Announcement

Collapse
No announcement yet.

কাবুলের অবৈধ প্রশাসনের দেউলিয়াত্ব: জনসমর্থন হারিয়ে বেহাল দশা

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • কাবুলের অবৈধ প্রশাসনের দেউলিয়াত্ব: জনসমর্থন হারিয়ে বেহাল দশা

    কাবুলের অবৈধ প্রশাসনের দেউলিয়াত্ব:
    জনসমর্থন হারিয়ে বেহাল দশা


    সাম্প্রতিক সময়ে দেখা যাচ্ছে, কাবুল সরকারের অধীনে চাকুরিরত বিভিন্ন স্তরের সরকারী কর্মকর্তা বিশেষ করে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বিশাল অংশ সরকারের তাবেদারি ছেড়ে ইমারতে ইসলামিয়ার সাথে যোগ দিচ্ছে।
    নিজেদের অফিস, ক্যাম্প, সাথে থাকা সমস্ত যুদ্ধসামগ্রী ও যুদ্ধাস্ত্রসহ যাবতীয় আসবাবপত্র স্বহস্তে তুলে দিচ্ছে মুজাহিদদের হাতে। কাবুল প্রশাসনের মাঝে সামগ্রিক এই পরিবর্তন সাধারণ কোনো বিষয় নয়। বরং তা এই মহাসত্যের প্রমাণ বহন করে যে, পতনোন্মুখ এই গণতান্ত্রিক সিস্টেমকে রক্ষা করার মত শক্তি আশরাফ গনীর নেই। আর এই সত্য তার অধীনস্থ সেনারা হাড়ে হাড়ে উপলব্ধি করতে পারছে বলেই তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে ইমারাতে ইসলামিয়ার সাথে মিলিত হওয়াকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছে।

    বস্তুত কোনো সাধারণ সেনা চায় না অনর্থক নিজের জীবন নষ্ট করতে। বরং তারা নিজেদের জীবন কুরবান করে থাকে মহান কোনো আদর্শ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্যে। অথচ কাবুল সরকারের না সুনির্দিষ্ট কোনো লক্ষ্য আছে, আর না আছে কোনো মহান আদর্শ; যার জন্য আত্মোৎসর্গ করা যায়। তাহলে তার হুকুমের গোলামী করে একজন মানুষ কেন নিজের জীবন নষ্ট করবে??

    বাস্তবতা হলো, কাবুল প্রশাসনের জন্মই তো হয়েছে দখলদার শত্রুর আগমনের ওসিলায়। যার একমাত্র লক্ষ্যই হলো আফগানের ভূমিতে দখলদার শত্রুর উপনিবেশ স্থাপনে শক্তি জোগানো। আর এ কারণেই খোদ কাবুল প্রশাসনের বেতনভুক্ত কর্মকর্তাসহ আপামর জনগণ কাবুল প্রশাসনের সাহায্য ছেড়ে দলে দলে যোগ দিচ্ছে ইমারাতে ইসলামিয়ার পতাকা তলে।

    আফগান জনগণকে জাতিগত স্বার্থের আড়ালে নিজেদের অবৈধ স্বার্থসিদ্ধির জন্য যুদ্ধ করানোর লক্ষ্যে মিথ্যা স্লোগান ও ভুয়া প্রতিশ্রুতির বুলি আওড়িয়ে ধোঁকা দেওয়ার সময় এখন আর নেই। কাবুল সরকারের মন্ত্রীপরিষদ ও আর্গ প্যালেসের [১] অবৈধ দখলদারদের এটা ভালোভাবে জেনে রাখা উচিত।

    সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ এটাই প্রমাণ করে যে, বর্তমানে কাবুল সরকারের উপর না কারো আস্থা আছে আর না এর সুরক্ষার জন্য কেউ যুদ্ধ করতে প্রস্তুত!

