Pdf Download Links
অনলাইনে পড়ুন
ক্রসফায়ারে এ কাফেলা থেমে যাবে না || শাইখ আবু আব্দুল্লাহ আল-হিন্দি (হাফি.) –মুখপাত্র, জামা‘আতুল মুজাহিদীন ⁞⁞ Sahm Al Hind Media
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম। সকল প্রসংশা মহান আল্লাহ তা‘আলার জন্য যিনি আমাদেরকে ঈমানের আলোয় আলোকিত করেছেন অতঃপর জিহাদের মতো গুরুত্বপূর্ণ কাজের আঞ্জাম দেওয়ার তাওফিক দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। সলাত ও সালাম বর্ষিত হোক আমাদের প্রিয় নেতা নাবী মুহাম্মাদ (সাঃ) এর প্রতি, এবং তাঁর পরিবার-পরিজন ও সাহাবাগণের প্রতি।
জামাআতুল মুজাহিদীনের মুখপাত্র আবু আব্দুল্লাহ আল হিন্দি (হাফিঃ)’র পক্ষ থেকে সকল মুসলিম ভাই বোনের প্রতি আন্তরিক সালাম- আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারকাতুহ। হে মুসলিম ভাইগন! বিশ্বের যেখানেই আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠাকল্পে জিহাদের আলো প্রজ্জ্বলিত হয়েছে সেখানেই মুজাহিদদের বিপক্ষে ত্বগুতের বাহিনী অবস্থান নিয়েছে। যার ফলে অসংখ্য মুজাহিদিনের তাজা রক্তে সিক্ত হয়েছে আল্লাহর জমিন, যা দ্বীন কায়েমের পথে খুবই স্বাভাবিক ঘটনা। বাংলার ভূমিতেও এর ব্যতিক্রম ঘটেনি। জিহাদের ঝান্ডা উড্ডিন হওয়ার দিন থেকে শুরু করে আজ পর্যন্ত বাংলাদেশে যারাই কাজ করেছেন তারা প্রত্যেকেই এই হত্যাকান্ড, জেল-জুলুম ও ফাঁসীর সম্মুখীন হয়েছেন। এই ক্ষেত্রে সর্বাগ্রে আসবে “জামাআতুল মুজাহিদীন” এর নাম। ১৯৯৮ সাল থেকে যখন আমাদের কার্যক্রম শুরু হয়েছে একের পর এক পরিক্ষার মুখোমুখী হয়েছি আমরা, শায়খ আব্দুর রহমান (রঃ) থেকে শুরু করে একে একে শায়খ আতাউর রহমান সানী, শায়খ বাংলা ভাই, শায়খ আব্দুল আওয়াল, শায়খ খালিদ সাইফুল্লাহ, শায়খ হাফেজ মাহমুদ (আল্লাহ সবাইকে রহম করুন ও শহিদ হিসাবে কবুল করুন) সহ আরো অনেক বীর মুজাহিদকে হত্যা করেছে এই ত্বগুত সরকারের কাফের বাহিনী। যে কাফেলায় সর্বশেষ যুক্ত হয়েছে দুইজন বীর মুজাহিদের নাম, তারা হলেন জামাআতুল মুজাহিদিনের ইসাবা নাসরুল্লাহ (রঃ) ব্রিগেড এর কমান্ডার কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানাধীন লৌক্ষা গ্রামের মোহাম্মাদ শামিম ও সাহসী সৈনিক জামালপুর জেলার সদর থানাধীন খামারপাড়া গ্রামের বাসিন্দা ইখলাসুর রহমান।
আমরা আগেই আমাদের ওয়েবসাইটে শাহজাহান বাচ্চু নামে এক নাস্তিক ব্লগারকে হত্যার দায়িত্ব স্বীকার করেছিলাম, আমাদের এই দুই বীর সেনা ঐ কমিউনিস্ট নাস্তিক ব্লগারকে হত্যা করেছেন, আল্লাহর রহমতে আমাদের অভিযান সফল হয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। ২৭ শে রামাজান নাস্তিকের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেয়ার প্রায় ১৫ দিন পরে মুরতাদবাহিনী কমান্ডার মোহাম্মাদ শামিম ও সৈনিক ইখলাসুর রহমানকে তাদের নিজ গৃহ থেকে ধরে নিয়ে গুম করে রেখে দেয়। তার দীর্ঘ তিন মাস পর ২৬শে জিলহাজ মোতাবেক ৬ই সেপ্টেম্বর কথিত ক্রসফায়ারের মাধ্যমে নাটক সাজিয়ে এই দুই বীর সেনানীকে হত্যা করা