Announcement

Collapse
No announcement yet.

উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার (দ্বিতীয় পর্ব) | পার্ট - ৩

Collapse
This is a sticky topic.
X
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার (দ্বিতীয় পর্ব) | পার্ট - ৩

    উস্তাদ উসামা মাহমুদ হাফিযাহুল্লাহ’র বিশেষ সাক্ষাৎকার | (দ্বিতীয় পর্ব)
    উপমহাদেশ ভিত্তিক জিহাদি আন্দোলন – প্রকৃত বাস্তবতা!
    পার্ট -


    আস-সাহাব উপমহাদেশঃ তাহলে কাশ্মীরে জিহাদের জন্য কি পাকিস্তানি সামরিক বাহিনীর প্রতি চেয়ে থাকা উচিত? পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী কি কাশ্মীরের সমস্যা সমাধান করতে পারবে?

    উস্তাদ উসামা মাহমুদঃ পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী সমাধান নয়, বরং এই সমস্যার কারণ। শরীয়তের শত্রু এবং বৈশ্বিক কুফরী শক্তির গোলাম এই সামরিক বাহিনী, এর অতীত এবং বর্তমান দেখার পরও এর দিকে চেয়ে থাকা নিজেকে ধোঁকা দেওয়া এবং বাস্তবতার সামনে চোখ বন্ধ করে রাখার শামিল। এটা সুস্পষ্ট যে, যেই সামরিক বাহিনী নিজেদের স্বার্থ দেখে অগ্রসর হয় এবং নিজেদের ক্ষুদ্রতর লোকসান অথবা বিশ্ব গুণ্ডাদের শুধু ইশারা দেখেই জয় করা এলাকা ছেড়ে পালিয়ে আসে। এই যাদের অবস্থা- তারা মাজলুমদের সাহায্যের জন্য কাফেরদের সামনে কি প্রতিরোধ করবে? এটা অসম্ভব … কিভাবে ২০০৩-২০০৪ সালে ভারতের চাপের মুখে এই সামরিক বাহিনী কাশ্মীরি মুজাহিদদের সন্ত্রাসী হিসেবে আখ্যা দিয়েছিল, কাশ্মীরি মুজাহিদদের মানসেহরা এবং মুজাফফরাবাদের ক্যাম্পে নজরবন্দী করে রাখে এবং কাশ্মীরি মুসলমানদের যুদ্ধের ময়দানের ভেতরে হিন্দুদের দয়া ও করুণার জন্য ছেড়ে দিয়ে আসে এবং এভাবে কাশ্মীর জিহাদের পিঠে ছুরি বসিয়ে দেয়, সেই সকল ঘটনা আমাদের সামনে আছে। আবার এটা কোনো প্রথম ঘটনাও নয়; ১৯৬৫, ১৯৭১ এবং কারগিলেও এই সামরিক বাহিনীর এই কৌশলই ছিল। বাস্তবতা এটাই যে, পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী বেতনভাতা, ফ্ল্যাট এবং ক্যারিয়ারের উন্নতির জন্য লড়াই করে। স্বার্থপরতা এবং বাহ্যিক ফায়দার নাম হলো সামরিক বাহিনীর চাকুরি। এই সামরিক বাহিনীই আমেরিকান ডলারের বিনিময়ে উম্মতের মুজাহিদদের এবং নিজ মুসলিম জনসাধারণের রক্ত ঝরিয়ে যাচ্ছে। যে কাবায়েল (উপজাতীয় অঞ্চলের গোত্রসমূহ) হিন্দুদের থেকে কাশ্মীর নিয়ে পাকিস্তানের হাতে সোপর্দ করেছিল, সেই কাবায়েলের উপর আমেরিকার দাসত্ব চাপিয়ে দিতে গিয়ে আগুন ও বারুদের বৃষ্টি বর্ষণ করে এই পাক বাহিনী। আজ তাদের নীতিতে ভারত, আমেরিকা, ইসরায়েল অথবা কোনো কাফের রাষ্ট্র এই বাহিনীর শত্রু নয়, বরং জিহাদের ফরয আদায়কারী দীনের অনুসারীদেরকে এই বাহিনী শত্রু মনে করে। সুতরাং যে সামরিক বাহিনীর কাছে না মসজিদ মাদরাসা হেফাযত থাকে আর না মুসলমানদের বসতবাড়ি হেফাযত থাকে, এমন সামরিক বাহিনী কিভাবে হিন্দুদের মোকাবেলা করতে পারবে?

