ে কিশোরী-যুবতীর নিরাপত্তা থাকে না। এমন কি নিরাপত্তা থাকে না কোনো সুদর্শন কিশোরও! বাড়ির ভিতরে থেকেও মনের আতঙ্কে শান্তির ঘুম ঘুমাতে পায় না তারা। অনেকে ঐ শ্রেণীর হিংস্র নেকড়ের পাল্লায় পড়ে জীবন পর্যন্তও হারিয়ে বসে। মানসিক বিপর্যয় ঘটিয়েই ব্যভিচার বহু সমাজ-বিরোধী অপরাধী সৃষ্টি করে। বিশেষ করে পিতা-মাতার স্নেহ ও মায়া-মমতা থেকে বঞ্চিত জারজ সন্তানেরা মানসিক কঠোরতা ও সামাজিক ঘৃণার মাঝে বড় হতে থাকে এবং পরিশেষে অপরাধ জগৎকেই মনের মত জগত বলে নিজের জন্য বেছে নেয়। এ যেনা-ব্যভিচারের কারণেই আজ জানতে বা অজান্তেই সমাজে পয়দা হয় হাজারো জারজ সন্তান!
আজ এই জারজ সন্তান জন্মদানকে রাষ্ট্রীয়, সামাজিক এবং পারিবারিকভাবে বৈধতা দানের জন্যই দেওয়া হচ্ছে মাতৃ পরিচয়ে সন্তান পরিচিত হওয়ার সনদ! যার ফলে পরকিয়া, অবৈধ প্রেম-ভালবাসা, লিভটুগেদার এর মত জঘন্য ঘৃণিত পাপাচার ঘর থেকে ঘরে ছরিয়ে পড়ছে দক্ষিণা বাতাসের মতো। মানব ভূলে যাচ্ছে তার বংশ পরিচয়। ধাবিত হচ্ছে এক অন্ধকার পশুত্ব সমাজের প্রকোষ্ঠে! এমন এক ঘৃণিত 'পাপাচারকে' নারীদের সম্মান, মর্যাদা ও সমঅধিকারের রঙিন প্রতিক হিসেবে উপস্থাপন করে গলাধঃকরণ করা হচ্ছে যা নারীদের সম্মান, মর্যাদা এবং অধিকারের নয়, বরং নিক্ষেপ করবে ইতিহাসের আঁস্তাকুড়ের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে। যেখানে একজন নারী হারাবে স্বামীর উত্তরাধিকার! একজন সন্তান হারাবে পিতার উত্তরাধিকার। ভাই ও বোনের রক্তের সম্পর্কের থাকবেনা কোন বন্ধন। কখন যেন দেখতে হয়, একই পিতার সন্তান হবে স্বামী-স্ত্রীর(নাউযূবিল্লাহ)
হে মুসলিম তৈরি হও;
তরবারি ছাড়া এর নাহি সমাধান,
হয় করিবো খতম জাহিলীবাদ
না হয় শাহাদাত; না হয় শাহাদাত।।
দলিতে হবে আজি ভিন্ন মতবাদ
উর্দ্ধে ধরিয়া দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ
তবেই শান্তি, রবে সম্মান
তরবারি ছাড়া আর নাহি সমাধান।
তরবারি ছাড়া আর নাহি সমাধান।
তরবারি ছাড়া এর নাহি সমাধান,
হয় করিবো খতম জাহিলীবাদ
না হয় শাহাদাত; না হয় শাহাদাত।।
দলিতে হবে আজি ভিন্ন মতবাদ
উর্দ্ধে ধরিয়া দ্বীন ইসলাম জিন্দাবাদ
তবেই শান্তি, রবে সম্মান
তরবারি ছাড়া আর নাহি সমাধান।
তরবারি ছাড়া আর নাহি সমাধান।
হে আমাদের পালনকর্তা দয়াময় আল্লাহ, মুসলিম উম্মাহকে হিফাজত করুন। বরকতময় দাওয়াহ ও জিহাদের মাধ্যমে মুসলিম রাষ্ট্র, সমাজ থেকে সকল পাপাচার ও ব্যভিচার নির্মূল করার তাওফীক দান করুন এবং জিহাদ ও শাহাদাতের পথে অবিচল রাখুন -আমীন।
Comment