আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে কটূক্তিকারী নাস্তিক শাহজাহান বাচ্চু হত্যায় জামা‘আতুল মুজাহিদীন এর দায় স্বীকার।
PDF DOWNLOAD LINKS
অনলাইনে পড়ুন
আল্লাহ তা‘আলা, রসূল (সঃ), কুরআন ও মুসলিমদের নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক ও বিশাখা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যায় জাম‘আতুল মুজাহিদীন এর দায় স্বীকার
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
ইন্নাল হামদালিল্লাহি ওয়াহদাহ্। ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসূলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলার অশেষ অনুগ্রহে জামা’আতুল মুজাহিদীন এর বাংলাদেশ শাখার বীর মুজাহিদীনের একটি ক্ষুদ্র ইউনিট এক বরকতময় অভিযানের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন ও মুসলিমদের নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক ও বিশাখা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করতে সক্ষম হন। শাহজাহান বাচ্চু নামের এই জাহান্নামের কীট দীর্ঘদিন যাবৎ অনলাইনে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে কটূক্তিকরার মাধ্যমে মু’মিনদের অন্তরগুলোকে ক্ষত–বিক্ষত করে আসছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় গত ১১ ই জুন ২০১৮ পবিত্র রমজান মাসে আমাদের মুজাহিদীনের চার সিংহ শাহজাহান বাচ্চুর সকল শয়তানীর পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। জামা‘আতুল মুজাহিদীনের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করা হয়। শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকান্ডের সকল দায়ভার জামা’আতুল মুজাহিদীন গ্রহণ করছে। আমরা আশাকরি, শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সকল মু’মিনদের অন্তর প্রশান্ত হয়েছে।
প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য এমন আল্লাহদ্রোহী নাস্তিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যারা এমন কিটদের জঞ্জাল থেকে আল্লাহ ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বতে এ জমিনকে পবিত্র করেছেন তাদের পক্ষ অবলম্বন করা, তাদের জন্য দু‘আ করা। শাহজাহান বাচ্চুর মত ইসলাম ও মুসলিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের হত্যাকান্ডের বিরোধিতা যারা করবে, তাদের স্মরণ করা উচিত মহান রবের সামনে দন্ডায়মান হয়ে জিজ্ঞাসিত হওয়া সম্পর্কে, তার পরকালীন ও দুনিয়াবি আজাব সম্পর্কে। কেউ যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী, মানবতার পক্ষাবলম্বনকারী, ভূপৃষ্ঠকে পবিত্রকারী আল্লাহর সৈনিকদের বিপক্ষে অবস্থান নাও, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হও, এটা তোমাদের জন্য ধ্বংসাত্বক কারণ এটা শয়তানে পথ। আল্লাহর সৈনিকেরা নগদ পাওনা চুকিয়ে দিতে সদা তৎপর ইনশাআল্লাহ। আর যাদেরকে বিপক্ষ হিসেবে নিয়েছ তারা সফলকাম, তারা শহীদ, কারণ তারা আল্লাহর পথে রয়েছে। তাই বিবেচনা শক্তিকে প্রয়োগ করো নির্ধারিত সময় আসার আগেই।
আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, আমাদের এক বীর মুজাহিদ ভাই আব্দুর রহমান (রহি.) কে ত্বগুতগোষ্ঠী অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। আব্দুর রহমান (রহি.) ভাইকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। হে ত্বগুতগোষ্ঠী তোমরা জেনে রেখ, তোমরা মুজাহিদীনের বুকে গুলি ছুড়ছো, তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করছো, এটা অচিরেই তোমাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। জেনে রেখ, এই ভূমি মুসলিম–মুজাহিদীনের রক্তে উর্বর হচ্ছে। তোমাদের সীমালঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাংলার মুসলিমদের থেকে মুজাহিদীনের এমন এক দল প্রস্তুত হচ্ছে যাদের তোমরা কিছুই করতে পারবে না, তোমাদের দমননীতি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে ইনশাআল্লাহ। আর তোমরা তোমাদের অন্যায় থেকে বিরত না হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে *উভয় জগতে তোমাদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ শাস্তির অপেক্ষা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্যে পরিণত হবে।
আমরা ঐ সকল নাস্তিক মুরতাদদের প্রতি এই বার্তা দিচ্ছি যে, যারা এখনোও অনলাইন–আফলাইনে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে কটূক্তি করার মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছ অথবা নানা ইসলামবিরোধী কাজে সক্রিয় রয়েছ, তোমরা অনতিবিলম্বে এমন ঘৃণ্য কাজকর্ম থেকে বিরত হও, নয়তো তোমাদের পরিণতি শাহজাহান বাচ্চুর মতই হবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান করছি, ত্বগুত এবং তাদের দোসরদের বিভ্রান্তি মূলক প্রচারণায় ধোঁকায় না পরতে। সত্যের পক্ষালম্বন পূর্বক মুজাহিদীনের সাহায্যে এগিয়ে আসতে। আর নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে। হে আল্লাহ এই জমিনে আপনার সৈনিকদের শক্তিশালী করুন। তাদেরকে মাঞ্জিলে মাকসাদে পৌছার তাওফীক দান করুন। আমীন। আর সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই।
যে কারণে শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করা হলো:
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللَّهِ وَآَيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ (65) لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ إِنْ نَعْفُ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْكُمْ نُعَذِّبْ طَائِفَةً بِأَنَّهُمْ كَانُوا مُجْرِمِينَ
অর্থ : আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, অবশ্যই তারা বলবে, আমরা আলাপচারিতা ও খেল তামাশা করছিলাম। বল, আল্লাহ তার আয়াতসমূহ ও তার রসূলের সাথে তোমর বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ করো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কাফের হয়ে গেছো।” (সূরা তাওবাহ ৯ : ৬৫–৬৬)
উপরোক্ত আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, মুসলিম নামধারী কিছু মুনাফিক রসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীদের কটাক্ষ করার কারণে আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করে তাদেরকে কাফির ঘোষণা দিয়েছেন। (তাফসীর ইবনে কাসীর, তাফসীরে ইবনে আবী হাতেম, উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে দ্রষ্টব্য)।
যারা আল্লাহ তা’আলা, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে কটাক্ষ করবে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড । এতদসংক্রান্ত অসংখ্য দলীল প্রমাণের মধ্য হতে আমরা মাত্র কয়েকটি দলীল উপস্থাপন করছি।
কাব ইবনে আশরাফকে হত্যা করা: সে রসূলুল্লাহ (স.) কে নিয়ে কুৎসা রটনা করতো ও রসূলুল্লাহ (সা.) কে কষ্ট দিতো।
عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الْاَشْرَفِ فَقَالَ مُحَمَّدُبْنُ مَسْلَمَةَ اَتُحِبُّ اَنْ اَقْتُلَهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَأَذَنْ لِيْ فَاَقُوْلَ قَالَ قَدْ فَعَلْتُ
অর্থ : জারিব (রা.) সূত্রে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কা’ব ইবন আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে? তখন মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা.) বললেন, ‘আপনি কি এ পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি? রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন হ্যাঁ। মুহাম্মদ ইবন মাসলাম (রা.) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলি।’ তিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি প্রদান করলাম।’ (সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ, ইফাবা. হা: ২৮২০, ২৮১৯)
ইয়াহুদী আবু রাফেকে হত্যা করা: সে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিত এবং রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে লোকদের সাহায্য করত।
عَنِ الْبَرَاءِبْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ بَعَثَ رَسُوُلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم، رَهْطًا مِنَ الْاَنْصَارِ اِلٰي اَبِيْ رَافِعٍ فَدَ خَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللّٰهِ بْنُ عَتِيْكٍ بَيْتَهُ لَيْلاً فَقَتَلَهُ وَهُوَ نَا ئِمٌ
অর্থ: বারা ইবন আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারীগণের একদলকে আবূ রাফে ইয়াহুদীর নিকট প্রেরণ করেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আতীক (রা.) রাত্রীকালে তার ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ, ইফাবা. হা: ২৮১৩, ২৮১৪)
ইবনে খাতালকে হত্যা করা: সে প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেছিল পরে আবার মুরতাদ হয়ে যায়। সে তার দু’টি গায়িকার মাধ্যমে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলিমদের নিয়ে কুৎসা জনিত গান শুনাতো।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلٰى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ، فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ. فَقَالَ “ اُقْتُلْهُ
অর্থ : আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথার লোহার টুপি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সবেমাত্র টুপি খুলেছেন এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইবন খাতাল কা‘বার গিলাফ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন (ঐ অবস্থায়ই) তাকে হত্যা করো। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, ইফাবা. হা: ৩৯৫৭)
নাস্তিক শাহজাহান বাচ্চু তার পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের রব আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর শানে কটূ্ক্তি করে। তাই জামা‘আতুল মুজাহিদীন তার এই অপরাধের জন্য শাস্তিসরূপ তাকে হত্যা করে।
নিচে নাস্তিক শাহজাহান বাচ্চুর অপরাধগুলো তুলে ধরা হলো:
১। অপরাধ-১: শয়তান কে আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম বলার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিম দের অবমাননা করা, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবী করা। আল্লাহ’র নাম বিকৃত করা।