    কাবুল বাহিনীর আত্মসমর্পণ ও ইমারাতে ইসলামিয়াতে যোগদান করার বিষয়টি প্রশংসিত হবার সবচেয়ে বড় কারণ হলো, এর মাধ্যমে দীর্ঘস্থায়ী যুদ্ধের অবসান ঘটে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ তৈরি হতে চলেছে এবং আফগান জাতি যে স্বপ্ন বুকে লালন করে দীর্ঘ ২০ বছর জিহাদ করেছে সে স্বপ্নের বাস্তবায়ন ত্বরান্বিত হচ্ছে, আলহামদুলিল্লাহ।

    সেই সাথে যারা এখনো নিজেদের বসানো পুতুল সরকারের মাধ্যমে আফগান যুদ্ধকে দীর্ঘস্থায়ী করার দিবাস্বপ্নে বিভোর, সেই সব ভিনদেশী শত্রুদের জন্যও আফগানিস্তানের আভ্যন্তরীণ অবস্থাকে ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে পরবর্তী সিন্ধান্ত গ্রহণ করা আবশ্যক। তাদের জানা থাকা উচিত, আফগান জাতি বহিরাগত দখলদারদের যেভাবে ঘৃণা করে ঠিক সেভাবেই তাদের চাপিয়ে দেওয়া এই প্রশাসনকেও তারা ঘৃণা করে। আর এ জন্যই তারা অনবরত ইমারাতে ইসলামিয়ায় অন্তর্ভুক্তির ঘোষণা দিয়ে যাচ্ছে।

    হতে পারে কাবুল সরকারের মন্ত্রীপরিষদ নিজেদের ব্যর্থতা আড়াল করতে বিভিন্ন যুক্তি দাঁড় করাবে। কিন্তু বাস্তবতা এটাই যে,আফগান জাতি এই চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছে যে, আফগানিস্তানে পুতুল সরকারের পরিবর্তে স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে। যে হুকুমত তাদের জাতীয় ও ধর্মীয় মূল্যবোধের প্রতিনিধিত্ব করার পাশাপাশি তাদের এই দীর্ঘ জিহাদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়ন ও সংরক্ষণে কাজ করবে।

    আফগানের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের এই ধারাকে ইমারাতে ইসলামিয়া দেশ ও জাতির জন্য একটি শুভ সময়ের সূচনা মনে করছে । আফগান জাতিকে তাঁরা এই সান্ত্বনা বাণী শোনাচ্ছে যে, ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আফগানিস্তানে স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ বিরাজ করবে। আফগানবাসীর কাছে আমরা আশাবাদী, আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছতে তাঁরা ঐক্যবদ্ধ হয়ে প্রত্যেকেই নিজ নিজ দায়িত্ব পালনে সচেষ্ট হবে।
    এই প্রত্যাশায়…

    টীকা:
    [১] আর্গ প্যালেস (ARG PALACE) হল আফগানিস্থানের রাষ্ট্রপতির বাসভবন

    অনুবাদক: আব্দুল্লাহ মুনতাসির
    আপনাদের নেক দোয়ায় আমাদের ভুলবেন না। ভিজিট করুন আমাদের ওয়েবসাইট: alfirdaws.org

  • #2
    আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়েরা,আমেরিকা চলে যাচ্ছে, ন্যাটো চলে যাচ্ছে, দেশীয় শত্রুরাও ভয়ে পালাচ্ছে, / আত্নসমর্পণ করছে। এ-ই সময়ে মুজাহিদ ভাইদের অনেক ছবরকারী হতে হবে। আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের ছবরের সাথে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার তাওফিক দান করুন আমীন। ভাইয়েরা, সাধারণ জনগণকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা আশাকরি আমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা, আইএসের মতো হত্যাকারী হবে না। আমাদের আশা হচ্ছে ভাইয়েরা, জনগণকে বুকে টেনে নিবেন।
    ভাইয়েরা,আমাদের জন্য এখন উচিত হলো মুজাহিদ ভাইদের পাশে থাকা। এখন আফগানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আমরা অর্থ দিয়ে ভাইদের পাশে থাকতে পারি।
    বিলাসিতা জিহাদের শুত্রু,শাইখ উসামা রাহ।

    Comment


    • #3
      আমিন ইয়া রাব্বাল আলামীন

      Comment


      • #4
        আল্লাহু আকবার ওয়া লিল্লাহিল হামদ!