হয়, যারা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত অবিরাম আল্লাহর রাস্তায় জিহাদের কাজে রত ছিলেন। আল্লাহ তা’আলা ভাইদেরকে উত্তম শহীদ হিসেবে কবূল করুন, আমীন। আল্লাহ তা‘আলা ভাইদের শোকার্ত পরিবারকে ধৈর্য্য ধারণ করার তাওফীক্ব দান করুন, আমীন। আমরা ভাইদের শোকার্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করছি। আর মোবারকবাদ জানাচ্ছি সেই সকল মাদেরকে যারা মোহাম্মাদ শামীমের মত বীর মুজাহিদের জন্ম দিয়েছেন। হে আমাদের সম্মানিত মায়েরা! আপনারা দুঃখিত হবেন না! বরং আনন্দিত হোন! কারণ আপনাদের সন্তানেরা দুনিয়ার কোন স্বার্থে নয় বরং আল্লাহ তা‘আলা ও তার রসূল সল্লাল্লাহু আলাইকি ওয়া সাল্লাম এর কটূক্তিকারীদেরকে উচিত শিক্ষা দেওয়ার জন্যই নাস্তিক হত্যার অভিযানে অংশগ্রহণ করেছেন। এটি আপনাদের জন্য সৌভাগ্যের বিষয়, এক এক জন বীর শহীদের মা হিসেবে গর্ববোধ করুন।
কাফেররা আমাদেরকে এই সমস্ত হত্যাকান্ডের মাধ্যমে ভয় দেখাতে চায়, কিন্তু তারা জানেনা যে, আমরা এই শাহাদাতের প্রত্যাশায় প্রতিনিয়ত আল্লাহর দরবারে দোয়া করি। আমাদের যে ভাইদেরকে তারা হত্যা করেছে তারা মরেনি, বরং জীবিত। তারা আল্লাহর পক্ষ থেকে রিযিক প্রাপ্ত হচ্ছে। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
وَلَا تَقُولُوا لِمَن يُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتٌ ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ وَلَٰكِن لَّا تَشْعُرُونَ
অর্থাৎ, আর যারা আল্লাহর রাস্তায় নিহত হয়, তাদের মৃত বলো না। বরং তারা জীবিত, কিন্তু তোমরা তা বুঝোনা। (বাক্বারাহ : ১৫৪)
তিনি এই বিষয়ে আরো বলেনঃ
وَلَا تَحْسَبَنَّ الَّذِينَ قُتِلُوا فِي سَبِيلِ اللَّهِ أَمْوَاتًا ۚ بَلْ أَحْيَاءٌ عِندَ رَبِّهِمْ يُرْزَقُونَ
অর্থাৎ, আর যারা আল্লাহর রাহে নিহত হয়, তাদেরকে তুমি কখনো মৃত মনে করো না। বরং তারা নিজেদের পালনকর্তার নিকট জীবিত ও জীবিকাপ্রাপ্ত। (আলে ইমরান : ১৬৯)
সুতরাং আমাদের দুঃখিত হওয়ার কোন কারণ নেই। আমরা আশা রাখি আমাদের ভাইয়েরা জান্নাতে সবুজ পাখি হয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে। শহিদদের মর্যাদার কারনে নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বারবার শহিদ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা করতেন। তিনি বলেনঃ
وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوْلاَ أَنَّ رِجَالاً مِنَ الْمُؤْمِنِينَ لاَ تَطِيبُ أَنْفُسُهُمْ أَنْ يَتَخَلَّفُوا عَنِّي، وَلاَ أَجِدُ مَا أَحْمِلُهُمْ عَلَيْهِ، مَا تَخَلَّفْتُ عَنْ سَرِيَّةٍ تَغْزُو فِي سَبِيلِ اللَّهِ، وَالَّذِي نَفْسِي بِيَدِهِ لَوَدِدْتُ أَنِّي أُقْتَلُ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ثُمَّ أُحْيَا، ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا، ثُمَّ أُقْتَلُ ثُمَّ أُحْيَا، ثُمَّ أُقْتَلُ