২। অপরাধ–২; রাসূল (সা) এর শানে বেয়াদবী । রাসূল (সা) কে মূর্খ বলা।(নাউজুবিল্লাহ), রাসূলুল্লাহ (সা) কে গোপাল ভাড়ের সাথে তুলনা !!! !! উম্মুল মু’মেনীন খাদিজা (রা) কে জড়িয়ে কদর্য মন্তব্য!!
৩। অপরাধ–৩:কুর’আন নিয়ে বাজে মন্তব্য। মুসলিমদের বেশ্যার চেয়েও নিকৃষ্ট বলে অভিহিত করা।
PDF DOWNLOAD LINKS
অনলাইনে পড়ুন
আল্লাহ তা‘আলা, রসূল (সঃ), কুরআন ও মুসলিমদের নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক ও বিশাখা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চু হত্যায় জাম‘আতুল মুজাহিদীন এর দায় স্বীকার
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম
ইন্নাল হামদালিল্লাহি ওয়াহদাহ্। ওয়াস সলাতু ওয়াস সালামু আলা রসূলিল্লাহ। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তা‘আলার অশেষ অনুগ্রহে জামা’আতুল মুজাহিদীন এর বাংলাদেশ শাখার বীর মুজাহিদীনের একটি ক্ষুদ্র ইউনিট এক বরকতময় অভিযানের মাধ্যমে আল্লাহ তা‘আলা, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, কুরআন ও মুসলিমদের নিয়ে কটূক্তিকারী নাস্তিক ও বিশাখা প্রকাশনীর প্রকাশক শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করতে সক্ষম হন। শাহজাহান বাচ্চু নামের এই জাহান্নামের কীট দীর্ঘদিন যাবৎ অনলাইনে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে কটূক্তিকরার মাধ্যমে মু’মিনদের অন্তরগুলোকে ক্ষত–বিক্ষত করে আসছিল। আল্লাহর ইচ্ছায় গত ১১ ই জুন ২০১৮ পবিত্র রমজান মাসে আমাদের মুজাহিদীনের চার সিংহ শাহজাহান বাচ্চুর সকল শয়তানীর পরিসমাপ্তি ঘটিয়েছেন। জামা‘আতুল মুজাহিদীনের সাংগঠনিক সিদ্ধান্তেই শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করা হয়। শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকান্ডের সকল দায়ভার জামা’আতুল মুজাহিদীন গ্রহণ করছে। আমরা আশাকরি, শাহজাহান বাচ্চু হত্যাকান্ডের মাধ্যমে সকল মু’মিনদের অন্তর প্রশান্ত হয়েছে।
প্রত্যেক মুসলিমের কর্তব্য এমন আল্লাহদ্রোহী নাস্তিকের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে যারা এমন কিটদের জঞ্জাল থেকে আল্লাহ ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের মহব্বতে এ জমিনকে পবিত্র করেছেন তাদের পক্ষ অবলম্বন করা, তাদের জন্য দু‘আ করা। শাহজাহান বাচ্চুর মত ইসলাম ও মুসলিদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের হত্যাকান্ডের বিরোধিতা যারা করবে, তাদের স্মরণ করা উচিত মহান রবের সামনে দন্ডায়মান হয়ে জিজ্ঞাসিত হওয়া সম্পর্কে, তার পরকালীন ও দুনিয়াবি আজাব সম্পর্কে। কেউ যদি আইন শৃঙ্খলা রক্ষার নামে নাস্তিকদের পক্ষ অবলম্বন করে, ইনসাফ প্রতিষ্ঠাকারী, মানবতার পক্ষাবলম্বনকারী, ভূপৃষ্ঠকে পবিত্রকারী আল্লাহর সৈনিকদের বিপক্ষে অবস্থান নাও, তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত হও, এটা তোমাদের জন্য ধ্বংসাত্বক কারণ এটা শয়তানে পথ। আল্লাহর সৈনিকেরা নগদ পাওনা চুকিয়ে দিতে সদা তৎপর ইনশাআল্লাহ। আর যাদেরকে বিপক্ষ হিসেবে নিয়েছ তারা সফলকাম, তারা শহীদ, কারণ তারা আল্লাহর পথে রয়েছে। তাই বিবেচনা শক্তিকে প্রয়োগ করো নির্ধারিত সময় আসার আগেই।