        আফগানের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের এই ধারাকে ইমারাতে ইসলামিয়া দেশ ও জাতির জন্য একটি শুভ সময়ের সূচনা মনে করছে । আফগান জাতিকে তাঁরা এই সান্ত্বনা বাণী শোনাচ্ছে যে, ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আফগানিস্তানে স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ বিরাজ করবে।

        ইয়া আল্লাহ! স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠাকে ত্বরান্বিত করুন! মুজাহিদ ভাইদেরকে তাওফীক দান করুন!
        ইনশা আল্লাহ, স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হলে শান্তির সু-বাতাস চারিদিকে ছড়িয়ে পড়বে নিঃসন্দেহে।
        “ধৈর্যশীল সতর্ক ব্যক্তিরাই লড়াইয়ের জন্য উপযুক্ত।”-শাইখ উসামা বিন লাদেন রহ.

        Comment


        • #5
          লিল্লাহি তাকবীর- আল্লাহু আকবার, আল্লাহু আকাবার, আল্লাহু আকবার...ওয়া লিল্লাহিল হামদ।
          আফগানিস্তানে ক্রুসেডার আমেরিকার সবচেয়ে বড় বিমানঘাঁটি বাগরাম ঘাঁটি থেকে সেনা প্রত্যাহার করে চলে গিয়েছে।
          ‘যার গুনাহ অনেক বেশি তার সর্বোত্তম চিকিৎসা হল জিহাদ’-শাইখুল ইসলাম ইবনে তাইমিয়া রহ.

          Comment


          • #6
            Originally posted by Hamja Ibn Abdul muttalib View Post
            আসসালামু আলাইকুম, ভাইয়েরা,আমেরিকা চলে যাচ্ছে, ন্যাটো চলে যাচ্ছে, দেশীয় শত্রুরাও ভয়ে পালাচ্ছে, / আত্নসমর্পণ করছে। এ-ই সময়ে মুজাহিদ ভাইদের অনেক ছবরকারী হতে হবে। আল্লাহ মুজাহিদ ভাইদের ছবরের সাথে পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার তাওফিক দান করুন আমীন। ভাইয়েরা, সাধারণ জনগণকে হত্যা করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা আশাকরি আমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা, আইএসের মতো হত্যাকারী হবে না। আমাদের আশা হচ্ছে ভাইয়েরা, জনগণকে বুকে টেনে নিবেন।
            ভাইয়েরা,আমাদের জন্য এখন উচিত হলো মুজাহিদ ভাইদের পাশে থাকা। এখন আফগানে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন। আমরা অর্থ দিয়ে ভাইদের পাশে থাকতে পারি।
            ভাই আপনি সাধারণ জনগন বলতে কি বুঝাছেন?

            Comment


            • #7
              আফগানের অভ্যন্তরীণ পরিবর্তনের এই ধারাকে ইমারাতে ইসলামিয়া দেশ ও জাতির জন্য একটি শুভ সময়ের সূচনা মনে করছে । আফগান জাতিকে তাঁরা এই সান্ত্বনা বাণী শোনাচ্ছে যে, ইনশাআল্লাহ সেদিন বেশি দূরে নয়, যেদিন আফগানিস্তানে স্বতন্ত্র ইসলামী হুকুমত প্রতিষ্ঠিত হবে এবং দেশজুড়ে শান্তি ও নিরাপত্তার পরিবেশ বিরাজ করবে।
              গোপনে আল্লাহর অবাধ্যতা থেকে বেঁচে থাকার মধ্যেই রয়েছে প্রকৃত সফলতা ৷

              Comment


              • #8
                আল্লাহ তায়া-লা জালিমদের লাঞ্ছনার সাথে ধ্বংস করে দিন, আমিন।

                Comment

                Working...
                X