রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশাঃ আল-শাবাবের ব

[Al-Qadisiyyah Media]

আস সালামু আলাইকুম।
প্রিয় ভাইয়েরা,
অতি শিগ্রী আপনাদের অত্যন্ত প্রিয় Al-Qadisiyyah Media- আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া থেকে প্রকাশিত হবে মায়ানমারের রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশার বিবরণ এবং এই বিষয়ে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিমদের প্রতি বিশেষ করে বাংলাদেশ, মালায়শিয়া'র মুসলিমদের প্রতি সোমালিয়ার আল-শাবাব মুজাহিদীনদের আহব্বান সম্বলিত বিবৃতির বাংলা অনুবাদ।



ইনশাআল্লাহ , আপনারা উক্ত বার্তাটি প্রচার করে আমাদের সহায়তা করবেন ।

-
আল-ক্বাদিসিয়াহ মিডিয়া (বাংলা বিভাগ)

[titumir]

Walaikumus sallam, waiting...

[Al-Qadisiyyah Media]

Ya Akhi al-Habibi.
Here's the justpaste.it note > http://anonym.to/?http://justpaste.it/lq3f
This Bengali Translation has also been published in many other Arabic forums like al-Fidaa & others by GIMF

I hope all the Bengali bros will help to spread it as Bangladesh is closest to Burma & it's a call to us.

JazakAllah Khair.

[power]

রোহিঙ্গা মুসলিমদের দুর্দশাঃ তাৎক্ষনিক প্রতিক্রিয়ার দাবি।

মুমিন পুরুষগণ ও মুমিন নারীগণ একে অপরের বন্ধু। (সুরা আত-তওবা, ৭১)

০১ শাবান ১৪৩৬ (১৯/০৫/২০১৫) মায়ানমারের মুসলিম ভাইদের উপর নির্মম নিষ্ঠুরতা এবং হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমদের বিরতিহীন দুর্দশার প্রেক্ষিতে, আমরা আবারও সকল মুসলিমদেরকে বিশেষ করে বাংলাদেশ, মালায়শিয়া, ইন্দোনেশিয়া ও থাইল্যান্ডের মুসলিমদেরকে আহব্বান করছি সমুদ্রে অসহায় অবস্থায় ভেসে থাকা হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিমদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেবার জন্য।


হিংস্র বৌদ্ধদের হাতে নিয়মতান্ত্রিক অব্যহত নির্যাতনের ভয়ে হাজার হাজার রোহিঙ্গা মুসলিম পালিয়ে বেড়াচ্ছে, যাদের মধ্যে রয়েছে অনেক নারী ও শিশু, যারা নিরাপত্তার সন্ধানে তাদের বাড়ি-ঘর ছেড়ে পালিয়েছিল নিরাপদ সমুদ্রতীরে পৌঁছাবার আশায়; তাদের একটাই অপরাধ যে, তারা হল মুসলিম।

তারা তাদেরকে নির্যাতন করেছিল শুধু এই (অপরাধের) কারণে যে, তারা এক পরাক্রমশালী ও প্রশংশিত আল্লাহর উপর ঈমান এনেছিল (সূরা বুরুজ, ৮)

কিন্তু তাদের পরিতাপের বিষয় এই যে, তাদের প্রতিবেশীরা তাদেরকে পরিত্যাগ করেছে এবং তাদের মুসলিম ভাইয়েরা তাদেরকে উপেক্ষা করেছে। ফলে যাত্রাপথের নিকৃষ্টতম যন্ত্রনা আরও বর্ধিত হয়েছে যখন তারা শুনেছে তাদের মুসলিম ভাইয়েরা তাদের পরিত্যাগ করে নৈরাশ্যের অতল গহব্বরে ডুবিয়ে দিয়েছে। আর তাদের দুর্ভোগ-দুর্দশা সম্পর্কে মুসলিম উম্মাহর পক্ষ থেকে কঠোর নীরবতার কারনে অনেক রোহিঙ্গা মুসলিম বিভিন্ন অঞ্চলে বিক্ষিপ্ত শরনার্থী শিবিরে বসবাসের ক্ষেত্রে তিক্ত অভিজ্ঞতা লাভ করেছে, যার কারনে তাদের কেউ কেউ অব্যাহত শাস্তি থেকে রেহাই পেতে বাধ্য হয়ে ঝুকিপূর্ণ সফরে বের হচ্ছেন।

সাগরের হাজার মাইল দূরে থাকা শর্তেও, রোহিঙ্গা মুসলিমদের এই দুর্দশা মুজাহিদীনদের কাছে অগ্রগণ্য, প্রকৃতপক্ষে আমাদের জিহাদের একটি বুনায়াদী মৌলিক লক্ষ্য হল মুসলিমদের উপর চলমান নির্যাতন দূরীকরণ, যা শুধু পূর্ব আফ্রিকায় নয় বরং সমস্ত পৃথিবী ব্যাপী। আল্লাহ্* বলেছেঃ