অর্থাৎ, সেই সত্ত্বার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, যদি মুমিনদের এমন একটি দল না থাকত, যারা যুদ্ধ থেকে বিরত থাকতে পছন্দ করে না এবং যাদের সকলকে সওয়ারী দিতে পারব না বলে আশংকা করতাম, তা হলে যারা আল্লাহর রাস্তায় যুদ্ধ করছে, আমি সেই ক্ষুদ্র দলটির সঙ্গী হওয়া থেকে বিরত থাকতাম না। সেই সত্ত্বার কসম! যার হাতে আমার প্রাণ, আমি পছন্দ করি আমাকে যেন আল্লাহর রাস্তায় শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, এরপর শহীদ করা হয়। আবার জীবিত করা হয়, পুনরায় শহীদ করা হয়। তারপর জীবিত করাহয়, পুনরায় শহীদ করা হয়। (সহিহ বুখারী, খন্ড ৪, অধ্যায় ৫২, হাদিস৫৪)
আল্লাহু আকবার, নাবী (সাঃ) এর মতো মানুষ যার সকল গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়েছে তিনি যদি শাহাদাতের জন্য এতোটা আকাক্সক্ষা পোষন করেন তাহলে আমাদের কি পরিমাণে শাহাদাতের তামান্না পোষন করা দরকার তা বোধ করি বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন নেই। সেক্ষেত্রে তারা তো তাদের কাঙ্ক্ষীত শাহাদাতই পেয়েছেন, মুমিন মাত্রেরই শাহাদাতের তামান্না রাখা জরুরি। আমাদের আরো বেশ কিছু মুজাহিদ ভাই সম্প্রতি ত্বগুতের বাহিনীর হাতে গ্রেফতার হয়ে গুম অবস্থায় আছেন, আল্লাহ তাদেরকে কাফেরদের চক্রান্ত থেকে মুক্তি দিন।
জাতির এই বীর সন্তানদের কবে আমরা কৃত মর্যাদা দিতে পারবো? তাদের মর্যাদা দেওয়ার অর্থ এই নয় যে তাদেরকে আমরা প্রতি বছর স্মরন করবো বরং তারা যে আদর্শের জন্য নিজেদের জীবন অকাতরে বিলিয়ে দিয়েছে সেই আদর্শকে প্রতিষ্ঠা করতে আমরা আমাদের রক্তের শেষ বিন্দু দিয়ে হলেও লড়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আর এমনটা না করে যদি তাদের রক্ত বৃথা হতে দেই তাহলে আমরা আমাদের নিজেদের সাথেই বিশ্বাসঘাতকতা করবো, যা আল্লাহর নিকট ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। আল্লাহ আমাদেরকে রক্ষা করুন।
মুসলিমগন! এই হত্যাকান্ড ও জুলুম অত্যাচার অনাকাঙ্ক্ষীত নয়, বরং যুগে যুগে যারাই দ্বীনের উপর অটল অবিচল থেকেছে তারাই জুলুমের স্বীকার হয়েছে। আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
أَمْ حَسِبْتُمْ أَن تَدْخُلُوا الْجَنَّةَ وَلَمَّا يَأْتِكُم مَّثَلُ الَّذِينَ خَلَوْا مِن قَبْلِكُم ۖ مَّسَّتْهُمُ الْبَأْسَاءُ وَالضَّرَّاءُ وَزُلْزِلُوا حَتَّىٰ يَقُولَ الرَّسُولُ وَالَّذِينَ آمَنُوا مَعَهُ مَتَىٰ نَصْرُ اللَّهِ ۗ أَلَا إِنَّ نَصْرَ اللَّهِ قَرِيبٌ
অর্থাৎ, তোমাদের কি এই ধারণা যে, তোমরা জান্নাতে চলে যাবে, অথচ সে লোকদের অবস্থা অতিক্রম করনি যারা তোমাদের পূর্বে অতীত হয়েছে। তাদের উপর এসেছে বিপদ ও কষ্ট। আর এমনভাবে শিহরিত হতে হয়েছে যাতে নবী ও তাঁর প্রতি যারা ঈমান এনেছিল তাদেরকে পর্যন্ত একথা বলতে হয়েছে যে, কখন আসবে আল্লাহর সাহায্য! তোমরা শোনে নাও, আল্লাহর সাহায্য একান্তই নিকটবর্তী। (বাক্বারাহ : ২১৪)
সুতরাং তারা তাদের উপর অর্পিত দায়িত্ব পালন করে কাক্সিক্ষত শাহাদাত পেয়েছে এখন আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
