Announcement

Collapse
No announcement yet.

অসত্য এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রচারণার ব্যবচ্ছেদ

Collapse
X
 
  • Filter
  • Time
  • Show
Clear All
new posts

  • অসত্য এবং বিভেদ সৃষ্টিকারী প্রচারণার ব্যবচ্ছেদ


    সমস্ত প্রশংসা আল্লাহতাআলা’র, চিরদিনের জন্য।
    দরুদ ও সালাম বর্ষিত হোক রহমত ও মালাহীমের নাবী মুহাম্মাদ (সল্লাল্লাহুআ’লাইহিওয়াসাল্লাম)- এর উপর।

    প্রথম অংশ


    আমরা যারা জিহাদী ঘরোনার অথবা জিহাদ বিষয়ক খবরাখবর রাখি, বৈশ্বিক পরিবেশ-পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে ভালোবাসি তাদের কমবেশি সবারই এ কথা জানা যে, তালিবান ও আল-ক্বাইদার কর্মপদ্ধতি একই তবে ক্ষেত্র সম্পূর্ণ আলাদা। মূলত আফগানিস্থান ব্যতিত বিশ্বের যেকোন প্রান্তে গ্লোবাল জিহাদ পরিচালনার জন্য আল-ক্বাইদা হচ্ছে তালিবানেরই আন্তর্জাতিক উইং, যা তালিবানের নেতৃত্বে থেকেই বিশ্বপরিমন্ডলে নিজস্ব অবকাঠামো নিয়ে জিহাদ পরিচালনা করে আসছে। আর একারণে কিছু বিষয় থাকবে যেগুলোতে দুইপক্ষের (তালিবান ও আল-ক্বাইদা) বক্তব্য বা এ্যাপ্রোচে কিছুটা ভিন্নতা থাকবে এটাই স্বাভাবিক। তবে, কিছু বিষয়ে ভিন্নতা থাকলেও তালিবান ও আল-ক্বাইদার মধ্যে পারস্পারিক সম্পর্ক এবং বোঝাপড়াই প্রমাণ করে যে, বর্তমান বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে এই দু’টি দলই আমাদেরকে শিখিয়ে দিয়েছে হাজারো ষড়যন্ত্রের মাঝেও কিভাবে নিজেদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধতা টিকিয়ে রাখতে হয়। নিঃসন্দেহে, আল্লাহর ইচ্ছায় বিশ্ব পরিমন্ডলে আল-ক্বাইদাই হচ্ছে উচুস্তরের দুর্ধর্ষ জঙ্গীগোষ্ঠি যার স্বপক্ষে পশ্চিমা কুফ্ফার রাষ্ট্রগুলোও ঐক্যমত পেশ করে থাকে। আর বাংলাদেশসহ সমগ্র ভারতবর্ষের তাগুত প্রশাসন ও মিডিয়াগুলো যে কোন ইস্যুতে এই গোষ্ঠির নাম প্রকাশ করা থেকে সবসময়ই বিরত থাকার চেষ্টা করে। কারণ এরা জনগণের মধ্যে এই গোষ্ঠির গ্রহণযোগ্যতা বেড়ে যাওয়ার কারণে ভীত হয়ে পড়েছে। এর পাশাপাশি আমাদের দেশের জিহাদ বিরোধী শায়েখদের ভক্ত ও অনুসারিগন, জিহাদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকারী মহল এবং জিহাদ বিদ্বেষী নাম কা ওয়াস্তে কিছু মুসলিম কখনো কখনো তালিবান-আল ক্বাইদা ইস্যুতে জিহাদপ্রেমী সাধারণ মুসলিমদের মধ্যে ধোঁয়াশা সৃষ্টি করার অপচেষ্টা চালায়। নির্লজ্জ মিথ্যা প্রচারণার মাধ্যমে তালিবান আল-ক্বাইদার মধ্যে বিদ্বেষপূর্ণ (!) সম্পর্ক উপস্থাপন করার হাস্যকর অবস্থান গ্রহণ করে। অথবা শরয়ী কোন বিষয় নিয়ে জনমনে সংশয় তৈরির চেষ্টা করে। মূলত তালিবান-আল ক্বাইদা বন্ধন তাদের অন্তর জ্বালার কারণ হয়ে গেছে। আর আমরাও চাই, তারা নিজেরাই নিজেদের অন্তরে প্রজ্জ্বলিত হিংসার আগুনে জ্বলে পুড়ে খাক হয়ে যাক বিইযনিল্লাহ।

