Announcement

Collapse
No announcement yet.

উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার (প্রথম পর্ব) | পার্ট - ২

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার (প্রথম পর্ব) | পার্ট - ২

    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার
    (প্রথম পর্ব)​
    পার্ট - ২

    আস-সাহাব উপমহাদেশঃ উপমহাদেশে জিহাদি আন্দোলন একটা লম্বা সময় ধরে অব্যাহত আছে। আল-কায়েদা উপমহাদেশের দৃষ্টিতে উপমহাদেশের জিহাদি আন্দোলনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য কী?
    .
    উস্তাদ উসামা মাহমুদঃ আমাদের জামাআতের মৌলিক নীতি আপনাদের সামনে তুলে ধরছি, যাতে বোঝা যায় আমরা জামাআত হিসেবে উপমহাদেশের জিহাদি আন্দোলনকে কিভাবে দেখি। এই আন্দোলন পাকিস্তান, কাশ্মীর, ভারত এবং বাংলাদেশসহ পুরো উপমহাদেশকে ইসলামী উপমহাদেশে পরিবর্তন করার আন্দোলন; আর এটা ঐ বৈশ্বিক জিহাদি আন্দোলনের অংশ যা বৈশ্বিক স্তরে জায়নবাদী ক্রুসেডার, ধর্মনিরপেক্ষ সেক্যুলার, মুশরিক এবং ধর্মহীনদের জোটের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। একইসাথে আমাদের দৃষ্টিতে এই আন্দোলন ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের বরকতময় অভিযানের ধারাবাহিকতা।

    প্রকৃতপক্ষে, আমাদের জামাআত ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের সেনাবাহিনীর মধ্য থেকে এক বাহিনী। আমাদের কাছে সবচেয়ে প্রণিধানযোগ্য বিষয়গুলোর মাঝে একটি হলো ইসলামী ইমারত আফগানিস্তানের প্রতিরক্ষা এবং একে শক্তিশালী করা। আফগানিস্তানের ইসলামী ইমারতের পতাকাতলে আমাদের সাথিরা আলহামদুলিল্লাহ লড়াই করছে এবং আমরা পাকিস্তানের মুসলমানদেরকে, উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে সরাসরি দাওয়াত দেই যে, তাঁরা যেন এখানে আসে এবং ইমারতের পতাকাতলে আমেরিকান জোটের বিরুদ্ধে শরীয়ত প্রতিষ্ঠার এই বরকতময় জিহাদে অংশগ্রহণ করে। এরপর আফগানিস্তানের বাইরে উপমহাদেশের ভেতরেও ইসলামী ইমারতের শত্রুদের প্রতিরোধ করা এবং তাদের মোকাবেলায় জনসাধারণের স্তরে জিহাদি আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করাও এই উপমহাদেশ ভিত্তিক জিহাদি আন্দোলনের গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্য!

    দ্বিতীয়ত, বৈশ্বিক শয়তানদের লুটতরাজ এবং ফাসাদের রাস্তা উপমহাদেশে বন্ধ করা এবং তাদের জুলুম থেকে পাকিস্তান, কাশ্মীর, বাংলাদেশ, ভারত ও বার্মার মুসলমানদের প্রতিরক্ষা করা আমাদের এই আন্দোলনের লক্ষ্য!
    একইভাবে গুরুত্বপূর্ণ আরও একটি বড় উদ্দেশ্য হলো উপমহাদেশের মুসলমানদেরকে তাঁদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া, যেসব অধিকার তাঁদের থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। এই অধিকারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অধিকার আল্লাহ তাআলার দেওয়া উপহার পবিত্র শরীয়ত। অর্থাৎ এই জায়গার লোকেরা জাহিলিয়াতের অধীনে থাকতে যেন বাধ্য না হয়, বরং শরীয়তের ছায়াতলে যেন তাঁরা থাকতে পারে। একইভাবে আরেকটি অধিকার হলো স্বাধীনতা, মুসলমানদের জান, মাল ও ইজ্জতের প্রতিরক্ষা! উপমহাদেশের মুসলমানদের এই সব অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া আমরা জিহাদি আন্দোলনের লক্ষ্য মনে করি …!
    .
    আস-সাহাব উপমহাদেশঃ উপমহাদেশে চলমান এই জিহাদি আন্দোলনে আল-কায়েদা উপমহাদেশ কী ভূমিকা রেখেছে?
    .
    উস্তাদ উসামা মাহমুদঃ আমাদের জামাআত, জামাআত কায়েদাতুল জিহাদ উপমহাদেশ, যাকে সংক্ষেপে আল-কায়েদা উপমহাদেশও বলা হয়ে থাকে, তো আমাদের জামাআত উপমহাদেশের জিহাদি আন্দোলনের এক বড় দাঈ! আল্লাহর অনুগ্রহে আফগানিস্তান, পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং ভারতে এই জামাআত পুরোপুরি কার্যকর রয়েছে। আমাদের মুজাহিদ ভাইয়েরা দাওয়াত এবং কিতালের ময়দানে উপমহাদেশের জিহাদি আন্দোলনের লক্ষ্যকে সামনে রেখে অগ্রসর হচ্ছে। দুই ময়দানেই আল্লাহ সাহায্য করছেন; শাহাদাত, গ্রেফতারি এবং বাস্তুহারা হওয়া এসবের সম্মুখীন হতে হচ্ছে; কিন্তু আল্লাহর অনুগ্রহে কান্দাহার থেকে ইসলামাবাদ, ঢাকা এবং দিল্লি পর্যন্ত গাযওয়ায়ে হিন্দের বরকতময় দাওয়াতকে এই কাফেলা নিজেদের রক্ত দিয়ে রঙিন করে রেখেছে এবং আল্লাহর কাছে প্রত্যাশা যে এসব পরীক্ষা থেকে শুধু আমাদের জামাআত নয় বরং পুরো উপমহাদেশের জিহাদি আন্দোলন ইনশাআল্লাহ সফল ও শক্তিশালী হিসেবে দেখা দিবে।​

    চলবে...
Working...
X