বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। আসসালামু আলাইকুম। দাওয়াহ ইলাল্লাহ ফোরামে আপনাকে স্বাগতম।
আপনার আসল ইমেইল এড্রেস দিয়ে এখানে আইডি খুলবেন না। আগে আসল ইমেইল আইডী দিয়ে থাকলে সেটাও পরিবর্তন করুন।
পাসওয়ার্ড ও ইমেইল এড্রেস পরিবর্তনের জন্য Settings - Edit Email and Password এ ক্লিক করুন।
আমাদের বর্তমান আইপি এড্রেসঃ https://82.221.139.185
***
বাংলা না দেখা গেলে, এখানে ক্লিক করুন
*****
ফোরামে সদস্য হতে চাইলে এখানে রেজিষ্টার করুন
*****
ফোরামের অনিওন এড্রেসঃ dawah4m4pnoir4ah.onion
*****
Announcement
Collapse
No announcement yet.
আল-কায়দা উপমহাদেশ || আমাদের সবকিছু উৎসর্গ হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর
আলেমদের শিরোমনি ও মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন:
“আমরা কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে ছিলাম আর এদিকে কোন ফয়সালা হচ্ছিল না। এমন সময় কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবির ভুমিকা পালন করতে শুরু করে। এতে ঈমানদারদের তো অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু সাথে সাথে দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে যায় যে, আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে এসে পৌছেছে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে বে-আদবী করার কারণে আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত কাফেদের উপর ভীষণ রাগান্বিত হবেন”।
আমাদের সব কিছু উৎসর্গ হোক রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর!
الحمد للہ والصلاۃ والسلام علی رسول اللہ وعلی آلہ وصحبہ ومن والاہ، أما بعد
সমস্ত প্রশংসা আল্লাহ তা’আলার জন্য, দরুদ ও সালাম অবতীর্ণ হোক রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর, তাঁর পরিবার পরিজন, তাঁর সাহাবাগণ ও তার সকল অনুসারীগণের উপর।
বাদ সমাচার এই যে,
বর্তমানে পৃথিবীব্যাপী মুসলমানদের বিরুদ্ধে সর্ববৃহৎ ক্রুসেড যুদ্ধ চলমান। এই ক্রুসেড যুদ্ধে কাফের সম্প্রদায় তাদের সবচেয়ে নিকৃষ্ট কর্মপন্থা বাস্তবায়ন করছে। তার একটি হল: আমাদের প্রিয় নবী মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বে-আদবীর অপবিত্র ধারা। কাফের সম্প্রদায় নিজেদের লজ্জা ও পরাজয়কে লুকানোর জন্য এই হীন চক্রান্ত চালায়। পশ্চিমাদের এই চক্রান্ত একথা প্রমাণ করে যে, পৃথিবীতে কুফর পরাজিত আর ইসলাম পুনরায় বিজয়ী হতে চলেছে।
আলেমদের শিরোমনি ও মুজাহিদে মিল্লাত আল্লামা ইবনে তাইমিয়াহ রহ. বলেন: “আমরা কাফের সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে যুদ্ধের ময়দানে ছিলাম আর এদিকে কোন ফয়সালা হচ্ছিল না। এমন সময় কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর শানে বেয়াদবির ভুমিকা পালন করতে শুরু করে। এতে ঈমানদারদের তো অনেক কষ্ট হয়, কিন্তু সাথে সাথে দৃঢ় বিশ্বাস হয়ে যায় যে, আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে এসে পৌছেছে। কারণ, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে বে-আদবী করার কারণে আল্লাহ তা’আলা ঐ সমস্ত কাফেদের উপর ভীষণ রাগান্বিত হবেন”।