مِنَ الْمُؤْمِنِينَ رِجَالٌ صَدَقُوا مَا عَاهَدُوا اللَّهَ عَلَيْهِ فَمِنْهُمْ مَنْ قَضَى نَحْبَهُ وَمِنْهُمْ مَنْ يَنْتَظِرُ وَمَا بَدَّلُوا تَبْدِيلًا
অর্থাৎ, মুমিনদের মধ্যে কতক আল্লাহর সাথে কৃত ওয়াদা পূর্ণ করেছে। তাদের কেউ কেউ মৃত্যুবরণ করেছে এবং কেউ কেউ প্রতীক্ষা করছে। তারা তাদের সংকল্প মোটেই পরিবর্তন করেনি। (আহযাব : ২৩)
আমরা জান্নাতের বিনিময়ে নিজেদের জান ও মাল আল্লাহর পথে কুরবান করার যে সওদা আল্লাহ তাআলার সাথে করেছি তা বাস্তবায়ন করার লক্ষ্যে অবশ্যই তাঁর পথে অবিরাম জিহাদের কার্যক্রম চালিয়ে যাবো ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
إِنَّ اللَّهَ اشْتَرَىٰ مِنَ الْمُؤْمِنِينَ أَنفُسَهُمْ وَأَمْوَالَهُم بِأَنَّ لَهُمُ الْجَنَّةَ ۚ يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِفَيَقْتُلُونَ وَيُقْتَلُونَ ۖ وَعْدًا عَلَيْهِ حَقًّا فِي التَّوْرَاةِ وَالْإِنجِيلِ وَالْقُرْآنِ ۚ وَمَنْ أَوْفَىٰ بِعَهْدِهِ مِنَ اللَّهِ ۚ فَاسْتَبْشِرُوا بِبَيْعِكُمُ الَّذِي بَايَعْتُم بِهِ ۚ وَذَٰلِكَ هُوَ الْفَوْزُ الْعَظِيمُ
অর্থাৎ, আল্লাহ ক্রয় করে নিয়েছেন মুসলমানদের থেকে তাদের জান ও মাল এই মূল্যে যে, তাদের জন্য রয়েছে জান্নাত। তারা যুদ্ধ করবে আল্লাহর রাহেঃ অতঃপর মারবে ও মরবে। তাওরাত, ইঞ্জিল ও কোরআনে তিনি এ সত্য প্রতিশ্রুতিতে অবিচল। আর আল্লাহর চেয়ে প্রতিশ্রুতি রক্ষায় কে অধিক? সুতরাং তোমরা আনন্দিত হও সে লেনদেনের উপর, যা তোমরা করেছো তাঁর সাথে। আর এ হল মহান সাফল্য। (তাওবাহ : ১১১)
সুতরাং আল্লাহর সাথে চুক্তি হওয়ার পর এই জান ও মালের ব্যাবহার আমরা আমাদের নিজেদের মতো করতে পারিনা, আল্লাহর ওয়াদা সত্য, তিনি কখনো ওয়াদা ভঙ্গ করেননা।
হে আমাদের প্রানপ্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আমরা আর কত মুজাহিদ ভাইদেরকে এভাবে কাফেরদের হাতে অন্যায়ভাবে নিহত হতে দেখবো? আর কি পরিমান রক্ত ঝড়লে আমাদের মৃত্যুসম নিদ্রা ভাঙবে? যখন আল্লাহ তা‘আলা তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাফেরদের বিরুদ্ধে জানমাল কুরবান করে জিহাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন তখন আমরা কিনা নিজেদের জন্য নিরাপদ ও সুখী জীবনযাপনের উপকরণ সংগ্রহে মহাব্যস্ত। এ কেমন আমাদের বিবেক! কোথায় গেলো সে ঈমানী জযবা ও অন্তরের আবেগ যা ছিলো আমাদের ঐতিহ্যের অংশ! যা সর্বক্ষণ বয়ে যেতো আমাদের পূর্বপুরুষদের শিরা-উপশিরায়! তাহলে কি আমরা আমাদের পূর্বপুরুষদের সাথে গাদ্দারি করছি?? আমরা কি সেই আদর্শে বিশ্বাসি নই যে আদর্শ লালন করতেন মুহাম্মাদ বিন কাসিম, মূসা বিন নুসাইর, তারেক বিন যিয়াদ? যারা পৃথিবীর এক প্রান্তে কোন এক মুসলিমের আর্তনাদ শুনে তাকে সাহায্যের জন্য অন্য প্রান্ত থেকে ছুটে আসতেন! আমরা কি ভূলে গেছি আমাদের সেই সোনালী ইতিহাস যা আজও স্বর্ণাক্ষরে লিখা রয়েছে? সেই ইতিহাস যা আবু বকর (রা’র বিচক্ষণতা, উমার (রা’র দৃড়তা, উসমান (রা)’র মহানুভবতা, আলি (রাঃ)’র শক্তিমত্তা ও আল্লাহর তরবারি মহাবীর খালিদ বিন ওয়ালিদ (রাঃ)’র তলোয়ারের তীক্ষ্ণতায় রচিত হয়েছিলো!!!