    তাই অধমের পক্ষ থেকে কিছু সাধারণ উপস্থাপনা, যার মাধ্যমে এমন ভাইদের ধারণা পরিচ্ছন্ন হবে ইনশাআল্লাহ যারা কিছু কিছু ইস্যুতে তালিবান ও আল-ক্বাইদার অবস্থান স্পষ্টভাবে বুঝতে বা জানতে পারেন না।


    ১. আমরা জানি, তালিবানের কাজের পরিধি শুধুমাত্র আফগানিস্থানের মধ্যেই সীমাবদ্ধ। আর আল-ক্বাইদা বৈশ্বিক পরিমন্ডলে কার্য পরিচালনা করে থাকে। আর একারণেই বৈশ্বিক বিষয়গুলোতে তালিবান সাধারণত এ্যাপ্রোচ করে না। বলতে গেলে বর্তমান পরিস্থিতিতে তালিবানের জন্য এটার প্রয়োজন নেই বললেও ভূল হবে না। ঠিক যেমন আফগানিস্থানের আভ্যন্তরীন বিষয়গুলো নিয়ে তালিবানের অবস্থানকেই আল-ক্বাইদা যথেষ্ঠ মনে করে। এখানে জিও-পলিটিক্যাল এ্যাঙ্গেল থেকে চিন্তা করলে আমাদের জন্য বিষয়টি আরো পরিস্কার হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। যেহেতু, আফগানিস্থান হচ্ছে তালিবানের কেন্দ্র তাই একটি নির্দিষ্ট ও চিহ্নিত ঘাটিকে সুরক্ষিত রাখার ক্ষেত্রে কিছুটা কৌশল অবলম্বন করতেই হবে। আমরা জানি, মুরতাদ সৌদি সরকার বিভিন্ন দেশে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে আল-ক্বাইদার বিরুদ্ধে যুদ্ধে লিপ্ত। কিন্তু, বর্তমানে সৌদ সরকার আফগানিস্থানে তালিবানদের টার্গেট করে কোনো প্রত্যক্ষ যুদ্ধে লিপ্ত নয়। তাহলে, সৌদ সরকারকে তাকফীর করে তালিবানরা কি অর্জন করতে পারে? নাকি এটা করার মাধ্যমে তালিবানরা নিজেদেরকে সৌদির জন্য টার্গেট বানিয়ে নেবে যেমনটি ইয়েমেনে হচ্ছে? এখানে কোনটা মূখ্য হবে? সৌদিকে তাকফীর করা নাকি নিজেদের সুরক্ষার জন্য কৌশল অবলম্বন করা? যেহেতু আল-ক্বাইদা সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকে এবং তাদের চিহ্নিত এমন কোন ঘাটি নেই যেখানে হামলা করলে আল-ক্বাইদা সমূলে নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে একারণে সৌদি সরকারকে তাকফীর করা আল-ক্বাইদার জন্যই যৌক্তিক এবং সময়ের দাবি আর সে দাবি তারা পূরণও করেছে আলহামদুলিল্লাহ। পাশাপাশি আরববিশ্বের অনেক মুজাহিদ ও শাইখ এই জঙ্গী গোষ্ঠির সাথে কাজ করেন তাই সৌদ ইস্যুতে আরব শাইখগনের বিবৃতি প্রদান করাই স্বাভাবিক। কিন্তু, তালিবানের কেন্দ্র চিহ্নিত এবং তারা একই সাথে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক শত্রুর সাথে জিহাদ পরিচালনা করছে। এই অবস্থায় সৌদিকে প্রত্যক্ষভাবে নিজেদের শত্রু বানিয়ে নেয়ার মধ্যে কি ফায়দা থাকতে পারে? যেহেতু কাউকে তাকফীর করা কোন একটি নির্দিষ্ট গোষ্টির জন্য ওয়াজিব নয় সুতরাং পলিটিক্যাল এ্যাঙ্গেল থেকে সৌদিকে তাকফির করা ইস্যুতে তালিবানের নিশ্চুপ থাকাই যৌক্তিক। পাশাপাশি পলিটিক্যালি তালিবান যেহেতু আফগানিস্থানের বাহিরের বিষয়গুলোতে জড়িত হয় না তাই সৌদি প্রশাসনকে তাকফীর করা তাদের জন্য জরুরী নয়।