মুসলমানগণ এই পৃথিবীতে তেরো শতাব্দীর অধিক শাসন পরিচালনা করেছেন। এই শাসনকালে নিজেদের অধীনস্ত কাফেরদের হকসমূহ তো আদায় করেছেনই, পশুদের হকসমূহের প্রতিও লক্ষ্য রেখেছেন। ইহুদী- খ্রিস্টানরা নিজেদেরকে যে সকল নবীদের অনুসারী বলে দাবী করে যেমন: ইবরাহীম আলাইহিসসালাম উযাইর আলাইহিসসালাম, মুসা আলাইহিসসালাম ও ঈসা আলাইহিসসালাম। তদের ব্যাপারেও ইসলামী শাসনামলে কোনরূপ বে-আদবি করা হয়নি। কেননা নবীগণ মূলত ঐ দাওয়াতই নিয়ে এসেছেন যার সমাপ্তি খাতামুন নাবিয়্যীন মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের দাওয়াত। মুসলমান যে কোন নবীর শানে বেআদবি করাকে কুফর ও গোমরাহী মনে করেন। এবং সমস্ত নবীগণের উপর ঈমান আনা ব্যতিত মুসলমানের ঈমান পরিপূর্ণ হতে পারে না। সুতরাং পশ্চিমারা তাদের বর্তমানে যে বে-আদবির বিষবাষ্প ছড়াচ্ছে, এটা তাদের ও তাদের সভ্যতার কফিনে সর্বশেষ পেরেক। নেদারলেন্ডের অপরাধী ‘‘গিয়ার্ট উইলডার্য’ ও তার সাহায্যকারী সেখানকার প্রশাসন ও অন্যান্য পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো বাক স্বাধীনতার নামে আমাদের সকলের প্রাণের চেয়ে প্রিয় রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শানে বে-আদবি’র ধারা শুরু করে সমগ্র মুসলিমবিশ্ব ও মুসলমানদের কাছে নিজেদের মৃত্যু ও ধ্বংসকে ডেকে এনেছে এবং তারা এটা সাব্যস্ত করে দিয়েছে যে পশ্চিমাদের যুদ্ধ সন্ত্রাসীদের সাথে নয় বরং আল্লাহ তা’আলা, তাঁর সর্বশেষ রাসূল মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ও তাঁর সকল উম্মতের সাথে।
সুতরাং হে পাশ্চাত্যে বসবাসকারী অপরাধীরা এটা জেনে নাও যে, আমরা পূর্ব থেকে পশ্চিম পর্যন্ত কোটি কোটি মুসলমানের প্রবাহিত রক্তপাতকে হয়তোবা ক্ষমা করতে পারি কিন্তু রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অপমানের প্রতিশোধ নেয়া অবশ্য কর্তব্য মনে করি।
পাশ্চাত্যে বসবাসকারী ঈমানদারগণ! বিশেষভাবে সেখানে বসবাসরত উপমহাদেশের সাথে সম্পৃক্ত ঈমানদারদের দায়িত্ব হচ্ছে, তারা সেখানকার শাসকদের উপর সর্বপ্রকার মাধ্যম ব্যবহার করে এসব চিহ্নিত অপরাধীদের কর্মকান্ডে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবে। আর এসব অপরাধীদের চিহ্নিত করে মৃত্যুর দুয়ারে পৌছে দিবে। কেননা এই সব নিকৃষ্ট লোকদের বাঁচতে দেয়া মানবতাকে লাঞ্চিত করার নামান্তর। রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের অপমানকারীকে প্রতিহত করা ও তাঁর প্রতিশোধ নেয়ার অধিকতর কার্যকর পথ হল জিহাদ ফী সাবীলিল্লাহ। সুতরাং নিজ জান মাল ও সামর্থকে জিহাদে নিয়োজিত করা রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সাথে বে-আদবির বদলা নেওয়ার সর্বোত্তম পথ। পাশ্চাত্যে বসবাসরত রাসূলপ্রেমীদের জন্য জার্মানে আমের চিইমাহ শহীদ, সুইডেনে তাইমুর আব্দুল ওয়াহহাব শহীদ ও ফ্রান্সে শহীদ কাউয়াশী ভাইদের জিহাদী কার্যক্রমে উত্তম উদাহরণ রয়েছে।
আল্লাহ তা’আলা আমাদেরকে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের আদর্শের উপর আমলকারী ও তাঁর জন্য সবকিছু উৎসর্গকারী হওয়ার তাওফীক দান করুক। আমীন ইয়া রাব্বাল আলামীন।
Comment