যে তরবারি কাফেরদের রক্তে রঞ্জিত হতো সে তরবারি আজ ধারশুন্য, যে তীর কাফেরের বক্ষ বিদির্ণ করতো তা আজ লক্ষ্যভ্রষ্ট। কাফেররা কখনো মুখের ভাষা বুঝেনা তারা বুঝে তরবারির ভাষা এই সত্য কি আবারো প্রমান করে দেখাতে হবে? আমরা কিভাবে ভাবছি যে রক্তের বদলা চোখের পানিতে পরিশোধ করে ফেলবো?! আল্লাহর দুশমনেরা আমাদের রক্তে সাগর বইয়ে দিচ্ছে আর আমরা চোখের পানিতে বুক ভাসিয়ে আল্লাহর দরবারে দোয়া করছি আর ভাবছি যে আমার দায়িত্ব শেষ!! একটি কথা আমাদের পরিষ্কার মনে রাখতে হবে যদি শুধুমাত্র দোয়ার মাধ্যমে কাফেরদের অত্যাচার বন্ধ হয়ে যেতো তাহলে আল্লাহ তাআলা যুদ্ধের বিধান দিতেন না। তিনি জানেন যে যুদ্ধ মানুষের নিকট একটি অপছন্দনীয় কাজ তবুও তিনি এর নির্দেশ দিয়েছেন, কারন তিনি প্রকৃত হিকমাত জানেন। তিনি বলেনঃ
كُتِبَ عَلَيْكُمُ الْقِتَالُ وَهُوَ كُرْهٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تَكْرَهُوا شَيْئًا وَهُوَ خَيْرٌ لَّكُمْ ۖ وَعَسَىٰ أَن تُحِبُّوا شَيْئًا وَهُوَ شَرٌّ لَّكُمْ ۗ وَاللَّهُ يَعْلَمُ وَأَنتُمْ لَا تَعْلَمُونَ
অর্থাৎ, তোমাদের উপর যুদ্ধ ফরয করা হয়েছে, অথচ তা তোমাদের কাছে অপছন্দনীয়। পক্ষান্তরে তোমাদের কাছে হয়তো কোন একটা বিষয় পছন্দসই নয়, অথচ তা তোমাদের জন্য কল্যাণকর। আর হয়তোবা কোন একটি বিষয় তোমাদের কাছে পছন্দনীয় অথচ তোমাদের জন্যে অকল্যাণকর। বস্তুতঃ আল্লাহই জানেন, তোমরা জান না। (বাক্বারাহ : ২১৬)
তিনি আরো বলেনঃ
أَلَا يَعْلَمُ مَنْ خَلَقَ وَهُوَ اللَّطِيفُ الْخَبِيرُ
অর্থাৎ, যিনি সৃষ্টি করেছেন, তিনি কি জানেন না? তিনি সূক্ষ জ্ঞানী, সম্যক জ্ঞাত। (মুলক : ১৪)
সুতরাং, আল্লাহ তা‘আলা যা নির্দেশ দেন তাই আমাদের জন্য কল্যাণকর। এই বিশ্বাস না রাখলে কুরআনের আয়াতের প্রতি আস্বীকার করা হবে। আল্লাহ আমাদেরকে এহেন কর্ম থেকে বিরত রাখুন। আমিন।
প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা! আপনাদেরকে হুদাইবিয়্যার ঘটনা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, যখন উসমান (রা.) এর শহিদ হওয়ার সংবাদে (অথচ তখন তিনি মক্কায় আপ্যায়িত হচ্ছিলেন) উপস্থিত সকল সাহাবীগণ (রা.) আল্লাহর নাবী মুহাম্মাদ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর হাতে হাত রেখে উসমান (রাঃ) এর হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার বাইয়াত গ্রহণ করেছিলেন, যে বাইয়াত ইতিহাসে بيعة الرضوان নামে পরিচিতি লাভ করে। এই বাইয়াত সম্বন্ধে আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
لَقَدْ رَضِيَ اللَّهُ عَنِ الْمُؤْمِنِينَ إِذْ يُبَايِعُونَكَ تَحْتَ الشَّجَرَةِ فَعَلِمَ مَا فِي قُلُوبِهِمْ فَأَنزَلَ السَّكِينَةَ عَلَيْهِمْ وَأَثَابَهُمْ فَتْحًا قَرِيبًا