    ২. আল-ক্বাইদা সৌদ সরকারকে তাকফীর করেছে আর প্রেক্ষিতে তালিবান নিশ্চুপ থেকেছে। এখানে তালিবান আল-ক্বাইদার বিরোধীতা করেনি বা পরস্পর পরস্পরকে দোষারোপ করেনি। তাহলে বিষয়টিকে মৌন সম্মতির দৃষ্টিকোণ থেকে দেখলে সমস্যা কোথায়? বরং উষ্কে দিয়ে প্রকাশ্য শত্রু না বাড়িয়ে তালিবানের নিজেদের ওয়েবসাইটে “ইমারাহ এ বিষয়ে নাক গলাবে না” শীর্ষক বক্তব্য দেয়ার মাধ্যমে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ করাই যুক্তিযুক্ত হয়েছে। তবে, আল-ক্বাইদার পক্ষ থেকে এই উষ্কানি অবশ্যই গ্রহণযোগ্যতা রাখে। অনুরুপভাবে, ভারত, বাংলাদেশ বা মায়ানমার প্রসঙ্গে তালিবানের পক্ষ থেকে কোন বিবৃতিরও প্রয়োজন নেই যেখানে এসব বিষয়ে আল-ক্বাইদার উপমহাদেশীয় শাখা গাজওয়াতুল হিন্দ ইস্যুতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সব অবস্থান থেকেই সামর্থ্যের মধ্যে কাজ করে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ।


    ৩. এক ভাই প্রশ্ন করেছিলেন, “তালিবান কি বর্তমান পাকিস্থান ও আফগান সরকারকে তাকফির করে?” এখানে আমার প্রশ্ন হচ্ছে, কোনো রাষ্ট্র বা সরকারকে তাকফির করা অন্য সব কিছুর চেয়ে কি গুরুত্বপূর্ণ? নাকি তাকফির করাই আমাদের প্রধান কাজ? - যেমনটি খারেজীরা করে থাকে। উক্ত ভাইযের এরুপ সংশয় রাখার আসলে কোন কারণই নেই। কারণ সবাই জানে যে, তালিবান আফগানিস্থানে মুরতাদ আফগান সরকার ও এ্যামেরিকার সাথে দীর্ঘদিন থেকে যুদ্ধ পরিচালনা করে আসছে আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে, যাদের সাথে যুদ্ধ পরিচালনা করা হচ্ছে তাদেরকে তাকফীর করা হয় কি না এই প্রশ্নের অবতারণা করাই অবান্তর। দ্বিতীয়ত বাকি থাকে পাকিস্থান প্রসঙ্গ। পাকিস্থানকে তাকফির করার বিষয়ে আমরা দৃষ্টি রাখবো পাকিস্থান ভিত্তিক জিহাদী গোষ্টির উপর। পাশাপাশি গাজওয়াতুল হিন্দ ইস্যুতে পাকিস্থানের অবস্থান একিউআইএস স্পষ্ট করেছে। আর সেবিষয়েও তালিবান কোন দ্বিমত প্রকাশ করেনি।


    ৪. বৈশ্বিক পরিমন্ডলে কাজ করলেও আল-ক্বাইদা তালিবানের কাছে বায়াহবদ্ধ। তাই, প্রকৃত অর্থে আল-ক্বাইদা কখনোই এমন কোন কাজ করেনি আলহামদুলিল্লাহ এবং ভবিষ্যতেও করবে না ইনশাআল্লাহ যা তালিবান-আল ক্বাইদার সর্বোচ্চ নেতৃত্বের সমঝোতায় হয়নি বা হবে না।