    আমাদের অবস্থান হলো জিহাদি আন্দোলনকে এই তাগুতদের নিয়ন্ত্রণ থেকে মুক্ত করা ছাড়া জিহাদ কখনও সফল হতে পারবে না। যদি আজ ইসলামী ইমারত আফগানিস্তান থেকে শুরু করে ইয়েমেন ও সোমালিয়া এবং মালি ও আলজেরিয়া পর্যন্ত জিহাদি আন্দোলনের সফল হচ্ছে, যেখানেই সব প্রতিবন্ধকতার পরও আল্লাহ মুজাহিদদের বিজয় দিচ্ছেন এবং জিহাদি আন্দোলন গন্তব্যের দিকে অগ্রসর হচ্ছে, তো এর একটা বড় কারণ হলো তাগুতী সামরিক বাহিনীর প্রভাব থেকে নিজেকে মুক্ত করা।

    আস-সাহাব উপমহাদেশঃ আমাদের পরিসরের কেউ কেউ আজও কাশ্মীরের ব্যাপারে জাতিসংঘের কাছে আশা রাখে, আপনার দৃষ্টিতে জাতিসংঘ কি কাশ্মীরের সমস্যার সমাধান করতে পারবে?

    উস্তাদ উসামা মাহমুদঃ দেখুন, জাতিসংঘ জালেম, বলপ্রয়োগকারী এবং কাফেরদের বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নাম, এর ইতিহাস ইসলাম এবং আহলে ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধে পরিপূর্ণ। জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের উপর ইসরায়েলের দখলদারিত্বের ব্যাপারে সম্মতি আছে, ইরাক ও আফগানিস্তানে যুদ্ধে আমেরিকার প্রতি সাহায্য আছে। কাশ্মীর থেকে ফিলিস্তিন ও সিরিয়া পর্যন্ত মুসলমানদের রক্ত ঝরানোর জন্য জালেমদের প্রতি সাহায্য আছে। এর ইতিহাসে কোথাও এমন একটি দৃষ্টান্ত পাওয়া যাবে না, যেখানে কাফের ও জালেমদের মোকাবেলায় মুসলমানদের ইসলামী অধিকার দেওয়া হয়েছে।[1] জাতিসংঘ হলো অপরাধী ও জালেমদের এমন এক জোট, যেখানে শক্তি ও জুলুমের ভিত্তিতে প্রত্যেককে ক্ষমতা দেওয়া হয়। ভেটো দেওয়ার অধিকার সম্পন্ন পাঁচ শক্তি, পাঁচ স্বৈরাচারের এখানে সর্বোচ্চ কর্তৃত্ব। এদের প্রত্যেকের নিজ দখলে নিজের কাশ্মীর আছে এবং প্রত্যেকের হাত মুসলমানদের রক্তে রঙিন। রাশিয়া চেচনিয়ার উপর চেপে আছে, চেচেন মুসলমানদের উপর অত্যাচারের এক লম্বা ইতিহাস আছে এই রাশিয়ার। চীন ইসলামী তুর্কিস্তানের উপর চেপে আছে, এখানকার মুসলমানরা চীন থেকে স্বাধীনতা চায়। ইসলামী তুর্কিস্তানের মুসলমানদের উপর চীন পর্বতসম অত্যাচার করে যাচ্ছে। এই বছরের রিপোর্ট অনুযায়ী তুর্কিস্তানি মুসলমানরা ইসলামী নাম রাখতে পারবে না, নেকাবের উপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, দাঁড়ি রাখা নিষিদ্ধ, রমযান মাসে রোযা রাখা পর্যন্ত নিষিদ্ধ। একইভাবে ফ্রান্সের অত্যাচারের কারণে ইসলামি মাগরেব অঞ্চলে ও আফ্রিকায় মুসলমানদের রক্ত ঝরছে। আজ এই কারণেই সব অপরাধী মিলে আফগানিস্তান থেকে সিরিয়া ও ইয়েমেন পর্যন্ত মুসলমানদের রক্ত প্রবাহিত করছে। সুতরাং যদি জাতিসংঘকে নাক গলানোর সুযোগ দেওয়া হয়, তাহলে এ থেকে এটাই আশা করা যেতে পারে যে, কাশ্মীরের মাটি হিন্দুদের সাথে সাথে এই বৈশ্বিক অপরাধীদেরও পাশবিকতার বিচরণক্ষেত্রে পরিণত হবে।​


    চলবে...

  • #2
    উস্তাদ উসামা মাহমুদঃ দেখুন, জাতিসংঘ জালেম, বলপ্রয়োগকারী এবং কাফেরদের বৈশ্বিক শাসনব্যবস্থার নাম, এর ইতিহাস ইসলাম এবং আহলে ইসলামের বিরুদ্ধে অপরাধে পরিপূর্ণ।
    জাযাকুমুল্লাহু খাইরান! এটাই বাস্তব কথা। জাতিসংঘ (কুফরিসংঘ) কখনো ইসলাম ও মুসলমানদের স্বার্থে কাজ করেনি এবং কখনো করবেওনা, আর এর জন্য গঠিতও হয়নি।

    Comment

    Working...
    X