অর্থাৎ, আল্লাহ মুমিনদের প্রতি সন্তুষ্ট হলেন, যখন তারা বৃক্ষের নিচে আপনার কাছে বাইয়াত করল। আল্লাহ অবগত ছিলেন যা তাদের অন্তরে ছিল। অতঃপর তিনি তাদের প্রতি প্রশান্তি নাযিল করলেন এবং তাদেরকে আসন্ন বিজয় পুরষ্কার দিলেন। (ফাতহ : ১৮)
যদি একজন উসমান (রাঃ)’র হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য ১৪০০ সাহাবী বাইয়াত নিতে পারেন তাহলে আমরা কেনো হাজার হাজার মুসলিমের হত্যার প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য দৃঢ় প্রতিজ্ঞ হবোনা? তাহলে আমরা কি নাবী সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর আদর্শকে পরিত্যাগ করেছি? তাঁর সাহাবীদের আদর্শকে ভূলে গেছি? যদি এমনটি হয়ে থাকে তাহলে দুর্ভাগ্য আমাদের পিছু ছাড়বেনা।
তাই আমরা সবাইকে এই নির্মম হত্যাকান্ডকে শক্তিতে পরিণত করে আল্লাহর সাহায্য নিয়ে তাঁর রাস্তায় জিহাদের পথে অবিরাম ছুটে চলার আহ্বান করছি।
হে উলামায়ে কেরামগণ! আল্লাহ ও তার রসূলের এক দুশমনকে আল্লাহ ও তার রসূলের প্রেমিকরা জাহান্নামে পাঠিয়ে দিলো, আর তার ফলশ্রুতিতে এই জালিম সরকার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে তা আপনাদের অজানা নয়। আপনাদের পাশেই মুসলিম-মুজাহিদীনদেরকে এভাবে বন্ধুক যুদ্ধের নাটক করে ক্রসফায়ার দিয়ে অন্যায়ভাবে হত্যা করছে। তাদেরকে নিকৃষ্ট পন্থায় নির্যাতন করছে। উম্মাহর এহেন পরিস্থিতিতেও কি জিহাদ ফরজ হয়নি? আর কত মুসলিম যুবকের রক্ত প্রবাহিত হলে জিহাদ ফরজ হবে? আমাদের সালাফগণ এমন অবস্থাতেও তো জিহাদ ফরজে আইন হওয়ার ফাতওয়া দিয়েছেন, যখন কুফ্ফাররা মুসলিমদের মধ্য থেকে কতকে বন্ধি করে নিয়ে যায়। আর আজকে হাজারো মুসলিমকে বন্দি করে ত্বগুত তাদের অকথ্য নির্যাতন করছে, ফাঁসি দিচ্ছে, ক্রসফায়ার দিয়ে হত্যা করছে। তারপরও কি আপনারা এ জামিনে জিহাদ ফরজ হওয়ার বিষয়ে সন্দেহ পোষণ করেন!! সত্যকে স্পষ্টভাবে প্রকাশ করে দিন সেই ভয়ঙ্কর দিন আসার আগেই যেদিন আপনাদের এহেন দুষ্কর্মের দরুন পরিতাপ করতে হবে। এখনই সময় আপনাদের ঘুম থেকে জেগে উঠার। মুসলিম উম্মাহকে জিহাদের জন্য উদ্বুদ্ধ করুন। এই ত্বগুত সরকারের দুর্নীতি আর ইসলামদ্রোহীতা মানুষের সামনে প্রকাশ করে দিন। আর ইসলাম প্রতিষ্ঠার জন্য শরীক হোন দুর্বার মুজাহিদীনের কাফেলায়।
যারা মুসলিমদের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধারণ করে সে সকল মুরতাদ বাহিনীর প্রতি কিছু কথা……
যারা এই সরকারের মুরতাদ বাহিনীতে কর্মরত আছেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, আল্লাহ তা‘আলা বলেনঃ
الَّذِينَ آمَنُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ اللَّهِ ۖ وَالَّذِينَ كَفَرُوا يُقَاتِلُونَ فِي سَبِيلِ الطَّاغُوتِ فَقَاتِلُوا أَوْلِيَاءَ الشَّيْطَانِ ۖ إِنَّ كَيْدَ الشَّيْطَانِ كَانَ ضَعِيفًا