“আর তোমাদের কী হল যে, তোমরা আল্লাহর রাস্তায় লড়াই করছ না? দুর্বল সেই পুরুষ, নারী ও শিশুদের পক্ষে যারা বলে হে, আমাদের রব ! আমাদেরকে এই জনপদ থেকে নিষ্কৃতি দান করুন, যার অধিবাসীরা অত্যাচারী। আর আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য পক্ষালম্বনকারী নির্ধারন করে দিন এবং আপনার পক্ষ থেকে আমাদের জন্য সাহায্যকারী নির্ধারন করে দিন।” (সুরা নিসা ৭৫)

[power]

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিমদের প্রতিঃ

আমারা এতদ্বারা সকল মুসলিম ভাইদেরকে আহব্বান জানাচ্ছি, বিশেষ করে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ভাইদেরকে। হে দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার মুসলিম ভাইয়েরা ! আপনাদের মুসলিম ভাইয়েদের নিয়তি ঐ অঞ্চলের মুরতাদ সরকারের উপর ছেড়ে দিবেন না, কারণ তারা সবাই রোহিঙ্গা মুসলিমদের উপর এই আমানবিক নির্যাতনে প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ্য ভাবে জড়িত।

(কোন) ঈমানদার লোকের ব্যাপারে এরা (যেমন) আত্মীয়তার ধার ধারে না, (তেমনি) কোন অঙ্গীকারের মর্যাদাও এরা রক্ষা করে না; (মূলত) এরা হচ্ছে সীমালঙ্ঘনকারী। (সূরা আত-তাওবাহ, ১০)

বিষয়টিকে আপনাদের নিজেদের হাতে নিয়ে নিন, মুসলিম ভাইদের সাহায্য করুন এই জেনে যে, এটা মুসলিমদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় (ওয়াজিব) দায়িত্ব যে বিষয়ে কিয়ামতের দিন আল্লাহ্* রাব্বুল আলামীনের কাছে আপনাদেরকে জবাবদিহীতা করা লাগবে। মহানবী [ﷺ] বলেছেনঃ “মুসলিমরা একে অন্যের ভাই। সে তার ভাইকে কখনো লাঞ্ছিত অথবা পরিত্যাগ করবে না। যে তার ভাইকে সহয়তা করে, আল্লাহ্* তার সহায় হয়ে যান; এবং যে তার ভাইয়ের কাধের একটি বোঝা অপসারিত করে, আল্লাহ্* কিয়ামতের দিন তার একটি বোঝা অপসারিত করবেন।" (বুখারি এবং মুসলিম)

আপনার ধর্মবিশ্বাসকে মুরতাদ সরকারগুলোর কিংবা অন্ধ জাতীয়তাবাদের দোহায় দিয়ে দমিয়ে না রেখে চলুন কুরআনের শিক্ষা এবং নবী [ﷺ]’এর সুন্নাহ অনুযায়ী যিনি বলেছেনঃ “মুমিনদের দৃষ্টান্ত এমনই যে তারা পারস্পারিক ভালবাসা, মায়া ও মহব্বতে একটি দেহের তুল্য; যদি দেহের একটি অঙ্গ আক্রান্ত হয় তাহলে তা দেহের বাকী অংশগুলোও ছড়িয়ে পড়ে” (বুখারি এবং মুসলিম)

ইসলামে ভ্রাতৃতের অটুট বন্ধুত্ব রয়েছে, আর আপনাদের দোর-গোঁড়ায় যে নির্মম-নিষ্ঠুরতা ঘটছে, তা থেকে মায়ানমারের মুসলিমদের দুর্দশা হ্রাস করতে আপনাদের উপরই গুরু দায়িত্ব বর্তায়। তাদেরকে স্বাগত জানান; হৃদয়কে উজাড় করে দিয়ে বাস্তুহীন মুসলিমদের আশ্রয় দিন। মানুষকে ঐক্যবদ্ধ করুন, অর্থ ও সম্পদ দিয়ে বঞ্চিত মুসলিমদের সম্মান রক্ষা করুন এবং মুশরিকদের বর্বর আক্রমণ প্রতিহত করুন। আল্লাহ্* আপনাদের সাথেই আছে এবং তিনিই উত্তম প্রতিরক্ষাকারী এবং সাহায্যকারী।

“সকল সম্মান শুধুমাত্র আল্লাহ্*, তার রাসুল [ﷺ] এবং মুমিনদের জন্য, যদিও মুনাফিকরা তা জানে না।”

প্রেস অফিস
হারাকাত আল-শাবাব আল মুজাহিদীন