আমরা ইতোমধ্যে জানতে পেরেছি, আমাদের এক বীর মুজাহিদ ভাই আব্দুর রহমান (রহি.) কে ত্বগুতগোষ্ঠী অন্যায়ভাবে হত্যা করেছে। আব্দুর রহমান (রহি.) ভাইকে আল্লাহ জান্নাতুল ফিরদাউস দান করুন। হে ত্বগুতগোষ্ঠী তোমরা জেনে রেখ, তোমরা মুজাহিদীনের বুকে গুলি ছুড়ছো, তাদের অন্যায়ভাবে হত্যা করছো, এটা অচিরেই তোমাদের জন্য বুমেরাং হয়ে দাঁড়াবে। জেনে রেখ, এই ভূমি মুসলিম–মুজাহিদীনের রক্তে উর্বর হচ্ছে। তোমাদের সীমালঙ্ঘনের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে বাংলার মুসলিমদের থেকে মুজাহিদীনের এমন এক দল প্রস্তুত হচ্ছে যাদের তোমরা কিছুই করতে পারবে না, তোমাদের দমননীতি ব্যর্থতায় পর্যবসিত হবে ইনশাআল্লাহ। আর তোমরা তোমাদের অন্যায় থেকে বিরত না হলে আল্লাহর পক্ষ থেকে *উভয় জগতে তোমাদের জন্য নির্ধারিত ভয়াবহ শাস্তির অপেক্ষা কর। নিশ্চয়ই আল্লাহর ওয়াদা সত্যে পরিণত হবে।
আমরা ঐ সকল নাস্তিক মুরতাদদের প্রতি এই বার্তা দিচ্ছি যে, যারা এখনোও অনলাইন–আফলাইনে আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শানে কটূক্তি করার মাধ্যমে সক্রিয় রয়েছ অথবা নানা ইসলামবিরোধী কাজে সক্রিয় রয়েছ, তোমরা অনতিবিলম্বে এমন ঘৃণ্য কাজকর্ম থেকে বিরত হও, নয়তো তোমাদের পরিণতি শাহজাহান বাচ্চুর মতই হবে ইনশাআল্লাহ।
আমরা মুসলিমদের প্রতি আহ্বান করছি, ত্বগুত এবং তাদের দোসরদের বিভ্রান্তি মূলক প্রচারণায় ধোঁকায় না পরতে। সত্যের পক্ষালম্বন পূর্বক মুজাহিদীনের সাহায্যে এগিয়ে আসতে। আর নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হতে। হে আল্লাহ এই জমিনে আপনার সৈনিকদের শক্তিশালী করুন। তাদেরকে মাঞ্জিলে মাকসাদে পৌছার তাওফীক দান করুন। আমীন। আর সকল প্রশংসা আল্লাহর জন্যই।
যে কারণে শাহজাহান বাচ্চুকে হত্যা করা হলো:
আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:
وَلَئِنْ سَأَلْتَهُمْ لَيَقُولُنَّ إِنَّمَا كُنَّا نَخُوضُ وَنَلْعَبُ قُلْ أَبِاللَّهِ وَآَيَاتِهِ وَرَسُولِهِ كُنْتُمْ تَسْتَهْزِئُونَ (65) لَا تَعْتَذِرُوا قَدْ كَفَرْتُمْ بَعْدَ إِيمَانِكُمْ إِنْ نَعْفُ عَنْ طَائِفَةٍ مِنْكُمْ نُعَذِّبْ طَائِفَةً بِأَنَّهُمْ كَانُوا مُجْرِمِينَ
অর্থ : আর যদি তুমি তাদেরকে প্রশ্ন কর, অবশ্যই তারা বলবে, আমরা আলাপচারিতা ও খেল তামাশা করছিলাম। বল, আল্লাহ তার আয়াতসমূহ ও তার রসূলের সাথে তোমর বিদ্রুপ করছিলে? তোমরা ওযর পেশ করো না। তোমরা তোমাদের ঈমানের পর অবশ্যই কাফের হয়ে গেছো।” (সূরা তাওবাহ ৯ : ৬৫–৬৬)
উপরোক্ত আয়াত নাযিলের প্রেক্ষাপটে দেখা যায়, মুসলিম নামধারী কিছু মুনাফিক রসূলুল্লাহ সল্লল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ও সাহাবীদের কটাক্ষ করার কারণে আল্লাহ তা’আলা আয়াত নাযিল করে তাদেরকে কাফির ঘোষণা দিয়েছেন। (তাফসীর ইবনে কাসীর, তাফসীরে ইবনে আবী হাতেম, উপরোক্ত আয়াতের তাফসীরে দ্রষ্টব্য)।
যারা আল্লাহ তা’আলা, রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম, ইসলাম ও মুসলিমদের নিয়ে কটাক্ষ করবে তাদের একমাত্র শাস্তি মৃত্যুদন্ড । এতদসংক্রান্ত অসংখ্য দলীল প্রমাণের মধ্য হতে আমরা মাত্র কয়েকটি দলীল উপস্থাপন করছি।
কাব ইবনে আশরাফকে হত্যা করা: সে রসূলুল্লাহ (স.) কে নিয়ে কুৎসা রটনা করতো ও রসূলুল্লাহ (সা.) কে কষ্ট দিতো।
عَنْ جَابِرٍ عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ ، قَالَ مَنْ لِكَعْبِ بْنِ الْاَشْرَفِ فَقَالَ مُحَمَّدُبْنُ مَسْلَمَةَ اَتُحِبُّ اَنْ اَقْتُلَهُ قَالَ نَعَمْ قَالَ فَأَذَنْ لِيْ فَاَقُوْلَ قَالَ قَدْ فَعَلْتُ