    তাহলে, কৌশল অবলম্বন করার বিষয়ে কোনভাবেই তালিবানকে দোষারোপ করা যায় না। বৈশ্বিক বিষয়ে আল-ক্বাইদার প্রতি তালিবানের এটাই হচ্ছে মৌন সম্মতি জ্ঞাপন। আবার খোরাসান কেন্দ্রিক তালিবানের অবস্থানকেই সর্বোচ্চ জ্ঞান করা তালিবানের প্রতি আল-ক্বাইদার আনুগত্যেরই বহিঃপ্রকাশ। এটাই তালিবান-আল ক্বাইদা সম্পর্কের সাধারণ রুপরেখা। আর ক্ষেত্র বিশেষে কৌশলগত অবস্থান গ্রহণ মূলত এই রুপরেখারই অংশবিশেষ।


    ২য় অংশ


    কেন আপনি আল-ক্বাইদা’তে যুক্ত হবেন?


    ১. বর্তমান যামানায় মুজাহিদদের কেন্দ্র হচ্ছে আফগানিস্থান তথা খোরাসান। এখানে তালিবানের কাছে বায়াহবদ্ধ হয়ে আল-ক্বাইদা সারা বিশ্বে তাদের অবস্থান বিস্তৃত করেছে এবং অনেক জায়গায় তামকিনও অর্জন করেছে বিইযনিল্লাহ। তাই আল-ক্বাইদায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আপনি মূলত খোরাসানি বাহিনীর কাছেই বায়াহবদ্ধ হলেন। আর খোরাসানি বাহিনীর কাছে বায়াহবদ্ধ হওয়ার গুরুত্ব আমরা হাদীস থেকেই জেনেছি। যেহেতু খোরাসান থেকেই ঈমাম মাহদীর সাহায্যকারী বাহিনী প্রেরিত হবে আর তালিবানরাই হচ্ছে খোরাসানের একমাত্র এবং কেবলমাত্র শক্তিশালী মুজাহিদ বাহিনী বিইযনিল্লাহ যারা দীর্ঘ সময় থেকে কালিমার পতাকাকে ধারণ করে বিশ্ব পরাশক্তিগুলোর বিরুদ্ধে জিহাদ পরিচালনা করে আসছে, তাই যেকোন জিহাদপ্রেমী ভাইয়ের পক্ষে তালিবানদের অবস্থান সহজেই অনুমেয়।


    ২. বর্তমানে সারাবিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে আল-ক্বাইদা যে পরিমাণ ভূমি দখল করে তাদের অবস্থান প্রতিষ্ঠিত করেছে আলহামদুলিল্লাহ তার পরিমাণ বাংলাদেশের মোট আয়তনের প্রায় ৫০ গুণ বেশি। বলতে গেলে ভারতীয় উপমহাদেশের তুলনায়ও বেশি আয়তনের অঞ্চল আল-ক্বাইদার নিয়ন্ত্রণে আছে। কোথায় নেই আল-ক্বাইদা? মহাসাগর থেকে মহাদেশ, পাহাড়-জঙ্গল থেকে মরুভূমি, প্রাচ্য থেকে পাশ্চাত্য, এশিয়া থেকে আফ্রিকা, শাম থেকে হিন্দ, সার্লিএব্দো থেকে ঢাকা - প্রতিটি প্রান্তে এ গোষ্টি তার শাখা-প্রশাখা বিস্তৃত করেই চলেছে আলহামদুলিল্লাহ। তাই যেকোন সাধারণ বিবেচনার মানুষও এমন শক্তিশালী একটি আন্তর্জাতিক জঙ্গী গোষ্টির সাথে যুক্ত হতে চাইবে।


    ৩. এখন জিহাদ বলতেই “গ্লোবাল” শব্দটি চলে আসে। অন্য সবকিছুর মতই জিহাদও গ্লোবালাইজড হয়ে গেছে আলহামদুলিল্লাহ। যা কুফ্ফারদের অন্তর্জ্বালার অন্যতম কারণ। আর বাংলাদেশে বসে গ্লোবাল জিহাদে অংশগ্রহণ করার এমন সুযোগ কেউ কিভাবে হাতছাড়া করবে যখন খোদ আল-ক্বাইদা বাংলাদেশেও তাদের অবস্থান এবং কার্যক্রম সুনিশ্চিত করেছে আলহামদুলিল্লাহ।


