আল-কায়েদার মনোযোগ কী কাশ্মিরের দিকে?
সম্প্রতি প্রায় সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আল-কায়েদা উপমহাদেশের অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে কাশ্মির ও ভারতকে কেন্দ্র করে দুটি প্রকাশনা রিলিজ হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি বোঝা যায় যে ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর মনোযোগ এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইন্ডিয়ার দিকে। প্রথম প্রকাশনাটিতে আসামসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিমদের উপর চালানো নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। [১]
‘কাশ্মির হামারা হ্যায়’ নামের দ্বিতীয় ভিডিওটি মূলত কাশ্মির সংক্রান্ত, যা কাশ্মির থেকে হিজরত করা মীর মুহিব্বুল্লাহ নামের একজন মুজাহিদ এর একটি মজলিসে প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য সম্বলিত। উক্ত ভিডিওতে তিনি কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জুলুমের রক্তাক্ত ইতিহাস, পাকিস্তানী সরকার কর্তৃক কাশ্মিরের জিহাদি আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার ইতিহাস ও কাশ্মিরি জনগণ ও মুজাহিদদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। ভিডিওতে বক্তব্যরত অবস্থায় উনার সাথে আরও ৪ জন মুজাহিদকে দেখা গিয়েছে, যাদেরকে কাশ্মিরি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আল-কায়েদা যোদ্ধা মীর মুহিবুল্লাহ কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসন ও মুসলিমদের উপর মুশরিকদের নির্যাতনের কিছু মর্মান্তিক কাহিনী উল্লেখ করেন। মীর মুহিব্বুল্লাহ’র আলোচনা থেকে এটি তো স্পষ্ট হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অমানবিক অত্যাচার ও জুলুমের কারণেই কাশ্মিরের সাধারণ জনগণ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।
মুজাহিদ মীর মুহিব্বুল্লাহ ‘আইএসআই’ ও পাকিস্তানী সরকারী বাহিনীর ব্যাপারে অভিযোগ করেন যে, তারা কাশ্মিরের জিহাদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছিল। কাশ্মিরি জনগণের যে চাহিদা ছিল শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা ও ভারতের জুলুম থেকে মুক্তি, এটির প্রতি তাদের কোনই ভ্রূক্ষেপ ছিল না। তারা শুধু পাকিস্তানের সেক্যুলার স্বার্থের জন্য কাশ্মিরের জিহাদের ফসলকে ঘরে তুলছিল। পাকিস্তানিরা জিহাদি গ্রুপগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করত, এবং এখনো অনেক গ্রুপকেই নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণেই মীর মুহিব্বুল্লাহসহ আরও অসংখ্য কাশ্মিরি যোদ্ধা আল কায়েদাতে যোগদান করেছেন।
মীর মুহিব্বুল্লাহ আবারও কাশ্মিরি জনগণকে পাকিস্তানের এই চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান করেছেন। হয়তো কাশ্মিরের যোদ্ধাদের উপর থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ খুব দ্রুতই দুর্বল হয়ে যাবে।
পরিশেষে মীর মুহিব্বুল্লাহ কাশ্মিরের জিহাদ যেন সঠিক পথে থাকে, সে ব্যাপারে কাশ্মিরের জনগণ ও যোদ্ধাদের প্রতি নসিহাত প্রদান করেছেন। যুদ্ধে শরিয়াহ’র নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখেই অগ্রসর হওয়ার আহ্বান করেছেন সবার প্রতি।
আল-কায়েদা উপমহাদেশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও প্রকাশনাগুলো এই ইঙ্গিত বহন করে যে ভারত তাদের প্রধান টার্গেট। আফগানিস্তানে তালিবানের বিজয়ের পর এখন তারা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার ও বাহিনীগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। অচিরেই সর্বভারতে হিন্দুত্ববাদীরা আল কায়েদার আক্রমণের শিকার হবে। যার একটি ইঙ্গিত ২০১৭ সালে প্রকাশিত আল কায়েদা উপমহাদেশের আচরণবিধিতেও দেওয়া হয়েছিল।