অর্থ : জারিব (রা.) সূত্রে নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেন, কা’ব ইবন আশরাফকে হত্যা করার দায়িত্ব কে নিবে? তখন মুহাম্মদ ইবন মাসলামা (রা.) বললেন, ‘আপনি কি এ পছন্দ করেন যে, আমি তাকে হত্যা করি? রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন হ্যাঁ। মুহাম্মদ ইবন মাসলাম (রা.) বললেন, ‘তবে আমাকে অনুমতি দিন, আমি যেন তাকে কিছু বলি।’ তিনি বললেন, ‘আমি অনুমতি প্রদান করলাম।’ (সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ, ইফাবা. হা: ২৮২০, ২৮১৯)
ইয়াহুদী আবু রাফেকে হত্যা করা: সে রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে কষ্ট দিত এবং রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর বিরুদ্ধে লোকদের সাহায্য করত।
عَنِ الْبَرَاءِبْنِ عَازِبٍ رَضِيَ اللّٰهُ عَنْهُمَا قَالَ بَعَثَ رَسُوُلُ اللّٰهِ صَلَّى اللّٰهُ عَلَيْهِ وَسَلَّم، رَهْطًا مِنَ الْاَنْصَارِ اِلٰي اَبِيْ رَافِعٍ فَدَ خَلَ عَلَيْهِ عَبْدُ اللّٰهِ بْنُ عَتِيْكٍ بَيْتَهُ لَيْلاً فَقَتَلَهُ وَهُوَ نَا ئِمٌ
অর্থ: বারা ইবন আযিব (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আনসারীগণের একদলকে আবূ রাফে ইয়াহুদীর নিকট প্রেরণ করেন। তখন আব্দুল্লাহ ইবনে আতীক (রা.) রাত্রীকালে তার ঘরে ঢুকে তাকে ঘুমন্ত অবস্থায় হত্যা করেন। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল জিহাদ, ইফাবা. হা: ২৮১৩, ২৮১৪)
ইবনে খাতালকে হত্যা করা: সে প্রথমে ইসলাম গ্রহণ করেছিল পরে আবার মুরতাদ হয়ে যায়। সে তার দু’টি গায়িকার মাধ্যমে রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মুসলিমদের নিয়ে কুৎসা জনিত গান শুনাতো।
عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ ـ رضى الله عنه ـ أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم دَخَلَ مَكَّةَ يَوْمَ الْفَتْحِ وَعَلٰى رَأْسِهِ الْمِغْفَرُ، فَلَمَّا نَزَعَهُ جَاءَ رَجُلٌ فَقَالَ ابْنُ خَطَلٍ مُتَعَلِّقٌ بِأَسْتَارِ الْكَعْبَةِ. فَقَالَ “ اُقْتُلْهُ
অর্থ : আনাস ইবনে মালিক (রা.) থেকে বর্ণিত যে, মক্কা বিজয়ের দিন নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মাথার লোহার টুপি পরিহিত অবস্থায় মক্কায় প্রবেশ করেছেন। তিনি সবেমাত্র টুপি খুলেছেন এ সময় এক ব্যক্তি এসে বলল, ইবন খাতাল কা‘বার গিলাফ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। নবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন (ঐ অবস্থায়ই) তাকে হত্যা করো। (সহীহ বুখারী, কিতাবুল মাগাযী, ইফাবা. হা: ৩৯৫৭)
নাস্তিক শাহজাহান বাচ্চু তার পূর্বসূরীদের পদাঙ্ক অনুসরণ করেই আমাদের রব আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি সাল্লাম এর শানে কটূ্ক্তি করে। তাই জামা‘আতুল মুজাহিদীন তার এই অপরাধের জন্য শাস্তিসরূপ তাকে হত্যা করে।
নিচে নাস্তিক শাহজাহান বাচ্চুর অপরাধগুলো তুলে ধরা হলো:
১। অপরাধ-১: শয়তান কে আল্লাহ অপেক্ষা উত্তম বলার মাধ্যমে ইসলাম ও মুসলিম দের অবমাননা করা, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর শানে বেয়াদবী করা। আল্লাহ’র নাম বিকৃত করা।
২। অপরাধ–২; রাসূল (সা) এর শানে বেয়াদবী । রাসূল (সা) কে মূর্খ বলা।(নাউজুবিল্লাহ), রাসূলুল্লাহ (সা) কে গোপাল ভাড়ের সাথে তুলনা !!! !! উম্মুল মু’মেনীন খাদিজা (রা) কে জড়িয়ে কদর্য মন্তব্য!!
৩। অপরাধ–৩:কুর’আন নিয়ে বাজে মন্তব্য। মুসলিমদের বেশ্যার চেয়েও নিকৃষ্ট বলে অভিহিত করা।
Comment