অর্থাৎ, যারা ঈমানদার তারা যুদ্ধ করে আল্লাহর পক্ষে। পক্ষান্তরে যারা কাফের তারা লড়াই করে ত্বগুতের পক্ষে, সুতরাং তোমরা যুদ্ধ করতে থাকো শয়তানের পক্ষালম্বনকারীদের বিরুদ্ধে, (দেখবে) শয়তানের চক্রান্ত একান্তই দুর্বল। (নিসা : ৭৬)
একটিবার একাগ্রচিত্তে ভাবুন তো কার হয়ে আপনারা লড়ছেন? কিয়ামাতের দিন যখন আপনাদের হাতে নিহত মুসলিমগণ তাদের এক হাতে নিজেদের কর্তীত মাথা আরেক হাতে তার হত্যাকারীকে ঘাড় ধরে আল্লাহর মহান দরবারে উপস্থিত হয়ে তার হত্যাকান্ডের বিচার চাইবে সেদিন মহাপরাক্রমশালী আল্লাহ তা‘আলার কাছে কি বলে অজুহাত দাড় করাবেন?? যে অফিসারদের নির্দেশে আজকে আপনারা এই ন্যাক্কারজনক হত্যাকান্ড ঘটাচ্ছেন সেদিন সেই অফিসাররা আপনাদেরকে আল্লাহর শাস্তি থেকে বাঁচাতে পারবে তো? কখনোই না। সুতরাং আল্লাহকে ভয় করুন যিনি সবকিছুর মালিক, যার কঠিন পাকড়াও থেকে কোন রক্ষাকারী নেই।
আল্লাহর জমিনে আল্লাহর দ্বীন বাস্তবায়নের যে ভূমিকা আপনাদের পালন করার কথা ছিলো সে ভূমিকা কিছু দূর্বল মানুষকে পালন করতে দেখে কি নিজেদের দায়িত্বের কথা একবারও মনে পড়েনা? আপনাদের ভিতরগুলো কি হৃদয়শুন্য হয়ে গেছে? কানগুলো কি বধির হয়ে গেছে? চোখগুলো কি সব অন্ধ হয়ে গেছে? বিশ্বব্যাপী অল্প সংখ্যক মুসলিম মুজাহিদগণকে বৃহত্তর শক্তিগুলোর বিরুদ্ধে যুদ্ধ করার ক্ষেত্রে আল্লাহর সাহায্য প্রাপ্ত হতে দেখেও কি হকপন্থী কারা সে বিষয়ে স্পষ্টতা আসেনি? এই মৃত অন্তর, ঘুমন্ত চোখ এবং বধিরতার কি জবাব দেবেন আল্লাহর দরবারে, যেদিন প্রত্যেককে তার পরিপূর্ণ প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে?! আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
صُمٌّ بُكْمٌ عُمْيٌ فَهُمْ لَا يَرْجِعُونَ
অর্থাৎ, তারা বধির, মূক ও অন্ধ। সুতরাং তারা ফিরে আসবে না। (বাক্বারাহ : ১৮)
কখনো ভেবেছেন কি আপনি সেই হতভাগ্য শ্রেণীর অন্তর্ভূক্ত কিনা??
হে ত্বগুতের পক্ষে অস্ত্রধারণকারীরা!! এটা ভেবে আমাদের খুবই দুঃখ হচ্ছে যে, আমরা মুসলিম হয়েও এমন কিছু মানুষকে এই কথাগুলো বলতে হচ্ছে যারা নিজেদেরকে মুসলিম বলে দাবী করে। যেখানে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সাম্রাজ্যবাদী শক্তিকে উৎখাত করে আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠা করার কথা সেখানে আপনারা মুজাহিদদের রক্তে নিজেদের হাত রঞ্জিত করছেন, যারা কিনা আল্লাহর দেওয়া দায়িত্ব পালনে বদ্ধপরিকর। আপনাদেরকে কি আল্লাহ তা‘আলা এই জন্য সৃষ্টি করেছেন যে যারা আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করে, মুসলিমদের এক খন্ড ভূমির জন্য নিজেদের জীবন বিপন্ন করে, উম্মাহর সেই অকুতভয় বীর সেনাদের বিরুদ্ধে আপনাদের অস্ত্র ধারণ করবেন? তাদেরকে বন্দী করে ক্রসফায়ারের নামে নির্মমভাবে হত্যা করবেন?? জিহাদের কাজকে চিরতরে নিস্তব্ধ করে দেওয়ার জন্য অবিরাম ষড়যন্ত্র করে যাবেন??? তাহলে জেনে রাখুন, আল্লাহ তা‘আলা তাঁর নূরকে নির্বাপিত হতে দিবেন না, এটা তাঁর ওয়াদা। তিনি বলেনঃ