    ৪. বাংলাদেশ তথা ভারতীয় উপমহাদেশ খুবই ভয়ঙ্কর একটি আদর্শিক যুদ্ধের দাড়প্রান্তে দাঁড়িয়ে। যেটা সংঘটিত হবে মুসলিম বনাম মূর্তিপূজারীদের মধ্যে। আর প্রিয় নাবী (সল্লাল্লাহুআলাইহিওয়াসাল্লাম) তাঁর জীবদ্দশায় সেই যুদ্ধের বর্ণনা দিয়ে গেছেন এবং নামকরণ করেছেন “গাজওয়াতুল হিন্দ” তথা “ভারতবর্ষের যুদ্ধ” নামে। তাহলে যুদ্ধ যখন আমাদের ঘড়ের দরজায় তখন যুদ্ধবাজ আল-ক্বাইদার সাথে নিজেকে যুক্ত না করে কিভাবে থাকা যায় যারা উম্মাহ’র নিরাপত্তায় সারা দুনিয়া চষে বেড়াচ্ছে!


    ৫. কোন মুসলিম নেতার আনুগত্যের বায়াহবিহীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করাকে জাহিলিয়াতের মৃত্যুর সাথে তুলনা করা হয়েছে। তাহলে কিভাবে কোন সচেতন মুসলিম তান্জীম আল-ক্বাইদায় যুক্ত হওয়ার মাধ্যমে আল-ক্বাইদার সর্বোচ্চ নেতা শাইখ আইমান আয-যাওয়াহিরি (হাফিজাহুল্লাহ) – এর আনুগত্যে থেকে সেই জাহালাতের মৃত্যু হতে মুক্ত হওয়ার সুযোগকে হাতছাড়া করবে?


    ৬. সমগ্র বিশ্বে দাজ্জালী তাগুতবাহিনীগুলো দাজ্জালের অপেক্ষায় প্রহর গুণছে। অপরদিকে মুমিন মুজাহিদরাও ঈমাম মাহদীর প্রতীক্ষায় নিরলস কাজ করে যাচ্ছে আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে কেন আপনি আমি আল-ক্বাইদাতে যোগ দিয়ে ঈমাম মাহদীর সাহায্যকারী বাহিনীকে শক্তিশালী করতে অগ্রগামী হব না? এটাতো নিজের নিরাপত্তার জন্যই বেশি প্রয়োজনীয়।


    ৭. আলহামদুলিল্লাহ আল-ক্বাইদা উম্মাহর অনেক গুরুত্বপূর্ণ মেধাবী মাথাগুলোকে কাজে লাগাচ্ছে। শাইখ, তালিবে ইলম, প্রকৌশলী, বিজ্ঞানী, কেমিস্ট, ডাক্তার, বক্তা, যোগ্য ব্যবস্থাপক, মিডিয়া কর্মী, দাঈ, গেরিলা যুদ্ধ বিশেষজ্ঞ সবই আলহামদুলিল্লাহ। তাহলে কেন উম্মাহর এই মেধাবী অংশের অংশীদার হওয়ার জন্য আমরা আল-ক্বাইদায় যোগ দেব না?


    ৮. সর্বোপরি, আল-ক্বাইদা তথা একটি আন্তর্জাতিক জিহাদী তান্জীমে যুক্ত হয়ে শাহাদাহ লাভের মাধ্যমে আল্লাহ আজ্জাওয়াজালের সান্নিধ্যে যাওয়া, সবুজ পাখি হয়ে জান্নাতে উড়ে বেড়ানো, অথবা হিন্দের যুদ্ধে শহীদ হয়ে বদরী শহীদের মর্যাদা লাভ করা নয়তো গাজী হয়ে জাহান্নাম থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত আবু হুরায়ারা’র (রদিয়াল্লাহ) ন্যায় মর্যাদা লাভ করার এতো এতো সুবর্ণ সুযোগ কিভাবে এড়িয়ে যাওয়া যায়? কারণ মৃত্যু তো দুই অবস্থার কোন এক অবস্থার উপরই হবে। হয় মুমিন হিসেবে, নয়তো কাফের/মুরতাদ/ মুনাফিক হিসেবে। সুতরাং, বেছে নেই কোন অবস্থায় মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হবে?