—
১। یوں نہ بیٹھے ہوئے خالی ہاتھوں کو مل
AQS মুখপাত্রের নতুন ভিডিওতে শহিদ আসেম উমর রহিমাহুমুল্লাহ’র ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ https://alfirdaws.org/2021/10/10/53183/
সম্প্রতি প্রায় সপ্তাহ খানেকের ব্যবধানে আল-কায়েদা উপমহাদেশের অফিসিয়াল মিডিয়া থেকে কাশ্মির ও ভারতকে কেন্দ্র করে দুটি প্রকাশনা রিলিজ হয়েছে। এর মাধ্যমে এটি বোঝা যায় যে ‘আল-কায়েদা উপমহাদেশ’ এর মনোযোগ এখন উগ্র হিন্দুত্ববাদী ইন্ডিয়ার দিকে। প্রথম প্রকাশনাটিতে আসামসহ ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে মুসলিমদের উপর চালানো নিপীড়নের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ডাক দেওয়া হয়েছে। [১]
‘কাশ্মির হামারা হ্যায়’ নামের দ্বিতীয় ভিডিওটি মূলত কাশ্মির সংক্রান্ত, যা কাশ্মির থেকে হিজরত করা মীর মুহিব্বুল্লাহ নামের একজন মুজাহিদ এর একটি মজলিসে প্রদত্ত স্মৃতিচারণমূলক বক্তব্য সম্বলিত। উক্ত ভিডিওতে তিনি কাশ্মিরে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জুলুমের রক্তাক্ত ইতিহাস, পাকিস্তানী সরকার কর্তৃক কাশ্মিরের জিহাদি আন্দোলনকে নিয়ন্ত্রণ করার ইতিহাস ও কাশ্মিরি জনগণ ও মুজাহিদদের করণীয় সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোকপাত করেছেন। ভিডিওতে বক্তব্যরত অবস্থায় উনার সাথে আরও ৪ জন মুজাহিদকে দেখা গিয়েছে, যাদেরকে কাশ্মিরি বলেই ধারণা করা হচ্ছে।
আল-কায়েদা যোদ্ধা মীর মুহিবুল্লাহ কাশ্মীরে ভারতীয় বাহিনীর আগ্রাসন ও মুসলিমদের উপর মুশরিকদের নির্যাতনের কিছু মর্মান্তিক কাহিনী উল্লেখ করেন। মীর মুহিব্বুল্লাহ’র আলোচনা থেকে এটি তো স্পষ্ট হয় যে, ভারতীয় সেনাবাহিনীর এই অমানবিক অত্যাচার ও জুলুমের কারণেই কাশ্মিরের সাধারণ জনগণ হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছে।
মুজাহিদ মীর মুহিব্বুল্লাহ ‘আইএসআই’ ও পাকিস্তানী সরকারী বাহিনীর ব্যাপারে অভিযোগ করেন যে, তারা কাশ্মিরের জিহাদকে নিজেদের স্বার্থে ব্যবহার করছিল। কাশ্মিরি জনগণের যে চাহিদা ছিল শরিয়াহ প্রতিষ্ঠা ও ভারতের জুলুম থেকে মুক্তি, এটির প্রতি তাদের কোনই ভ্রূক্ষেপ ছিল না। তারা শুধু পাকিস্তানের সেক্যুলার স্বার্থের জন্য কাশ্মিরের জিহাদের ফসলকে ঘরে তুলছিল। পাকিস্তানিরা জিহাদি গ্রুপগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করত, এবং এখনো অনেক গ্রুপকেই নিয়ন্ত্রণ করে। এই কারণেই মীর মুহিব্বুল্লাহসহ আরও অসংখ্য কাশ্মিরি যোদ্ধা আল কায়েদাতে যোগদান করেছেন।
মীর মুহিব্বুল্লাহ আবারও কাশ্মিরি জনগণকে পাকিস্তানের এই চক্রান্ত থেকে সতর্ক থাকার আহ্বান করেছেন। হয়তো কাশ্মিরের যোদ্ধাদের উপর থেকে পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণ খুব দ্রুতই দুর্বল হয়ে যাবে।
পরিশেষে মীর মুহিব্বুল্লাহ কাশ্মিরের জিহাদ যেন সঠিক পথে থাকে, সে ব্যাপারে কাশ্মিরের জনগণ ও যোদ্ধাদের প্রতি নসিহাত প্রদান করেছেন। যুদ্ধে শরিয়াহ’র নীতিমালার প্রতি লক্ষ্য রেখেই অগ্রসর হওয়ার আহ্বান করেছেন সবার প্রতি।
আল-কায়েদা উপমহাদেশের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড ও প্রকাশনাগুলো এই ইঙ্গিত বহন করে যে ভারত তাদের প্রধান টার্গেট। আফগানিস্তানে তালিবানের বিজয়ের পর এখন তারা ভারতের উগ্র হিন্দুত্ববাদী সরকার ও বাহিনীগুলোর প্রতি দৃষ্টি দিয়েছে। অচিরেই সর্বভারতে হিন্দুত্ববাদীরা আল কায়েদার আক্রমণের শিকার হবে। যার একটি ইঙ্গিত ২০১৭ সালে প্রকাশিত আল কায়েদা উপমহাদেশের আচরণবিধিতেও দেওয়া হয়েছিল।
—
১। یوں نہ بیٹھے ہوئے خالی ہاتھوں کو مل
AQS মুখপাত্রের নতুন ভিডিওতে শহিদ আসেম উমর রহিমাহুমুল্লাহ’র ছবি ও বক্তব্য প্রকাশ https://alfirdaws.org/2021/10/10/53183/
Comment