يُرِيدُونَ أَن يُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَيَأْبَى اللَّهُ إِلَّا أَن يُتِمَّ نُورَهُ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
অর্থাৎ, তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নির্বাপিত করতে চায়। কিন্তু আল্লাহ অবশ্যই তাঁর নূরের পূর্ণতা বিধান করবেন, যদিও কাফেররা তা অপ্রীতিকর মনে করে। (তাওবাহ : ৩২)
তিনি আরো বলেনঃ
يُرِيدُونَ لِيُطْفِئُوا نُورَ اللَّهِ بِأَفْوَاهِهِمْ وَاللَّهُ مُتِمُّ نُورِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْكَافِرُونَ
অর্থাৎ, তারা মুখের ফুঁৎকারে আল্লাহর আলো নিভিয়ে দিতে চায়। আল্লাহ তাঁর আলোকে পূর্ণরূপে বিকশিত করবেন যদিও কাফেররা তা অপছন্দ করে। (সফ : ৮)
তিনি আরো বলেনঃ
هُوَ الَّذِي أَرْسَلَ رَسُولَهُ بِالْهُدَىٰ وَدِينِ الْحَقِّ لِيُظْهِرَهُ عَلَى الدِّينِ كُلِّهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُشْرِكُونَ
অর্থাৎ, তিনি তাঁর রসূলকে পথ নির্দেশ ও সত্যধর্ম দিয়ে প্রেরণ করেছেন, যাতে একে সকল ধর্মের উপর বিজয়ী করে দেন যদিও মুশরিকরা তা অপছন্দ করে। (সফঃ ৯)
সুতরাং, নিজেদের বিবেকের সাথে আর কতোদিন এভাবে লুকোচুরি খেলবেন?!
হে মুরতাদ বাহিনীর সদস্যরা! আল্লাহ তাআলা তাঁর দ্বীনের কাজ করিয়ে নিবেন, যদি পৃথিবীর সকল মানুষ একত্রিত হয়ে আল্লাহর নূর নির্বাপিত করতে চায় তবুও তারা ব্যার্থ হবে। এখন আপনারাই সিদ্ধান্ত নিন কোন দলে থাকবেন, যারা আল্লাহর মনোনিত বান্দা তাদের অন্তর্ভূক্ত হবেন নাকি যারা আল্লাহর জমিনে তাঁর দ্বীন প্রতিষ্ঠার কাজে বাধা দিয়ে আল্লাহর লা’নত প্রাপ্ত হয়েছে তাদের দলে শামিল হবেন?? আল্লাহ তাআলা বলেনঃ
فَأَلْهَمَهَا فُجُورَهَا وَتَقْوَاهَا
অর্থাৎ,অতঃপর তাকে তার অসৎকর্ম ও সৎকর্মের জ্ঞান দান করেছেন। (শামস : ৮)
সুতরাং সিদ্ধান্ত নেওয়ার ইখতিয়ার আপনাদের হাতে, আপনারা যেদিকে যেতে চাইবেন আল্লাহ তাআলা সেদিকেই আপনাদেরকে পরিচালিত করবেন। দুনিয়ার সামান্য স্বার্থ যা আপনারা মুজাহিদদের বিরুদ্ধে অবস্থান না নিয়েও অর্জন করতে পারেন তার বিনিময়ে কি আখিরাতের চিরস্থায়ী দুর্ভাগ্য কিনে নেবেন? নাকি মুজাহিদদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করার মাধ্যমে সুখময় জান্নাতের মালিক হবেন, যেই জান্নাতের নিয়ামাত কোন চোখ কোনদিন দেখেনি, কোন কান কখনো শুনেনি এমনকি কোন হৃদয় তা উপলব্ধি করতে পারেনা?
আশা রাখি প্রশ্নগুলো নিয়ে একবার হলেও ভাববেন। আল্লাহ আপনাদেরকে হেদায়াত দিন, নিজেদের দায়িত্ব কর্তব্যের বুঝ দান করুন এবং মুজাহিদদের পক্ষে অবস্থান নিয়ে চিরসৌভাগ্য অর্জনের সুযোগ করে দিন।
আল্লাহ তা‘আলা সকল মুমিন ভাইবোনদেরকে ক্ষমা করুন, হাক্বের পথে অটল-অবিচল থাকার তাওফিক্ব দান করুন, আমিন।
وصلى الله على خير خلقه محمد وعلى اله وصحبه وسلم تسليما كثيرا كثيرا
Comment