    আল্লাহ এই ভূমির সমস্ত জিহাদপ্রেমী ভাইদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য কবুল করুন এবং ময়দানে এক পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করুন, আমিন।

  • #2
    আল্লাহ এই ভূমির সমস্ত জিহাদপ্রেমী ভাইদেরকে গাযওয়াতুল হিন্দের জন্য কবুল করুন এবং ময়দানে এক পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ করুন, আমিন।

    آمین ثم آمین
    যোদ্ধা হব, যুদ্ধ করব,
    ক্বিতালের জন্য দাওয়াত দিব, ইনশাআল্লাহ।

    Comment


    • #3
      আল্লাহ, আমাদের মুজাহিদ হিসেবে কবুল করুন,আমিন।
      والیتلطف ولا یشعرن بکم احدا٠انهم ان یظهروا علیکم یرجموکم او یعیدو کم فی ملتهم ولن تفلحو اذا ابدا

      Comment


      • #4
        জাযাকাল্লাহ আখীঁ!
        খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি পোষ্ট।
        গাজওয়ায়ে হিন্দে আল্লাহ আমাদের জান-মাল ব্যয় করার তাউফিক দান করুন! আমীন!

        اللهم ارناالحق حقا وارزقنا اتباعه، وارناالباطل باطلا وارزقنا اجتنابه ،

        Comment


        • #5
          কিছু লোক আছে তারা যখন দেখে আল কায়দার ভাইদের শুত্রুদের হত্যা করছে তখন তাদের গা জ্বলে ওঠে!!! হায় এ কেমন মুসলিম!অনেক আলিম আছেন যাদের কথা/ কর্মকাণ্ড দেখলে মনে হয় ইসলামে'র ব্যাপারে নুন্যতম জ্ঞান নেই।
          ولو ارادوا الخروج لاعدواله عدةولکن کره الله انبعاثهم فثبطهم وقیل اقعدوا مع القعدین.

          Comment


          • #6
            গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ

            Comment


            • #7
              গুরুত্বপূর্ণ বিশ্লেষণ। জাযাকুমুল্লাহ

              Comment


              • #8
                বাংলাদেশের একজন জনপ্রিয় বক্তা( হাফিজুর রহমান সিদ্দিকী) এক মাহফিলে জেএমবি ভাইদের প্রসঙ্গ টানতে গিয়ে বলেন, এক জায়গা থেকে ওনার কাছে একটা ফোন আসে, অপর পাশ থেকে বলছে হুজুর আপনারা কি এদেশে দ্বীন কায়েম হউক চান না? ওনি বলেছেন চাই!তাহলে আপনি জেএমবিদের বিরোধ্যে এভাবে বলছেন কেনো?? কথা শেষ!!!
                উক্ত মাহফিলে একজন মন্ত্রী / এনপি উপস্থিত ছিলো সাথে পুলিশও। পুলিশকে খুসি করতে ওনি ঐ ঘটনা বলেছেন। এবং এও বলেছেন ইসলামে কোনো বোমাবাজি নেই। তাহলে ওনার কাছে আমার প্রশ্নঃ আপনি বর্তমান যুগে কীভাবে জিহাদ করবেন???
                আল্লাহ আমাদের ঈমানী হালতে মৃত্যু দান করুন,আমিন।
                আল্লাহ আমাদের শহিদী মৃত্যু দান করুন,আমিন।

                Comment


                • #9
                  মাশাআল্লাহ অনেক সুন্দর উপস্থাপনা।
                  গ্লোবাল জিহাদের ক্ষেত্রে আল-কায়দার বিকল্প নাই ,ইন্সাআল্লাহ।
                  আল্লাহ আমাদেরকে তানজিম আল-কায়দার কাফেলায় যোগদানের তাওফিক দান করুন।আমিন।
                  >
                  ভাই ,আপনি আপানার অন্য লেখার পাশাপাশি"" কাঁটা তারের বেড়া"" সিরিজটা কন্টিনিও করুন ,ইন্সাআল্লাহ।
                  দাওয়াত এসেছে নয়া যমানার,ভাঙ্গা কেল্লায় ওড়ে নিশান।

                  Comment

                  Working...
                  X